ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে জানুন বিস্তারিত
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক
স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে এখন আমি আমার আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত
আলোচনা করবো।
আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায় জানতে
চান? তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়বেন। চলুন তাহলে আর
দেরি না করে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট এবং এর সকল সুবিধা ও অসুবিধা
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক মুনাফা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিপিএস সুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সুদের হার
- ডাচ বাংলা ব্যাংকে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
- FAQ/ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে কিছু আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এই বিষয়ে এখন আমি আপনাদেরকে
জানাবো। যেগুলা জানার পর আপনি খুব সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনার একটি
একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন ডাচ বাংলা ব্যাংকে
একাউন্ট খোলার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে সেই ব্যাংকের আবেদন ফরমটা
সংগ্রহ করতে হবে। এই ফর্মটা আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের ওয়েবসাইট অথবা আপনি
ব্যাংকের যেকোনো একজন কর্মচারীর কাছ থেকে নিতে পারেন। আবেদন ফরমটা নেওয়ার
পর সেই ফর্মটাই আপনার সকল তথ্য দিয়ে ভালোভাবে পূরণ করতে হবে। এরপর আপনার
কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। সেই কাগজপত্র গুলো হচ্ছে।
- ১ কপি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিতে হবে।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি অবশ্যই ছবিগুলোর পেছনে নিজের স্বাক্ষর থাকা লাগবে।
- আপনার ব্যাংক একাউন্টের যে নমিনি হবে তারও পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের কাগজ, গ্যাস বিল এর কাগজ অথবা টেলিফোন বিলের কাগজ যদি থাকে। তাহলে এগুলো একাউন্ট খোলার সময় জমা দিতে হবে। এছাড়াও
- একাউন্টে খোলার সময় আপনি স্টুডেন্ট হলে আপনার স্টুডেন্ট সার্টিফিকেট, ব্যবসায়ী হলে ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স, চাকরিজীবী হলে অফিসের আইডি কার্ড প্রমাণপত্র হিসাবে লাগবে।
- এই ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা বা ১০০০ টাকা আপনার লাগবে। এই টাকার পরিমান অ্যাকাউন্টের ধরন অনুযায়ী আলাদা বা ভিন্ন হতে পারে।
-
যারা শিক্ষার্থী তারা যদি এই ব্যাংকে এই ব্যাংকে সঞ্চয় করার জন্য
অ্যাকাউন্ট খুলতে চায়। তাহলে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, দুই কপি
পাসপোর্ট সাইজের ছবি। আর একাউন্টের যে নমিনি হবে তার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিলেই অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
এই ব্যাংকে একাউন্ট খোলার আগে অবশ্যই তাদের নিয়মকানুন এবং শর্ত
সম্পর্কে ভালোভাবে পড়ে নিবেন বা জেনে নিবেন। আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট
এই ব্যাংকে খুলতে চাচ্ছেন সেটাও ভালোভাবে জেনেও বুঝে একাউন্ট তৈরি
করবেন। এই ব্যাংকে মূলত সাত রকমের বা ধরনের তারা অ্যাকাউন্ট খুলে
থাকে। আশা করছি আমার এই তথ্য থেকে আপনি এই ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি
লাগে সে বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো। আমার এই আলোচনাটি পড়ার পর ডাচ বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট যে সুবিধা গুলো আছে। সেসব সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে এই অ্যাকাউন্টের সুবিধা গুলো কি কি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ডাচ বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্টদের জন্য একাউন্ট তৈরি করার জন্য বিশেষ নিয়মনীতি করা আছে।
যেগুলো একজন স্টুডেন্ট খুব সহজেই এ ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করতে পারবে এবং এই ব্যাংক থেকে সেবা নিতে পারবে। স্টুডেন্টদের জন্য এই ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য খুব বেশি টাকা প্রয়োজন হয় না। যদি কোন স্টুডেন্ট এর বয়স ১৮ বছরের নিচে হয়, তাহলে তার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ১০০ টাকা। আর যদি ১৮ বছরের উপরে হয়, তাহলে ৫০০ টাকা জমা দিলেই একাউন্ট তৈরি করা হয়ে যায়।
আর এই অ্যাকাউন্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এই একাউন্টের জন্য ব্যাংকে কোন মাসিক বা বাৎসরিক ফি দিতে হয় না। আবার এই একাউন্টে ফ্রী এটিএম কার্ড, এসএমএস এলার্ট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা আছে। যেসব শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছরের বেশি সেই সব শিক্ষার্থীকে এই ব্যাংক থেকে ভিসা ক্যাম্পাস মাল্টি কারেন্সি কার্ড দেওয়া হয়।
এই কার্ড দিয়ে মূলত তারা স্থানীয় যতসব লেনদেন আছে সেগুলো করতে পারবে। আবার আন্তর্জাতিকভাবে অনলাইনে পেমেন্টও করতে পারবে। এই কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের এপ্লিকেশন ফি, কোর্স ফি এছাড়াও অন্যান্য সকল অনলাইন ভিত্তিক পেমেন্ট করতে পারবে। আর যেসব শিক্ষার্থীদের ১৮ বছরের নিচে বয়স, তাদের একাউন্টের জন্য একটি সাধারণ এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড দেওয়া হয়।
এই কার্ডটি দিয়ে শুধুমাত্র তারা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবে। এছাড়াও এর আরও একটি সুবিধা আছে সেটা হচ্ছে। অন্যান্য সব সেভিংস একাউন্টের তুলনায় এই একাউন্টে সুদের হার একটু বেশি থাকে। যেটা স্টুডেন্টদের জন্য একটা বড় সুবিধা। এই স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনার যেসব জিনিসপত্র লাগবে সেগুলো হচ্ছে।
- আপনি একটি স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি আর যদি আঠারো বছরে বয়স না হয়। তাহলে তার জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি নিতে হবে।
- এরপর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের একটি ফটোকপি লাগবে।
- যাকে এই একাউন্টের নমিনি করা হবে। তার ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ও তার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- সর্বশেষ একটি সচল মোবাইল নাম্বার লাগবে।
আশা করছি উপরোক্তা আলোচনা থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট
সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা সম্পর্কে আপনারা অনেকে আছেন যারা জানতে চেয়েছেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুললে এখান থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে সুবিধা পাবেন। এই ব্যাংকের বর্তমান যুগে অনেক আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা চালু আছে। যেগুলো আপনি খুব সহজেই নিতে পারবেন। এর একটি বড় সুবিধা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা স্তরেই এই ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবস্থা আছে।
যেখানে আপনি ২৪ ঘন্টায় টাকা উত্তোলনসহ জমাও দিতে পারবেন। এই ব্যাংকে একাউন্ট করার সময় অন্যান্য সব ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম টাকা লাগে। এমনকি এই ব্যাংকে অনেক ধরনের অ্যাকাউন্ট সেবা চালু আছে। যেমন সেভিং একাউন্ট, কারেন্ট একাউন্ট, স্টুডেন্ট একাউন্ট, ব্যবসায়িক একাউন্ট ইত্যাদি। আপনার যে একাউন্ট প্রয়োজন আপনি সেইটা বেছে নিয়ে একাউন্ট খুলতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশের এমন একটি ব্যাংক যে ব্যাংকটি সর্বপ্রথম ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে। এই ব্যাংকের আপনি এসএমএস অ্যালার্ট সেবা, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, অনলাইন বিল পেমেন্ট সেবা এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন লেনদেনের সুবিধা খুব সহজেই এই ব্যাংক একাউন্ট থেকে নিতে পারবেন। এছাড়াও এই ব্যাংকে অনেক ধরনের অ্যাকাউন্ট আছে যে অ্যাকাউন্ট গুলো থেকে ফ্রিতে ডেবিট কার্ড বা এটিএম কার্ড দেওয়া হয়ে থাকে।
যেগুলো আপনি বিভিন্ন ধরনের লেনদেনে ব্যবহার করতে পারবেন। এই ব্যাংকের সব থেকে বড় সুবিধার মধ্যে একটি সুবিধা হচ্ছে। অন্যান্য সব ব্যাংকের তুলনায় এই ব্যাংকের সুদের হার অনেক বেশি ও আকর্ষণীয়। যে কারণে সঞ্চয় একাউন্ট যাদের তারা আরো লাভজনক হয়ে থাকে। এছাড়াও যারা স্টুডেন্ট মানুষ এবং ব্যবসায়িক মানুষ ও চাকরিজীবী মানুষ তাদের জন্য আলাদাভাবে বিশেষ সুবিধা জনক একাউন্টের সুব্যবস্থা রয়েছে।
এক কথায় বলা যায় যে ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি একটা একাউন্ট করা হয়। তাহলে এই অ্যাকাউন্টের সুবিধা অনেক পাওয়া যায়। যেটা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চাকরিজীবী ব্যবসায়ী ও স্টুডেন্ট দের জন্য অনেক লাভজনক ও সুবিধাজনক। আশা করছি উপরের আলোচনাগুলো পড়ার পর আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
এখন আমি ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা সম্পর্কে আপনাদের সাথে
বিস্তারিত আলোচনা করবো। যা থেকে আপনি এই ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের যে যে
সুবিধা গুলো আছে সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং খুব সহজেই সে সুবিধা গুলো
আপনি গ্রহণ করতে পারবেন। এই ব্যাংকে যারা সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান, তাদের
জন্য এটা অনেক লাভজনক হবে।
কারণ এই ব্যাংকের সব থেকে সাধারণ ও জনপ্রিয় একাউন্টটি হচ্ছে সেভিংস একাউন্ট।
যারা তাদের কষ্টের উপার্জন করা টাকা নিরাপদে রাখতে চায়, তাদের জন্য অনেক
ভালো হবে। এই অ্যাকাউন্টটি থাকার কারণে আপনি যখন ইচ্ছা যে কোন সময় টাকা
উত্তোলন এবং টাকা জমা দিতে পারবেন। সেভিং একাউন্টের সুবিধা গুলোর মধ্যে
অন্যতম সুবিধা গুলো হচ্ছে।
এই ব্যাংকে আপনি খুব কম টাকায় একটি সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারবেন। যেটা সকল
ধরনের মানুষের জন্য অনেক সুবিধাজনক। এই একাউন্টে আপনার রাখা টাকার ওপর মাসিক
হারে ইন্টারেস্ট পাওয়া যাবে। যেটা আপনার জমানো টাকাকে বাড়িয়ে দিবে। এই
দেশের প্রায় সব জায়গায় এটিএম বুথের উপস্থিতি আছে, যেখানে আপনি ২৪ ঘন্টায়
টাকা তুলতে পারবেন।
এই অ্যাকাউন্টটি খোলার পর আপনাকে ব্যাংক থেকে একটি ফ্রি ডেবিট কার্ড দেওয়া
হবে। যেটা ব্যবহার করে আপনি সকল ধরনের কেনাকাটা, বিল পরিশোধ সহ এটিএম বুথ
থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এই একাউন্ট থেকে আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা,
মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা সহ এস এম এস এলার্ট ও অনলাইন বিভিন্ন ধরনের বিল
পেমেন্ট সুবিধা সহজেই পাবেন।
এই ব্যাংকের সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে, এই একাউন্টে আপনার টাকা হারানোর বা
চুরি হওয়ার কোন ঝুঁকি থাকে না। কারণ এই ব্যাংকটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে
এবং সরকারিভাবে সুরক্ষা দেওয়া থাকে। যেটা আপনার টাকাকে নিরাপদে রাখে। এই
একাউন্টে আপনি চাইলে চেক বই ব্যবহার করতে পারবেন। যেটা আপনার লেনদেন কে আরো
সহজ করে দিবে। আশা করছি সেভিংস একাউন্টের যে সুবিধা সেগুলো সম্পর্কে আপনি
ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং লোন
এখন আমি আপনাদেরকে ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং লোন সম্পর্কে
বিস্তারিত জানাবো। আমাদের এই দেশের অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে অন্যতম
ব্যাংক হচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। যে ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা চালু
করা হয়েছে। এই সেবা শহর থেকে শুরু করে গ্রামের যেসব জায়গায় এই
ব্যাংকের শাখা নেই সে সব জায়গায় তারা তাদের এজেন্টের দ্বারা এই
ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে।
এই ব্যাংকে শুধু একাউন্ট তৈরি করা এবং টাকা জমা করায় আসল কাজ নয়। এটা
গ্রাহকদেরকে লোনের সুবিধাও দিয়ে থাকে। এই ব্যাংকে লোন নেওয়া অনেক
সুবিধা ও সহজ বিশেষ করে যারা ছোট ব্যবসায়ী আছে অথবা কৃষক, দিনমজুর, সাধারণ
মানুষ ও গরিব শিক্ষার্থীদের। তাদের জন্য ছোট পরিমাণও লোন দেওয়া হয়ে
থাকে। যারা ছোট ব্যবসা চালানোর জন্য অথবা নতুন ছোট ব্যবসা শুরু করার
জন্য লোন নিতে চাই। তারা সর্বনিম্ন দশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ধাপে
ধাপে বড় লোন নিতে পারবে।
এই লোনের সুবিধা বিশেষ করে যারা কৃষি কাজ করে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা,
পশুপালন করে যারা, দোকানপাট চালাই যারা তারা বেশি পায়। এই
ব্যাংক থেকে লোন নিলে সে লোন খুব সহজেই কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা
যায়। এই লোন মাসিক বা সাপ্তাহিক কিস্তিতে আপনি শোধ করতে
পারবেন। এবং এই লোনের জন্য সুদের হারও অনেক কম হয়। যেন সাধারণ মানুষ
খুব সহজেই তাদের এই লোন পরিশোধ করতে পারে।
আপনি এই এজেন্ট ব্যাংকিং লোন থেকে কৃষি লোন, ছোট বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী
লোন, ব্যক্তিগত লোন নিতে পারবেন। এই লোনের জন্য সব থেকে বড়
একটি সুবিধা হচ্ছে, এই লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে ব্যাংকের কোন
শাখায় যাওয়া লাগবেনা। আপনার নিজের গ্রামেই অবস্থিত
এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে খুব সহজেই লোনের আবেদন
করে লোন নিতে পারবেন। এই লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে যে সব কাগজপত্র
জমা দিতে হবে সেগুলো হচ্ছেঃ
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ট্যাক্সের কাগজপত্র
- কারেন্ট বিল এর কাগজ
- আপনি যে ব্যবসা করেন বা আপনার যে পেশা সেই পেশার প্রমাণ হিসেবে সার্টিফিকেট লাগবে। যেমনঃ ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স অথবা স্থানীয় ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন সদস্যের সার্টিফিকেট।
আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং লোন
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক মুনাফা
ডাচ বাংলা ব্যাংক মুনাফা সম্পর্কে সকল তথ্য এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো।
আপনি এই ব্যাংকে কত টাকা রাখলে কত টাকা মুনাফা পাবেন এবং কোন একাউন্টের
জন্য কত পারসেন্ট মুনাফা সেটাও উল্লেখ করবো। চলুন তাহলে ডাচ বাংলা ব্যাংক
মুনাফা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ডাচ বাংলা ব্যাংকে কয়েকভাবে
মুনাফা দেওয়া হয়ে থাকে।
যেমন সেভিংস একাউন্টের জন্য একরকম মুনাফা, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা
জমা করলে একরকম মুনাফা এবং মাসে নির্দিষ্ট একটা পরিমাণে টাকা জমা করার
আরেকরকম মুনাফা। অর্থাৎ আপনি যেভাবে টাকা জমা বা সেভিংস করবেন আপনি
সেভাবে মুনাফা পাবেন। চলুন কোন সেভিংস এ কেমন মুনাফা পাওয়া যায় সেই
সম্পর্কে আলোচনা করি।
সেভিংস এর জন্য রাখা টাকার উপর এই ব্যাংক থেকে আপনাকে বছরে ৩ পার্সেন্ট
থেকে ৪ পার্সেন্ট এর মতো সুদ দেওয়া হবে। যেটা সময় অনুযায়ী কম বা বেশি
হতে পারে। এই টাকার উপর প্রতি মাসে সুদ জমা হয়। আপনি যদি আপনার একাউন্টে
দশ লাখ টাকা জমা রাখেন। তবে এই টাকার উপরে আপনি তিন থেকে চার হাজার টাকা
বছরে পাবেন। আর আপনি যদি পঞ্চাশ হাজার টাকা রাখেন, তাহলে তার ওপর আপনি
১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পাবেন।
এছাড়াও আপনি যদি টার্ম ডিপোজিট অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংকে
টাকা রাখেন। তাহলে আপনি এই টাকার উপর বেশি সুদ পাবেন। এটার মেয়াদ
সাধারণত ৬ মাস, ১ বছর বা তার থেকে বেশি সময় হতে পারে। এখানে আপনি আপনার
টাকার উপর পাঁচ থেকে সাত পার্সেন্ট সুদ পাবেন। আপনি যদি এখানে এক লক্ষ
টাকা রাখেন, তাহলে সেই টাকা থেকে আপনি বছরে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার
টাকা মুনাফা পাবেন।
আর পাঁচ লাখ টাকা রাখলে বছরে ২৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সুদ
পাবেন। আর আপনি যদি ডিপিএস একাউন্ট এ টাকা জমা করেন। যেমন প্রতি মাসে
১০০০ বা ৫০০০ টাকা জমা দেন, তাহলে এই ডিপিএস এর মেয়াদ শেষে আপনি বড়
অংকের একটা টাকা পাবেন। যদি আপনি পাঁচ বছর মেয়াদে একটি ডিপিএস একাউন্ট
খোলেন এবং সেটাই মাসে এক হাজার টাকা জমা দেন।
তাহলে পাঁচ বছরে প্রায় আপনি ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা পাবেন। আর আপনি যদি
মাসে ৫০০০ টাকা জমা দেন। তাহলে সেখান থেকে আপনি পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে
তিন লাখ টাকা থেকে তিন লাখ সত্তর হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। আশা
করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের মুনাফা সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন। এছাড়াও উপরে আমি ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি
লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনি চাইলে পড়ে আসতে
পারেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিপিএস সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিপিএস সুবিধা হচ্ছে এমন একটি সঞ্চয় করার
পদ্ধতি। যেখানে আপনি প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা
দিবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর সেই টাকা আপনি লাভ সহ অনেক বড়
অংকের একটা টাকা পাবে। আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে নিয়মিত
সঞ্চয় করে ভালো পরিমাণে একটা টাকা বানাতে পারবেন।
আপনি এই ব্যাংকে মাসে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা অথবা
আপনি চাইলে এর থেকেও বেশি করে ডিপিএস খুলতে পারেন। সাধারণ
সেভিংস একাউন্টের থেকে আপনি এই একাউন্টে অনেক বেশি পরিমাণে মুনাফা
পাবেন। এখানে মূলত আপনার টাকার উপর ছয় থেকে ৭ পার্সেন্ট পর্যন্ত সুদ
দেওয়া হয়। যার কারণে আপনার ডিপিএস এর মেয়াদ শেষ হলে আপনি একটা
উচ্চ পরিমাণে টাকা পাবেন।
আপনি চাইলে এই ডিপিএস একাউন্ট তিন বছর, পাঁচ বছর, সাত বছর অথবা
দশ বছর মেয়াদে খুলতে পারেন। আপনার ডিপিএসের মেয়াদ যত বেশি হবে,
আপনার সুদের পরিমাণও তত বেশি হবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিপিএসের সব থেকে
বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকারও ডিপিএস খোলা যায়।
যেটা গৃহিণী, স্টুডেন্ট এমনকি যারা ছোটখাটো চাকরি করে
তারাও তাদের সঞ্চয় করতে পারে।
এর আরো একটি বড় সুবিধা আছে সেটা হচ্ছে। আপনার যদি জরুরী ভিত্তিতে
টাকার প্রয়োজন হয়। তাহলে আপনি এই ডিপিএস এর বিপরীতে ডাচ বাংলা
ব্যাংক থেকে খুব সহজেই লোন নিতে পারবেন। এর জন্য আপনার ডিপিএস
অ্যাকাউন্টটি সচল থাকে এবং আপনি সঞ্চয়ও করতে পারবেন। এই
ব্যাংকে নিয়ন্ত্রণে রাখে সরকার তার জন্য আপনার টাকাও থাকে
নিরাপদে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সুদের হার
এখন আমি ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সুদের হার কত সে বিষয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নেন। তাহলে আপনাকে ৮% পর্যন্ত সুদ দেওয়া লাগবে। আপনি যদি অন্য কোন ব্যাংকে এই লোন নিতে যান। তাহলে সেটা প্রায় সাড়ে সাত পারসেন্ট দেওয়া লাগবে।
আপনি যদি ঘরবাড়ি বানানোর জন্য লোন নেন, তাহলে আপনাকে সেই লোনের উপর ১০ থেকে ১২% সুদ দেওয়া লাগবে। আর অন্য ব্যাংক থেকে যদি আপনি টেক ওভার করেন। তাহলে সেটা সাড়ে ৭.৫০% দিতে হবে। আপনি যদি বেতন ভিত্তিক লোন নেন, তাহলে ৭.৫০% সুদ দেওয়া লাগবে আর টেক ওভার করলে ৭%।
স্টুডেন্ট লোন যদি নেন তাহলে ৯% সুদ দেওয়া লাগবে, টেকওভার করলে ৮.৫০ পার্সেন্ট। প্রবাসী লোন নিলে সেখানে আপনাকে ৭% সুদ দেওয়া লাগবে। এছাড়াও আপনি চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে, সেখানে তাদের ব্যাংক লোন সুদের হার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সুদের হার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে ডাচ বাংলা ব্যাংকে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়। তাই এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো যে আপনি আপনার একাউন্টে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখতে পারবেন। সাধারণত ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা রাখার কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ বা সর্বোচ্চ সীমা নেই। এর মানে হচ্ছে আপনি এই ব্যাংকে আপনার একাউন্টে আপনার যত ইচ্ছা তত টাকা জমা রাখতে পারবেন।
তবে এর জন্য এই ব্যাংকের কিছু নিয়ম কানুন আছে। যেগুলো অবশ্যই আপনাকে মেনে টাকা জমা করতে হবে। আপনার যদি সেভিংস একাউন্ট থাকে, তাহলে আপনি যত ইচ্ছা সেখানে টাকা জমা রাখতে পারবেন। অর্থাৎ এখানে টাকা রাখার জন্য কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। তবে আপনি যদি অনেক বেশি টাকা অর্থাৎ বড় অংকের টাকা একাউন্টে জমা করেন বা উত্তোলন করেন।
তাহলে ব্যাংক কৃতপক্ষ আপনার টাকার উৎস জানতে চাইবে। আপনার যদি ডিপিএস অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে সেখানে আপনি মাসিক অনুযায়ী বা সপ্তাহ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন। এটা তাদের নিয়ম করা আছে। এছাড়াও আপনার যদি ফিক্সড একাউন্ট থাকে। তাহলে সেখানে আপনি কয়েক লক্ষ থেকে কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত রাখতে পারবেন।
এক কথায় বলা যায় যে আপনি আপনার একাউন্টে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখতে পারবেন এর কোন সীমা নির্ধারণ করা নেই। আপনি যত ইচ্ছা আপনার একাউন্টে টাকা রাখতে পারেন। তবে আপনি যদি কয়েক লক্ষ বা কয়েক কোটি টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে রাখেন। তাহলে অবশ্যই ব্যাংককে আপনার টাকা বৈধ কিনা সেটার প্রমাণ দেখাতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
এখন আমি আপনাদেরকে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে সে
সম্পর্কে জানাবো। তাই দেরি না করে চলুন একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি সেভিংস একাউন্ট খুলতে
চান, তাহলে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা জমা দিলেই
একাউন্ট খোলা হয়ে যায়। তবে অনেক শাখা আছে যেগুলোতে দুই হাজার
টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
আর আপনি যদি স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলেন। তাহলে এটা আপনি ১০০
থেকে ২০০ টাকা দিলেই খোলা হয়ে যাবে। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য
সবথেকে সহজ ও সুবিধা জনক একটি অ্যাকাউন্ট। এছাড়া আপনি যদি ডাচ
বাংলা ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্ট খুলতে চান, তাহলে
আপনাকে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা ব্যালেন্স রাখতে হবে। এই
একাউন্ট মূলত ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আপনি যদি ডিপিএস খুলতে চান, তাহলে এই একাউন্টটি খুলতে আপনার
সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করতে হয়। এছাড়াও আপনি যদি
ব্যাংকে ফিক্স একাউন্ট খুলতে চান, তাহলে সর্বনিম্ন ৫০
হাজার টাকা বা এর থেকে বেশি টাকা একসাথে জমা দিয়ে
একাউন্টটি খুলতে হবে। আশা করছি আপনি উক্ত আলোচনা থেকে ডাচ বাংলা
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার
নিয়ম সম্পর্কে। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করা অনেক
সহজ একটি কাজ। তবে এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য আপনাকে
কিছু নিয়মনীতি মানতে হবে এবং সে অনুযায়ী আপনার
ব্যাংক একাউন্টটি বন্ধ করতে হবে।
একাউন্ট বন্ধ করার যেখান আপনি একাউন্টটি খুলেছিলেন সেই ব্যাংক বা
শাখাতে যাবেন। এরপর ব্যাংক কাউন্টারে গিয়ে বলবেন যে আপনি আপনার
ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করতে চান। তারা আপনাকে একটি একাউন্ট বন্ধ
করার ফর্ম দেবে, সেই ফর্মটি আপনি পূরণ করবেন। এর সাথে আপনার
কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। যেগুলো মূলত আপনি অ্যাকাউন্ট খোলার সময়
দিয়েছিলেন।
আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আপনার
অ্যাকাউন্ট নাম্বার আর আপনি যদি এই ব্যাংক থেকে ডেবিট কার্ড বা এটিএম
কার্ড নিয়ে থাকেন তাহলে সেটাও জমা দিতে হবে। এরপর আপনার একাউন্টে
থাকা সকল টাকা আপনাকে তুলে নিতে হবে। তাহলে আপনার ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। অবশ্যই ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার পর
আপনি ব্যাংক থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সার্টিফিকেট
নিয়ে নিবেন।
FAQ/ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে কিছু আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর
এখন আমি আপনাদেরকে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে কিছু আলোচিত
প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানাবো। তাই আর দেরি না করে চলুন সেই
আলোচিত প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নেওয়া যাক।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে কত টাকা রাখা যায়?
উত্তরঃ এই ব্যাংকে মূলত আপনি একাউন্টের ধরন অনুযায়ী টাকা
রাখতে পারবেন। যেমন সেভিংস একাউন্ট এর জন্য একরকম টাকা
রাখতে পারবেন, কারেন্ট একাউন্ট এর জন্য এক রকম টাকা রাখতে পারবেন।
অর্থাৎ একাউন্টের ধরন অনুযায়ী আপনি আপনার একাউন্টে ৫০০ টাকা
থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ বা কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত রাখতে পারবেন।
তবে অবশ্যই আপনার টাকা বৈধ কিনা সেটার প্রমাণ ব্যাংক
কৃতপক্ষে দিতে হবে।
কোন কোন ব্যাংক আন্তর্জাতিক পেমেন্ট অনুমোদন করে?
উত্তরঃ আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে কোন কোন ব্যাংক
আন্তর্জাতিক পেমেন্ট অনুমোদন করে। যেসব ব্যাংক আন্তর্জাতিক
পেমেন্ট অনুমোদন করে সেসব ব্যাংকের নাম গুলো হচ্ছেঃ ডাচ বাংলা
ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক, ব্র্যাক
ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এসসিবি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক
বাংলাদেশ, জনতা ব্যাংক।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে নমিনির কি কি লাগে?
উত্তরঃ আপনি যদি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনার ব্যাংকের
নমিনির জন্য নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, তার
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, তার
স্বাক্ষর, তার পাসপোর্ট যদি থাকে তাহলে পাসপোর্ট এর
ফটোকপি।
বাংলাদেশে পাসপোর্ট দিয়ে কি ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়?
উত্তরঃ অনেকেই আছেন যারা প্রশ্ন করেছেন যে বাংলাদেশে পাসপোর্ট
দিয়ে কি ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায় এ বিষয়ে। তাদেরকে বলতে
চাই যে শুধু যে এনআইডি কার্ড থাকলেই ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়
এটা কোন নিয়ম বা কথা না। আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্ট দিয়েও
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে টাকা ট্রান্সফার করতে কতদিন লাগে?
উত্তরঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে টাকা ট্রান্সফার করা মূলত
লেনদেনের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি এই দেশ থেকে অন্য দেশে
টাকা পাঠাতে চান, তাহলে সর্বোচ্চ ১ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে। আর
দেশের মধ্যে যদি আপনি টাকা ট্রান্সফার করতে চান, তাহলে সেটা কয়েক
মিনিট লাগতে পারে। তবে যদি সার্ভার বা তাদের ব্যাংকের কোন সমস্যা
থাকে, তাহলে সেটা সর্বোচ্চ এক দিন সময় লাগতে পারে টাকা ট্রান্সফার
হতে।
লেখকের মন্তব্যঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে আমি
আমার আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি আমি
আমার আর্টিকেলের মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সুবিধা,
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা, ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট
ব্যাংকিং লোন এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সুদের হার
সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। আশা করছি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে
আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে যত তথ্য আছে সব তথ্য
জানতে পেরেছেন।
আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আমার
এই আর্টিকেলটি আপনি আপনার পরিচিত মানুষদের সাথে শেয়ার করবেন
এবং তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন। এছাড়াও আমার এই
আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে অথবা আপনি
যদি নতুন কোন বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য জানতে চান? তাহলে আমাদের নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।
অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url