নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা - ভবিষ্যতের জ্বালানি সমাধান
নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা এবং কয়লা কি নবায়নযোগ্য শক্তি এই বিষয়ে
এখন আমি আমার আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আপনি যদি নবায়নযোগ্য শক্তি কোনটি জানতে চান? তাহলে অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়বেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে নবায়নযোগ্য শক্তির সকল
তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সুচিপত্রঃ নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
- নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
- নবায়নযোগ্য শক্তি কোনটি
- নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি
- নবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ
- নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস নয় কোনটি
- নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য শক্তির পার্থক্য
- কয়লা কি নবায়নযোগ্য শক্তি
- নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার
- নবায়নযোগ্য শক্তির সীমাবদ্ধতা
- FAQ/ নবায়নযোগ্য শক্তি সম্পর্কিত কিছু আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
এখন আমি নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত
জানাবো। তাই দেরি না করে চলুন নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা গুলো এবং অসুবিধা গুলো
কি কি সে সম্পর্কে জেনে নিই।
নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা বলতে গেলে অনেক এবং এটা পরিবেশবান্ধব একটি
ব্যবস্থা। যদি সঠিক নিয়মে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার করা হয়, তাহলে এটা থেকে
অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এতো সুবিধা থাকার পরেও এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এর
সুবিধা ও অসুবিধা গুলো হচ্ছে।
নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধাঃ
- নবায়নযোগ্য শক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম করে। বাসা বাড়ি অথবা বিভিন্ন কারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ করা হয়। এই জায়গাগুলোতে যদি সৌর প্যানেল অথবা বায়ো টারবাইন বসানো হয়। তাহলে এটা বাসা বাড়ি বা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যুতের অতিরিক্ত খরচ কমিয়ে দেয়। আর এই শক্তি প্রাকৃতিক হওয়ায় এটি কোন ক্ষতি করে না।
- যেসব স্থানে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেসব স্থানে যদি এই সৌর প্যানেল বা ছোট বায়ু টারবাইন বসানোর হয় তাহলে তারা খুব সহজেই সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাবে। যেটা কেবলমাত্র নবায়নযোগ্য শক্তির দ্বারাই সম্ভব। এর কথা বলা যায় যে যেসব গ্রামে বা স্থানে বিদ্যুৎ নাই সেসব স্থানে সৌর শক্তির সুবিধা অনেক।
- এই শক্তির কখনো শেষ নাই। কারণ এই শক্তি মূলত উৎপন্ন হয় প্রকৃতি থেকে যেমন সূর্য, বাতাস, পানি, জৈববস্তু ইত্যাদি। যেগুলো কখনোই শেষ হওয়ার নয়। কারণ বাতাস, সূর্য, পানি এসব জৈববস্তু সবসময় থাকবে। তবে যেগুলো জ্বালানি শক্তি যেমন কয়লা, তেল, গ্যাস ইত্যাদি একদিন ফুরিয়ে যাবে। তাই বলা যায় নবায়নযোগ্য শক্তির সব থেকে বড় সুবিধা যে এটা কখনো ফুরাবে না।
- এই শক্তির সুবিধাগুলোর মধ্যে আরও একটি সুবিধা হচ্ছে এটা পরিবেশবান্ধব। যার কারণে এটা পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না। জ্বালানি শক্তি যেমন কয়লা, তেল, বিদ্যুৎ এগুলো পরিবেশের ক্ষতি করে, এগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোয়া বার হয়, যে ধোয়াতে কার্বন ডাইঅক্সাইড থাকে। যেটা পরিবেশ দূষণ করার পাশাপাশি জলবায়ুরও পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে। অপরদিকে নবায়নযোগ্য শক্তি পরিবেশ ভালো রাখে।
- এটির আরো একটি সুবিধা হচ্ছে এটা ভবিষ্যৎ যে প্রজন্ম আছে তাদের জন্য অনেক সুবিধা জনক ও নিরাপদ জনক। কারণ এই শক্তি কখনো শেষ হবে না এবং এটা পরিবেশেরও কোন ক্ষতি করবে না। তাই ভবিষ্যতে যদি জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। তাহলে তারা এই প্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহার করে তাদের সকল ধরনের কাজ কামে সুবিধা ভোগ করবে।
- নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়। কারণ এই শক্তি ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মেশিন তৈরি করা থেকে শুরু করে এটি লাগানো এবং এটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য মানুষের প্রয়োজন হয়। যেটা অনেক মানুষকে তাদের কর্মসংস্থান তৈরি করে দেয়। তাই বলা যায় যে এই শক্তি মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করে।
- এই শক্তির কারণে বাইরের দেশের জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমে এবং বাহির থেকে এইসব জ্বালানী বেশি আমদানি করতে হয় না। নিজের দেশের প্রাকৃতিক শক্তি যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, পানিশক্তি ব্যবহার করেই কম বেশি সকল কাজের চাহিদা মেটানো যায়। এতে করে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা থেকেও সাশ্রয় হয়। যেটা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে ভালো করে।
- এই শক্তিগুলোর ব্যবহার একজন সাধারণ মানুষও করতে পারে। যার কারণে এটা থেকে তারা আরো বেশি সুবিধা পায়। এগুলো ব্যবহার করতে খুব ভালো বা বড় ভাবে কোন প্রযুক্তিগত জ্ঞান বা বুদ্ধি লাগে না। সৌরপ্যানেল, সোলার কুকার, সোলার লাইট এই সকল জিনিস মানুষ খুব সহজেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজে ব্যবহার করতে পারে।
- এই শক্তির ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কারণ অন্যান্য যেসব জ্বালানি শক্তি আছে যেমন কয়লা, গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি। এগুলো পোড়ালে বা ব্যবহার করলে সেখান থেকে অনেক ক্ষতিকর ধোঁয়া বার হয়, যেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এই ক্ষতিকর ধোঁয়া থেকে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি সহ ফুসফুসের বড় ধরনের রোগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু এই প্রাকৃতিক শক্তি এই সব রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। কেননা এই শক্তি পরিবেশবান্ধব।
- এই শক্তির সুবিধা গুলোর মধ্যে আরও একটি সুবিধা হচ্ছে। এই শক্তি ব্যবহার করার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয় না। কিন্তু জ্বালানি যে শক্তি যেমন তেল, গ্যাস, কয়লা এইগুলো ব্যবহার করতে গেলে এগুলোকে মাটির অথবা পানির নিচ থেকে উত্তোলন করতে হবে। যেটার জন্য জমি খনন, নদী দখল এমনকি বন কাটা পর্যন্ত হয়। যেটা প্রাকৃতিক সম্পদকে নষ্ট করে ফেলে। তাই বলা যায় যে প্রকৃতির সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা এবং উপকার অনেক।
নবায়নযোগ্য শক্তির অসুবিধাঃ
- নবায়নযোগ্য শক্তির সবথেকে বড় একটি অসুবিধা হচ্ছে যে এটা অনেক ব্যয়বহুল। কারণ প্রথমেই বায়ো টারবাইন, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সৌর প্যানেল বানানো বা বসানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ করতে হয়। যেটা সাধারণ মানুষের কাছে সম্ভব হয় না। এমনকি অনেক উন্নয়নশীল দেশগুলোও এগুলোর খরচ বহন করতে পারে না।
- এই শক্তির আরও একটি সমস্যা বা অসুবিধা হলো যে এটা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। কারণ সৌর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার জন্য সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয়। যদি সূর্যের আলো না থাকে, তাহলে সৌর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায় না। এবং বাতাস যদি না থাকে তাহলে বায়ু টার্বিয়ানো বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় না। যার কারণে এটা পুরোপুরি প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। আর প্রকৃতি তো সবসময় একরকম থাকে না তাই বলা যায় যে এই শক্তির এটি একটি বড় সমস্যা।
- এই শক্তির আরো একটি সমস্যা হচ্ছে যে এটা যে স্থানে তৈরি বা স্থাপন করা হয় সেখানে প্রচুর জায়গার দরকার পড়ে। যার কারণে যেসব জায়গায় কৃষি জমি বা প্রাকৃতিক পরিবেশবান্ধব জায়গা সেই জায়গাগুলো নষ্ট হতে পারে।
- এই শক্তির আরো একটি বড় সমস্যা হচ্ছে যে এই এই শক্তি দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুৎ জমা রাখার জন্য কোন ব্যবস্থা সেরকম থাকে না। কারণ এই বিদ্যুৎকে জমা রাখার জন্য প্রয়োজন অনেক বড় ধরনের ব্যাটারি। কিন্তু এই ব্যাটারি অনেক ব্যয়বহুল এবং একটা সময় গিয়ে এই ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে এ বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করা যায় না যা একটি বড় অসুবিধা।
- এই শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন সব সময় একই রকম হয় না। কারণ এই শক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা নির্ভর করে মূলত আবহাওয়ার উপর। যদি মেঘলা দিন হয় তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হয়। যার কারণে ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না যেটা একটি বড় অসুবিধা।
- এই শব্দের আরও একটি অসুবিধা হচ্ছে যে এটা মাঝে মধ্যেই রক্ষাণুবীক্ষণ করতে হয় অর্থাৎ সুর প্যানেল বায়ু টারবাইন নিয়মিত পরিষ্কার ও মেরামত করা লাগে। তা না হলে এটা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে এমনকি বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক কমে যায়।
- জ্বালানি শক্তির থেকে নবায়নযোগ্য শক্তির ঘনত্ব অনেক কম থাকে। জ্বালানি শক্তির বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটে যে শক্তি থাকে তার থেকে তুলনামূলক অনেক কম শক্তি থাকে এই নবায়নযোগ্য শক্তি যারা উৎপাদিত বিদ্যুতে। তাই প্রাকৃতিক শক্তি থেকে বেশি বিদ্যুতের শক্তি নিতে চাইলে প্রয়োজন হবে বিশাল বড় প্রতিষ্ঠান বা কেন্দ্র।
নবায়নযোগ্য শক্তি আমাদের পরিবেশ এবং আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করে
থাকে। এমনকি এটা ব্যবহার করাও অনেক সাশ্রয়ী। তবে এই শক্তি ব্যবহার করতে
গেলে কিছু অসুবিধাও রয়েছে যেগুলো উপরে আমি আলোচনা করেছি। আশা করছি উপরোক্ত
আলোচনা থেকে আপনি নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা এবং এর অসুবিধা গুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি কোনটি
নবায়নযোগ্য শক্তি কোনটি এই সম্পর্কে আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানতে
চেয়েছিলেন। নবায়নযোগ্য শক্তি মূলত সৌরশক্তি, জলবিদ্যুৎ শক্তি, বায়ু
শক্তি, জৈব শক্তি এবং ভূতাপীয় শক্তি। এই সকল একত্রিত শক্তিগুলোকে বলা হয়
নবায়নযোগ্য শক্তি।
এগুলো মূলত কখনো শেষ হয় না এবং বারবার ব্যবহার করা যায়। এমনকি এই
শক্তি পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। আশা করছি
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নবায়নযোগ্য শক্তি কোনটি সে সম্পর্কে ভালোভাবে
জানতে পেরেছেন।
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি
এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো যে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি। এই শক্তি
এমন একটি শক্তি যেটা মূলত প্রকৃতির মধ্য থেকে উৎপন্ন করা
হয়। অর্থাৎ এই শক্তি মূলত প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। প্রকৃতিকে
ব্যবহার করে এই শক্তি উৎপাদন করা হয়। এই শক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত
শক্তি হচ্ছে সৌরশক্তি।
এই সৌরশক্তি মূলত উৎপন্ন করা হয় সূর্যের আলো এবং সূর্যের তাপ
থেকে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের শক্তি আছে যেগুলো হচ্ছেঃ বায়ু
শক্তি, জৈবশক্তি, জলবিদ্যুৎ শক্তি এবং ভূতাপীয় শক্তি। বায়ু
শক্তির মূল উৎস হচ্ছে, এটা বাতাসের গতিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন
করা হয়।
বাতাস যত তীব্র হয় বিদ্যুৎ তত ভালো উৎপাদন করা সম্ভব
হয়। এরপর জৈব শক্তির উৎস হচ্ছে গরুর গোবর, খড়কুটো,
কাঠ এবং বিভিন্ন ফসলের আবর্জনা থেকে। এইগুলো দিয়ে এই জৈবশক্তি
উৎপাদন করা হয়। যেটার নাম বলা হয় বায়োগ্যাস। আর জলবিদ্যুতের উৎস
হচ্ছে নদীর পানির স্রোত।
নদীর স্রোতকে কাজে লাগিয়ে টারবাইন ঘোরানো হয়। যার কারণে
বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় এবং সেই বিদ্যুৎকে কাজে লাগানো হয়। এছাড়াও
ভূতাপীয় শক্তির মূল উৎস হচ্ছে এটা পৃথিবীর ভেতরে থাকা তাপ থেকে উৎপন্ন
করা হয় এবং সমুদ্রের জোয়ার ভাটা থেকেও এই শক্তি উৎপাদন করা
হয়। এই সকলশক্তি গুলোই মূলত নবায়নযোগ্য শক্তি।
যে শক্তির উৎসই হচ্ছে প্রকৃতি থেকে যেটা কখনোই শেষ হবে না। এটা
যেহেতু প্রকৃতি থেকে উৎপন্ন হয়, সেহেতু এটা বারবার ব্যবহার করা যাবে। এমনকি
একটা সময় জ্বালানি শক্তি শেষ হয়ে যাবে কিন্তু এটা থেকে যাবে। যা
ভবিষ্যতের জন্য অনেক কার্যকরী এবং পরিবেশের জন্যও এটা নিরাপদ।
নবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ
আপনারা অনেকেই নবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই এখন
আমি আপনাদেরকে এই শক্তির উদাহরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। চলুন তাহলে আর
দেরি না করে এই শক্তির উদাহরণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া নিই।
নবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণগুলো হচ্ছেঃ সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলশক্তি,
জৈবশক্তি, জোয়ার বা ভাটা শক্তি, সমুদ্রের ঢেউ শক্তি ইত্যাদি। এই শক্তিগুলো
পুরোটাই প্রকৃতি থেকে উৎপাদন করা শক্তি। এই শক্তি ব্যবহার করে মানুষ তাদের
জীবনকে আরো সহজ ও সুন্দর করে তুলেছে।
বিভিন্ন দেশ এইসব নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার করে। তাদের আর্থিক অবস্থাকে
অনেক উন্নত করেছে এবং তাদের পরিবেশকেও তারা রক্ষা করে চলেছে। তারা মূলত
প্রকৃতিকে ব্যবহার করে তাদের বিভিন্ন কাজ কর্মের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন, গ্যাস
উৎপাদন সহ আরো বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সুবিধা নিয়ে থাকে।
সৌর শক্তিকে মানুষ কাজে লাগিয়ে বাসা বাড়ির টিভি, ফ্যান ইত্যাদি ব্যবহার
করছে। এটা মূলত নির্ভর করে সূর্যের আলোর ওপর। এছাড়াও বাতাস থেকেও বিদ্যুৎ
উৎপাদন করা হয়। এক কথায় বলা যায় যে উপরে আমি যে সকল শক্তির উদাহরণ দিলাম
এই সকল শক্তিগুলোই হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ। আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা
থেকে আপনি এই শক্তির উদাহরণ গুলো জানতে পেরেছেন।
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস নয় কোনটি
এখন আমি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস নয় কোনটি এই সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। তাই
দেরি না করে চলুন এই শক্তির উৎস নয় কোনটি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
উপরের আলোচনাগুলো থেকে আমরা অনেকেই জানতে পেরেছি যে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
আসলে কোনগুলো।
আসলে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হচ্ছে এমন শক্তি যে শক্তিগুলো প্রকৃতি থেকে
পাওয়া যায় এবং এই শক্তিগুলো কখনো শেষ হয় না। কিন্তু নবায়নযোগ্য শক্তির
উৎস নয় মূলত সেই শক্তি যেগুলো মানুষ বারবার ব্যবহার করতে পারেনা এবং একবার
ব্যবহার করলেই সেই শক্তিগুলো শেষ হয়ে যায়, যেমন তেল, গ্যাস, কয়লা,
ইউরেনিয়াম, পেট্রোলিয়াম।
এই সকল শক্তিগুলো মূলত নবায়নযোগ্য শক্তি না। কারণ এই শক্তিগুলো প্রকৃতি থেকে
অনেক কম পরিমাণে পাওয়া যায় এবং এগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য দীর্ঘ একটা সময়
ব্যয় করতে হয় এবং এগুলো নতুন ভাবে উৎপন্ন হতে অনেক সময় লাগে। তাই এই সব
শক্তিগুলোকে অনবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয়ে থাকে। তাই বলা যায় যে তেল গ্যাস
পেট্রোলিয়াম কয়লা ইউরেনিয়াম নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস নয়।
নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য শক্তির পার্থক্য
এখন আমি আপনাদেরকে নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য শক্তির পার্থক্য গুলো
সম্পর্কে জানাবো। তাই দেরি না করে চলুন এই শক্তিগুলোর পার্থক্য সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- নবায়নযোগ্য যে শক্তিগুলো এই শক্তিগুলো মূলত কখনোই শেষ হবার নয়। কারণ এগুলোর মূল উৎসই হচ্ছে প্রকৃতি। এই শক্তিগুলো প্রকৃতিকে ব্যবহার করে উৎপন্ন করা হয়। কিন্তু অনবায়নযোগ্য শক্তি প্রকৃতিতে অনেক কম পরিমাণে পাওয়া যায় এবং একটা সময় এই সকল শক্তি ফুরিয়ে যাবে।
- নবায়নযোগ্য শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায়। কারণ এই শক্তি কখনো শেষ হয় না এবং ভবিষ্যতেও হবে না। কিন্তু অনবায়নযোগ্য শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায় না। এই শক্তি একবার ব্যবহার করলেই শেষ হয়ে যায়। এমনকি এই শক্তি যেখান থেকে উৎপন্ন হয় সেটাও একদিন শেষ হয়ে যাবে।
- নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস গুলো হচ্ছে সূর্য, আলো, বাতাস, তাপ, পানি, বায়োমাস ও ভূতাপীয় শক্তি। আর অনবয়নযোগ্য শক্তিগুলোর উৎস হচ্ছে তেল, গ্যাস, কয়লা পেট্রোলিয়াম ও ইউরেনিয়াম। এই দুই শক্তি মূলত প্রকৃতি থেকে উৎপন্ন করা হয় কিন্তু নবায়নযোগ্য শক্তিগুলো প্রকৃতিকে ব্যবহার করে বারবার উৎপন্ন করা যায়। কিন্তু অনবায়নযোগ্য শক্তিগুলো প্রকৃতিতে অনেক কম পরিমাণে থাকে। যার কারণে এটা একটা সময় শেষ হয়ে যাবে, এমনকি এই শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায় না।
- নবায়নযোগ্য শক্তিগুলো পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি করে না। এইগুলো মূলত পরিবেশবান্ধব শক্তি। এই শক্তি ব্যবহার করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য শক্তিগুলো ব্যবহার করে সুবিধা ঠিকই পাওয়া যায়। কিন্তু এই শক্তিগুলো পরিবেশের জন্য এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অনবায়নযোগ্য শক্তি বায়ু দূষণ, পানি দূষণ এমনকি জলবায়ুর পরিবর্তন পর্যন্ত ঘটিয়ে থাকে।
- নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করার জন্য এটি তৈরি করার জন্য প্রথমে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু এই শক্তিগুলো উৎপন্ন করার জন্য যে মেশিন বসানো হয়। সেগুলো একবার বানানো বা বসানো হয়ে গেলে। সেগুলোকে অনেক সময় পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। যার কারণে এটা অনেক সাশ্রয়ী। অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য শক্তি যেগুলো ব্যবহার করার জন্য খুব বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় না। তবে এটা একবার ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যায়। যার কারনে এই শক্তি ব্যবহার করার জন্য বারবার অর্থ খরচ করতে হয়।
- নবায়নযোগ্য শক্তি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনেক উপকারী ও নিরাপদ। কারণ এই শক্তি প্রকৃতি থেকে উৎপন্ন করা হয়। এই শক্তি প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয় এবং এই শক্তি পরিবেশের কোন ক্ষতিও করে না। আর অনবায়নযোগ্য এই শক্তিগুলো একটা সময় শেষ হয়ে যাবে। তখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনেক সমস্যা দেখা দিবে। তখনই মূলত এই নবায়নযোগ্য শক্তির উপকারিতা লক্ষ্য করা যাবে। তাই বলা যায় যে নবায়নযোগ্য শক্তি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বড় আশা এবং নিরাপদ।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আশা করছি আপনি নবায়নযোগ্য এবং নবায়নযোগ্য শক্তির
পার্থক্য গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আমি উপরে
নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনি যদি জানতে
চান তাহলে অবশ্যই উপরের আলোচনাটি পড়ে আসতে পারেন।
কয়লা কি নবায়নযোগ্য শক্তি
কয়লা কি নবায়নযোগ্য শক্তি এই সম্পর্কে এখন আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত
জানাবো। আপনারা অনেকেই আছেন যারা কয়লা কে মনে করেন নবায়নযোগ্য শক্তি।
কিন্তু এটা আসলে নবায়নযোগ্য শক্তি নয়। কারণ এই শক্তি ব্যবহার করলেই শেষ
হয়ে যায় এবং এই শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায় না। এই কয়লা মাটির নিচে
বহু বছর ধরে তৈরি হয়।
আরো পড়ুনঃ
বিটরুট এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
বিশেষ করে জীবজন্তুর অবশিষ্টাংশ, গাছপালা মাটির নিচে পচে এবং মাটির নিচের
এগুলোর মধ্যে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। আর এই পরিবর্তনের কারণেই মূলত
কয়লা তৈরি হয়। কয়লা তৈরি হতে বহুবছর লাগে কিন্তু এই কয়লা মানুষ খুব
তাড়াতাড়ি ব্যবহার করে ফেলে। এই কয়লা মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করার পর
সেগুলো যদি ব্যবহার করা হয়ে যায়।
তাহলে সেই জায়গায় আবার ওই কয়লা সহজে উৎপন্ন হয় না। যার কারণে কয়লা
কে অনবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয়। কেননা নবায়নযোগ্য শক্তি কখনোই শেষ হবার
নয়। আর কয়লা যেহেতু শেষ হয়ে যায়, সেহেতু এটা কখনোই নবায়নযোগ্য শক্তি
নয়। আশাকরছি আপনি আমার এই আলোচনা থেকে কয়লা কি নবায়নযোগ্য শক্তি এই
সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা অনেকে আছেন যারা জানেন না।
তাই এখন আমি আপনাদেরকে এই শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানাবো। যাতে করে
আপনারা খুব সহজেই এই শক্তির ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনাদের জীবনকে আরো
সহজ ও সুবিধাজনক করে তুলতে পারে। চলুন তাহলে এই শক্তির ব্যবহার
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। যেগুলোর নাম
হচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, জোয়ার ভাটা বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ। আর
এই বিদ্যুৎগুলোকে মানুষ তাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে এবং সুবিধা
নিয়ে থাকে। এছাড়াও যেসব এলাকায় এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের সুব্যবস্থা
নেই। সেসব এলাকায় সৌর প্যানেলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এটির ব্যবহার করে ঘরবাড়ি, স্কুল রাস্তাঘাট এবং বাজারে আলোর ব্যবস্থা
করা হয়। এমনকি এই শক্তি ব্যবহার করে রান্নাঘরের যাবতীয় সকল বৈদ্যুতিক
যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার কারণে খুব সহজেই মা বোনেরা
তাদের রান্নার কাজ সম্পন্ন করে। বর্তমানে অনেক আধুনিক যানবহন গুলোতেও
সৌর শক্তির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সৌরশক্তি ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক
গাড়ি চলাচল করে।
শুধুই যে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানো হয় তা কিন্তু নয়। যেসব যানবাহন
জ্বালানি তেলে চালানো হয়। সেসব যানবাহনেও মূলত এই সৌর শক্তির ব্যবহার
করা হয়ে থাকে। কৃষি কাজেও এই সৌরশক্তির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সৌর
শক্তিকে ব্যবহার করে ফসলের জমিতে পাম্প লাগিয়ে সেচ দেওয়া হয়। এমনকি
এই শক্তি ব্যবহার করে খাদ্যশস্যকে শুকানো পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সৌরশক্তি ব্যবহার করে ঘরকে গরম করা অথবা ঘরকে ঠান্ডা করা হয়। এছাড়াও
এই শক্তি ব্যবহার করে পানি গরম করা সহ আরো বিভিন্ন কাজ করা হয়ে থাকে।
কারখানায় প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় এবং বিদ্যুতের ঘাটতি
থাকার কারণে কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ পায়না। যার কারণে
কারখানাগুলো তাদের উৎপাদন কাজে এই নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার করে
বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
এই শক্তি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ সৌর
শক্তি দিয়ে মোবাইল টাওয়ার চালানো, কম্পিউটার চালানো, ইন্টারনেট
চালানো হয়। সৌরশক্তি ব্যবহার করে বাড়ির টিভি, ফ্রিজ ও ফ্যান চালানো
হয়। এছাড়াও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার
কমায়। যার কারণে এটা পরিবেশের ক্ষতি অনেকটুকুই কমিয়ে দেয় এবং বায়ু
দূষণ সহ জলবায়ুর পরিবর্তন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
নবায়নযোগ্য শক্তির সীমাবদ্ধতা
আপনারা অনেকেই নবায়নযোগ্য শক্তির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানতে
চেয়েছেন। তাই এখন আমি আপনাদেরকে এই শক্তির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে
জানাবো। নবায়নযোগ্য শক্তি যদিও একটি পরিবেশ বান্ধব
এবং টেকসই তারপরেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেই
সীমাবদ্ধতা গুলো হচ্ছেঃ
নবায়নযোগ্য শক্তির সীমাবদ্ধতার মধ্যে অন্যতম একটি সীমাবদ্ধতা
হচ্ছে যে এটা প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। প্রকৃতি ছাড়া এই শক্তি
উৎপন্ন করা সম্ভব নয়। যেমন ধরেন সৌরশক্তি এটা শুধুমাত্র
সূর্যের আলো ও তাপে কার্যকরী। কিন্তু প্রকৃতির যদি
বিরূপ প্রভাব পড়ে। যেমন ধরেন মেঘলা আকাশ অথবা রাতের বেলায় এই
শক্তি কম হয়ে যায় বা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়াও এর আরো একটি সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা হচ্ছে প্রাথমিক খরচ অনেক
বেশি। এই শক্তি ব্যবহার করার জন্য যে সৌর প্যানেল,
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বায়ু টারবাইন বানাতে হয়। সেগুলোতে প্রচুর
পরিমাণে টাকা লাগে। এই নবায়নযোগ্য শক্তি যেখান
সেখানে ব্যবহার বা উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। যেমন যে জায়গায় বাতাস
নেই, সেই জায়গায় যদি বায়ু টারবাইন বানানো হয়।
তাহলে সেটা থেকে ভালো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় না। তাই যে
জায়গায় বেশি বাতাস সেই জায়গার প্রয়োজন হয়। এমনকি জলবিদ্যুৎ
কেবলমাত্র পাহাড়ি নদী বা এলাকাতেই উৎপন্ন করা সম্ভব
হয়। এর আরও একটি প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক বড় বড়
দেশগুলোও এই শক্তি উৎপাদন করার জন্য। উন্নত মানের প্রযুক্তির অভাবের
কারণে তারা এই শক্তির পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করতে পারেনা।
সৌরশক্তি উৎপাদন করার জন্য বড় সীমানার প্রয়োজন হয়, যেটা সব
জায়গায় করা সম্ভব হয় না। এছাড়াও প্রকৃতির আবহাওয়া সব সময় এক
রকম থাকে না। যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ সব সময় একই রকম হয় না। কখনো
কম কখনো বেশি সরবরাহ হয়। আবার কখনো উৎপাদনে বন্ধ হয়ে থাকে।
এটা মূলত পানির প্রবাহ, আলো, বাতাস এর উপর নির্ভরশীল।
FAQ/ নবায়নযোগ্য শক্তি সম্পর্কিত কিছু আলোচিত প্রশ্ন ও উত্তর
এখন আমি আপনাদেরকে নবায়নযোগ্য শক্তি সম্পর্কে কিছু আলোচিত প্রশ্নের
উত্তর সম্পর্কে জানাবো। তাই দেরি না করে চলুন সে আলোচিত প্রশ্নের
উত্তর গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি নয়?
উত্তরঃ আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
কোনটি নয়। এর উত্তর হচ্ছে কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস
ইউরেনিয়াম পেট্রোলিয়াম। এই সকল উপাদান গুলো নবায়নযোগ্য
শক্তির উৎস নয়। এগুলো মূলত অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
শক্তির কত প্রকারভেদ রয়েছে?
উত্তরঃ আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে শক্তির প্রকারভেদ আসলে কত
প্রকার রয়েছে। শক্তি মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে
নবায়নযোগ্য শক্তি আর আরেকটি হচ্ছে অনবয়নযোগ্য
শক্তি। নবায়নযোগ্য শক্তিগুলো হচ্ছে, যেগুলো প্রকৃতি
থেকে উৎপাদন করা হয় এবং অনবায়নযোগ্য শক্তিগুলো হচ্ছে
যেগুলো বারবার শেষ হয়ে যায়। এবং একবার ব্যবহার হলে সেগুলোকে
পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।
তিনটি অনবায়নযোগ্য সম্পদের নাম কি কি?
উত্তরঃ আপনারা অনেকেই আছেন যারা তিনটি অনবায়নযোগ্য সম্পদের নাম
সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। সেই তিনটি অনবায়নযোগ্য সম্পদের নাম
গুলো হচ্ছে তেল, কয়লা ও ইউরেনিয়াম।
সৌরশক্তিকে নবায়নযোগ্য শক্তি কেন বলা হয়?
উত্তরঃ যে শক্তি প্রকৃতি থেকে উৎপন্ন হয় এবং শেষ হয় না বরং এই
শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায়। এই শক্তিকেই মূলত নবায়নযোগ্য শক্তি
বলা হয়। আর সৌরশক্তি যেহেতু একটি প্রাকৃতিক শক্তি এবং এই শক্তি
কখনো শেষ হবে না। তার জন্য সৌরশক্তিকে নবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয়।
মাটি কি নবায়নযোগ্য সম্পদ?
উত্তরঃ আপনারা অনেকেই মাটিকি নবায়নযোগ্য সম্পদ শেষ সম্পর্কে
জানতে চেয়েছেন। মাটি একটি নবায়নযোগ্য সম্পদ। তবে মানুষ
তার ভুল ব্যবহার করে তাকে অনবায়নযোগ্য সম্পদ করে ফেলেছে।
লেখকের মন্তব্যঃ নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
আমি আমার আর্টিকেলের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এইগুলোর পাশাপাশি আমি আপনাদেরকে
কয়লা কি নবায়নযোগ্য শক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি কোনটি এবং
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি এই বিষয় সম্পর্কেও
জানিয়েছি। আশা করছি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নবায়নযোগ্য
শক্তি সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।
আপনি যদি আমার এই নবায়নযোগ্য শক্তি সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ে
উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনি আপনার পরিচিত মানুষদের
সাথে শেয়ার করবেন এবং তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন। এছাড়াও
আমার এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে
থাকে অথবা আপনি যদি নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে নতুন কোন তথ্য
জানতে চান? তাহলে অবশ্যই আমাদের নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করে জানাবেন।
অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url