লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখনই

লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে এখন আমি আমার এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এর পাশাপাশি ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়ানোর উপায় সম্পর্কেও আপনাদের জানাবো।
লাইটের-পোকা-তাড়ানোর-উপায়
এছাড়াও আপনি যদি ঘর থেকে মুরগির পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। চলুন তাহলে পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায়

লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায়

লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকে আছেন যারা জানতে চেয়েছেন। রাতের বেলায় ঘরের মধ্যে লাইট জ্বললে সেই লাইটের আলোতে অনেক পোকামাকড় ঘরে ঢুকে পড়ে এবং লাইটের চারপাশ ঘিরে ফেলে। যেগুলো ঘরকে অপরিষ্কার এবং গন্ধ জাতীয় পোকা ঘরকে গন্ধ করে দেয়।

এসব পোকার জ্বালায় ঘরের মধ্যে থাকা যায় না। খেতে বসলে খাবারের উপর এই পোকাগুলো পড়ে যায়। এক কথা বলা যায় যে এই পোকা গুলো অনেক সমস্যা করে এবং অনেক বিরক্ত করে শরীরের উপর পড়ে যাই ও ঘরকে নোংরা করে। এর জন্য অনেকেই এই পোকাগুলোকে তাড়ানোর জন্য অনেক রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে। কেউ ভালো ফলাফল পায় আবার কেউ ভালো ফলাফল পায় না।
আবার অনেকেই আছে যারা জানেই না যে এই পোকা কিভাবে তাড়াতে হয়। তাই এখন আমি আমার এই আলোচনার মধ্যে এমন কিছু পদ্ধতি বা উপায় সম্পর্কে বলবো। যে পদ্ধতি গুলো আপনি যদি সঠিক নিয়ম মানেন, তাহলে আপনার ঘর থেকে লাইটের পোকা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সেই উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • পোকা তাড়ানোর জন্য আপনি আপনার বাসায় বা ঘরে হলুদ লাইট জ্বালাতে পারেন। হলুদ লাইটের কারণে ঘরের মধ্যে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হয়। সাদা লাইটের বা নীল লাইটে পোকামাকড় বেশি আকৃষ্ট হয়। যার কারণে ঘরের মধ্যে অনেক পোকামাকড় লাইটের চারপাশে ঘিরে ফেলে। আর হলুদ লাইটের মধ্যে কোন নীল আলোর ছাঁটা থাকে না। যার কারণে এই লাইটে পোকামাকড় আসে না। আপনি লাইটের পোকা কম করার জন্য বাজার থেকে হলুদ লাইট বা বাল্প কিনে নিয়ে আসতে পারেন এবং ঘরে জ্বালাতে পারেন।
  • আপনি লাইটের পোকা কম করার জন্য লবঙ্গ এবং লেবু ব্যবহার করতে পারেন। লবঙ্গ আর লেবুর সুগন্ধ লাইটের পোকা সহ্য করতে পারে না। যার কারণে তারা এই গন্ধ থেকে দূরে দূরে থাকে। এই মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় তবে পোকামাকড়ের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আপনি যদি আপনার ঘরে অথবা লাইটের পাশে একটা লেবু অর্ধেক করে কেটে সেই অর্ধেক লেবুতে ৪ থেকে ৬টা লবঙ্গ গেথে দিতে হবে। এরপর এটা থেকে যে সুগন্ধ বার হবে, সেটা থেকে পোকা অনেক দূরে থাকবে। আপনি চাইলে এই পদ্ধতিটা অবলম্বন করতে পারেন। এটা অনেক কার্যকরী একটি পদ্ধতি।
  • আপনি চাইলে রসুন ব্যবহার করেও লাইটের পোকা তাড়াতে পারবেন। প্রথমে একটি মাঝারি টাইপের মাটির হাড়ি নিতে হবে। সেই হাঁড়িতে চুলা থেকে কিছু আগুন অথবা কয়লা নিতে হবে। এবার এই আগুনের মধ্যে কিছু শুকনো রসুন ফেলে দিতে হবে। এরপর সেটাকে আস্তে আস্তে পোড়াতে হবে এবং সেটা থেকে কিন্তু একটা ধোয়া বার হবে। এই ধোয়া মূলত লাইটের পোকা তাড়াতে সাহায্য করবে। কারণ রসুনের মধ্যে সালফার যৌগ থাকে। রসুনের মধ্যে থাকা এই উপাদানটি লাইটের পোকামাকড় সহ্য করতে পারে না ফলে লাইটের পোকামাকড় দূরে থাকে।
  • এছাড়াও আপনি চাইলে নিম পাতা ব্যবহার করেও লাইটের পোকা দূর করতে পারবেন। নিমের পাতা মূলত পোকামাকড় দূর করার একটি প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে পরিচিত। নিম পাতার মধ্যে থাকে প্রাকৃতিক আজাদীরাক্টিন। এই উপাদানটি লাইটের পোকা দূর করতে সাহায্য করে। এই পাতাকেও আপনি আগুনের মধ্যে পুড়িয়ে পোকামাকড় দূর করতে পারবেন। নিম পাতার ধোঁয়া আপনি সন্ধ্যাবেলায় অথবা রাতে দরজার সামনে অথবা লাইটের আশেপাশে রেখে দিতে পারেন এতে লাইটের পোকা আসবে না।
  • লাইটের পোকা দূর করার জন্য তুলসী পাতা অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে। সন্ধ্যা বেলায় লাইট দেওয়ার সাথে সাথেই লাইটের পোকা ঘরে চলে আসে। এ সময় যদি তুলসীর পাতা দরজা বা জানালার পাশে রাখা হয়। তাহলে লাইটের পোকা আসতে পারে না। কারণ তুলসী পাতার তীব্র গন্ধ পোকামাকড় সহ্য করতে পারে না। তাই আপনি চাইলে আপনার বাড়ির দরজা অথবা জানালার সামনে তুলসী পাতার গাছ লাগাতে পারেন অথবা একটি টবে তুলসী পাতার গাছ লাগিয়ে সেই টপ লাইটের নিচে রেখে দিতে পারেন।
  • পেঁয়াজের রস দিয়ে লাইটের পোকামাকড় দূর করা যায়। পেঁয়াজের রসের তীব্র গন্ধ পোকা নিতে পারে না। যার কারণে পেঁয়াজের রসের গন্ধ যেখানে থাকে সেখান থেকে দূরে থাকে এই পোকামাকড়। আপনি চাইলে সন্ধ্যা বেলায় বা রাতে লাইট দেওয়ার পর লাইটের আশেপাশে পেঁয়াজের রস স্প্রে করতে পারেন। এতে লাইটের পোকামাকড়ের উপদ্রব কমবে।
  • আপনি চাইলে মশার কয়েল জ্বালিয়েও এই পোকা দূর করতে পারবেন। মশার কোয়েলের বিষাক্ত গন্ধ পোকামাকড় কে দূরে রাখতে সাহায্য করে। সন্ধ্যাবেলায় যদি মশার কয়েল ঘরে অথবা লাইট এর আশেপাশে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে লাইটের আশেপাশেও পোকামাকড় আসতে পারে না। তাই পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য এটি একটি ভালো উপায় হতে পারে। তবে এটা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো না।
  • লাইটের পোকা যেন কম হয় তার জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার বাড়ির পাসগুলা ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ বাড়ির আশপাশগুলা যদি ভালোভাবে পরিষ্কার না থাকে তাহলে সেখানে অনেক পোকামাকড় জন্ম নিতে পারে। যার কারণে রাতে বা সন্ধ্যা বেলায় যদি ঘরে বা বাড়িতে লাইট জলে, তাহলে তারা দ্রুত সেই লাইটের আকর্ষণে রুমে অথবা বাড়িতে চলে আসবে। তাই বাড়ি ঘরের চারপাশ ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • যেখানে লাইট জ্বলবে তার আশেপাশে আপনি লেবুর রস করে সেটাতে পানি মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। এতে করে লাইটের আশেপাশে পোকা আসবে না।

ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়ানোর উপায়

এখন আমি এমন কিছু উপায় সম্পর্কে আপনাদের বলবো যে উপায়গুলো জানার পর আপনি আপনার ঘর থেকে পোকামাকড় খুব সহজেই তাড়াতে পারবেন। চলুন তাহলে ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়ানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য আপনি চাইলে পাখির বাসা আপনার ঘরের পাশে বানাতে পারেন। আপনি যদি পাখির বাসা আপনার ঘরের পাশে অথবা বাড়িতে বানাতে পারেন। তাহলে সেখানে থাকা পাখিগুলো আপনার ঘরের এবং বাড়ির যত পোকামাকড় থাকবে সেগুলোকে তারা সহজেই খেয়ে ফেলবে। এতে করে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হবে আপনার ঘরে ও বাড়িতে। তাই পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য একটি ভালো উপায় হতে পারে পাখির বাসা আপনার ঘরের পাশে বানানো।

আপনার ঘরে যদি তেলাপোকা ও পিঁপড়া বেশি হয় বা আসে। তাহলে আপনি বোরিক পাউডার এবং লবণ ব্যবহার করতে পারেন। যে জায়গায় তেলাপোকার ও পিপড়ার উপদ্রব বেশি সেই জায়গায় যদি আপনি লবণ ও বোরিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে পারেন তাহলে সেখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি পিঁপড়া ও তেলাপোকা মরবে এবং পালিয়ে যাবে। ঘর থেকে তেলাপোকা ও পিঁপড়া, তাড়ানোর জন্য বোরিং পাউডার এবং লবণ অনেক কার্যকরী।

মশা এবং ছোট পোকামাকড় কে তাড়ানোর জন্য আপনি শুকনো মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি আপনার ঘরের মধ্যে শুকনো মরিচের গুঁড়া পোড়াতে পারেন। তাহলে এর গন্ধ আপনার ঘরের মশা এবং ছোটখাটো পোকামাকড়কে দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনি চাইলে তুলসী পাতার রস অথবা নিম পাতার রস আপনার ঘরে স্প্রে করতে পারেন। এর তীব্র গন্ধ মশা এবং ছোটখাটো পোকামাকড় সহ্য করতে পারে না। ফলে আপনার ঘর থেকে পোকামাকড় ও মশা দূরে থাকে।

আপনার ঘরের মাছি তাড়ানোর জন্য আপনি লেবু ও লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। লেবু ও লবঙ্গ যদি আপনি মাছে তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করেন তাহলে এটা থেকে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন। কারণ লেবু ও লবঙ্গের যে প্রাকৃতিক তীব্র গন্ধ আছে এটা মাছি সহ্য করতে পারে না। আপনি একটি লেবু অর্ধেক করে কেটে সেই অর্ধেক লেবুতে ৪ থেকে ৫টা লবঙ্গ পুতে দিবেন। এর ফলে যে গন্ধটা বার হবে এই গন্ধের কারণে মাছি ঘর থেকে পালিয়ে যাবে।

ঘরের ছারপোকা দেখা দিলে আপনি ঘরোয়া উপায় হিসেবে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস এ ছারপোকা দূরে থাকে। আপনি একটি বোতলে লেবুর রস এবং পানি মিশিয়ে ছারপোকার স্থানে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। এইভাবে নিয়মিত স্প্রে করলে ঘর থেকে ছারপোকা আস্তে আস্তে কমে যাবে এবং একটা সময় এগুলো ঘর থেকে হারিয়ে যাবে। আপনার যদি ঘরে ছারপোকা হয়ে থাকে তাহলে আপনি এটা ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরের পোকামাকড় তাড়ানো বা মারার জন্য আপনি স্প্রে ইনসেক্টিসাইডের একটি কীটনাশক এর বোতল বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসতে পারেন। এটি যদি আপনি মশা মাছি তেলাপোকা ও অন্যান্য সব পোকামাকড়ের ওপর আপনি স্প্রে করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এই পোকা গুলো মারা যাবে।এটা মূলত যাদের ঘরে বেশি তেলাপোকা ও মাছি বেশি থাকে তাদের জন্য অনেক উপকারী। অবশ্যই এটি রুমে স্প্রে করার পর রুমে ২০ থেকে ৩০ মিনিট প্রবেশ করা যাবে না। এর রাসায়নিক ক্ষতিকর প্রভাব মানুষের শরীরের উপর ও পরে।

আপনি চাইলে চুন অথবা ব্লিচিং পাউডার পানিতে মিশিয়ে আপনার রুমে স্প্রে করতে পারেন অথবা এই পাউডার গুলো আপনি আপনার ঘরের যেখানে পোকামাকড়ের আস্তানা সেখানে ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতে পোকামাকড়কে মেরে ফেলে তার সাথে পোকামাকড় জন্ম নেওয়ার ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস করে।

বিছানার পোকা দূর করার উপায়

এতক্ষণ আমরা জানলাম লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায় এবং ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে। এবার আমরা জানবো বিছানার পোকা দূর করার উপায় সম্পর্কে। বর্তমানে অনেকেরও বিছানায় পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। যে পোকামাকড় গুলো সাধারণত রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় বার হয়ে আসে এসে শরীরে কামড় দেয় এবং রক্ত চুষে খায়।

এই পোকা গুলো সাধারণত বিছানার চাদরে, বালিশে, গদিতে বা তোসকে, খাটের ফাঁকে অথবা পর্দায় বাসা বাঁধে। বিছানায় বেশিরভাগ ছারপোকার উপদ্রব বেশি হয়ে থাকে। ছারপোকা অনেক বিষাক্ত, বিছানার এই পোকা দূর করার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা যায়। সেই উপায়গুলো এখন আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত বলবো। আপনার বিছানায় যদি পোকা হয় বিশেষ করে ছারপোকা বা ছারপোকার ডিম বা বাচ্চা থাকে।

তাহলে প্রথমে আপনাকে আপনার ঘরের অর্থাৎ আপনার বিছানার চাদর, বালিশ, কোলবালিশ ও ক্যাথা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালোভাবে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ফেলার পর এই কাপড় গুলোকে প্রচন্ড রোদে মেলে দিতে হবে সেই সাথে বিছানার তোষক অর্থাৎ গদি রোদে দিতে হবে। এতে করে বিছানা পোকা থাকলে সেগুলো রোদের তাপে এবং গরম পানিতে মরে যাবে। আপনি চাইলে আপনার বিছানার পোকা মারার জন্য গরম স্টিম মেশিন চালাতে পারেন।

বিছানার উপরে যদি এই গরম হাওয়ার তাপ দেওয়া যায় তাহলে সেই তাপ বিছানার পোকা এবং পোকার ডিম ধ্বংস করবে। আপনি বিছানার পোকা দূর করার জন্য লবঙ্গ বা লেবেনডারে তেল পানির সাথে মিশিয়ে বিছানায় স্প্রে করতে পারেন। লবঙ্গ বা লেভেন্ডারের তেলের তীব্র গন্ধ বিছানার পোকা সহ্য করতে পারে না ফলে এটি যদি স্প্রে করা হয় তাহলে বিছানা থেকে পোকা দূর হয়ে যায়। আপনার বিছানায় যদি ছারপোকার উপদ্রব বেশি হয়। তাহলে আপনি বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। খাটের চারপাশে অথবা বিছানার গদির চারদিকে।

এই বেকিং সোডা মূলত বিছানার পোকা গুলো শরীরকে শুকিয়ে মেরে ফেলে। ফলে বিছানায় পোকা থাকে না। এছাড়াও আপনি চাইলে বাজার থেকে বিছানার পোকা মারার জন্য বিভিন্ন কেমিক্যাল বা স্প্রে কিনে নিয়ে আসতে পারেন। বাজারে এমন কিছু স্প্রে পাওয়া যায় যেগুলো বিছানার পোকাগুলোকে খুব সহজে মেরে ফেলতে পারে। স্প্রে ব্যবহার করার পর ঘরের মধ্যে আধা ঘন্টা প্রবেশ করা যাবে না। কারণ এটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই স্প্রে করার আধা ঘন্টা পর ঘরে প্রবেশ করা ভালো।

এছাড়াও ছারপোকা দূর করার জন্য বাজারে একটা পাউডার পাওয়া যায়। এই পাউডার যদি বিছানা চারপাশে ছিটানো যায় তাহলে বিছানার পোকা গুলো মরে যাই। আপনার বিছানে যদি পোকার উপদ্রব হয় তাহলে আপনি উপরের এই উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারেন। তবে যাদের এখনও বিছানায় পোকা হয়নি তাদের উচিত হবে নিয়মিত বিছানার চাদর কোলবালিশ এবং তোষক রোদে দেওয়া এতে বিছানায় পোকামাকড় কম হয় বা হওয়ার চান্স খুব কম থাকে।

বাথরুমের পোকা তাড়ানোর উপায়

অনেকেই বাথরুমের পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই এখন আমি এমন কিছু উপায় আপনাদেরকে বলব যে উপায়গুলো আপনারা জানার পর খুব সহজে আপনি আপনার বাথরুমের পোকা দূর করতে পারবেন। চলুন সেই উপায়গুলো জেনে নিই। আপনি আপনার বাথরুমের কমোডে এবং ড্রেনে মাঝে মধ্যে প্রচন্ড গরম পানি ঢালবেন।

আপনি যখন প্রচন্ড গরম পানি আপনার ড্রেনের ঢালবেন তখন আপনার কমোডেও ড্রেনে থাকা পোকা এবং পোকার ডিম ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি আপনার বাথরুমের পোকা তাড়ানোর জন্য বেকিং সোডা ও ভিনেগার একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। এতে বাথরুমের পোকা দূর করার জন্য আপনি ভালো ফলাফল পাবেন। প্রথমে আপনি বেকিং সোডা এবং ভিনেগার নিবেন।
এই দুইটা উপাদানকে ভালোভাবে মিক্স করে আপনি আপনার বাথরুমের ড্রেন এবং কমোটে ছিটিয়ে দিবেন। এগুলো ভালোভাবে ছিটানোর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আপনি গরম পানি ঢালবেন। এতে করে আপনার বাথরুমে ড্রেনে এবং কমোডে থাকা  জীবাণু ও পোকা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং আপনার বাথরুম থাকবে পরিষ্কার। এটি আপনি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

এছাড়াও আপনি আপনার বাথরুমে পোকা তাড়ানোর জন্য লেবুর রস অথবা লবণ পানি ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস এবং লবণ পানি যদি আপনি বাথরুমের ড্রেনে এবং কমডে ঢালেন। তাহলে এগুলো আপনার  বাথরুমকে পোকামাকড় থেকে দূরে রাখবে। এছাড়াও আপনি লবণ এবং লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে আপনার বাথরুমে স্প্রে করতে পারেন। স্প্রে করলে মশা মাছি আপনার বাথরুমে থাকবে না।

আপনি বাথরুমে নিমপাতা অথবা নিম পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আপনি যদি নিম পাতার রস বাথরুমের ট্রেনে এবং কমোডে ঢালেন এবং এই রস দিয়ে যদি আপনি আপনার বাথরুমে স্প্রে করেন। তাহলে এগুলো আপনার বাথরুমের পোকাগুলোকে তাড়াতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও আপনি বাথরুমের পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য বাজার থেকে ব্লিচ অথবা ফিনাইল কিনে নিয়ে আসতে পারেন। এগুলো অনেক শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান। এগুলো যদি আপনি আপনার বাথরুমে ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার বাথরুম থাকবে জীবাণু ও পোকামাকড় মুক্ত। আপনার বাথরুমের পোকার ডিম নষ্ট করার জন্য এবং বাথরুমে দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

ঘর থেকে মুরগির পোকা তাড়ানোর উপায়

মুরগির পোকা শুধুমাত্র যে মুরগির জন্য ক্ষতিকর তা কিন্তু না এটা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। মুরগির পোকা সাধারণত মুরগির শরীরে, মুরগির খোপে এবং আশেপাশের পরিবেশে উৎপন্ন হয় বা থাকে। এই পোকাগুলো মুরগির শরীরের রক্ত চুষে দুর্বল করে দেয় এমনকি মুরগি মারাও যায়। 

মাঝে মধ্যে এই পোকা গুলো ঘরের মধ্যেও প্রবেশ করে এবং মানুষের শরীরে কামড় দেয়। যা অস্বস্তিকর বা বিরক্তিকর। এই পোকা ঘর থেকে তাড়ানোর জন্য নিচে কিছু উপায় সম্পর্কে আপনাদের বলবো। চলুন এই উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আপনার যদি বাড়িতে মুরগির থাকে তাহলে গরম পানি ও সাবান দিয়ে আগে মুরগির খোপ বা খাজা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

এভাবে যদি মুরগির খাঁচা ধোয়া হয় তাহলে খাঁচাতে থাকা এই পোকাগুলো মরে যাবে এবং এর ডিম নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি আপনার ঘরের বিছানার চাদর তোষক ও বালিশ গুলোকে রোধে শুকাতে দিতে পারেন এতে এই পোকাগুলো মরে যাবে। এছাড়াও আপনি নিম পাতার স্প্রে আপনার ঘরে করতে পারেন অথবা মুরগির ঘরে করতে পারেন।

এতে ঘর থেকে মুরগির পোকা পালিয়ে যাবে। এই ঘরোয়া উপায়ে যদি মুরগির প্রকার উপদ্রব কম না হয় তাহলে আপনি বাজার থেকে পারমেথরিন স্প্রে কিনে নিয়ে আসতে পারেন। এই স্প্রে যদি ঘরে করা হয় তাহলে মুরগির পোকা মরে যাবে এবং পালিয়ে যাবে। আশা করছি উপরোক্তা আলোচনা থেকে আপনি ঘর থেকে মুরগির পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

শুয়োপোকা তাড়ানোর উপায়

শুয়োপোকা সাধারণত গাছপালা, সবজি ও সুজিনা গাছে বেশি হয়ে থাকে। এগুলো গাছের পাতার এবং গাছের ক্ষতি করে থাকে। এগুলো গাছে থাকার পাশাপাশি বাড়ির দেয়ালেও বাসা বাঁধে এগুলোকে তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে অনেকেই আপনারা জানতে চেয়েছেন। চলুন এগুলোকে কিভাবে আপনি ঘরোয়া উপায়ে তাড়াবেন সেই উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

শুয়োপোকা তাড়ানোর জন্য আপনি নিম পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা সাধারণত কীটনাশক হিসেবে কাজ করে। নিম পাতার রস শুয়োপোকা সহ্য করতে পারে না। আপনি যদি নিম পাতার রস শুঁয়োপোকার ওপর স্প্রে করেন। তাহলে শুয়োপোকা দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করবে এবং মরবে। এছাড়াও আপনি রসুনকে ভালোভাবে রস করে।

সেই রস পানির সাথে মিশিয়ে শুঁয়োপোকা যে স্থানে আছে সে স্থানগুলোতে স্প্রে করতে পারেন। এতে করে এই পোকা তাড়ানো সম্ভব। আপনি লবঙ্গ এবং মরিচের গুঁড়া পানির সাথে মিশিয়ে শুয়োপোকার ওপর স্প্রে করতে পারেন। এইভাবে যদি পোকা গুলোর উপর মাঝেমধ্যে স্প্রে করা হয়। তাহলে এগুলো দ্রুত পালিয়ে যাবে। আপনি শুয়োপোকার ওপর ছাই ছিটাতে পারেন। ছাই ছেটালে শুয়োপোকা দূরে থাকে।

এছাড়াও আমি আপনাকে এমন একটি পদ্ধতি বলবো। যেটা একটু সাবধানতার সাথে আপনাকে করতে হবে। যে স্থানে শুঁয়োপোকা হয়েছে সেই স্থানে আপনি আগুন দিতে পারেন। আগুন দিলে পোকা গুলো খুব সহজেই মরে যাবে এবং সেই স্থানে আর হবে না। এই ঘরোয়া উপায় গুলো ছাড়াও আপনি বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক কেমিক্যাল ক্রয় করে নিয়ে আসতে পারেন। এই কেমিক্যাল গুলো যদি আপনি ব্যবহার করেন, তাহলে দ্রুত এই পোকাগুলো মরবে এবং সেই স্থানগুলোতে সহজে আসবেনা।

উনকি পোকা তাড়ানোর উপায়

উনকি পোকা সাধারণত রান্নাঘরে বেশি দেখা যায় যেটাকে তেলাপোকা নামে অনেকে জানে। এই পোকা শুধুই যে রান্নাঘরে বাসা বাঁধে তা কিন্তু না। এটা রান্না ঘরের পাশাপাশি বাথরুম এবং অন্ধকার ও অপরিষ্কার জায়গাতে বসবাস করে। এই পোকা তাড়াতে হলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে এ পোকা আসলে বাসা বেধেছে কোথায়।

যদি রান্নাঘরে বাসা বেধে থাকে, তাহলে প্রথমে আপনাকে রান্নাঘর ভালোভাবে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এরপর উনকি পোকা কোন কোন স্থানে থাকে বা আছে। সে স্থানগুলোতে বরিক পাউডার আর চিনি একসাথে মিশিয়ে সেই স্থানগুলোতে একটু কাগজে করে রেখে দিতে হবে। এতে করে উনকি পোকা গুলো চিনি খেতে আসবে এবং চিনির সাথে মিশে থাকা বোরিক পাউডার খেয়ে তেলাপোকা মারা যাবে।

এছাড়াও আপনি তেলাপোকা তাড়ানোর জন্য রান্না ঘরে লবঙ্গ এবং লেবুর রস রাখতে পারেন অথবা ছিটাতে পারেন। রান্না ঘরে যদি লেবুর রস আর লবঙ্গ থাকে। তাহলে সেখানে উনকি পোকা আসে না। আপনি চাইলে শসার খোসা রান্নাঘরে রাখতে পারেন। শসা খোসা রান্নাঘরে রাখলে তেলাপোকা দূরে থাকে।

এছাড়াও আপনি তেলাপোকা তাড়াতে নিমপাতা বা নিম পাতার রস দিয়ে স্প্রে করতে পারেন। এইভাবে তেলাপোকার স্থানগুলোতে যদি স্প্রে করা হয়, তাহলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। উপরে আমি যে উপায়গুলো বললাম এগুলো আপনি যেখানেই তেলাপোকা বাসা বাঁধবে সেখানেই এই উপায়গুলো বা পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করবেন। তাহলে তেলাপোকা পালিয়ে যাবে।

FAQ/পোকা তাড়ানো নিয়ে কিছু আলোচিত প্রশ্নের উত্তর

এখন আমি আপনাদেরকে পোকা তাড়ানো নিয়ে কিছু আলোচিত প্রশ্নের উত্তর জানাবো। তাই দেরি না করে চলুন সেই আলোচিত প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নেওয়া যাক।

ঘরের পোকা দূর করার উপায়?

উত্তরঃ আপনার ঘরে যদি পোকার উপদ্রব হয়, তাহলে সেই পোকা গুলোকে দূর করার জন্য আপনাকে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এবং তাতেও যদি কোন কাজ না হয়। তাহলে আপনাকে বাজার থেকে কীটনাশক কিনে নিয়ে আসতে হবে।  ঘরের পোকা দূর করার জন্য আপনি লেবু ও লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি নিম পাতার রস, ভিনেগার, লেবুর রস এবং বরিক পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোই মূলত পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়।

কোন রংয়ের বাল্ব পোকা দূর করে?

উত্তরঃ সাদা বাল্ব এবং নীল রঙের বাল্প মূলত প্রকাশে আকর্ষণ করে। কিন্তু হলুদ রঙের বাল্প পোকা আকর্ষণ করে না যার কারণে পোকা থাকে দূরে। হলুদ রং এর লাইট পোকাদের পছন্দ না তাই তারা এই লাইটের থেকে দূরে থাকে। তাই বলা যায় হলুদ রঙের বাল্প পোকা দূর করতে সাহায্য করে।

কোন গন্ধে পোকা দূর হয়?

উত্তরঃ এমন অনেক প্রাকৃতিক গন্ধ আছে যেগুলো পোকা দূর করতে সাহায্য করে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লেবু ও লবঙ্গের গন্ধ, এছাড়াও আরো প্রাকৃতিক গন্ধ আছে যেমন তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, নিমপাতা, মরিচের গুঁড়ো, শসার খোসা এগুলোর গন্ধ পোকামাকড় নিতে পারে না। এগুলো যদি ঘরে বা বাড়িতে ব্যবহার বা স্প্রে করা হয় তাহলে পোকামাকড় দূরে থাকে।

ধোয়া কি পোকা দূর করে?

উত্তরঃ ধোয়া পোকা কে দূর করে। কারণ ধোয়ার তীব্র গন্ধ এবং কার্বন উপাদান গুলো পোকাদের নিঃশ্বাস নিতে দেয় না। ধোঁয়ার মধ্যে এমন কিছু বিষাক্ত উপাদান আছে যেগুলো পোকাদের মেরে ফেলে। তাই ধোয়া যখন হয় তখন এইসব পোকা গুলো সেই স্থান ত্যাগ করে এবং সেখান থেকে দূর হয়ে যায়।

ভিনেগার কি পোকা দূর করতে পারে?

উত্তরঃ ভিনেগার তেলাপোকা, গুনগুনি পোকা, মাছি ও পিপড়া দূর করতে অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে। ভিনেগারের তীব্র গন্ধ অনেক পোকা আছে যারা সহ্য করতে পারে না। আর এই সহ্য না করতে পারার কারণে তারা ভিনেগারের গন্ধ থেকে দূরে থাকে বা পালিয়ে যায়। তাই বলা যায় যে ভিনেগার পোকা দূর করতে পারে।

কেরা পোকা দমনের উপায়

এখন আমি কেরা পোকা দমনের উপায় সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। কেরা পোকা সাধারণত আটাতে, চিনিতে, ডালে এবং চালে হয়ে থাকে। এই পোকা সাধারণত ময়লা ও পানি জমে থাকা নোংরা স্থানে জন্মায়। এই পোকা দমন করতে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যেগুলো ভালো কাজে দিবে।
লাইটের-পোকা-তাড়ানোর-উপায়
সে উপায়গুলো হচ্ছে সব সময় রান্নাঘর বা বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। যেহেতু এই পোকাগুলো নোংরা ও অপরিষ্কার জাগাতে জন্মায়। তাই আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে। এরপর এই পোকা যেখানে দেখা দিবে সেই স্থানে ভিনেগার অথবা আপনি চাইলে লেবুর রস স্প্রে করতে পারেন। এতে করে এই পোকা গুলো দূরে থাকবে।

এছাড়াও আপনি নিমপাতা বা নিম পাতার রস সেই স্থানগুলোতে ছিটাতে পারেন। নিম পাতার রসের গন্ধ এই পোকা গুলো নিতে পারেনা। ফলে তারা সেই স্থান ত্যাগ করে এবং পালিয়ে যায় এবং কি মারা যায়। আপনি চাইলে বেকিং পাউডার অথবা চুন সেই পোকা গুলোর উপর ছিটিয়ে দিতে পারেন।
এতে করে সেই পোকা গুলো শুকিয়ে মারা যাবে। এছাড়াও আপনি বাজার থেকে কেরা পোকা দমন করার কিছু রাসায়নিক উপাদান কিনে নিয়ে আসতে পারেন এইগুলো ব্যবহার করলে কেরা পোকা দ্রুত দমন হবে। আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি কেরা পোকা দমনের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্যঃ লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায়

লাইটের পোকা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আমি আমার আর্টিকেল এর মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এর পাশাপাশি আমি আপনাদের ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়ানোর উপায় গুলো সম্পর্কেও জানিয়েছি। আশা করছি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি লাইটের প্রকার কিভাবে তাড়াতে হয় সেই সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।

আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন। এছাড়াও আমারে আর্টিকেলটি নিয়ে যদি আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে অথবা আপনি যদি অন্য কোন বিষয় সম্পর্কে তথ্য জানতে চান? তাহলে আমাদের নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url