ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম জানুন

এখন আমি আমার এই আর্টিকেলের মধ্যে ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম সম্পর্কে বলবো।এর পাশাপাশি রুক্ষ চুলের জন্য কোন তেল ভালো এবং ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ছেলেদের-চুল-পড়া-বন্ধ-করার-তেলের-নাম
আপনি যদি চুলে কি দিলে চুল পড়া বন্ধ হয় এই বিষয়ে জানতে চান? তাহলে অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। চলুন তাহলে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য কোন তেল ভালো সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সুচিপত্রঃ ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম

আপনারা অনেকেই ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। বর্তমান সময়ে কম বয়সেই চুল পড়া একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চুল পড়া কমানোর জন্য এবং চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য অনেকেই আছেন যারা ভালো তেল খুঁজছেন।

তাই এখন আমি আপনাদেরকে এমন কিছু তেলের নাম বলবো। যে তেল গুলো ব্যবহার করলে আপনার চুলের গোড়া শক্ত হবে, মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং অতিরিক্ত চুল পড়া কমে যাবে। চলুন তাহলে সেই তেল গুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক।

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য বাদাম তেল

চুল পড়া কমানোর জন্য বাদামের তেল অনেক ভালো ও কার্যকরী। আপনার যদি অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা থাকে, তাহলে আপনি বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং নতুন চুল গজাবে।

এই তেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যেগুলো মাথায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে যার কারণে চুল পড়া কমে যায়। এছাড়াও এই তেলটি নিয়মিত ব্যবহার করলে। সেটা চুলের জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মত কাজ করে।
যা চুলকে নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। এগুলার পাশাপাশি এটি মাথার ত্বকের চুলকানি, খুকসি ও চুল ভেঙ্গে যাওয়া ভালো করে এবং চুলকে ঝলমলে করে। এই তেলের মধ্যে এন্টি ইনফ্লামেটরি , এন্টিফাঙ্গাল প্রোটিন ও বায়োটিন থাকে। যেটা চুলের স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

আপনি এই তেলটা আপনার চুলে যতটুকু লাগবে ততটুকু নিয়ে সেটাকে হালকা গরম করবেন। হালকা গরম হয়ে গেলে সেই তেলটা আঙ্গুলে নিয়ে ভালোভাবে চুলের গোড়ায় মাসাজ করবেন। এই তেলটি মাথায় দেওয়ার পর ৩০ মিনিটের আগে ধোঁয়া যাবে না।

আপনি যদি এই তেলটি থেকে ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এটি রাতের বেলায় মাথায় দিয়ে সকালে ধুতে হবে। এতে করে এই তেলের পুষ্টি গুনাগুন চুলের গোড়ায় ভালোভাবে পৌঁছাতে পারে। তবে যাদের এই তেলে এলার্জি আছে তারা এটি ব্যবহার করবেন না অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করবেন।

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য নারিকেল তেল

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আপনি নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলের মধ্যে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লরিক এসিড ও ফ্যাটি এসিড থাকে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো চুলের শুষ্কতা ও চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে চুল বড় করতে সাহায্য করে, চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে থাকে।

আপনি যদি আপনার চুলে নারিকেল তেল নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুল ওঠা বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজাবে এবং আপনার চুলের আলাদাই একটা জান আসবে। আপনি এই নারিকেল তেলটা আপনার হাতে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মাসাজ করবেন।

চুল পড়া কমাতে কাস্টর অয়েল

কাস্টার তেল চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেক উপকারী হিসেবে পরিচিত। এই তেলটি বিশেষ করে তারাই ব্যবহার করে বেশি যারা চুলের গোড়া শক্ত করতে চাই ও চুলকে দ্রুত বড় করতে চাই। এই তেল যদি পরিমাণ অনুযায়ী নিয়মিত ব্যবহার করা হয়। তাহলে সেটা চুলের গোড়াকে শক্ত করে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজিয়ে চুলকে ঘন করে ও দ্রুত বড় করে। কাস্টার অয়েল পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি তেল।

চুল পড়া কমাতে ও চুল ঘন করতে আমলকি তেল

আমলকির তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। আর এই তেলে ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি চুলের গোড়াকে শক্ত করতে সাহায্য করে এবং চুল ওঠা বন্ধ করে। এই তেলটি চুলকে ঘন করে, মাথার খুকসি দূর করে এবং চুলকে করে চকচকে ও ঝলমলে। তাই যাদের চুল রুক্ষ হয়ে গেছে এবং গোড়া দুর্বল হয়ে গেছে ও অতিরিক্ত চুল ঝরে যাচ্ছে, তারা নিয়মিত আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন।

এটি তেল আপনি যদি টানা তিন মাস ব্যবহার করেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। অবশ্যই তেলটি চুলের গোড়ায় দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে। সব থেকে ভালো উপকার পাওয়া যাবে যদি রাতের বেলায় এই তেলটি চুলে দেওয়া হয় এবং সারারাত রাখার পর সকালে ধুয়ে ফেলা হয়।

চুল ঘন ও চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের তেল

পেঁয়াজের তেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে। এই তেলে সালফার থাকার কারণে মাথার চুল দ্রুত গজায় এবং চুল পড়া কমায়। এই তেলটি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এই কারণে এই তেলটি আপনার চুলের গোড়াতে শক্ত করবে পাশাপাশি আপনার মাথায় নতুন চুল গজাবে।

চুলের গোড়া শক্ত করতে অলিভ অয়েল

অলিভ অয়েল চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। এই তেলটি মূলত জলপাই ফল থেকে উৎপাদন করা হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক তেল এবং এর মধ্যে প্রচুর প্রাকৃতিক পুষ্টি গুনাগুন আছে।

যেমন ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই পুষ্টিগুণে ভরপুর উপাদান গুলো চুলের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে, চুল পড়া কমায়, চুল ঘন করে, চুলের খুশকি দূর করে এবং চুলকে নরম ও ঝলমলে করে তোলে। তাই যাদের অতিরিক্ত চুল পরার সমস্যা আছে। তারা নিয়মিত অলিভ অয়েল চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

এভোকাডো তেল

এভোকাডো তেলের মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই সহ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এসব উপাদান থাকে। এই উপাদান গুলো চুলের গোড়াকে মজবুত করতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া কমিয়ে দেয় সেই সাথে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত যদি এই তেল তুলে ব্যবহার করা হয় তাহলে এই তেলের উপকারিতা আপনি পাবেন।

চুল পড়া বন্ধ করতে মামাআরথ তেল

আপনার যদি অতিরিক্ত চুল পড়ে তাহলে আপনি আপনার চুলে মামাআরথ তেল ব্যবহার করতে পারেন। মামাআরথ এটা কিন্তু একটি ব্র্যান্ডের নাম, আপনি যদি আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে চান এবং মাথায় চুল ঘন করতে চান?

তাহলে অবশ্যই আপনাকে মামাআরথ এর চুল পড়া রোধ এবং চুল ঘন করা তেলটা ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার মাথার চুল ঘন হবে এবং অতিরিক্ত চুল পড়া কমে যাবে।

অর্গানিক চুলের তেল

এই তেলটা অল্প বয়সে চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা কে দূর করে এবং চুলের গোড়াকে শক্ত করে। এই তেলটা লিকুইড গোল্ড নামে পরিচিত। এই তেলটা যদি আপনি আপনার চুলে নিয়মিত ব্যবহার করেন। তাহলে সেটা আপনার চুল ভেঙ্গে যাওয়া, চুলের গোড়া শক্ত করা, চুলকে ঝলমলে করা, চুলের খুশকি দূর করা সহ চুলের ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আপনার চুল পড়া রোধে এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন।

রুক্ষ চুলের জন্য কোন তেল ভালো

আপনারা অনেকে আছেন যারা জানতে চেয়েছেন যে রুক্ষ চুলের জন্য কোন তেল ভালো। রুখ্য চুলের জন্য এমন তেলের দরকার যে তেল চুলের গভীরে গিয়ে চুলের আদ্রতা কে ধরে রাখে। এবং চুলের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান গুলোর সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে। কারণ রুক্ষ চুল হওয়ার একটাই কারণ সেটা হচ্ছে চুলের ভেতরের আদ্রতা কমে যাওয়া।

যার কারণে চুল শুষ্ক হয়ে যায় এবং সহজে চুল ভেঙে যায় ও উঠে যায়। তাই চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করতে এখন আমি কিছু তেলের নাম বলবো। যে তেল গুলো চুলের গোড়ায় গিয়ে চুলের ভেতরের পুষ্টি উপাদান বজায় রাখে। যেটা চুল ভাঙ্গা দূর করবে এবং চুলের গোড়া শক্ত করবে, চুলকে নরম মসৃণ ও উজ্জ্বল করবে।
  • নারিকেল তেল রুক্ষ চুলের জন্য অনেক ভালো। এই তেলে থাকা পুষ্টি উপাদান ও প্রোটিন চুলের গভীরে গিয়ে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুলকে নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা কমে যাবে।
  • অর্গানিক তেলের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এই তেলটা চুলকে ভেতর থেকে নরম ও মসৃণ করে এবং চুল দেখতে অনেক সুন্দর হয়। সেই সাথে চুলের গোড়াও হয় শক্ত। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করতে এটি অনেক উপকারী একটি তেল হতে পারে আপনার জন্য।
  • সরিষার তেল চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে এবং চুলকে রাখে মোলায়েম। এই তেল চুলের ত্বক এবং চুলকে ঘন ও কালো করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই তেল যদি চুলে ব্যবহার করা হয় তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করতে চাইলে সরিষার তেল নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
  • বাদাম তেল শুধু যে চুলের জন্য তা কিন্তু নয়। এই তেলটা চুলের পাশাপাশি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এই তেলটি যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে সেটা আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো করবে। এই তেলের মধ্যে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যে উপাদানগুলো চুলের গভীরে গিয়ে চুলের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করার পাশাপাশি চুলকে নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করবে।
  • জোজোবা তেল রুক্ষ চুল মোলায়েম নরম এবং উজ্জ্বল করতে অনেক কার্যকরী। এটা একটি প্রাকৃতিক তেল এই তেলটা চুলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে এবং চুলের মান ভালো রাখে। এই তেলটা চুলের রুক্ষ ভাব দূর করার জন্য অনেক ভালো।
  • অলিভ অয়েল চুলের রুক্ষ ভাব দূর করতে ভালো কাজ করে। যাদের চুল অনেক রুক্ষ শুষ্ক এবং সহজেই ভেঙে যায় তারা এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলটি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।
উপরে আমি যে তেল গুলোর নাম বললাম এই তেলগুলো যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এই তেলে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান এবং পুষ্টি গুনাগুন আপনার রুক্ষ চুলকে নরম মোলায়েম এবং ঝলমলে করে তুলবে।

এছাড়াও এই তেল গুলো আপনার অতিরিক্ত চুল পড়া কমাবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। তবে আপনার যদি এই তেল গুলো ব্যবহারে কোন সমস্যা থাকে অথবা চুল বা চুলের ত্বকের কোন সমস্যা থাকে। তাহলে সেটা অবশ্যই একজন ডাক্তারকে দেখাবেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু সম্পর্কে আপনারা অনেকে আছেন যারা জানতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে বাজারে এমন অনেক শ্যাম্পু আছে, যেগুলো চুলের স্বাস্থ্য ভালো করার বদলে উল্টো এগুলো চুলের ক্ষতি করে বসে থাকে। বিশেষ করে বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু।

যেগুলোর পিএইচ অনেক বেশি থাকে যার কারণে এগুলো চুলের ত্বকের ক্ষতি করে। ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং অকালে চুল ঝরে যায়। তাই এখন আমি এমন কিছু শ্যাম্পুর নাম বলবো যে শ্যাম্পু গুলো আপনার অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে। সেই সাথে চুল ও মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। চলুন সেই শ্যাম্পু গুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক।
  • Mamaearth/মামাআরথঃ এই শ্যাম্পুটা ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি চাইলে এই শ্যাম্পুঁটি ব্যবহার করতে পারেন ছেলেদের চুল পড়া রোধে।
  • Aveeno/এভিনো বেবি শ্যাম্পুঃ ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এই শ্যাম্পুঁটি ভালো।
  • ওয়াও অ্যাপেল সিডের ভিনেগার এই সেম্পুটি ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য অনেক ভালো কাজ করে। এর মধ্যে কোন খারাপ কেমিক্যাল নেই এর মধ্যে ডি এইচ ডি ব্লকার আছে যেটার কারণে চুল ঝরে যাওয়ার মত সমস্যা থাকলে সেটা ভালো হয়ে যায় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এই তেলটি শুধুমাত্র তাদের জন্যই যাদের চুল পড়ার সমস্যা আছে এবং চুলকে যারা সাইনিং করতে চান।
  • Loreal/ লরিয়াল শ্যাম্পুঃ ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এটি একটি ভালো শ্যাম্পু। তবে যাদের খুশকি আছে তারা এটি ব্যবহার করলে ৫০% খুশকি দূর হবে। এই শ্যাম্পুটে চুল ঝরে পড়া সহ চুলের আরো যে সমস্যাগুলো থাকে। সে সমস্যা গুলো ভালো করার জন্য অনেক উপকারী ও কার্যকরী।
  • Patanjila/পাতাঞ্জিলাঃ এই শ্যাম্পুটা একটি আয়ুর্বেদিক শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পু চুলের গোড়াকে অনেক শক্ত করে এবং চুল ঝরে পড়া বন্ধ করে। যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ে তারা এই শ্যাম্পু টি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এই শ্যাম্পুতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান চুলকে বড় করতেও সাহায্য করে। তবে এই শ্যাম্পু টানা ব্যবহার করা যাবে না নয়তো এটা চুলের ক্ষতি করবে। তাই সর্বোচ্চ টানা তিন মাস ব্যবহার করবেন এর থেকে বেশি ব্যবহার করবেন না।
  • ইন্টার্নাল আয়ুর্বেদা হারবাল শ্যাম্পুঃ এই শ্যাম্পুটা অনেক ভালো। অন্য সব শ্যাম্পুর মধ্যে সালফেট ও প্যারাবিন অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। যেগুলো চুলকে দুর্বল করে এবং চুল ঝরে যায়। কিন্তু এই শ্যাম্পুর মধ্যে কোন সালফেট ও প্যারাবেন থাকে না যেটা চুলের জন্য অনেক ভালো। এই শ্যাম্পুর মধ্যে আছে আমলা, প্রোটিন, রিথহা, মাকা, হেনা, এলোভেরা এগুলো ছাড়াও আরো অনেক প্রাকৃতিক উপাদান আছে। এই শ্যাম্পুটা মূলত যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ে, মাথায় খুকুসির সমস্যা আছে তাদের জন্য অনেক উপকারী।
উপরে যে শ্যাম্পু গুলোর নাম আমি উল্লেখ করেছি এগুলো মূলত ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু।এই শ্যাম্পু যদি সঠিক নিয়ম মেনে পরিমান অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়। তাহলে চুল পড়ার যে সমস্যা সেটা দূর হয়ে যাবে এবং চুলের স্বাস্থ্য থাকবে ভালো। তবে খেয়াল রাখতে হবে শ্যাম্পু যেন প্রতিদিন না করা হয়। কারণ প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে সেটা চুলের এবং চুলের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। 

তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করা ভালো। যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কারণ বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টির অভাবে চুল পড়তে পারে। তাই ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এছাড়াও আমি উপরে ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম বলেছি আপনি চাইলে উপরে সেই নামগুলো জেনে আসতে পারেন।

ছেলেদের চুলে কোন ধরনের তেল ব্যবহার করা উচিত

অনেকেই জানতে চেয়েছেন ছেলেদের চুলে কোন ধরনের তেল ব্যবহার করা উচিত। ছেলেদের চুলে তেল ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চুলের অবস্থা বিবেচনা করার পর তেল নির্বাচন করতে হবে। কারণ একেক চুলের ধরন একেক রকম হয়।
আর এই কারণেই মূলত চুলের অবস্থার ওপর তাকিয়ে তেল নির্ধারণ করতে হয়। তাই নির্দিষ্ট চুলের জন্য নির্দিষ্ট তেলের প্রয়োজন হয়। চলুন কোন চুলের জন্য কোন তেল ব্যবহার করা ভালো সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • ছেলেদের মাথায় যদি খুশকির সমস্যা থাকে তাহলে চুলে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে মাথার খুশকি এবং চুলকানি থাকলে ভালো হয়ে যাবে অবশ্যই এটা ব্যবহার করতে হবে অন্য কোন তেলের সঙ্গে মিক্স করে। যেমন আপনি নিম তেলের সাথে মিশিয়ে এটি চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলের মধ্যে এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে।
  • ছেলেদের যদি চুল পড়ার সমস্যা থাকে, তাহলে তারা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করবেন। এই তেলটা চুলের গোড়াকে মজবুত করে এবং চুল পড়া কমিয়ে দেয়। এর সাথে আপনি রোজমেরি তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। রোজমেরি তেল চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে কালোজিরা তেলও এর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
  • চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ার জন্য এবং চুলের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য আপনি বাদামের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল মূলত তাদের জন্য বেশি প্রয়োজনীয় যাদের চুল অনেক রুক্ষ এবং সহজেই চুল ভেঙে পড়ে। এই তেলটি চুলের গোড়াতে গিয়ে চুলের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং চুলকে মোলায়েম মসৃণ ও ঝলমলে করে তোলে। 
  • যে ছেলেদের চুল অনেক শুষ্ক এবং রুক্ষ তাদের নারকেল তেল ব্যবহার করা উচিত। কারণ নারকেল তেল চুলের গভীর অংশে গিয়ে চুলের আদ্রতা কে ধরে রাখে এবং চুলকে নরম করতে, সাহায্য করে সেই সাথে চুলের অতিরিক্ত ভাঙ্গন কমিয়ে দেয়। চুলের যদি এই সমস্যা থাকে তাহলে নারকেল তেলের পাশাপাশি আপনি অর্গানিক তেল অথবা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলটি ছেলেদের রুক্ষ চুলের জন্য অনেক ভালো।
  • যে ছেলেদের চুল অনেক তেলতেলে তাদের যোজোবা তেল অথবা আঙ্গুর বীজের তেল ব্যবহার করা উচিত। এই তেল চুলের তেল তেল ভাব কমায় এবং মাথার ত্বকের তেল তেল ভাব দূর করে এবং সেটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার কারনে চুল অনেক আকর্ষণীয় দেখায় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
উপরে আমি যে তেল গুলোর নাম বললাম এই তেল গুলো আপনার চুলের অবস্থার ও সমস্যার ওপর বিবেচনা করে ব্যবহার করবেন। আপনার চুলের সমস্যা কোনটি সে অনুযায়ী তেল ব্যবহার করা উচিত। আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে আপনি ছেলেদের চুলে কোন ধরনের তেল ব্যবহার করা উচিত সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

বর্তমান সময়ে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য অনেকেই অনেক রকম তেল, ওষুধ ও শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল ও শ্যাম্পুতে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল মেশানো থাকে। যার কারণে সেগুলো চুলের উপকার করার চাইতে ক্ষতি বেশি করে। বর্তমান সময়ে ছেলেদের চুল পড়া একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে পড়েছে।

তাই অনেকেই এই কেমিক্যাল মেশানো বাজার থেকে কেনা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকে। যা তাদের চুল আরো ঝরিয়ে ফেলে। তাই এখন আমি ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য কেমিক্যাল মুক্ত কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বলবো। যে উপায়গুলো ভালোভাবে মেনে চললে ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। চলুন সে উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

  • ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আপনি নারিকেল দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এবার হয়তো ভাবছেন নারিকেল দুধ আবার কিভাবে ব্যবহার করবো। চলুন এ বিষয়ে আপনাকে একটু সহজ ভাবে বলি। প্রথমে একটি নারকেল নিতে হবে। সেই নারকেলের সাদা অংশটুকু ভালোভাবে কুরে নিতে হবে। নারিকেল ভালোভাবে কুরা হয়ে গেলে।
সেই সাদা অংশটুকু একটি সুতি কাপড়ে নিয়ে ভালোভাবে চিপে নারিকেলের যে রস অর্থাৎ নারিকেলের দুধ বার করে নিতে হবে। নারিকেলের এই দুধ হাতে নিয়ে ভালোভাবে চুলের গোড়ায় মাসাজ করতে হবে। এতে ছেলেদের চুলের গোড়া হবে মজবুত এবং সহজে ভেঙে যাবে না। সেই সাথে চুল পাবে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এটি আপনি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করলেই ভালো ফলাফল পাবেন।
  • ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আপনি অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার পাতা কেটে সেই পাতা থেকে এলোভেরার জেলটি বার করে নিতে হবে। সেই জেলকে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কমপক্ষে ৪০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এটি আপনি সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন করবেন।
  • অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার জন্য মেথির পেস্ট অনেক উপকারী। আপনি মেথিকে ভালোভাবে গুড়ো করার পর সেই গুড়তে হালকা পানি মিশিয়ে অথবা লেবু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করা হলে সেই তৈরি করা পেস্ট চুলের গোড়ায় এবং চুলে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রাখার পর চুল ধুয়ে নিতে হবে। এইভাবে যদি আপনি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে খুব দ্রুতই চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে।
  • কালোজিরা তেল ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য একটি উপকারী ঘরোয়া উপায়। যে ছেলেদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা আছে তারা চাইলে কালোজিরা ভালোভাবে পিষে বা কুটিয়ে কালোজিরার তেল নিয়মিত চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের গোড়া অনেক মজবুত করে এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • চুল পড়া বন্ধ করার জন্য নিম পাতা অনেক উপকারে আপনি চাইলে নিমপাতা ভালো ভাবে বেটে সেই পেস্টকে আপনার চুলে ব্যবহার করতে পারেন এর সাথে আপনি চাইলে কাঁচা ডিম ও লেবু ব্যবহার করতে পারেন এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে অতিরিক্ত চুল পড়া কমবে এবং চুলকে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও মোলায়েম হবে।

ছেলেদের চুলের যত্নে কী কী করা উচিত

এখন আমি ছেলেদের চলের যত্নে কি কি করা উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ছেলেদের চুলের যত্ন নিতে হলে চুল অনুযায়ী আগে একটি ভালো শ্যাম্পু এবং একটি ভালো তেল বাছাই করতে হবে। এরপর চুলের জন্য বাছাইকৃত তেলটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন হালকা গরম করে মাথায় দিয়ে চুলের গোড়াতে ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে।

ভালোভাবে এই তেল দিয়ে চুলের গোড়া মাসাজ করা হলে চুল ভেতর থেকে শক্ত হয় এবং সহজে চুল ঝরে পড়ে না। গোসল করার সময় বা চুল ধোয়ার সময় অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া উচিত নয়। এতে করে চুল শুকিয়ে যেতে পারে। বাজারে যে কেমিক্যাল যুক্ত হেয়ার প্যাক পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

চুলে কালার করা যাবে না। কারণ চুলে কালার করলে চুল গোড়া থেকে ড্যামেজ হয়ে যাই এবং চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। চুল ও , চুলের ত্বককে সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। চুলে যদি খুশকি বা চুলকানির মত সমস্যা দেখা যায় তাহলে দ্রুত সেটাকে ভালো করতে হবে। এর জন্য কিছু উপায় আছে যে উপায়গুলো উপরে আমি আলোচনা করেছি আপনি চাইলে পড়ে নিতে পারেন।

এছাড়াও চুলের যত্নের জন্য আপনি কিছু পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন। এই পুষ্টিকর খাবারগুলো যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন। তাহলে এগুলোর পুষ্টি গুনাগুন আপনার চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি দেবে এবং আপনার চুল পড়া কমে যাবে। চুলের যত্নে যেসব খাবার খাওয়া যেতে পারে সেগুলো হচ্ছে ডিম, কাঁচা শাকসবজি, মাছ, বাদাম।

এছাড়াও ছেলেদের চুল ওঠার বা চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত চিন্তা করা, ঘুম কম হওয়া এবং ধূমপান করা। তাই ছেলেদের চুলের যত্নে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে অতিরিক্ত চিন্তা করা যাবে না এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। আশা করছি উপরের আলোচনাগুলো পড়ার পর আপনি ছেলেদের চুলের যত্নে কি কি করা উচিত সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

চুলে তেল দিয়ে কতক্ষণ রাখা উচিত

অনেকের প্রশ্ন থাকে যে চুলে তেল দিয়ে কতক্ষণ রাখা উচিত। চুলে সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট তেল দিয়ে রাখলেই চুল তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শোষণ করে থাকে। তবে তিন থেকে চার ঘন্টা যদি চুলে তেল দিয়ে রাখা হয়, তাহলে চুল ভালোভাবে তেলের উপকারিতা শোষণ করতে পারে। আর সব থেকে ভালো ফলাফল পেতে হলে অবশ্যই রাতের বেলায় চুলে তেল দিয়ে সারারাত রাখতে হবে।

চুলে কি দিলে চুল পড়া বন্ধ হয়

অনেকে জানতে চেয়েছেন যে চুলে কি দিলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এটা জানতে হলে আগে আপনাকে জানতে হবে যে চুল কেন পড়ে। চুল পড়ে কারণ চুল তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পায় না এবং মাথার ত্বকে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না। 

মাথার ত্বকে যদি ভালোভাবে রক্ত চলাচল না করতে পারে। তাহলে চুলের গোড়া ড্যামেজ হয়ে যায়, যার ফলে চুল সহজেই ঝরে যায়। তাই আপনাকে প্রথমে চুলের পুষ্টি কিভাবে পাওয়া যায় সেই দিকে নজর দিতে হবে এবং মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল কিভাবে বাড়ে সেই দিকটা দেখতে হবে। চুলের পুষ্টি এবং মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল করার জন্য আপনি কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

যেমন নারিকেল তেল, পেঁয়াজের রস, এলোভেরার জেল, কালোজিরার তেল, রোজমেরী তেল এবং মেথি। এই উপাদানগুলো যদি আপনি আপনার চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে সেগুলো আপনার চুলের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করবে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে। যার কারণে আপনার চুল হবে গোড়া থেকে শক্ত ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

চুলের জন্য উপকারী ভেষজ উপাদান

এখন আমি আপনাদেরকে চুলের জন্য কিছু উপকারী ভেষজ উপাদান সম্পর্কে বলবো। যেগুলো চুলের গোড়াকে মজবুত করার পাশাপাশি চুলকে বড় করতে এবং মাথায় খুশকি দূর করতে ও চুল পড়া বন্ধ করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

আপনি যদি সঠিক নিয়ম মেনে এই ভেষজ উপাদান গুলো আপনার চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এর ফলাফল আপনি আপনার চুলের মধ্যে দেখতে পাবেন। চলুন চুলের জন্য উপকারী ভেষজ উপাদান গুলো কি সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

চুলের জন্য উপকারী ভেষজ উপাদান গুলো হচ্ছে আমলকি, ব্রাহ্মী, এলোভেরা, নিম পাতা, মেথির বীজ, কালোজিরা, রোজমেরী, ল্যাভেন্ডার ও হিবিসকাস ফুল। এই উপাদানগুলো চুলের ভাঙ্গন কমায়, চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও চুলকে বড় করতে ভালো কাজ করে।

কোন ভিটামিন খেলে চুল গজায়

আপনারদের অনেকেরই প্রশ্ন যে কোন ভিটামিন খেলে চুল গজায়। চুল গজাতে মূলত ভিটামিনের প্রয়োজন হয় তবে অনেকেই জানে না যে কোন ভিটামিন খেলে চুল গজাতে সাহায্য করবে বা চুল গজাবে। মাথায় চুল গজানোর জন্য এমন কিছু ভিটামিনের দরকার হয় যে ভিটামিন গুলো চুলের গোড়াকে শক্ত করে এবং অতিরিক্ত চুল পড়া রোধ করে।
ছেলেদের-চুল-পড়া-বন্ধ-করার-তেলের-নাম
সেই সাথে  চুলের গোড়ায় ভালোভাবে রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে এবং চুল গজানোর জন্য কোষ গঠন করতে সাহায্য করে। এখন আমি আপনাদের এমন কিছু ভিটামিনের নাম বলবো যে ভিটামিন গুলো চুল গজাতে সাহায্য করবে। চুল গজাতে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মূলত ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি১২ , ভিটামিন সি , ভিটামিন ই  এবং ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ।
এই ভিটামিন গুলো চুলকে ভেতর থেকে ভালো করে চুলের ড্যামেজ, চুল পড়ে যাওয়া দূর করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে । আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি কোন ভিটামিন খেলে চুল গজায় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্যঃ ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম সম্পর্কে আমি আমার এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি রুক্ষ চুলের জন্য কোন তেল ভালো, ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু এবং চুলের জন্য উপকারী ভেষজ উপাদান সম্পর্কেও আপনাদের জানিয়েছি। আশা করছি আপনি আমার আর্টিকেলটি পড়ার পর ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য কি তেল ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে জানতে পেরেছেন।

আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পর উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করবেন যেন তারাও তাদের চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এ তথ্য জানতে পারে। এছাড়াও আপনার যদি আমার এই আর্টিকেলটি নিয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে অথবা আপনি যদি নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে অবশ্যই আমাদের নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url