উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় শুরু করুন এখনই
উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কিভাবে করবেন? এই বিষয় সম্পর্কে এখন আমি
আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। এর পাশাপাশি উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া, ব্যবসা
করার টিপস এবং ব্যবসায় লস হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আপনি যদি উৎপাদন মুখী ব্যবসায় সফল হতে করণীয় কি জানতে চান। তাহলে আমার এ
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে উৎপাদন মুখী
ব্যবসার সকল তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায়
- উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায়
- উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া
- ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা
- FAQ/উৎপাদনমুখী ব্যবসা সম্পর্কিত কিছু আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শহরে ব্যবসার আইডিয়া
- ব্যবসা করার টিপস
- ব্যবসায় লস হওয়ার কারণ
- একজন সফল ব্যবসায়ীর গুণাবলী
- FAQ/উৎপাদন মুখী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায়
উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায়
উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় আপনি যদি শুরু করতে চান। তাহলে এটা আপনার
জন্য অনেক লাভজনক এবং ভবিষ্যৎতে বড় ব্যবসায়িক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে
পারে। বর্তমান সময়ে অনেকেই আছে যারা না বুঝে ব্যবসায় নেমে পড়ে।
কিন্তু তাদের প্রপার প্ল্যানিং করা থাকে না এবং অনেক টাকা ব্যবসার পিছে খরচ করে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে কোটি টাকা আয় করবেন জেনে নিন এখনই
পরবর্তীতে সে ব্যবসায় লাভ করতে পারে না এবং ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
কিন্তু বর্তমান সময়ে ব্যবসা অল্প টাকাতেও শুরু করা সম্ভব। এবার হয়তো
ভাবছেন যে ব্যবসা করতে গেলে তো প্রচুর টাকা লাগে আর অল্প টাকাতে কিভাবে ব্যবসা
করা সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব যদি ব্যবসা করার জন্য আপনার থাকে সঠিক প্ল্যানিং ও
সঠিক ম্যানেজমেন্ট।
তাহলে আপনি অল্প টাকাতেও একটি উৎপাদনমুখী ভালো ব্যবসা দাঁড় করাতে
পারবেন। আপনি যদি ইচ্ছা করেন এবং ব্যবসার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করেন। তাহলে
৫০০০ টাকায় আপনি বাড়িতে বা নিজ গ্রামে উৎপাদনমুখী ব্যবসা শুরু
করতে পারবেন। আপনি ৫০০০ টাকায় নিজের বাড়িতে বা গ্রামে যেসব উৎপাদন মুখী
ব্যবসা গুলো করতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে।
- বাসায় বসে মোমবাতি তৈরি করে বিক্রি করা
- বাসায় তৈরি করা সাবান
- বিভিন্ন টক মিষ্টি ফলের আচার
- কাগজের ব্যাগ অথবা কাপড় দিয়ে তৈরি করা ব্যাগ
- বাসায় হাঁস মুরগি পালন
- বিভিন্ন ফলের জুস বা শরবত বিক্রি
- বিভিন্ন ধরনের গিফট আইটেম তৈরি
- বাসায় কেক বানিয়ে বিক্রি
- সরিষা ভেঙ্গে সরিষার তেল তৈরি
- পুথি দিয়ে তৈরি করা গয়না
-
বিভিন্ন ধরনের রান্নার মসলা তৈরি করা
- ফুলের এবং ফলের গাছের ব্যবসা
-
শাক সবজির গাছ লাগিয়ে সেগুলোকে বাজারে বিক্রি করা
- খিরা বা শসা চাষ করা
-
কাপড় ধোয়া ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি করা
-
চানাচুর ভেজে সেগুলোকে বাজারজাত করা
-
মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন হাড়ি পাতিল তৈরি করা
- কোয়েল পাখির খামার দেওয়া
- মোবাইল ফোনের কভার তৈরি করা
- বিস্কুট তৈরি করে সেগুলোকে প্যাকেট জাত করে বিক্রি করা
উপরে আমি যে ব্যবসা গুলোর নাম বললাম এই ব্যবসা গুলো মূলত উৎপাদন মুখী ব্যবসা।
এই উৎপাদন মুখী ব্যবসা আপনি চাইলে মাত্র ৫০০০ টাকায় বাড়িতে বসে শুরু করতে
পারেন। এই ব্যবসাগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবসা আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা
করে বুদ্ধি খাটিয়ে এবং ধৈর্য ধরে করতে পারেন। তাহলে একটা সময় এই ব্যবসাটা ছোট
থেকে অনেক বড় আকারে রুপ নিবে।
তবে এই ব্যবসাটাকে টিকিয়ে রাখতে হলে আপনাকে কাস্টমারকে ধরে রাখতে হবে। আর
কাস্টমারকে ধরে রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনার ব্যবসার যে পণ্য সে পণ্যটিকে হতে হবে
একদম নিখুঁত, অনেক ভালো মানের এবং উন্নত মানের। যেটা নেওয়ার পর কাস্টমার
থাকবে সন্তুষ্ট। এই পণ্যগুলো আপনি তৈরি করে আপনার নিকটস্থ বাজারে সরবরাহ
করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি এগুলো অনলাইন প্লাটফর্মে খুব সহজে বিক্রি করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যবসা করা অনেক সহজ এবং অনেক লাভজনক হয়ে
উঠেছে। তাই আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার পণ্যগুলোর মার্কেটিং করে খুব
সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি মাত্র ৫০০০
টাকায় উৎপাদন মুখী কি কি ব্যবসা করা যেতে পারে সে বিষয়ে জানতে
পেরেছেন। এবার আমরা জানবো উৎপাদন মুখী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।
উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া
এখন আমি আপনাদেরকে এমন কিছু উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া দিবো যে ব্যবসা
গুলো আপনি চাইলে অল্প পুজিতে খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন।
যেটা আপনার ব্যবসাকে ভবিষ্যতে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। তবে তার
জন্য লাগবে ধৈর্য, পরিশ্রম, সঠিক পরিকল্পনা ও মার্কেটিং নলেজ। উপরে আমি পাঁচ
হাজার টাকায় যে ব্যবসা গুলো করা যেতে পারে সেগুলোর নাম বলেছি।
এখন আমি সেই ব্যবসা গুলো সহ আরো কিছু ব্যবসার আইডিয়া আপনাদেরকে
দিবো। তার পাশাপাশি এই ব্যবসা আপনি কিভাবে শুরু করবেন সে সম্পর্কেও আপনাকে
সুন্দর একটি ধারণা দিবো। যাতে করে আপনি খুব সহজেই এই ব্যবসা গুলোর মধ্যে
যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং নিজেকে স্বাবলম্বী ও
প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
মোবাইল ফোনের কভার তৈরি করা
আপনি চাইলে মোবাইল কভার বানিয়ে অথবা কাস্টমাইজ করে বিক্রি করতে পারেন। এই
ব্যবসাটা অনেক লাভজনক এবং বর্তমান সময়ে এটির চাহিদাও অনেক বেশি। তবে
আপনাকে বুঝতে হবে এবং আপনার সৃজনশীলতা থাকতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে অনেকেই
তাদের মোবাইল ফোনের জন্য ইউনিক টাইপের ব্যাক কভার পছন্দ করে থাকে। আপনি যদি তাদের
পছন্দ অনুযায়ী ব্যাক কভার বানিয়ে দিতে পারেন।
তাহলে আপনি খুব সহজেই এই ব্যবসাটি দাড় করিয়ে ফেলতে পারবেন। আপনি অনেক কম
টাকায় এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। যেটা আপনাকে অনেক লাভ এনে দিবে। এ
ব্যবসাটি করতে গেলে প্রথমেই আপনাকে একটি হিট প্রেস মেশিন কিনতে হবে।
যেটা দিয়ে আপনি মোবাইলের কভারে ডিজাইন বসাতে পারবেন। এরপর
আপনাকে হিট ট্রান্সফার পেপার কিনতে হবে। এরপর আপনাকে
কভারের আকর্ষণীয় ডিজাইন বানাতে হবে।
যেটা আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন। তারপর
আপনার এই কভারগুলো প্যাকেটিং করার জন্য প্যাকেট লাগবে। যে প্যাকেটটা দেখতে অনেক
আকর্ষণীয় এবং অনেক সুন্দর হতে হবে। এই উপকরণ গুলো আপনি সংগ্রহ করতে পারেন
বিভিন্ন মোবাইলের পাইকারি এক্সেসরিজের দোকানে। এগুলো আপনি চাইলে অনলাইন
প্লাটফর্ম অথবা চীন মার্কেট, ঢাকা নিউমার্কেট ও গুলিস্তান
মার্কেটে মোবাইল এক্সেসরিজ দোকান বা ফ্যাক্টরিতে খুব সহজেই পেয়ে
যাবেন।
এরপর আপনাকে আসল কাজ শুরু করতে হবে। যেটা হচ্ছে প্রথমেই আপনাকে বাজার বিশ্লেষণ
করতে হবে। যে বর্তমানে কোন ফোনের কাভার বেশি চলছে এবং কোন গুলো বেশি
জনপ্রিয়। সে অনুযায়ী আপনাকে ফোনের কভারগুলো বানাতে হবে।
যেমন আমাদের দেশে সবথেকে জনপ্রিয় মোবাইল ফোনগুলো হচ্ছে Samsung,
realme, oppo, vivo, xiaomi, apple, oneplush। এই ফোনগুলো বর্তমান সময়ে
বেশি মানুষ ব্যবহার করে থাকে।
আপনি যদি এই ফোন গুলোকে টার্গেট করে ভালো উন্নত মান ও সুন্দর ডিজাইনের কভার
বানাতে পারেন। তাহলে সেটা মার্কেটে অনেক কাস্টমারকে আকর্ষণ করবে। যার কারণে
আপনার পণ্যটির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলবে। এই ব্যবসাটা শুরু করতে খরচ হবে প্রায়
৫০০০ টাকার মতো।প্রথম প্রথম হয়তো আপনার এ ব্যবসাটা দাড় হতে সময়
লাগবে। কিন্তু আপনি যদি এই ব্যবসাটি ধৈর্য ধরে এবং সঠিক পরিকল্পনা ও মার্কেটিং
করতে পারেন তাহলে এ ব্যবসাটি আস্তে আস্তে দাড় হয়ে যাবে।
বাসায় তৈরি করা সাবান
আপনি অল্প টাকাতে বাসায় বসে রাসায়নিক মুক্ত অর্গানিক সাবান বানিয়ে ব্যবসা
করতে পারেন। বর্তমান সময়ে কেমিক্যাল মুক্ত সাবানের চাহিদা অনেক
বেড়েছে। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কেমিক্যাল মুক্ত সাবান বানাতে
পারেন। তাহলে আপনি এই ব্যবসাতে খুব দ্রুত সাকসেস নিয়ে আসতে পারবেন।
আপনি এই সাবানটি নারিকেল তেল, গ্লিসারিন, হারবস, গোলাপ পাপড়ি, লেবু, জাফরান ও
অলিভ অয়েল সহ আরো অনেক প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বানাতে পারেন। বর্তমান
সময়ে অনেকেই সাবান বানিয়ে থাকে বিভিন্ন রাসায়নিক বা ক্যামিকেল দিয়ে। যেটা
ত্বকের অনেক বড় ক্ষতি করে থাকে।
যার কারণে এখন মানুষ সচেতন হয়েছে এবং তারা অর্গানিক পণ্যের দিকে দিন দিন ঝুকছে।
আপনি যদি এই সাবানটি প্রাকৃতিক উপায়ে বানাতে পারেন এবং সেটা ভালোভাবে
মার্কেটিং করতে পারেন। তাহলে এটা বেশ জনপ্রিয় একটি সাবান হতে পারে। এটি শুরু
করতে প্রথমে আপনার তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা মতো ইনভেস্ট করা লাগতে
পারে।
তবে আস্তে আস্তে এই ব্যবসাটি আপনাকে ভালো লাভ এনে দিবে। তার জন্য অবশ্যই
আপনাকে ধৈর্য দিয়ে পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যদি এই সাবান কিভাবে বানাতে
হয় এটা জানতে চান? তাহলে সেটা আপনি ইউটিউব অথবা ফেসবুকে সার্চ করে
দেখতে পারেন। এতে আপনি খুব সহজেই কিভাবে সাবান বানাতে হয় সেটা জেনে যাবেন।
বাসায় বসে মোমবাতি তৈরি করে বিক্রি করা
আপনি চাইলে অল্প টাকাতে বাসায় বসে মোমবাতি বানিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। এটি যদি
আপনি সঠিক নিয়ম মেনে এবং বাস্তব পরিকল্পনা ও মার্কেটিং করতে পারেন। তাহলে এটা
অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা হতে পারে। এমনিতেও মোমবাতির চাহিদা বাজারে অনেক। বিভিন্ন
অনুষ্ঠানে এই মোমবাতির ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আপনি যদি সুন্দর করে বিভিন্ন ডিজাইনের মোমবাতি বানাতে পারেন, তাহলে আপনি ভালো
একটা প্রফিট করতে পারবেন। আপনি যদি কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী সুন্দর করে
মোমবাতি ডিজাইন করে বানিয়ে দিতে পারেন। তাহলে ব্যবসাটি দ্রুত প্রতিষ্ঠিত
হবে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মোমবাতির ব্যবহার করা হয়।
বিয়ে বাড়ি অথবা বাসর ঘর আকর্ষণীয় করে সাজানোর জন্য মোমবাতির ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও ধর্মীয় অনেক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টের এই
মোমবাতির ভালো চাহিদা থাকে। তাই আপনি যদি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। তাহলে
সেটা আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
এই মোমবাতিতে খরচ অনেক কম হয় এবং লাভ হয় খরচের তুলনায় তিন থেকে পাঁচ গুণ
পর্যন্ত। এই মোমবাতি তৈরি করার জন্য আপনার যে উপকরণগুলো লাগবে সে উপকরণগুলো হচ্ছে
প্যারাফিন ওয়াক্স, জালানোর জন্য সুতা, ছাঁচ, রঙ ও সুগন্ধি তেল। এই উপকরণগুলো
কিনতে আপনার খরচ হবে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা মতো।
আর আপনি এই মোমবাতিগুলো বিক্রি করতে পারবেন বিভিন্ন ডিজাইন অনুযায়ী দাম রেখে
প্রায় ১৫ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। যেটা আপনাকে প্রচুর পরিমাণে লাভ এনে দিতে
সক্ষম। এই মোমবাতিগুলো আপনি আপনার নিকটস্থ বাজারে বিক্রি করতে পারেন অথবা আপনি
ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিক টক ইত্যাদি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম গুলোতে বিক্রি
করতে পারেন।
বিভিন্ন টক মিষ্টি ফলের আচার
বিভিন্ন টক মিষ্টি ফলের আচার বানিয়ে আপনি সেটা বিক্রি করে ভালো অর্থ উপার্জন
করতে পারবেন। এই ব্যবসাটি আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত ও সফল ব্যবসা হতে পারে। কারণ
বিভিন্ন টক মিষ্টি ফলের আচারের চাহিদা সারা বছরই থাকে।
আপনি যদি বিভিন্ন মৌসুমের ফল সংগ্রহ করে সেটাকে আচার বানিয়ে প্যাকেট করে বিক্রি
করতে পারেন। তাহলে আপনি খুব দ্রুতই আপনার ব্যবসাকে দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারবেন। এ
ব্যবসাটি শুরু করতে আপনার খুব বেশি অর্থ ইনভেস্ট বা ব্যয় করা লাগবে না। প্রায়
দুই থেকে তিন হাজার টাকা ইনভেস্ট করেই আপনি এই ব্যবস্থাটি শুরু করতে পারবেন।
এ ব্যবসাটি করে আপনি খরচের তুলনায় দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন। বর্তমানে যেসব
আচারের ভালো চাহিদা আছে, সে আচারগুলো হচ্ছেঃ জলপাইয়ের আচার, আমের আচার, বড়ই এর
আচার, লেবুর আচার, আমড়ার আচার,
তেতুলের আচার,
বেলের আচার, কামরাঙ্গার আচার, কুলের আচার, চালতার আচার। এই আচারগুলো নিয়ে যদি
আপনি কাজ করতে পারেন। তাহলে এগুলো খুব তাড়াতাড়ি বিক্রি করতে পারবেন।
তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, আচারের স্বাদ যেন সুন্দর হয় এবং গ্রাহক সেটা যেন
পছন্দ করে। আচার গুলো ভালোভাবে বানানোর পর সেগুলোকে সুন্দরভাবে প্যাকেটিং করতে
হবে। অবশ্যই প্যাকেটিংটা দেখতে যেন অনেক আকর্ষণীয় হয়। আপনি এই আচারগুলো আপনার
স্থানীয় বাজার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করে বিক্রি করতে পারেন।
এতে আপনার ব্যবসাটি খুব দ্রুত মানুষের কাছে ছড়াবে।
কাগজের ব্যাগ অথবা কাপড় দিয়ে তৈরি করা ব্যাগ
বর্তমান সময়ের অল্প কিছু টাকাতেই আপনি কাগজ অথবা কাপড় দিয়ে ব্যাগ বানিয়ে
সেটাকে বিক্রি করতে পারবেন। এই ব্যবসাটা বর্তমান সময়ে অনেক
জনপ্রিয়। কারণ বর্তমানের সময় মানুষ অনেক সচেতন এবং পরিবেশকে
রক্ষা করার জন্য কাপড়ের ব্যাগের অনেক চাহিদা থাকে।
এই ব্যাগগুলো আপনি বানিয়ে মুদিখানার দোকান, কসমেটিকের দোকান, কাপড়ের দোকান সহ
আরো যত দোকান আছে সব দোকানেই কমবেশি এই ব্যাগগুলো আপনি বানিয়ে সাপ্লাই দিতে
পারেন। এই ব্যবসাটি করতে গেলে আপনার খুব অল্প টাকাতেই করতে পারবেন।
হাতে তৈরি করার কারণে এই ব্যাগের মূল্য অনেক বেশি পাবেন। তাই বসে না থেকে
দ্রুত এই ব্যবসাটি আপনি শুরু করতে পারেন। আপনি যদি ধৈর্য ধরে এই ব্যবসা করতে
পারেন। তাহলে আস্তে আস্তে আপনার এই ব্যবসাটি বড় আকার ধারণ করবে।
বাসায় হাঁস মুরগি পালন
আপনি চাইলে আপনার বাসার আশেপাশের খালি জায়গা অথবা আপনার বাসার ছাদে হাঁস মুরগি
পালন করে সেটাকে ব্যবসায় রূপ দিতে পারেন। কারণ মাংস ও ডিমের সব সময় চাহিদা
থাকে। যে কারণে বাজারে এটি বিক্রি করা অনেক সহজ। এই ব্যবসাটি আপনি খুব অল্প
টাকাতেই শুরু করতে পারবেন এবং এটা থেকে ভালো পরিমাণে লাভও করতে পারবেন।
তবে এ ব্যবসাটি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটু সতর্ক থাকতে হবে এবং সঠিক পরিকল্পনা
এবং হাঁস মুরগি পরিচর্যা করার জন্য সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। হাঁস মুরগি
পালনের জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে জানা লাগবে এদের কখন কি অসুখ হয় এবং কোন অসুখের
জন্য কি ওষুধ ব্যবহার করতে হয় এবং নিয়মিত কখন টিকা দিতে হয়। এগুলো সম্পর্কে
আপনি আপনার নিকটস্থ প্রাণী বিভাগ বা পশু হাসপাতাল কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে
পারেন।
তারা আপনাকে সঠিক নির্দেশনা দিবে এবং কি করতে হবে কি করতে হবে না সে সম্পর্কে
বুঝিয়ে দেবে। হাঁস মুরগি পালন করার আগে এই সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানার পর। আপনাকে
এগুলো পালন করার জন্য ঘর তৈরি করতে হবে। শুরুতে অনেক বেশি মুরগি বা হাঁস না তুলে
অল্প পরিমাণে পরীক্ষা করার জন্য ১৫ থেকে ৩০ টির মতো তুলতে পারেন।
এরপর সঠিক নিয়ম মেনে মুরগিকে খাবার, পরিষ্কার পানি এবং সময় মত ভ্যাকসিন দিতে
হবে। এইভাবে আপনি নিজের বাসায় হাঁস বা মুরগি পালন করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে
তুলতে পারেন। প্রথমে আপনার ব্যবসাটি ছোট হলেও এটি আস্তে আস্তে আপনাকে লাভ দিবে
এবং একটা সময় আপনার বড় খামারও হতে পারে। বর্তমান সময়ে অনেক বেকার যুবকই এই
ব্যবসাটি বেছে নিয়েছেন এবং নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে।
বাসায় কেক বানিয়ে বিক্রি
বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য কেকের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। আপনি যদি সোশ্যাল
মিডিয়াতে একাউন্ট খুলে সেখানে আপনার তৈরি করা কেকের ডিজাইন ছেড়ে প্রচার করতে
পারেন। তাহলে সেখান থেকে আপনি অনেক বেশি কাস্টমার পাবেন।
কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী যদি আপনি কেক বানিয়ে দিতে পারেন। তাহলে সে ব্যবসাটা
দ্রুতই আপনি দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে কেকের মান অনেক ভালো
রাখতে হবে এবং ডিজাইন টাও অনেক সুন্দর আকর্ষণীয় হতে হবে।
আপনি যদি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন তাহলে এটি অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা হতে
পারে। এ ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে আলাদা কোন দোকান ভাড়া নেওয়া লাগবে না। এটা
আপনি আপনার বাসায় বসেই করতে পারবেন।
এ ব্যবসাটি আপনি অল্প পুঁজিতেই শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি গ্রাহকের পছন্দের
ডিজাইন অর্থাৎ কাস্টম ডিজাইনের কেক বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন তাহলে
এটার দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই আপনি চাইলে নিজের বাসায় বসে উৎপাদন মুখী
এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
সরিষা ভেঙ্গে সরিষার তেল তৈরি
এখনকার সময়ে সকল খাবারে ভেজাল আর ভেজাল। তাই অনেক মানুষই এখন স্বাস্থ্য সচেতন
হয়েছে। আর এই স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার কারণে তারা দিন দিন ঝুঁকে পড়ছে অর্গানিক
পণ্যের উপর। আপনি চাইলে সরিষা ভেঙ্গে সরিষার তেল বিক্রি করতে পারেন।
এটার চাহিদা অনেক বেশি আর আপনি যদি এই সরিষার তেলটি একদম খাঁটি উপায় তৈরি করতে
পারেন। এবং সেটাকে ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছাড়েন যে কিভাবে আসলে আপনি
তেলটা তৈরি করছেন। এই তেল ১০০% খাঁটি এটা যদি আপনি বুঝাতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক
অর্ডার পাবেন এবং অনেক মানুষজনই আপনার সরিষার তেল কিনবে।
আপনি দ্রুতই আপনার এই ব্যবসাটাকে দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারবেন। ব্যবসাটি আপনি যদি
ধৈর্য, পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনা দিয়ে করতে পারেন। তাহলে আস্তে আস্তে একটা
পর্যায়ে আপনার এ ব্যবসাটা অনেক বড় আকার ধারণ করবে এবং আপনি এই ব্যবসায় সফলতা
লাভ করবেন।
আপনি চাইলে এই ব্যবসা ছোট পরিসরে শুরু করতে পারেন নিজের বাসায় বসে থেকেই। এই
ব্যবসাটি আপনি অল্প পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন এবং এটা থেকে আপনি ৩০ থেকে ৪০
পার্সেন্ট লাভ নিয়ে আসতে পারবেন। তাই দেরি না করে এই ব্যবসাটি আপনি শুরু করতে
পারেন।
শাক সবজির গাছ লাগিয়ে সেগুলোকে বাজারে বিক্রি করা
বাড়ির আশেপাশে আওনার যদি জায়গা বা জমি থাকে অথবা আপনার ছাদে যদি গাছ লাগানোর মত
পরিবেশ থাকে। তাহলে আপনি শাক সবজি চাষ করেও ভালো একটা ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে ফরমালিন মুক্ত তাজা শাক সবজির চাহিদা বাজারে অনেক।
আপনি যদি অল্প পরিমাণে স্যার কীটনাশক ব্যবহার করেন এবং সেগুলো আপনি বাজারে বিক্রি
করেন। তাহলে এর দাম আপনি ভালো পাবেন এবং প্রতিদিন নগদ টাকা ইনকাম
করবেন। শাক সবজির ব্যবসা আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে পারবেন।
এমন কিছু শাকসবজি আছে যেগুলো ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করার মতো
হয়ে যায়। আপনি যেসব শাকসবজির ব্যবসা করতে পারেন সেই শাকসবজি গুলো হচ্ছেঃ
পুঁই শাক, লাল শাক, ডাটা শাক, ধনেপাতা, লাউ, বেগুন, শসা বা
খিরা, টমেটো, মরিচ, পেঁপে, সুজনে পাতা।
এগুলো উৎপাদন করে আপনি আপনার স্থানীয় বাজার বা হাটে বিক্রি করতে পারেন
অথবা অনলাইনে অর্গানিক শাক সবজি বলেও ভালো বিক্রি করতে
পারেন। অথবা আপনি একটি ভ্যান ভাড়া নিয়ে একজন ব্যক্তিকে কিছু টাকা
দিয়ে সেই শাকসবজি গুলো বাড়ি বাড়ি বিক্রি করতে পাঠাতে পারেন।
মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন হাড়ি পাতিল তৈরি করা
আপনি চাইলে মাটির হাড়ি তৈরি করে সেই হাড়িগুলোকে বাজারে বিক্রি করে ভালো টাকা
ইনকাম করতে পারেন। আপনি মাটির হাড়ি বিভিন্ন ডিজাইনের এবং সুন্দর সুন্দর
আকর্ষণীয় করে বানাতে পারেন। অনেকেই আছে যারা তাদের ঘরকে সাজানোর জন্য সুন্দর
সুন্দর ডিজাইনের মাটির হাড়ি পাতিল খুঁজে থাকে।
আপনি যদি এইরকম মাটির হাড়ি পাতিল বানাতে পারেন, তাহলে এই ব্যবসাটা অনেক লাভজনক
হতে পারে। মাটির সুন্দর সুন্দর হাঁড়ি পাতিল বানিয়ে সেই হাড়ি পাতিলের ছবি তুলে
আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে বিক্রির জন্য প্রচার চালাতে পারেন। এতে অনেক দূর
দূর থেকে আপনি অর্ডার পাবেন এবং এগুলোর দাম আপনি ভালো পাবেন।
আপনি যদি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার
একটি চাবিকাঠি হতে পারে। এই ব্যবসাটি শুরু করতে খুব বেশি পরিমাণে অর্থ ইনভেস্ট
করা লাগে না। আপনি এই ব্যবসাটি প্রথমে ছোট পরিসরে প্রায় তিন থেকে চার হাজার টাকা
ইনভেস্ট করলেই শুরু করতে পারবেন। তাই দেরি না করে সঠিক নিয়ম এবং সঠিক পরিকল্পনা
করে দ্রুত ব্যবসায় নেমে পড়েন।
কাপড় ধোয়া ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি করা
আপনি অনেক কম খরচেই কাপড় ধোঁয়া ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি করতে পারবেন এবং
সেগুলোকে বিক্রি করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে
পারে আপনার জন্য। আপনি যদি একটি ভালো ব্যবসার সন্ধানে থাকেন। তাহলে এটি আপনার
জন্য একটি ভালো ব্যবস্থা হতে পারে।
এ ব্যবসা আপনি ছোট পরিসরে শুরু করে পরবর্তীতে বড় পরিসরে গড়ে তুলতে পারবেন।
প্রথমে অল্প পরিমাণে ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি করতে হবে। তারপর সেগুলোকে বাজারে এবং
অনলাইন প্লাটফর্মে বিক্রি করে কাস্টমারের ফিডব্যাক নিতে হবে। অবশ্যই আপনাকে
খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার ডিটারজেন্টের ভালো ফেনা হয় এবং সুগন্ধ ভালো থাকে।
কারণ কাস্টমাররা বেশি ফেনা এবং সুগন্ধযুক্ত ডিটারজেন্ট বেশি কিনে থাকে। অবশ্যই
ডিটারজেন্ট পাউডারের প্যাকেটিং করবেন অনেক আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে। কারন আপনি যদি
প্যাকেট উন্নত করেন তাহলে এটা বিক্রি অনেক বেশি হবে। আপনি দুই থেকে তিন হাজারের
মধ্যে শুরু করতে পারবেন এবং এটা থেকে আপনি লাভ করতে পারবেন প্রায় ৩০ থেকে ৫০%
পর্যন্ত।
কোয়েল পাখির খামার দেওয়া
কোয়েল পাখির খামার দিয়েও আপনি নিজেকে স্বাবলম্বী ও প্রতিষ্ঠিত করতে
পারবেন। বর্তমানে
কোয়েল পাখির ডিম
এবং কোয়েল পাখির মাংস দুইটারি চাহিদা বাজারে অনেক। আপনি যদি কোয়েল
পাখির খামার দিতে পারেন। তাহলে সে খামার থেকে ভালো একটা ইনকাম করতে পারবেন।
প্রথমে আপনি বেশি পরিমাণে কোয়েল পাখি না কিনে ৩০ থেকে ৪০ টা মতো কোয়েল পাখি
কিনতে পারেন। দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার ব্যবসা। আপনি যদি সঠিক
পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন তাহলে এটা আপনাদের সকল ব্যবসায়ী করে
তুলবেন।
বিভিন্ন ধরনের গিফট আইটেম তৈরি
আপনার যদি সৃজনশীলতা থাকে এবং আপনি যদি নতুন নতুন এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের গিফট
আইটেম বানাতে পারেন তাহলে এইটার ব্যবসা অনেক লাভজনক হতে পারে। বিশেষ করে
এইসব গিফট আইটেমের চাহিদা থাকে বিভিন্ন বিয়ে, উৎসব, পহেলা
বৈশাখ, ঈদ, পূজা, ভ্যালেন্টাইনস ডে আরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
আপনি এই উৎপাদন মুখী ব্যবসাটি খুব অল্প টাকাতে শুরু করতে পারবেন। আপনার যদি
ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি এই ব্যবসাতে সাকসেস
হতে পারবেন। আপনার গিফট আইটেমগুলো আপনি বিভিন্ন গিফট কর্নার বা
দোকানে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ভালো পরিমানে ইনকাম করতে চাইলে।
অনলাইনে মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে একাউন্ট তৈরি করে। সে
একাউন্টগুলোতে আপনার গিফটের ছবি তুলে প্রচার চালাতে পারেন এতে আপনি
অনেক পরিমাণে অর্ডার পাবেন এবং আপনার ভালো সেল হবে। তাই আপনি যদি চান
গিফট আইটেম তৈরি করে ব্যবসা করার তাহলে এটি আপনার জন্য অনেক ভালো একটি ব্যবসা
হতে পারে।
৫ হাজার টাকায় ব্যবসা
উপরে আমি ৫০০০ টাকায় উৎপাদনমুখী কিছু ব্যবসার নাম বলেছি। আপনি চাইলে সে ব্যবসা
গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসা গুলো যদি আপনি সঠিক
নিয়ম ও পরিকল্পনা নিয়ে করতে পারেন।
তাহলে এটা আপনার জন্য অনেক লাভজনক এবং ভবিষ্যতে ব্যবসাটি বড় হওয়ার চান্স আছে।
বর্তমান সময়ে অনেকেই বেকার হয়ে বাড়িতে বসে আছে এবং ভাবছে যে কি করা যায়।
অনেকেই ব্যবসা করার কথা ভাবছেন।
আরো পড়ুনঃ যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য সকালে কালোজিরা ও মধু
কিন্তু ব্যবসায় অনেক টাকা দরকার তার জন্য আর ব্যবসা করতে পারছেন না। এখন আমি
আপনাকে এমন কিছু ব্যবসার নাম বলবো যেগুলো মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় আপনি করতে
পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন পাঁচ হাজার টাকায় কি ব্যবসা করবেন
সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
- আপনি পাঁচ হাজার টাকায় মোবাইল ফোনের এবং কম্পিউটার বা ল্যাপটপের বিভিন্ন এক্সেসরিজ বিক্রির ব্যবসা করতে পারেন। এটা আপনি অনলাইন প্লাটফর্মে একটি পেজ খুলে সেখানে কাস্টমারের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
- এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ধরনের গিফট আইটেম স্টক করে সেগুলোকে আপনার পেইজে অথবা বাজারে বিক্রি করতে পারেন।
- আরো কিছু পাঁচ হাজার টাকায় ব্যবসা আছে সেগুলো হচ্ছেঃ রান্নার জন্য হলুদের গুড়া, মরিচের গুঁড়া এবং রান্নাকে টেস্টি করার জন্য বিভিন্ন রকমের মসলা তৈরি করা, হাতের তৈরি জুয়েলারি ব্যবসাও আপনি করতে পারেন।
- শহর অঞ্চলে নকশি কাঁথার অনেক চাহিদা থাকে। এই নকশি কাঁথা আপনি গ্রামাঞ্চল থেকে কম দামে সংগ্রহ করে সেগুলোকে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।
- এছাড়াও আপনি ফুলের গাছ বা ফুল বিক্রির ব্যবসা করতে পারেন। তারপর আপনি ৫০০০ টাকার মধ্যে মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা করতে পারেন।
- বাস্তবমুখী কিছু ব্যবসা আছে যেগুলো হচ্ছেঃ চা, ফাস্টফুড ও স্ন্যাকস বিক্রি করা, হাঁস মুরগির খামার দেওয়া, জামা কাপড়ের ব্যবসা ইত্যাদি।
উপরে আমি যে ব্যবসা গুলোর নাম বললাম সেগুলো মাত্র ৫০০০ টাকায় আপনি শুরু করতে
পারবেন। আপনি যদি উপরের ব্যবসা গুলো সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ধৈর্য ধরে
পরিশ্রম করে করতে পারেন। তাহলে এটা আপনাকে একটা সময় ভালো কিছু এনে
দেবে। আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে আপনি ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা সম্পর্কে
ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
FAQ/উৎপাদনমুখী ব্যবসা সম্পর্কিত কিছু আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর
এখন আমি আপনাদেরকে উৎপাদন মুখী ব্যবসা সম্পর্কিত কিছু আলোচিত প্রশ্নের উত্তর
গুলো জানাবো। চলুন সেই আলোচিত প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নেওয়া যাক।
সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি?
- উত্তরঃ অনেকে আছেন যারা জানতে চেয়েছেন যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি? সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে খাদ্য ব্যবসা। যারা ফাস্টফুড, চা বা খাবারের দোকান দিয়ে থাকে। তাদের সবচেয়ে বেশি লাভ হয়ে থাকে। এছাড়াও পাইকারি ব্যবসা, অনলাইন বিভিন্ন পণ্য বিক্রির ব্যবসা, কোন অভিজ্ঞতা থাকলে সেই অভিজ্ঞতা বিক্রি করে অর্থাৎ কোর্স বানিয়ে সেটাকে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা ইত্যাদি।
কোন ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি টাকা থাকে?
-
উত্তরঃ অনেকে জানতে চেয়েছেন কোন ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি টাকা থাকে। চলুন সে
ব্যবসা গুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক সবচেয়ে বেশি টাকা থাকে যে ব্যবসায়
সেটি হচ্ছে আমদানির রপ্তানি ব্যবসায়ী, পোশাক
কারখানায়, রিয়েলস্টেট এর ব্যবসায়, পাইকারি সবচেয়ে বড়
ব্যবসায়, প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার কোম্পানিতে, পেট্রোল ডিজেল ও
বিদ্যুৎ ব্যবসায়।
১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়?
-
উত্তরঃ সঠিক পরিকল্পনা এবং ধৈর্য দিয়ে দশ হাজার টাকায় অনেক ব্যবসা করা
সম্ভব। যেমন হাঁস মুরগির খামার, হাতের তৈরি কাগজের ব্যাগ অথবা
কাপড়ের ব্যাগ, মোমবাতি তৈরি, সাবান তৈরি, শাকসবজি
উৎপাদন, কেক তৈরি করে বিক্রি, ফুল গাছ বা ফুল বিক্রি আরো অসংখ্য
ব্যবস্থা আছে যেগুলো ১০ হাজার টাকা দিয়ে করা যায়।
কোন ব্যবসা করলে দ্রুত ধনী হওয়া যায়?
-
উত্তরঃ কে জানতে চেয়েছেন যে কোন ব্যবসা করলে দ্রুত ধনী হওয়া
যায়? দ্রুত ধনী হতে সঠিক পরিকল্পনা এবং ধৈর্য ও
পরিশ্রম লাগে। আপনি দ্রুত ধনী হতে চাইলে রিয়েল এস্টেট এর ব্যবসা
করতে পারেন। এতে দ্রুত ধনী হওয়া সম্ভব।
কোন ব্যবসায় মুনাফার হার সবচেয়ে কম?
-
উত্তরঃ মুদিখানার দোকান ও কাঁচা বাজারে মুনাফার হার সবচেয়ে কম।
শহরে ব্যবসার আইডিয়া
এখন আমি আপনাদেরকে শহরে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। আপনি যদি
শহরে ব্যবসা করতে চান? তাহলে এমন কিছু ব্যবসা আছে যেগুলো অল্প পুঁজিতে শুরু
করলেও এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে লাভ এবং পরবর্তীতে এই ব্যবসা গুলো বড় আকার ধারণ
করতে পারে। সে ব্যবসা গুলোর মধ্যে হচ্ছে একটি ফাস্টফুড বা রেস্টুরেন্টের
ব্যবসা।
অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে আপনি যদি শহরে ফাস্ট ফুড এবং রেস্টুরেন্ট দিতে
পারেন। তাহলে সেটা থেকে আপনি ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি
অনলাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। অল্প কিছু টাকা
ইনভেস্ট করে কিছু পণ্য বা প্রোডাক্ট কালেক্ট করার পর।
সেগুলোকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করে বিক্রি করতে পারেন। এতে ভালো
মুনাফা লাভ করা সম্ভব। শহরে আপনি বিউটি পার্লার অথবা সেলুনের ব্যবসা করতে
পারেন। এটা বর্তমানে অনেক লাভজনক হয়ে উঠেছে। শহরের মানুষজন তাদের শরীরের
ফিটনেস নিয়ে অনেক সতর্ক।
তাই আপনি শহরে একটি জিম সেন্টার খুলতে পারেন। শহরের মধ্যে আপনি কুরিয়ার ও
পার্সেল সার্ভিস এজেন্সি খুলতে পারেন। শহরে আপনি একটি ফুল বা গিফটের দোকান দিতে
পারেন এ ব্যবসাটি শহরে অনেক ভালো চলবে। আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে শহরের
ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।
ব্যবসা করার টিপস
এখন আমি আপনাদেরকে ব্যবসা করার এমন কিছু টিপস দিবো। যেগুলো জানার পর আপনার
ব্যবসা করতে অনেক সহজ হবে এবং আপনি ব্যবসায় খুব দ্রুত সফলতা লাভ করবেন। চলুন
সেই টিপসগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে গবেষণা এবং পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যে মার্কেটে কি ব্যবসা বেশি চলছে এবং এই ব্যবসার চাহিদা কেমন। এই ব্যবসা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর। ব্যবসাটিতে অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে ছোট ভাবে শুরু করতে হবে। প্রথমেই অনেক বেশি টাকা ইনভেস্ট করা যাবে না। ব্যবসাতে লাভ দেখা গেলে আস্তে আস্তে সে ব্যবসাটি বড় করতে হবে।
- ব্যবসা করার সময় আপনাকে ব্যবসার আয় এবং ব্যয় ভালোভাবে হিসাব করতে হবে। প্রতিদিন যদি ব্যবসার আয় ব্যয়ের হিসাব করা হয়। তাহলে সেই ব্যবসায় লাভ করা অনেক সহজ হয়।
- আপনি যে পণ্যটি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন, অবশ্যই সে পণ্যের মান ভালো রাখতে হবে। আপনি যদি কম দামে ভালো পণ্য দিতে পারেন। তাহলে সেই কাস্টমার আপনার কাছে বারবার আসবে এবং সেই কাস্টমার অন্য আরো কাস্টমার আপনাকে এনে দিবে।
- আপনি যখন এই পণ্যগুলো বিক্রি করবেন তখন অবশ্যই আপনার গ্রাহকের সাথে ব্যবহার ভালো রাখবেন এবং তাদেরকে সার্ভিস ভালো দিবেন। এতে করে আপনার পণ্যের ওপর মানুষের চাহিদা বাড়বে এবং তারা বারবার আপনার কাছেই পণ্য কিনতে আগ্রহ দেখাবে।
- অবশ্যই ব্যবসা করার সময় বেশি পরিমাণে ইনভেস্ট করে পণ্য স্টকে রাখবেন না। এতে আপনার ব্যবসা তলা নিতে চলে যেতে পারে। অবশ্যই আপনাকে অন্য সব ব্যবসায়িক দের থেকে আলাদা হতে হবে। আপনার পণ্যে অন্যদের থেকে ভিন্নতা আছে এটা আপনার গ্রাহকদেরকে বোঝাতে হবে।
- যে ব্যবসাটা করছেন সেটা ভালোভাবে চালু বা বড় করার জন্য অবশ্যই আপনাকে মার্কেটিং এর দিকে নজর দিতে হবে। মার্কেটিং আপনার যত ভালো হবে আপনার ব্যবসা তত বড় এবং দীর্ঘমেয়াদি হবে। আর ব্যবসার জন্য সবথেকে আসল যে জিনিসটা সেটা হচ্ছে ধৈর্য। আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি ধৈর্য দিয়ে আপনার ব্যবসা সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিশ্রম করে চালাতে পারেন। তাহলে একটা সময় আপনি সফলতা পাবেন।
- অবশ্যই আপনার ব্যবসাটি সরকারি লাইসেন্স থাকা লাগবে এবং ব্যবসা করার জন্য আইনি যে নিয়ম-কানুন আছে সে নিয়ম-কানুন মেনে চলে ব্যবসাটি করতে হবে এতে আপনার আইনি কোন জটিলতা বা ঝামেলা থাকবে না।
ব্যবসায় লস হওয়ার কারণ
আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানতে চেয়েছেন যে ব্যবসায় লস হওয়ার কারণ কি। চলুন
ব্যবসায় লস হওয়ার কারণ কি সে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক। ব্যবসায় লস হওয়ার
প্রধান কারণ এর মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে বাজার গবেষণা না করে ব্যবসা শুরু
করে দেওয়া। অবশ্যই আপনাকে একটি ব্যবসা শুরু করার পূর্বে বাজার গবেষণা করতে
হবে। এছাড়াও আরো কিছু কারণ রয়েছে সে কারণগুলো হচ্ছেঃ
প্রথমেই প্রচুর পরিমাণে অর্থ ইনভাইট করা এবং প্রচুর পরিমাণে পণ্য স্টকে রাখা।
আয় ব্যয়ের হিসাবটা ভালোভাবে না করতে পারা। এছাড়াও নিম্নমানের পণ্য
গ্রাহকদেরকে দেওয়া। যার কারণে তাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা। পরবর্তীতে সেখান
থেকে কোন গ্রাহক পণ্য কিনে না। ব্যবসায় লস হওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে
পণ্যের সঠিক দাম নির্ধারণ করতে না পারা। পণ্যের দাম যদি সঠিকভাবে নির্ধারণ না
করা হয়। তাহলে সেটা একজন ব্যবসায়ীকে পথে বসাতে পারে।
ক্রেতার অভিযোগ ও পরামর্শকে অবহেলা করা, মার্কেটিং ভালোভাবে না করা, পরিকল্পনা
ছাড়া ব্যবসা শুরু করা, নতুন যারা ব্যবসায়ী আছে তাদের কৌশল বুঝতে না পারা এবং
তাদের থেকে পিছিয়ে পড়া ইত্যাদি ব্যবসায় লস হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই ব্যবসায়
লাভ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা, বাজার গবেষণা সহ উপরে যেগুলো
আলোচনা করলাম এই দিকগুলো ভালোভাবে মেনটেন করতে হবে। তাহলে ব্যবসায় লস হওয়া
থেকে বাঁচা যাবে।
একজন সফল ব্যবসায়ীর গুণাবলী
একজন ভালো ও সফল ব্যবসায়ী হতে হলে শুধুই যে টাকা থাকতে হবে তা কিন্তু নয়।
একজন সফল ব্যবসায়ী হতে হলে টাকা থাকার পাশাপাশি তার দক্ষতা ও ভালো মন মানসিকতা
এবং ব্যবসা করার সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। যেকোনো খারাপ পরিস্থিতিতেই টিকে
থাকার মত সাহসিকতা দরকার।
তাহলে একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়া সম্ভব। সফল ব্যবসায়ী হতে হলে যেসব গুণ তার
মধ্যে থাকা লাগবে সেগুলো হচ্ছে। ভালো সম্পর্ক থাকা লাগবে কর্মচারীদের সাথে,
গ্রাহকদের সাথে এবং সরবরাহকারীদের সাথে। সুন্দর কথা এবং স্পষ্ট ও প্রভাবশালী
কথা বলার ক্ষমতা থাকতে হবে।
ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে নতুন নতুন টেকনিক অবলম্বন করার ক্ষমতা এবং ব্যবসায়
বিভিন্ন ধরনের অফার ম্যানেজমেন্ট করার সক্ষমতা থাকতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা করে
সুযোগ বুঝে টাকা ইনভেস্ট করার মতন ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। ব্যবসায়
আয় ব্যয়ের হিসাব ভালোভাবে করার জ্ঞান থাকতে হবে।
ব্যবসায় কোন ভুল হলে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার মনমানসিকতা থাকতে হবে।
ব্যবসা করতে গেলে একজন সফল ব্যবসায়ীর দল নিয়ে কাজ করার ক্ষমতা রাখা উচিত।
গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখা এবং তাদেরকে সার্ভিস অনেক ভালো দেওয়া এবং
তাদের চাহিদা বুঝতে পারা।
সেই সাথে তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করার মত সক্ষমতা থাকা লাগবে। ব্যবসার জন্য
কোন সময় কি করা লাগবে সে সময়টাকে ভালোভাবে ম্যানেজমেন্ট করার মতন সক্ষমতা।
উপরে যে গুণাবলী গুলো আপনাদেরকে বললাম সেই গুণাবলী একজন সফল ব্যবসায়ীর মধ্যে
থাকে।
FAQ/উৎপাদন মুখী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
এখন আমি আপনাদেরকে উৎপাদন মুখী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত কিছু আলোচিত প্রশ্নের
উত্তর সম্পর্কে জানাবো। চলুন দেরি না করে সেই উত্তরগুলো জেনে নেওয়া যাক।
কি করলে কোটিপতি হওয়া যায়?
-
উত্তরঃ আপনি যদি ব্যবসা করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই কোটিপতি হতে পারবেন। এক
কথায় বলা যায় যে ব্যবসা করলে কোটিপতি হওয়া যায়।
কোটিপতি হওয়ার উপযুক্ত বয়স কত?
-
উত্তরঃ কোটিপতি হওয়ার জন্য কোন উপযুক্ত বয়স লাগে না। কোটিপতি হওয়ার
জন্য লাগে সঠিক পরিকল্পনা, মেধাম, দক্ষতা ধৈর্য ও পরিশ্রম। এগুলো
থাকলে কোটিপতি হওয়া সম্ভব।
১৫ বছরের কি কোটিপতি হওয়া যায়?
-
উত্তরঃ ১৫ বছরে অবশ্যই কোটিপতি হওয়া যাবে। তবে তার জন্য আপনাকে করা লাগবে
প্রচুর পরিশ্রম এবং আপনার থাকা লাগবে মেধা, দক্ষতা ও সঠিক
পরিকল্পনা। তাহলে আপনি ১৫ বছরে কেন তার আগেই কোটিপতি হয়ে যেতে
পারবেন।
আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে আপনি উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া
সম্পর্কিত আলোচিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর পেয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহীর সেরা ব্লগার কে জেনে নিন এখনই
একজন সফল ব্যবসায়ী হতে গেলে অবশ্যই সেই ব্যবসায়ীকে অনেক চালাক ও চতুর
হতে হবে। সেই সাথে মার্কেট গবেষণা করার দক্ষতা এবং ক্ষতি থেকে বাড়িয়ে আসার
যে টেকনিক সেগুলো তাকে জানা লাগবে। তাহলে একজন প্রকৃত সফল ব্যবসায়ী
হওয়া সম্ভব হবে।
লেখকের মন্তব্যঃ উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায়
উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কিভাবে করা যায় এবং কোন ব্যবসা করা যায় সে
সম্পর্কে আমি আমার আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি
উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া, ব্যবসা করার টিপস, ব্যবসায় লস হওয়ার কারণ এবং
একজন সফল ব্যবসায়ীর গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশাকরছি আমার এই
আর্টিকেলটি পরে আপনি উৎপাদনমুখী ব্যবসা সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।
আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আমার এই
আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং তাদেরকেও জানার সুযোগ করে
দিবেন। এছাড়াও আপনার যদি আমার এই আর্টিকেলটি নিয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে
থাকে অথবা আপনি যদি নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে সেটা
আমাদের নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url