আসল পিংক সল্ট চেনার উপায় মাত্র ৭ ধাপে
আসল পিংক সল্ট চেনার উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই আছেন জানতে চান। তাই এখন আমি
এই আর্টিকেলের মধ্যে পিংক সল্ট চেনা সহ পিংক সল্ট অপকারিতা, পিংক সল্ট এর
উপকারিতা, পিংক সল্ট এর দাম এবং পিংক সল্ট কোথায় পাওয়া যায় এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আপনি যদি হিমালয়ান পিংক সল্ট বাংলাদেশ দাম সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই
আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পিংক সল্ট
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য।
পেজ সুচিপত্রঃ আসল পিংক সল্ট চেনার উপায়
- আসল পিংক সল্ট চেনার উপায়
- পিংক সল্ট এর উপকারিতা
- পিংক সল্ট অপকারিতা
- হিমালয়ান পিংক সল্ট খাওয়ার উপকারিতা
- FAQ/পিংক সল্ট সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- পিংক সল্ট এর কাজ কি
- পিংক সল্ট খাওয়ার নিয়ম
- পিংক সল্ট খেলে কি প্রেসার বাড়ে
- পিংক সল্ট এর দাম
- পিংক সল্ট কোথায় পাওয়া যায়
- FAQ/পিংক সল্ট খাওয়া সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ আসল পিংক সল্ট চেনার উপায়
আসল পিংক সল্ট চেনার উপায়
আসল পিংক সল্ট চেনার উপায় সম্পর্কে এখন আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত
বলবো। কারণ বর্তমান বাজারে অনেক ভেজাল যুক্ত সল্ট আছে। যেগুলো আসল পিংক
সল্ট বলে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে। যেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই
আপনি যদি পিংক সল্ট আসল চিনতে পারেন তাহলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হবে
এবং আপনি এটি থেকে ভালো উপকার পাবেন। তাহলে চলুন কিভাবে আপনি এই পিংক সল্ট চিনতে
পারবেন সেই উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
-
আসল পিংক সল্ট চিন্তে হলে প্রথমে আপনাকে তার রংয়ের দিকে খেয়াল করতে
হবে। যেটা আসল পিংক সল্ট সেটার কালার দেখেই আপনি চিনে ফেলতে পারবেন যে
এটা আসল নাকি নকল। আসল যেটা হবে সেটার রং হবে গোলাপি এটা হালকা গোলাপি ও হতে
পারে, মাঝে মাঝে এর রং হালকা কমলা রংয়ের হয় এবং সাদা রংয়ের দানা থাকে। এর
দানা গুলো ছোট বড় থাকে ভাঙ্গা পাথরের মত দেখতে এবং এর রং অনেক ঝকঝক করে।
দেখেই বুঝা যাবে যে এটা আসল পিংক সল্ট।
-
এমনকি আপনি এটার স্বাদ নিয়েও বুঝতে পারবেন যে এটা আসল নাকি নকল। আপনি প্রথমে
একটু এই লবণ মুখে নিয়ে দেখবেন। এটা কিন্তু সাধারণ লবনের মত
অনেক তীব্র হয় না। এটা যখন আপনি মুখে দিবেন তখন এটা থেকে আপনি
একটা মাটির মতো গন্ধ পাবেন। এটা মুখে দেওয়ার পর আপনি হালকা মিষ্টি ভাবও পেতে
পারেন। মুখে দেওয়ার পর যদি লবণের টেস্ট বা স্বাদ এরকম পান তাহলে
বুঝে নিবেন এটা আসল পিংক সল্ট।
- আপনি এটা পানিতে মিশিয়েও আসল কি নকল দেখে নিতে পারবেন কিভাবে চলুন সেটা বলি। প্রথমে আপনি এই পিংক সল্ট পানিতে দিবেন। পানিতে দেবার পর সেটা যদি খুব দ্রুত পানির সাথে মিশে যায়, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে এটা নকল পিংক সল্ট। কারণ আসল যদি হতো তাহলে সেটা অনেক আস্তে আস্তে পানির সাথে মিস্তো এবং পানিটাও হালকা গোলাপি রঙের হয়ে যেতো।
-
এছাড়াও আপনি এই পিংক সল্ট এটা কাচের গ্লাসে বা জগে পরিষ্কার পানি নিয়ে সেই
পানিতে একটু দিতে পারেন। এতে যদি জগের নিচে বা গ্লাসের নিচে সাদা আবরণ অর্থাৎ
ধূসর টাইপের দাগ পরে এবং পানির উপর কিছু উপাদান ভেসে থাকে। তাহলে বুঝে
নিতে হবে যে সেটা আসল পিংক সল্ট না। আসল হলে সেটা ভালোভাবে পানির সাথে মিক্স
হয়ে যাবে এবং পানিতে কোন উপাদান ভাসবে না।
- আসল পিংক সল্ট কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে ভালোভাবে দেখে নিবেন, যে সেখানে উৎপাদন স্থান কোথায় দেওয়া আছে। সেখানে যদি পাকিস্তান দেওয়া থাকে তাহলে সেটা আসল। কারণ আসল পিংক সল্ট পাকিস্তানের খেওড়া লবণ কারখানা থেকে উৎপাদন করা হয়। সেখান থেকেই মূলত আসল পিংক সল্ট সব জায়গায় রপ্তানি করা হয়। তাই প্যাকেটের গায়ে যদি অরজিনাল পাকিস্তান, হিমালয়ান লবণ অথবা কেওড়া লেখা থাকে তাহলে সেটা আসল।
- আপনি এই পিংক সল্ট আসল কিনা চুম্বক দিয়েও পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। সাধারণত যেটা আসল পিংক সল্ট হয় সেটার মধ্যে কোন ধাতু পদার্থ থাকে না। আপনি যদি এই লবণে চুম্বক দেওয়ার পর সেই লবণ চুম্বুকে লেগে যায় বা টান দেয় তাহলে বুঝে নিবেন এটা আসল না এটাতে ধাতব উপাদান মিশানো হয়েছে। কারণ যেটা আসল সেটা চুম্বুকে লাগবে না এবং চুম্বকে কোন টান দিবে না।
- যেটা আসল পিংক সল্ট সেটা সাধারণত বাজারে মূল্য অনেক বেশি থাকে। বাজারে যদি আপনি দেখেন যে এই পিংক সল্ট অনেক কম দামে বা অনেক সস্তায় বিক্রি হচ্ছে। তাহলে সেটা কেনার সময় একটু সাবধান থাকবেন। কারণ এটার দাম সবসময় অনেক বেশি থাকে। তাই এটি কিনার আগে অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই করবেন তারপর কিনবেন।
- যদি বাজারে আপনি পিংক সল্ট কিনতে যান আর সেটার রঙ যদি অনেক বেশি চকচকে থাকে মানে কৃত্রিম গোলাপি রং মনে হয় তাহলে সেটা আসল লবণ না এটা ভেজাল যুক্ত নকল।
- অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা চিনির দানা কে বিভিন্ন রাসায়নিক রং দিয়ে গোলাপি কালার করা হয় যেটাকে পিংক সল্ট বলে বাজারে বিক্রি করা হয়। তাই এটি কেনার পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে দেখে কিনবেন যে সেটা আসলে কি কৃত্রিম উপায় তৈরি কিনা।
- আপনি আরও একটি পদ্ধতিতে আসল পিংক সল্ট পরীক্ষা করে নিতে পারবেন সে উপায়টি হচ্ছে এটিকে আপনি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেখতে পারেন। আগুন দিয়ে জ্বালানোর পর যদি আপনি দেখেন যে সেটা পুড়ে যাচ্ছে অনেক সহজেই তাহলে বুঝে নিতে হবে যে এটা নকল। আর যদি দেখেন যে সেটা পুড়ছে না বা সহজেই গলছে না তাহলে বুঝে নিতে হবে যে সেটা আসল পিংক সল্ট।
- এছাড়াও আপনি এটি কিনার সময় অবশ্যই আপনার পরিচিত কোন দোকানদারের কাছে এটি কিনবেন তাহলে আপনি আসল পিংক সল্ট পাবেন।
আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি আসল পিংক সল্ট চেনার উপায় সম্পর্কে
ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। অবশ্যই বাজারে এই পিংক সল্ট কেনার সময়
উপরের উপায় গুলো মেনে এবং দেখে কিনবেন।
পিংক সল্ট এর উপকারিতা
পিংক সল্ট এর উপকারিতা সম্পর্কে এই মুহূর্তে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা
করবো। পিংক সল্ট পাকিস্তানে উৎপাদন করা হয় এবং সেখান থেকেই সারা দেশে এটি
রপ্তানি করা হয়। এই লবণের মধ্যে প্রায় ৮৪ টি খনিজ উপাদান থাকে। এটা দেহের
এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এর উপকারিতা গুলো সম্পর্কে নিচে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- পিংক সল্টের মধ্যে অনেক খনিজ উপাদান থাকে যার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও সোডিয়াম। যেগুলো শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। এ কথা বলা যায় যে পিংক সল্ট যদি নিয়ম মেনে খাওয়া হয়। তাহলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে।
-
এটা শরীরের মধ্যে পানির ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরের মধ্যে যদি
পানির ঘাটতি থাকে তাহলে সেই পানির ঘাট থেকে পূরণ করতে সাহায্য করে।
-
এই লবণের মধ্যে সাধারণ লবণের মতো অনেক বেশি পরিমাণে সোডিয়াম থাকে না। যার
কারণে এটা যদি পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়া হয়, তাহলে সেটা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে
দেয়। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা নিয়মিত পরিমাণ অনুযায়ী এটি খেতে
পারেন, তাহলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
-
এই লবণ যদি পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়া হয়, তাহলে এর মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম
এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান গুলো শরীরের ক্লান্তী দূর করে এবং মনে
দেয় শান্তি। তাই যারা অতিরিক্ত ডিপ্রেশনে বা চিন্তায় অথবা মানসিক চাপে
ভোগেন। তারা এটি নিয়মিত পরিমান অনুযায়ী খেতে পারেন এতে মানসিক চাপ
অনেকটাই কমে যাবে।
- পিংক সল্ট যদি আপনি গরম পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। তাহলে সেটা আপনার শরীরের মধ্যে থাকা টক্সিন বার করে দেয় এবং শরীরকে পরিষ্কার রাখে। যেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
- গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হওয়া, গলা সুন সুন করা এবং কাশি থাকলে আপনি যদি হালকা গরম পানিতে পিংক সল্ট মিশিয়ে সেই পানি মুখে দিয়ে গড়গড়ি করেন বা কুলি করেন। তাহলে এই সমস্যাগুলো অনেকটাই ভালো হয়ে যায়। আপনি ইচ্ছা করলে এই পিংক সল্ট মেশানো পানি কুসুম গরম অবস্থায় গিলে খেতে পারেন। এতে এই সমস্যাগুলো থেকে ভালো উপকার পাবেন।
- খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে যদি আপনি এক গ্লাস গরম কুসুম পানিতে পিংক সল্ট এর সাথে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে সেটা আপনার পেটের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করবে এবং হজমে সাহায্য করবে। যার ফলে পেটের গ্যাসের সমস্যা এবং পেট ফাঁপা, পেট ব্যাথা সমস্যা সমস্যা থাকলে অনেকটাই কমে যাবে।
- পিংক সল্ট শরীরের মধ্যে এসিড আলকাইন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার কারণে শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত ভাবে কোন ক্ষতিকর এসিড জমা হতে পারে না। এর ফলে শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি হয় এবং শরীর সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ে না।
-
যাদের হাড় ও পেশি অনেক দুর্বল তারা যদি এটি নিয়মিত পরিমাণ অনুযায়ী
খেতে পারে। তাহলে এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম ও
ম্যাগনেসিয়াম শরীরের হাড় এবং পেশির গঠনে উন্নতি করে এবং পেশি ও
হাড় কে করে অনেক শক্ত ও মজবুত।
- পিংক সল্ট ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটা যদি ত্বকে ব্যবহার করা হয়, তাহলে ত্বকের যে মরা চামড়া সেই মরা চামড়া গুলো দূর হয়ে ভালো হয়ে যায়। যার কারনে ত্বক হয় অনেক নরম এবং উজ্জ্বল।
- যাদের ঘুমের সমস্যা, রাতে ঘুম ভালো হয় না, হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় তারা যদি নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে পরিমাণ অনুযায়ী পিংক সল্ট পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে সেটা ঘুমের সমস্যা থাকলে ঘুমের সমস্যা দূর করবে এবং মস্তিষ্ককে ঠান্ডা করে ঘুমকে গভীর করতে সাহায্য করবে। ভালো ঘুমের জন্য এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী।
- আপনার যদি দাঁতের কোন সমস্যা থাকে তাহলে হালকা গরম কুসুম পানিতে পিংক সল্ট মিশিয়ে আপনি যদি কুলি করেন। তাহলে সেটা আপনার দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা ভালো করবে। সেই সাথে মাড়িতে ইনফেকশন থাকলে ইনফেকশন ভালো হয়ে যাবে এবং মুখের দুর্গন্ধ কমে যাবে।
- পিংক সল্ট এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকে। যে উপাদান গুলো শরীরের মধ্যে শক্তি উৎপন্ন করে এবং শরীরকে প্রচুর পরিমাণে শক্তি দেয়। সারাদিন পরিশ্রম করে শরীর যে ক্লান্ত হয় সে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং সারাদিন শরীরে শক্তির সরবরাহ করে।
- শরীরের কোন ক্ষত থাকলে সেটা তাড়াতাড়ি ভালো করতে সাহায্য করে। কারণ পিংক সল্ট এর মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকে যেটা শরীরের ঘা বা ক্ষতস্থান দ্রুত পূরণ করে এবং ভালো করে দেয়।
উপরে যে উপকারিতা গুলো আমি বললাম সেই উপকারিতা গুলো আপনি তখনই পাবেন। যখন
আপনি এটা নিয়ম মেনে পরিমান অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। আপনি যদি এটি পরিমাণ ও
নিয়ম না মেনে ব্যবহার করেন। তাহলে সেটা আপনার উপকার করার চাইতে ক্ষতি
বেশি করতে করবে। যাদের কিডনির সমস্যা আছে তারা এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না।
সব থেকে ভালো হয় পিংক সল্ট ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা।
পিংক সল্ট অপকারিতা
পিংক সল্ট অপকারিতা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। তাই এখন আমি পিংক
সল্ট অপকারিতা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। পিংক সল্ট এটি একটি
প্রাকৃতিক লবণ এবং অন্য সব লবনের থেকে অনেক ভালো ও নিরাপদ। এর এত উপকারিতা থাকার
পরেও এর কিছু অপকারিতা আছে। অপকারিতা গুলো হয় মুলত এটি ব্যবহারে ভুল হলে বা
পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে। চলুন তাহলে এর অপকারিতা গুলো জেনে
নেওয়া যাক।
- পিংক সল্ট অন্য সব লবনের থেকে সোডিয়াম অনেক কম থাকে। তারপরেও এর মধ্যে কিছু সোডিয়াম থাকে। যদি এটা অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তাহলে সেটা রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের আগে থেকেই রক্তচাপের সমস্যা আছে। তারা যদি এটা অতিরিক্ত পরিমাণে খায়, তাহলে তাদের ব্লাড প্রেসার অনেক বেড়ে যেতে পারে। তাই যাদের ব্লাড প্রেসার আছে তারা পরিমাণে কম খাবেন।
-
এটা যদি পরিমাণ এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ অতিরিক্ত খাওয়া হয়। তাহলে সেটা শরীরের
মধ্যে সোডিয়ামের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়ে শরীর থেকে পানি বার করে দেয়। এর
ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়। যার কারণে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং কিডনির
কার্যক্ষমতা কমে যায়। তাই এটা পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে যাদের
আগে থেকে কিডনির সমস্যা আছে তারা এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে
খাবেন।
-
এটা যদি পরিমাণে বেশি খাওয়া হয়, তাহলে সেটা শরীর থেকে পানি বার করে
দেয়। ফলে শরীরের মধ্যে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। যার কারণে শরীর
দুর্বল, মাথা ঘোরার মতন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
পিংক সল্ট যদি পরিমাণ এর চেয়ে বেশি খাওয়া হয়। এর কারণে শরীরের মধ্যে পিএইচ
এর মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে শরীরের মধ্যে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যেমন হৃদস্পন্দন দ্রুত বেড়ে যেতে পারে, শরীরের শক্তি কমে গিয়ে শরীর দুর্বল
হয়ে যেতে পারে।
-
যদিও এটি হজম ও গ্যাসের জন্য অনেক উপকারী। তারপরেও এটি যদি অতিরিক্ত খাওয়া
হয় তাহলে সেটা হজমের সমস্যা তৈরি করে এবং পেটের মধ্যে গ্যাস,
জ্বালাপোড়া এবং পেট ফাপা সৃষ্টি করতে পারে।
- যদি আপনি বাজার থেকে পিংক সল্ট আসলটা না কিনতে পারেন অর্থাৎ আপনি যদি নকল পিংক সল্ট ব্যবহার করেন তাহলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ নকল যেটা পিংক সল্ট সেটাতে অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বা কেমিক্যাল থাকে এই কেমিক্যাল গুলো স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই এটি আসল দেখে কিনতে হবে।
- এটি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেক উপকারী। তবে পিংক সল্ট যদি মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়। তাহলে সেটা ত্বকের সমস্যা করতে পারে, যেমন ত্বকে অতিরিক্ত জ্বালাপোড়ার করা।
আপনি যদি পিংক সল্ট সঠিক নিয়ম মেনে পরিমান অনুযায়ী ব্যবহার করেন।
তাহলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এমনকি শরীরের অনেক সমস্যা এটি ভালো
করে থাকে। তবে আপনি যদি এটা অনিয়ম অর্থাৎ সঠিক নিয়ম না মেনে অতিরিক্ত খান বা
ব্যবহার করেন।
সেক্ষেত্রে এটার কিছু অপকারিতা দেখা দিতে পারে, যেগুলো ইতিমধ্যে উপরে আমি আলোচনা
করলাম। তাই এটির অপকারিতা থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে এটি পরিমাণে ব্যবহার
করতে হবে। সব থেকে নিরাপদ হয় যদি আপনি এটি ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ
নিয়ে ব্যবহার করেন।
হিমালয়ান পিংক সল্ট খাওয়ার উপকারিতা
হিমালয়ান পিংক সল্ট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই আছেন যারা
জানতে চেয়েছেন। হিমালয়ান পিংক সল্ট আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক
উপকারী একটি লবণ। এটা মূলত অন্যান্য সব সাদা লবনের থেকে অনেক ভালো এবং
উপকারী। এই লবণ যদি পরিমাণ এবং নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া হয়।
তাহলে সেটা আমাদের শরীরের মধ্যে খারাপ টক্সিন গুলো বার করে দেয় এবং শরীরকে ভেতর
থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এমনকি এটা শরীরের পানির ঘাটতি থাকলে পানির
ঘাটতি পূরণ করে থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে
দেয়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা যদি এটি নিয়ম মেনে পরিমান অনুযায়ী খেতে
পারে।
তাহলে তাদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে এই হিমালয়ান পিংক
সল্ট। হিমালয়ান পিংক সল্টের সাথে যদি লেবু চিপে খাওয়া হয়, তাহলে
সেটা পেটের গ্যাস এবং পেটের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া সকল সমস্যা ভালো করতে সাহায্য
করে। শুধু কি এইসব উপকারী আছে তা কিন্তু নয় যাদের ঘুমের সমস্যা, রাতে ঘুম হয় না
বারবার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
তারা যদি এক কাপ গরম কুসুম পানিতে অথবা নরমাল পানিতে অল্প হিমালয়ান
পিংক সল্ট মিশিয়ে ঘুমানোর আগে খেতে পারে। এতে ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে
যাবে এবং ঘুম হবে অনেক গভীর। এটি থেকে যদি ভালো পরিমাণে উপকার পেতে চান?
তাহলে সেটা অবশ্যই নিয়ম মেনে পরিমান অনুযায়ী খেতে হবে।
অতিরিক্ত খেলে কোন উপকারে আসবে না বরং এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে। আশা
করছি উপরের আলোচনা থেকে আপনি হিমালয়ান পিংক সল্ট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন।
FAQ/পিংক সল্ট সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
পিংক সল্ট আর বিট লবন কি এক
- উত্তরঃ অনেকেই মনে করেন যে পিংক সল্ট আর বিট লবণ একই জিনিস কিন্তু এটা আসলে সঠিক নয়। পিংক সল্ট আর বিট লবণ দুইটা এক নয়। এই দুইটা লবণ সম্পূর্ণ আলাদা এক অপরের থেকে। বিট লবনের উৎস ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে এবং পিংক সল্ট এর উৎস হিমালয় পর্বতের খনি থেকে এটা মূলত একটি প্রাকৃতিক লবণ।
হিমালয়ান পিংক সল্ট খাওয়ার নিয়ম কী
- উত্তরঃ আপনি হিমালয়ান পিংক সল্ট রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও এটি আপনি সকাল বেলায় খালি পেটে হালকা গরম কুসুম পানিতে মিক্স করে খেতে পারেন। ভালো ঘুমের জন্য এটি আপনি রাতের বেলায় হালকা গরম কুসুম পানিতে এক চিমটি মিক্স করে খেয়ে ঘুমাতে পারেন এতে ঘুম ভালো হবে। আপনি এটা বিভিন্ন শরবত যেমন লেবুর শরবত, ডাবের পানি অথবা বিভিন্ন ফলের শরবতে ব্যবহার করতে পারেন এতে শরবতের স্বাদ আরও বাড়বে।
পিংক সল্টে কি কি উপাদান আছে
- পিংক সল্টে প্রায় ৮৪ প্রকারের খনিজ উপাদান আছে। যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলোর নাম হচ্ছে সোডিয়াম, ক্লোরাইড, সেললেনিয়াম, কপার, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফ্লোরাইড, নিকেল, ক্রোমিয়াম ও ব্রোমিন আরো অসংখ্য।
পিংক সল্ট খেলে কি ওজন কমে
- উত্তরঃ পিংক সল্ট আপনি যদি সঠিক নিয়ম মেনে পরিমান অনুযায়ী খেতে পারেন। তাহলে সেটা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে এটা যে আপনি ওজন কমানোর জন্য ব্যবহার করবেন সেটা কিন্তু সঠিক নিয়ম হবে না। কারণ এটা একেবারে ওজন কমানোর জন্যই তা কিন্তু না। এটা কিছু বিশেষ অবস্থায় আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
পিংক সল্ট কি আয়োডিন আছে
- উত্তরঃ সাধারণত প্রাকৃতিক পিংক সল্টে কোন আয়োডিন থাকে না। তবে বিভিন্ন কোম্পানি আছে যারা পিংক সল্ট এর সাথে আয়োডিন মিক্স করে বোতল জাত বা প্যাকেট জাত করে বিক্রি করে। আপনি যদি আয়োডিনযুক্ত পিংক সল্ট নিতে চান। তাহলে আপনি প্যাকেটের গায়ে লেখা দেখে অথবা আয়োডিনযুক্ত পিংক সল্ট কোনো কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
পিংক সল্ট এর কাজ কি
আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানেন না যে পিংক সল্ট এর কাজ কি। পিংক সল্ট
এর কাজ অনেক এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। এটা
যদি পরিমাণ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়, তাহলে এটা থেকে শরীরের মধ্যে অনেক খনিজ
উপাদান পাওয়া যায়।
এটা শরীরের মধ্যে খনিজ সরবরাহ করতে সাহায্য করে, শরীরে পানির ঘাটতে থাকলে পানির
ঘাটতি পূরণ করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এমনকি এটি যদি রাতের
বেলায় ঘুমানোর আগে খাওয়া হয়। তাহলে সেটা ঘুমকে গভীর করতেও সাহায্য করে।
শরীরের মধ্যে পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ত্বকে যদি ব্যবহার করা হয়
তাহলে ত্বক সুন্দর নরম করতে সাহায্য করে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও এটি ভালো কাজ করে থাকে। আপনি যদি পিংক সল্ট গরম কুসুম
পানিতে দিয়ে কুলি করেন। তাহলে দাঁতের সমস্যা থাকলে সমস্যা ভালো হয়ে যাবে।
দাঁতের মাড়ির ইনফেকশন থাকলে এবং মুখের দুর্গন্ধ থাকলে সেটা দূর
করতে সাহায্য করে এই পিংক সল্ট। এ কথায় বলা যায় যে শরীরের
অনেক উপকারের কাজে আসে এই পিংক সল্ট।
পিংক সল্ট খাওয়ার নিয়ম
এখন আমি পিংক সল্ট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।
যাতে করে আপনারা সঠিক নিয়মে এটি ব্যবহার করতে পারেন এবং এটি থেকে ভালো উপকার
পেতে পারেন। আপনি প্রতিদিনের রান্নায় অর্থাৎ ভাত, তরকারি, ডাল, ভাজি, গোস্ত এই
সকল রান্নাতে পরিমাণ অনুযায়ী সাধারন লবনের মতো এই লবণ ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে, তাহলে এটা আপনি সকালবেলায় খালি পেটে হালকা গরম
কুসুম পানিতে এক চিমটি পিংক সল্ট মিশিয়ে খেতে পারেন। ইচ্ছা হলে
সেটাতে লেবু চিপেও খেতে পারেন এতে এর উপকারিতা আরো ভালো পাওয়া যাবে। রাতে
ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানিতে এক চিমটি দিয়ে মিক্স করে খেয়ে ঘুমান এটা আপনার
ঘুম ভালো করবে।
এছাড়াও এটি আপনি বিভিন্ন শরবতের সাথে মিক্স করে খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে
হবে এটা যেন পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত না হয়। কারণ এটা যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয়
তাহলে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই দিনে এক থেকে দুই চামচের বেশি এই
লবণ না খাওয়াই ভালো। আর যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে এবং কিডনির সমস্যা আছে তারা
এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
পিংক সল্ট খেলে কি প্রেসার বাড়ে
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন যে পিংক সল্ট খেলে কি প্রেসার
বাড়ে এই বিষয়ে। অন্য সব সাদা লবনের মধ্যে যে পরিমাণে সোডিয়াম থাকে।
পিংক সল্ট এর মধ্যে তুলনামূলক অনেক কম থাকে। আপনি যদি পরিমাণ
অনুযায়ী পিংক সল্ট খান? তাহলে সেটা প্রেসার বাড়ায় না বরং প্রেসার
নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তবে এটার মধ্যে অল্প পরিমাণে হলেও
সোডিয়াম আছে।
এই জন্যই এটা যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে সেটা প্রেসার বাড়াতে পারে। যাদের
উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির সমস্যা আছে আছে তারা পরিমাণে অল্প খাবেন। আর সব
থেকে নিরাপদ হবে যদি সেটা আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান। আশা
করছি উপরের আলোচনা থেকে আপনি পিংক সল্ট খেলে কি প্রেসার বাড়ে এ বিষয়ে
জানতে পেরেছেন।
পিংক সল্ট এর দাম
আপনারা অনেকেই আছেন যারা পিংক সল্ট এর দাম সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। আর
এই দাম না জানার ফলে আপনারা বিভিন্ন জায়গায় অনেক দামে কিনে প্রতারিত হয়ে
থাকেন। তাই এখন আমি আপনাদেরকে বর্তমানে পিংক সল্ট এর দাম কত এ বিষয়ে
জানাবো।
আমাদের দেশে পিংক সল্ট মূলত তাদের ব্র্যান্ড এবং প্যাকেট জাত এর উপর
নির্ভর করে দাম কম বা বেশি হয়। এছাড়াও অনেক বিক্রেতা আছে যারা এটি কম এবং
অনেক বিক্রেতা আছে যারা অনেক বেশি দামে বিক্রি করে থাকে। আপনি যদি এটা অনলাইন
থেকে অর্ডার করতে চান।
সেক্ষেত্রে এটার ২৫০ গ্রাম প্যাকেটের দাম পড়বে ১৭০ থেকে ২৫০ টাকার
মতো। কিছু কিছু স্টোরে এই একই প্যাকেট ৩৫০ থেকে
৪০০ টাকা নিয়ে থাকে। এছাড়াও যেটা ৫০০ গ্রামের প্যাকেট সেটার
দাম প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পড়তে পারে। তবে সবথেকে ভালো হবে যদি আপনার
পরিচিত কোন দোকানদার থাকে সেখান থেকে নেওয়া।
পিংক সল্ট কোথায় পাওয়া যায়
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে পিংক সল্ট কোথায় পাওয়া যায়। এই পিংক সল্ট
আসলে পাকিস্তানে খেওড়া লবনের ফ্যাক্টরি থেকে পাওয়া যায়। এটা সেখান
থেকেই প্যাকেটজাত হয়ে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয় এবং ওগুলোই তখন আমরা বাজার
থেকে সংগ্রহ করে থাকি। এটি মূলত আপনি আপনার নিকটস্থ বড় বাজারে অথবা সুপার
মার্কেট এ গিয়ে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি অনলাইনের বিভিন্ন
প্ল্যাটফর্ম আছে।
যে প্লাটফর্ম গুলো থেকে আপনি পিংক সল্ট সংগ্রহ করতে পারেন। আপনি অনলাইন
প্লাটফর্ম গুলো থেকে যেমন কৃষক বাজার, পিওর স্টোর, ফ্রেস
হারভেস্ট, ফুডপান্ডা পান্ডামাঠ, চাল ডাল, রকমারি এই সকল পেজ
থেকে খুব সহজেই আপনি পিংক সল্ট অর্ডার করে নিতে পারেন। আশা করছি উক্ত
আলোচনা থেকে আপনি পিংক সল্ট কোথায় পাওয়া যায় সেটা জানতে পেরেছেন।
FAQ/পিংক সল্ট খাওয়া সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
হিমালয়ান পিংক সল্ট বাংলাদেশ দাম?
- উত্তরঃ বর্তমানে আপনি বিভিন্ন সুপার মার্কেট অথবা অনলাইন মার্কেট থেকে হিমালয়ান পিংক সল্ট প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে খুব সহজে পেয়ে যাবেন। তবে এই দামটি জায়গা অনুযায়ী একটু কম বা বেশি হতে পারে।
পিঙ্ক সল্ট কি মুখে ব্যবহার করা যায়?
- উত্তরঃ পিঙ্ক সল্ট স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি শুধুই যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা কিন্তু নয়। এটি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মুখের এবং রূপচর্চার জন্যেও অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। এটা মুখে ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য থাকে ভালো। এছাড়াও এটি আপনি যদি আপনার মুখের ত্বকে ব্যবহার করেন। সেটা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই বলা যায় যে পিঙ্ক সল্ট মুখে ব্যবহার করা যায়।
পিংক সল্ট কি কিডনির ক্ষতি করে?
- উত্তরঃ যদি পরিমাণে অনেক বেশি এবং সঠিক নিয়ম না মেনে খাওয়া হয় তাহলে সেটা কিডনির ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই কিডনির অসুখ আছে তাদের জন্য এটি বেশি ক্ষতিকর। তাই এটি ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত এবং যাদের সমস্যা আছে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পিংক সল্ট কিভাবে তৈরি হয়?
- উত্তরঃ এটা মূলত প্রাকৃতিক একটি উপাদান। এটা কোনো কারখানাতে তৈরি হয় না। এটা তৈরি হয়েছে প্রকৃতি থেকে। এটা মূলত পাকিস্তানের খেওড়া লবণ খনি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই জায়গাটা লাখ লাখ বছর আগে সমুদ্র ছিল। সমুদ্র শুকিয়ে যাওয়ার পর এই জায়গাটা লবণস্তরের পরিণত হয়েছে। আর সেখান থেকেই এখন এই লবণ উত্তোলন করা হয়। তাই এটা একদম প্রাকৃতিক কোন কারখানাতে তৈরি করা লবণ এটা না।
পিংক সল্ট এর অপর নাম কি?
- উত্তরঃ আপনাদের অনেকেরই প্রশ্ন যে পিংক সল্ট এর অপর নাম কি এর কিছু অপর নাম হচ্ছে সেন্ধা লবণ, হিমালয়ান পিংক সল্ট।
লেখকের মন্তব্যঃ আসল পিংক সল্ট চেনার উপায়
আসল পিংক সল্ট চেনার উপায় সম্পর্কে আমি আমার এই আর্টিকেল এর মধ্যে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি পিংক সল্ট অপকারিতা, হিমালয়ান
পিংক সল্ট খাওয়ার উপকারিতা, পিংক সল্ট এর কাজ কি ও পিংক সল্ট
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। আশা করছি আমার এই আর্টিকেলটি
পড়ে আপনি পিংক সল্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।
আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এটি
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং তাদেরকে জানার সুযোগ করে দিবেন।
এছাড়াও আপনার যদি আমার এই আর্টিকেলটি নিয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে
অথবা আপনি যদি নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের
নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা চেষ্টা করবো আপনি যে বিষয়ে
জানতে চান সেই বিষয়ে সম্পর্কে সঠিক তথ্য আপনার সামনে উপস্থাপন করার।
অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url