ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে জানুন

ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে এবং ভিসা কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে এখন আমি আমার আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ভিসার-জন্য-আবেদন-করতে-কি-কি-লাগে
আপনি যদি অনলাইনে ভিসা আবেদন করার নিয়ম জানতে চান? তাহলে আমারে আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়বেন। চলুন তাহলে ভিসা আবেদন সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সুচিপত্রঃ ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে

ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে

আপনারা অনেকেই ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে জানতে চেয়েছেন। ভিসা আবেদন করার জন্য কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে এই কাগজপত্রগুলো মূলত আপনি কোন দেশের ভিসা আবেদন করছেন তার ওপর নির্ভর করে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। চলুন তাহলে ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার কি কি লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পাসপোর্টঃ ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনার পাসপোর্ট থাকা লাগবে। এই আবেদন করার জন্য আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে। আপনার পুরনো পাসপোর্ট থাকলে সেটাও ও লাগতে পারে।

ভিসা আবেদন ফরমঃ ভিসার জন্য আপনাকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এটা মূলত অনলাইনেও পূরণ করা যায় আবার হাতে কলমেও পূরণ করা যায়। অবশ্যই ফর্মটিতে আপনার সঠিক তথ্য দিতে হবে।

পাসপোর্ট সাইজের ছবিঃ ভিসা আবেদনের জন্য আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দরকার হবে।

ভিসা ফি প্রমাণঃ ভিসা আবেদন করার জন্য আবেদন ফি প্রদান করতে হয়। তাই আবেদন করার পর আবেদন ফি জমা দেওয়ার একটি প্রমাণপত্র অর্থাৎ রশিদ এর কাগজ লাগবে।

জাতীয় পরিচয় পত্রঃ ভিসা আবেদন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা জন্ম সনদ পত্রের ফটোকপি লাগবে।

ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে আপনার ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ব্যাংকের শেষ ছয় মাসের স্যালারি এবং অন্যান্য সব আয়ের প্রমাণপত্র।

ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাগজপত্রের প্রমাণঃ ভ্রমণ ভিসার জন্য যদি আপনি যান, তাহলে আপনাকে হোটেল বুকিং এর প্রমাণ এবং টিকিট বুকিং এর প্রমাণ পত্র দেখাতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যদি যান, তাহলে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন লেটার এবং ফি জমার প্রমাণ পত্র দেখাতে হবে। কাজের ভিসার জন্য যদি যান, তাহলে আপনার চাকরির অফার লেটার প্রমাণ পত্র হিসেবে দেখাতে হবে। এছাড়াও চিকিৎসার জন্য গেলে আপনাকে হাসপাতালের বা এপয়েন্টমেন্ট লেটারের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।

এছাড়াও যেসব অতিরিক্ত কাগজের প্রয়োজন হতে পারে সেগুলো হচ্ছে

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট অর্থাৎ কোনো অপরাধের সাথে জড়িত নয় এরকম একটি প্রমাণ পত্র। ট্যাক্স সার্টিফিকেট এর কাগজ। ফ্যামিলি হলে অবশ্যই বিবাহ সনদ বা পরিবার সম্পর্ক প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।

ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে

আপনারা অনেকেই ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে জানতে চেয়েছেন। আসলে ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে এটা নির্ভর করে আপনি কোন দেশের জন্য ভিসা আবেদন করেছেন। কারণ ভিন্ন ভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন সময় লাগতে পারে। 

যেমন ভিসা পেতে কত সময় লাগে এটা নির্ভর করে ভিসার ধরন অনুযায়ী এবং সেই দেশের এস এম বি প্রসেসিং সময়ের উপর। তাই আপনি আসলে কোন দেশের ভিসা আবেদন করেছেন সেই দেশের ওপর নির্ভর করে যে আপনি কত দিনে ভিসা পাবেন। তবে সাধারণত ভিসার ধরন এবং ভিসা পেতে যে সময় লাগে সেই সম্পর্কে নিচে আমি উল্লেখ করলাম।

  • আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন। সেক্ষেত্রে এই ভিসা পেতে আপনার প্রায় ৭দিন থেকে ৩০দিন সময় লাগতে পারে।
  • আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে এই ভিসা পেতে আপনার ৩ থেকে ৮সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। 
  • আপনি যদি ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে এই ভিসা প্রায় ৪ থেকে.১২সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
  • আপনি যদি ব্যবসায়িক ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন। তাহলে এই ভিসা পেতে আপনার প্রায় ৭ থেকে ৩০দিন মত সময় লাগতে পারে।
  • চিকিৎসা ভিসার জন্য আপনি আবেদন করলে। সেই ভিসা পেতে ১০ থেকে ১০দিনের মধ্যে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন। আর জরুরি অবস্থা থাকলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেও এই ভিসা কার্যকর করা সম্ভব হয়ে থাকে।
এক কথায় বলা যায় যে আপনি যদি ভিসার আবেদন করেন, তাহলে কিছু কিছু দেশ আছে যে দেশগুলো ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ভিসা দিয়ে দেয় আবার এমন কিছু দেশ আছে যে দেশগুলোর ভিসা পেতে ১ এক থেকে তিন মাস বা তার থেকে বেশি সময়ও লাগতে পারে। আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি ভিসা পেতে কয় দিন সময় লাগে তা জানতে পেরেছেন।

অনলাইনে ভিসা আবেদন ফরম

আপনারা অনেকেই অনলাইনে ভিসা আবেদন ফরম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই এখন আমি আপনাদেরকে অনলাইনে ভিসা আবেদনের ফরম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনাকে visa.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি সেখানে ভিসার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য এই ওয়েবসাইটের মধ্যে জেনে নিতে পারবেন। আর আপনি যদি ভিসা সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে চান? সেক্ষেত্রে আপনি গুগলে সার্চ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে অনলাইন ছাড়াও ভিসার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ভিসা অফিসে সরাসরি যেতে হবে এবং তাদের কর্মকর্তার কাছে পরামর্শ নিতে হবে।

আর আপনি যদি চান আপনার ভিসার আবেদন আপনি অন্য কারো মাধ্যমে যেমন ভিসা এজেন্সি বা দালাল দিয়ে, তাহলে ভিসা আবেদন করার জন্য যেসব তথ্য প্রয়োজন সে সকল তথ্য আপনি সেই এজেন্সি বা দালালকে দিবেন। সে খুব সহজেই আপনার হয়ে আপনার ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করে দিবে। অবশ্যই ভরসাযোগ্য কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

ভিসা কিভাবে করতে হয়

আপনারা অনেকেই ভিসা কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তাই এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো যে আপনি কিভাবে ভিসা করবেন তার সকল তথ্য। প্রথমেই আপনাকে ঠিক করতে হবে যে আপনি আসলে কোন ভিসা নিতে চান। যেমন মেডিকেল ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক ভিসা।

ভিসা নির্ধারণ করে আপনাকে ভিসা অফিস অথবা অফিসিয়াল যে ওয়েবসাইট আছে সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর সেখানে অনলাইন ভিসা আবেদন ফরমে আপনার সকল তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণ করা হলে। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কাগজপত্র জমা দেওয়া হলে।

ভিসার জন্য নির্ধারণ করা টাকা পরিশোধ করতে হবে। যেটা আপনি আপনার ক্রেডিট কার্ড অথবা ডেবিট কার্ড দিয়ে পরিশোধ করতে পারেন। এরপর আবেদনটি সাবমিট করতে হবে। আবেদন সাবমিট করার পর ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। এইভাবে আপনি ভিসা খুব সহজেই করে নিতে পারবেন। আশা করি ভিসা কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ভিসা আবেদন করতে কত টাকা লাগে

আপনারা অনেকে ভিসা আবেদন করতে কত টাকা লাগে জানতে চেয়েছেন। ভিসা আবেদন করার জন্য মূলত দেশ হিসেবে টাকা কম বা বেশি লাগে। কারণ এক এক দেশের ভিসার জন্য আপনাকে একেক রকম টাকা দিতে হবে। যেমন আপনি যদি ভারতে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাহলে আপনার প্রায় ১হাজার থেকে ৩হাজার টাকা লাগতে পারে।
আপনি যদি থাইল্যান্ড ভিসা আবেদন করেন, তাহলে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা লাগতে পারে। সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা লাগতে পারে। মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা লাগতে পারে। 

আমি যে টাকার পরিমাণগুলো বললাম এই টাকা মূলত সময় অনুযায়ী কম বা বেশি হতে পারে। এছাড়াও আপনি যদি বেসরকারিভাবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে অথবা কোন দালালের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে টাকা একটু বেশি দিতে হবে। তাই সঠিকভাবে ভিসা আবেদন করতে কত টাকা লাগে এটা মূলত বলা যাচ্ছে না।

ভিসা আবেদন করার জন্য টাকার পরিমান একেক সময় একেক রকম হয়ে থাকে। তবে ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে ভিসা না হলে টাকা ফেরত হয় কিনা। কারণ অনেক দেশ আছে, যারা ভিসা না হলেও টাকা ফেরত দেয় না। আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি ভিসা আবেদন করতে কত টাকা লাগে জানতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা ফ্রি

এখন আমি আপনাদেরকে বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা ফ্রি সে বিষয়ে জানাবো। বাংলাদেশী পাসপোর্টে আপনি এমন কিছু দেশ আছে। যে দেশে ভিসা ছাড়াই খুব সহজে প্রবেশ করতে পারবেন এবং সেই দেশগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন।

চলুন পাসপোর্ট থাকলে আপনি ভিসা ছাড়াই যে দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন সে দেশগুলোর নাম জেনে নিই। আপনার কাছে যদি একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকে, তাহলে আপনি ভিসা ছাড়াই ভুটান, গাম্বিয়া, ফিজি, গ্রেনাডা, হাইতি, লেসোথো, সামোয়া, মালদ্বীপ, ডোমিনিকা ও নেপাল প্রবেশ করতে পারবেন।

এই সব দেশের ভিসা নিয়ম নীতি পরিবর্তন হতে পারে। যার কারণে আমার দেওয়া তথ্য গুলো পরিবর্তন হতে পারে। তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এইসব দেশে প্রবেশ করতে চান, তাহলে অবশ্যই যে দেশে আপনি প্রবেশ করবেন। সেই দেশের অফিসিয়াল ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট থেকে আপডেট যে তথ্য সে তথ্য দেখে নিবেন।

ভিসা কত প্রকার, কি কি

আপনারা ভিসা কত প্রকার এবং কি কি সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ভিসা মূলত ভ্রমণ করার জন্য যে উদ্দেশ্য থাকে সেই উদ্দেশ্যর উপর নির্ভর করে কয়েক প্রকার হয়ে থাকে। চলুন ভিসা কত প্রকার কি কি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ভিসার প্রকারভেদ গুলো হচ্ছেঃ আপনি যদি কোন দেশে ভ্রমণ করতে যান অথবা কোন আত্মীয়দের বাড়ি যান, তাহলে সেটাকে ট্যুরিস্ট ভিসা বলে। 

আপনি যদি বিদেশে পড়ালেখা করার জন্য যান, তাহলে সেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলে। আপনি যদি বিদেশে চাকরি অথবা কাজ করার জন্য যান, তাহলে সেটাকে ওয়ার্ক ভিসা বলে। আপনি যদি কোন ব্যবসায়িক মিটিং এর জন্য অথবা ব্যবসায়িক কোনো কাজকর্মের জন্য যান, তাহলে সেটাকে বিজনেস ভিসা বলে। আপনি যদি বিদেশে চিকিৎসা করতে যান, তাহলে সেটাকে মেডিকেল ভিসা বলে।

আপনি এক দেশ থেকে আর এক দেশে যাওয়ার সময় মধ্যখানে অন্য আরেকটি দেশে কিছুক্ষণের জন্য অবস্থান করলে সেটাকে ট্রানজিট ভিসা বলে। আপনি যদি কোন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, তাহলে সেই ভিসার নাম রেসিডেন্স ভিসা বলা হয়। এইভাবে মূলত ভিসা বিভিন্ন উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর কয়েক প্রকার হয়ে থাকে। আশা করছি উক্ত আলোচনা থেকে আপনি ভিসা কত প্রকার ও কি কি জানতে পেরেছেন।

সৌদি ভিসার দাম কত

আপনারা অনেকে সৌদি ভিসার দাম কত জানতে চেয়েছেন। সৌদি ভিসার দাম মূলত আপনি যেখান থেকে ভিসা নিবেন সেই প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে। এবং মাঝেমধ্যেই এই ভিসার দাম কম এবং বেশি হয়ে থাকে। তাই নির্ধারিত ভাবে সৌদি ভিসার দাম বলা যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে আমি আপনাকে ভিসার দাম সম্পর্কে জানাবো।

যেটা পরবর্তীতে একই নাও থাকতে পারে। সেগুলো হচ্ছে আপনি যদি সৌদি টুরিস্ট ভিসা নিতে চান? সেক্ষেত্রে আপনাকে এক বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা এবং সরকারি সকল ফি। সেই সাথে এজেন্সি সার্ভিস চার্জ সহ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা লাগবে। আপনি যদি ওমরাহ ভিসা নিতে চান? তাহলে আপনার ১৭ হাজার টাকা লাগবে।

আপনি যদি তিন মাসের জন্য একাই এন্ট্রি ভিসা নিতে চান? তাহলে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাগবে। আর ফ্যামিলি ভিসা নিতে চাইলে সেটা আপনার ১৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা মতন খরচ হতে পারে। আমি আপনাকে ভিসার যে দামগুলো বললাম। এই দামগুলো মূলত একেক এজেন্সির একেক রকম হয়ে থাকে। এছাড়াও এই দামগুলো মাঝেমধ্যে পরিবর্তন হতে পারে।

FAQ/ভিসা সম্পর্কে কিছু আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর

এখন আমি ভিসা সম্পর্কে কিছু আলোচিত প্রশ্নের উত্তর আপনাদেরকে জানাবো। তাই দেরি না করে চলুন সেই আলোচিত প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ভিসা কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তরঃ আপনারা প্রশ্ন করেছেন যে ভিসা কোথায় পাওয়া যায়? ভিসা মূলত আপনি কয়েকটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুব সহজে পেয়ে যাবেন। সেই প্রক্রিয়াগুলো হচ্ছেঃ অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করা। সরাসরি দূতাবাসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া এবং ভিসার জন্য আবেদন করা। এজেন্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া এবং ভিসা আবেদনের ফরম পূরণ করা। তাই বলা যায় আপনি ভিসা অনলাইন পাবেন, সরাসরি দূতাবাসে পাবেন এবং এজেন্টের মাধ্যমে পাবেন।

ভিসার জন্য কয়টি কাগজপত্র লাগে?

উত্তরঃ বিভিন্ন দেশের ভিসা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০টি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ইনভিটেশন লেটারের প্রমাণ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আবেদন ফি রশিদ, যে উদ্দেশ্যে ভিসা নিবেন সেই উদ্দেশ্যজনক কিছু প্রমাণ পত্র।

বাংলাদেশীদের জন্য জাপান ভিসা ফ্রি?

উত্তরঃ আপনারা অনেকে প্রশ্ন করেছেন যে বাংলাদেশীদের জন্য জাপান ভিসা কি ফ্রি? তাদের বলতে চাই যে বাংলাদেশীদের জন্য জাপানের ভিসা ফ্রি না। জাপানে যদি আপনি প্রবেশ করতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং ভিসা নিয়েই সে দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।

কোন দেশের ভিসা সবচেয়ে শক্তিশালী?

উত্তরঃ বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভিসা দেশ হচ্ছে জাপান। এই দেশটি প্রায় ১৯৫ টি দেশে ফ্রি ভিসা সুবিধা রয়েছে। আশা করছি কোন দেশের বিশেষ সবচেয়ে শক্তিশালী উত্তর পেয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যান করে কোন দেশ?

উত্তরঃ আপনারা প্রশ্ন করেছেন সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যান করে কোন দেশ? এর উত্তর দুই ভাবে হবে আপনি যদি বাংলাদেশকে কোন দেশ বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যান করেছে জানতে চান? তাহলে সেটার উত্তর হবে যুক্তরাষ্ট্র। আর আপনি যদি জানতে চান, যে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যান করে কোন দেশ তাহলে উত্তর হবে ক্যামেরুন।

লেখকের মন্তব্যঃ ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে

ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে আমি আমার আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে, অনলাইনে ভিসা আবেদন ফরম, ভিসা কিভাবে করতে হয়, ভিসা আবেদন করতে কত টাকা লাগে, ভিসা কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কেও জানিয়েছি। আশা করছি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।

আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন? তাহলে আমার আর্টিকেলটি আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন। আপনার যদি আমার এই আর্টিকেলটি নিয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে অথবা আপনি যদি নতুন কোন তথ্য জানতে চান? তাহলে আমাদের নিজে থাকা যোগাযোগ পেজে অথবা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url