জায়ফল এর দাম ও জায়ফল এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
এখন আমি আপনাদেরকে জায়ফল এর দাম সম্পর্কে বলবো এর পাশাপাশি জায়ফল এর উপকারিতা ও
অপকারিতা এবং রান্নায় জায়ফল ব্যবহার কিভাবে করতে হয় এই সকল বিষয় বিস্তারিত
আলোচনা করবো।
আপনি যদি জায়ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়বেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জায়ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে
নেওয়া যাক।
পেজ সুচিপত্রঃ জায়ফল এর দাম
- জায়ফল এর দাম সম্পর্কে
- জায়ফল এর উপকারিতা
- জায়ফল এর অপকারিতা
- জায়ফল কিভাবে গুড়া করতে হয়
- রান্নায় জায়ফল ব্যবহার
- জয়ফল খাওয়ার নিয়ম
- জায়ফল মুখে মাখলে কি হয়
- জায়ফল কি হজমে ভালো
- জায়ফল কি ঘুমাতে সাহায্য করে
- FAQ/জায়ফল সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- জায়ফল বেশি খেলে কি হয়
- লেখকের মন্তব্যঃ জায়ফল এর দাম সম্পর্কে
জায়ফল এর দাম সম্পর্কে
জায়ফল এর দাম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানতে
চেয়েছেন। জায়ফল চিনে না এমন কোন ব্যক্তি খুব কমই আছে। জায়ফল অনেক
উপকারী একটি উপাদান। জায়ফলের শুকনো বিচি রান্নার কাজে ব্যবহার করা
হয়। এই ফলটা রান্নার স্বাদ এবং ঘ্রাণ দুটোকেই করে তোলে
আকর্ষণীয়। তবে অনেকে আছেন যারা জায়ফল সম্পর্কে জানলেও এর দাম
সম্পর্কে জানেন না।
তাই এখন আমি আপনাদেরকে এই ফলের বর্তমান দাম সম্পর্কে এবং এটা আপনি কোথা
থেকে কিনবেন সেটা জানাবো। আপনি এই ফলটি আপনার নিকটস্থ বাজারে যেকোনো
মুদিখানার দোকানে খুব সহজে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি এই ফলটি বিভিন্ন অনলাইন
প্লাটফর্ম থেকে ক্রয় করতে পারেন। আমি কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম এর নাম আপনাদেরকে
বলবো এবং কত টাকা তে অনলাইন থেকে আপনি কিনতে পারবেন সে সম্পর্কেও জানাবো।
আরো পড়ুনঃ লটকনের বিচি খেলে কি হয় জানুন
আপনি যদি অনলাইন থেকে জায়ফল কিনতে চান তাহলে সেখানে একপিস জায়ফলের
দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম হতে পারে। আপনি এই ফলটি গুগলের দোকানপাট
প্ল্যাটফর্ম থেকে কিনতে পারেন। সেখানে প্রতি ফল ১০ টাকা করে। আপনি যদি ১০ পিচ
নেন তাহলে সেটার দাম পড়বে ১০০ টাকা। জায়ফলের গুঁড়ো মসলা আপনি যদি নিতে
চান, তাহলে সেটা ১০০ থেকে ২৫০ গ্রাম প্যাকেটের দাম পড়বে ১৭০ থেকে ৪২৫
টাকা।
এই মসলার গুঁড়ো আপনি এই দামে সন্ধ্যায়বাজার থেকে অর্ডার করতে
পারবেন। আপনি এই ফলের গুড়ো আরও একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে কিনতে পারবেন। সে
প্লাটফর্মটির নাম হচ্ছে স্বদেশীউদ্যোক্তা এখানে আপনি ৫০ গ্রাম
যায়ফল ৯০ টাকায় কিনতে পারবেন। এছাড়াও আপনি মসলাওয়ালা থেকে ১০০
গ্রাম জায়ফল ২৫০ টাকায় কিনতে পারবেন। কুইক বাজার বিডি থেকে আপনি
যদি জায়ফল কিনতে চান।
তাহলে সেখানে আপনি এটি ১ কেজি ১৯৬০ টাকা দামে কিনতে পারবেন। তবে এখন তাদের অফার
প্রাইস চলছে তাদের অফার প্রাইসে এখন আপনি এক কেজি জায়ফল ১২৫০
টাকায় পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আরো কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম আছে যেগুলোতে আপনি
প্রতি পিচ ১৫ টাকা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। এক কথায় বলা যায় যে আপনি যদি
অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে জায়ফল কিনতে চান। সেক্ষেত্রে এটি পিচ হিসেবে
নিলে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম পড়বে।
আপনি যদি এটা গ্রাম অথবা কেজি অনুযায়ী নিতে চান। তাহলে এর দাম পরবে ১০০০ থেকে
১৯০০ টাকা পর্যন্ত। আপনি সেম এই দামে বা একটু কমবেশি দামে আপনার নিকটস্থ
মুদিখানার দোকানে পেয়ে যাবেন। জায়ফলের দাম মূলত নির্ধারণ করা হয় এর
গুণগতমানের ওপর। এই ফলের মান যদি ভালো হয়, তাহলে এর দাম একটু বেশি হতে
পারে। আশা করছি আপনি আমার এই তথ্য থেকে জায়ফলের দাম সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন।
জায়ফল এর উপকারিতা
এখন আমি আপনাদেরকে জায়ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বলবো। জায়ফল শুধু যে
রান্নার স্বাদ বাড়াই তা কিন্তু নয়। এর মধ্যে রান্নার স্বাদ বাড়ানোর গুণ
থাকার পাশাপাশি এর মধ্যে কিছু ঔষধি গুনও রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে
আমাদের কমবেশি অনেকেরই অজানা। এই জায়ফল যদি সঠিক নিয়ম মেনে পরিমান অনুযায়ী
খেতে হবে।
তাহলে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে। এটা উপকারী
হওয়ার পরেও এটি কিন্তু পরিমাণে অল্প ব্যবহার বা খেতে হয়। কারণ এটি যদি
বেশি খাওয়া হয় বা ব্যবহার করা হয় তাহলে এটা উপকারের বদলে ক্ষতি করে
থাকে। যাইহোক চলুন এবার আমরা জায়ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।
- গভীর ঘুমের জন্য উপকারীঃ যাদের ঘুমের সমস্যা আছে। রাতে ঘুমালে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় বা ঘুম গভীর হয় না। তারা যদি রাতে ঘুমানোর আগে হালকা কুসুম গরম দুধের সাথে জায়ফলের গুড়ো মিশিয়ে যদি খাওয়া যায় তাহলে সেটা ঘুমকে গভীর করতে সাহায্য করে। কারণ জায়ফলের গুড়োর মধ্যে প্রাকৃতিক সেডেটিভ উপাদান থাকে। এই উপাদান মূলত অনিদ্রা দূর করে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
- হজম শক্তি বাড়ায়ঃ অনেকেই আছে যাদের পেটের হজম শক্তি অনেক দুর্বল বা কম এবং কোন কিছু খাওয়ার পর সেটা হজম হতে অনেক সময় লাগে। তারা যদি কোন কিছু খাবার পর গরম দুধের সাথে জয়ফল মিশিয়ে খেতে পারে। তাহলে এটা তাদের হজম শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি পেটের মধ্যে হওয়া বিভিন্ন সমস্যা, যেমন বদহজম, ডায়রিয়া, গ্যাস, পেট ব্যথা ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের হজম শক্তি দুর্বল তারা এটি সঠিক নিয়ম মেনে খেলে ভালো উপকার পাবে।
- রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জায়ফল অনেক উপকারী ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই ফলের গুঁড়ো যদি প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। তাহলে এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুৎ গুণে বাড়িয়ে দিয়ে শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- ব্যথা কমাতেঃ ব্যথা কমানোর জন্য জায়ফলের তেল অনেক ভালো কাজ করে থাকে। জায়ফলের তেল যদি ব্যথা লাগার স্থানে লাগিয়ে মালিশ করা যায়, তাহলে জয় ফলের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান সেই ব্যথাকে দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের জয়েন্টের ব্যথা আছে তারা যদি এটি ব্যবহার করে, তাহলে তাদের জয়েন্টের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে এই তেল।
- মস্তিষ্কের জন্য উপকারীঃ এই ফল যদি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম কুসুম দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে এটা মস্তিষ্কের উন্নতি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটা নিয়মিত খাওয়া হলে মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ফলে যেকোনো কাজে মনোযোগ ধরে রাখা যায়।
- লিভার পরিষ্কার রাখতেঃ লিভারকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে জায়ফল অনেক উপকারী। জায়ফলের মধ্যে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে, যেগুলো লিভারের ক্ষতিকর পদার্থ বার করে দিতে সাহায্য করে এবং লিভারকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও এই ফল যদি নিয়মিত ব্যবহার করা হয় তাহলে এই ফল লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং লিভারকে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে বা স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখার জন্য জয়ফল অনেক কার্যকরী। এই জায়ফল যদি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটা রক্তচাপকে স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে সাহায্য করে।
- মুখের ও দাঁতের স্বাস্থ্যে উপকারীঃ জায়ফল দাঁতের এবং মুখের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য কাজ করে থাকে। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান গুলো মুখের মধ্যে হওয়া দুর্গন্ধ, দাঁতের গোড়ায় ব্যথা, দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত বার হওয়া এবং মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের টুথপেস্টে জায়ফলের ব্যবহার করে থাকে।
- যৌন শক্তি বাড়াতেঃ যাদের যৌনশক্তি অনেক দুর্বল তারা নিয়মিত জায়ফল খেতে পারেন। এটি যদি নিয়মিত খাওয়া হয়, তাহলে এর মধ্যে থাকা পুষ্টি গুনাগুন যৌন শক্তি বাড়াতে এবং যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যুগ যুগ ধরেই যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য মানুষ এর ব্যবহার করে আসছে।
- মানসিক চাপ কমাতেঃ এই ফল মানসিক চাপ অতিরিক্ত চিন্তা উদ্বেগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের এই সমস্যাগুলো আছে এবং এগুলোর কারণে ভালোভাবে ঘুম হয় না বা শরীর ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তারা এটি নিয়ম মেনে পরিমান অনুযায়ী খেতে পারেন। তাহলে ভালো উপকার পাবেন।
- হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতেঃ হার্ট ভালো রাখার জন্য জয়ফল অনেক উপকারী। কারণ জয়ফল হৃদপিন্ডের মধ্যে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া সক্রিয় করে যার কারণে হৃদপিন্ডের মধ্যে রক্তের মান ভালো থাকে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আপনি এই উপকারিতাগুলো তখনই পাবেন। যখন আপনি এটা সঠিক নিয়ম এবং
পরিমাণ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। অবশ্যই এটা থেকে উপকার পেতে
হলে আপনাকে এর নিয়ম মানতে হবে। আর আপনি যদি কোন চিকিৎসার জন্য এটা
ব্যবহার করতে চান। তাহলে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটি
ব্যবহার করবেন।
জায়ফল এর অপকারিতা
জায়ফল এর অপকারিতা এখন আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত বলবো। সাধারণত যাই
ফল একটি উপকারী উপাদান। এটি যদি সঠিক নিয়ম এবং পরিমাণে ব্যবহার করা
হয়। তাহলে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে
থাকে। শরীরের বিভিন্ন অসুখ বিসুখ দূর করে।
সেই সাথে শরীর ও মনকে সতেজ ও ভালো রাখতে সাহায্য করে কিন্তু এটি
যদি আপনি সঠিক নিয়ম না মেনে ব্যবহার করেন, তাহলে সেটা
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন তাহলে এটি যদি আপনি অনিয়মে
ব্যবহার করেন, তাহলে কি অপকারিতা হয় সেগুলো জেনে নেওয়া যাক। জায়ফল অতিরিক্ত
মাপে যদি খাওয়া হয়,
তাহলে সেটা স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি সাধন করতে পারে। যেটা আপনার
মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা করা সহ বিভ্রান্তিকর বা অতিরিক্ত কথা বলার মত
সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এটা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়,
তাহলে সেটা পেটের মধ্যে বিক্রিয়া ঘটিয়ে বমি, ডায়রিয়া,
পেট ব্যথা, পেটে গ্যাস হওয়া ও হার্টবিট বাড়িয়ে দেওয়া এবং
শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
যেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এই জায়ফল যদি গর্ভাবস্থায়
অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তাহলে সেটা গর্ভবতী মায়ের জরাইয়ু সংকোচন করতে পারে। যার
কারণে গর্ভপাতের মত সমস্যা অথবা ডেলিভারি সময় ঝুঁকি তৈরি হতে
পারে। তাই গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি খাওয়া নিরাপদ
নয়। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের এটি ব্যবহারের ফলে এলার্জি
প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন ত্বকে চুলকানি ত্বকে লাল দাগ এবং ফোলা ভাব
ইত্যাদি।
তবে সবার ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় না, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই
এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ফল লিভারের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত খেলে
এটা লিভারের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে এই ফল যদি টানা অনেকদিন ধরে ব্যবহার বা
খাওয়া হয় তাহলে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এটি টানা অনেকদিন না
খেয়ে মাঝেমধ্যে গ্যাপ রাখা উচিত এতে লিভারের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি খুব কম
থাকে।
জায়ফল কিভাবে গুড়া করতে হয়
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে জায়ফল কিভাবে গুড়া করতে হয়। এখন আমি
আপনাদেরকে বলবো যে আপনি কিভাবে জায়ফল গুড়া করবেন। জায়ফল অনেক উপকারী
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। এই ফলের গুড়া যদি দুধের সাথে খাওয়া যায়,
তাহলে এর উপকারিতা অনেক পাওয়া যায়।
তবে অনেকেই জানে না যে জায়ফলের গুড়া কিভাবে করতে হয়। চলুন কিভাবে আপনি
এই ফল গুড়া করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। প্রথমে শুকনো জয়ফল
নিতে হবে। এরপর সেই ফলের উপরের অংশ ফাটিয়ে নিতে হবে। দিয়ে ভিতরের অংশটুকু বার
করতে হবে, ভেতরের অংশটুকু বার করার পর সেটাকে ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে।
এরপর সেই টুকরোগুলোকে ব্লেন্ডারে অথবা সিলপাটা দিয়ে ভালোভাবে গুড়ো করে
নিতে হবে। গুড়ো হওয়ার পর সেটাকে বাতাস ঢোকেনা এরকম কোন বোতলে রাখতে
হবে। তারপর পরিমাণ অনুযায়ী রান্নাতে ব্যবহার করতে হবে। তবে জায়ফলের
গুড়ো ততটুকুই গুড়া করা উচিত যতটুকু প্রয়োজন। কারণ এটা টাটকা অবস্থাতেই
বেশি সুগন্ধি ছড়ায়। আশা করছি কিভাবে জায়ফলের গুড়া করতে হয় সে
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
রান্নায় জায়ফল ব্যবহার
আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানতে চেয়েছেন রান্নায় জায়ফল ব্যবহার
সম্পর্কে। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য এবং আকর্ষণীয় সুগন্ধ ছড়ানোর
জন্য জয়ফল অনেক কার্যকরী এবং উপকারী হিসেবে কাজ করে। জয় ফল বিভিন্ন
ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে অনেকেই জানে না যে এটা আসলে
কোন কোন রান্নায় ব্যবহার করা হয়। তাই এখন আমি আমার এই আলোচনাতে বলবো যে
কিভাবে এবং কোন কোন রান্নায় জায়ফল ব্যবহার করা হয়। চলুন তাহলে জেনে
নেওয়া যাক।
- মিষ্টি জাতীয় খাবারেঃ আপনি জায়ফলে মিষ্টি জাতীয় খাবারে ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি মিষ্টি জাতীয় খাবারে জায়ফলের গুড়ো হালকা ছিটিয়ে দেন। তাহলে সেই খাবারের সুগন্ধ এবং স্বাদ দুটাকেই আরো আকর্ষণীয় এবং টেস্টি করে তুলতে সাহায্য করে। আপনি এই জায়ফলটি ক্ষীরের সাথে, দুধের মিষ্টির সাথে, সেমাইয়ের সাথে এবং পায়েসের সাথে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি এই ফলের গুড়ো কেক ও পুডিং জাতীয় খাবারও ব্যবহার করতে পারেন। আর শীতকালে আপনি চা বা দুধের সাথে অল্প একটু এর গুড়ো দিলে সেটা দুধ বা চায়ের স্বাদ কে বাড়ানোর পাশাপাশি এটি শরীরে গরম ধরাতে সাহায্য করে।
- মাংস রান্নাতেঃ আপনি মাংস রান্নাতে এই ফলের ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি মাংস রান্না সময় জায়ফলের গুড়ো পরিমাণ মতো ছিটিয়ে দিতে পারেন। তাহলে সেটা মাংসের স্বাদ এবং মাংসের সুগন্ধ কে বারিয়ে দিতে সাহায্য করে। যুগ যুগ ধরেই মাংস রান্নায় এই ফল ব্যবহার হয়ে আসছে। এই ফলের গুঁড়ো মাংসতে দেওয়ার পর মাংস খেতে অনেক সুস্বাদু হয় এবং এর সুগন্ধ খাওয়ার প্রতি রুচি বহুৎ গুনে বাড়িয়ে দেয়। আপনি এটি গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস সহ কোরমা, কাবাব ও রেজালাতে ব্যবহার করতে পারেন।
- সবজি রান্নাতেঃ আপনি এটি বিভিন্ন সবজি রান্নাতে ব্যবহার করে সবজির তরকারিকে আরো সুস্বাদু করে তুলতে পারেন। যেটা খেতে অনেক স্বাদ পাওয়া যাবে। আপনি এই ফলের গুড়ো বিভিন্ন তরকারি যেমন বাঁধাকপি, আলু মটর, গাজর, ফুলকপি বেগুন, পটলে ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোতে যদি আপনি সামান্য পরিমাণে জয়ফলের গুড়ো ছিটিয়ে দেন তাহলে সেটা এই সবজির স্বাদ কে আরো বাড়িয়ে দেয়।
-
পানীয়তে ব্যবহারঃ আপনি চাইলে কফি, মিলকসেক অথবা হট
চকলেটে অল্প পরিমাণে অথবা এর চিমটি ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতে করে এর
স্বাদ এবং সুগন্ধ অনেক ভালো পাওয়া যায়।
জায়ফলের গুঁড়ো যদি অতিরিক্ত রান্নাতে ব্যবহার করা হয়। তাহলে সেটা রান্নার
স্বাদ কে পাল্টে দিতে পারে। তার জন্য রান্নাতে এই ফলের গুড়ো পরিমাণ
অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। পরিমাণ অনুযায়ী যদি ব্যবহার করা যায়। তাহলে
সেটা রান্নার স্বাদ ও গন্ধ দুটোকেই অনেক আকর্ষণীয় করে
তোলে। আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি রান্নায় জায়ফল ব্যবহার
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
জয়ফল খাওয়ার নিয়ম
অনেকেই জায়ফল চিনে থাকে এবং এর ব্যবহারও করে থাকে। কিন্তু তারা জানে না জায়ফল
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাই এখন আমি আপনাদেরকে জায়ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
সম্পর্কে বলবো। যেন আপনারা এটি থেকে পরিপূর্ণভাবে উপকার পেতে পারেন।
জয়ফল শুধু যে রান্নার মসলাতেই ব্যবহার করা হয় তা কিন্তু নয়। এটী কিন্তু ওষুধী
গুনসম্পন্ন একটি ফল। তাই এ ফলটি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়ম
জানতে হবে। তাহলে এর থেকে আপনি ভালো উপকার বা ফলাফল পাবেন। চলুন এই ফল খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনার যদি ঘুমের সমস্যা হয়, তাহলে এই ফলের গুঁড়ো আপনি রাতের বেলায়
ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম কুসুম দুধ অথবা পানিতে মিশিয়ে খেতে
পারেন। এতে করে আপনার ঘুমের সমস্যা থাকলে ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে
এবং আপনার ঘুমকে অনেক গভীর করতে সাহায্য করবে। এর
পাশাপাশি এটি আপনার মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখবে ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা
বৃদ্ধি করবে।
আপনার যদি হজম শক্তি দুর্বল হয়ে থাকে, তাহলে আপনার হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য আপনি
চাইলে এই ফলের গুড়ো খেতে পারেন। এতে আপনার হজম শক্তি বাড়বে। আপনি
খাবার খাওয়ার পর এই ফলের গুড়ো এক চিমটি মুখে দিয়ে খেয়ে নিতে
পারেন। তাহলে আপনার হজম শক্তি বাড়বে এবং পেটের সমস্যা দূর হয়ে
যাবে।
যাদের সর্দি কাশি বা ঠান্ডা জনিত সমস্যা আছে, তারা চাইলে জয়ফলের ব্যবহার করে খুব
সহজেই সর্দি কাশি বা ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে পারেন। এটি আপনি এক চামচ
মধুর সাথে হাফ চামচ অথবা এক চিমটি জয়ফলের গুড়ো মিক্স করে। সেটিকে সকালে খালি
পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে চেটে খেতে পারেন। নিয়ম মেনে কয়েকদিন যদি
খাওয়া যায়, তাহলে সর্দি কাশি ও গলা ব্যথার মতো সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া
সম্ভব।
মুখের কালচে দাগ, মুখের ব্রণ ও মুখে বয়সের ছাপ দূর করার জন্য আপনি জয়ফলের
গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। জয়ফলের গুড়ো এক চামচ, এক চামচ মধু, এক চামচ দুধ
অথবা এক চামচ গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে এটি কে মুখের ত্বকে ব্যবহার করতে
পারেন। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করলে মুখ ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও
পরিষ্কার হবে এবং ত্বকের দাগ ও বয়সের ছাপ দূর হয়ে যাবে।
জায়ফল মুখে মাখলে কি হয়
আপনারা অনেকেই জায়ফল মুখে মাখলে কি হয় এই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। জয়ফল
যুগ যুগ ধরেই ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য
এবং রূপচর্চায় আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
জয়ফলের মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল
ত্বককে গভীর থেকে উজ্জ্বল করে এবং ত্বকের দাগ ও ব্রণ কমাতে সাহায্য
করে।
তবে অনেকেই জানে না এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং এটি মুখে মাখলে কি
হয়। এটি যদি সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এটার মধ্যে থাকা
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল মুখের ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলোকে ধ্বংস
করে এবং মুখের ব্রণ দূর করে।
এছাড়াও এটি মুখের পুরনো দাগ ও মুখে খাল থাকলে সেগুলো ভালো করতে
সাহায্য করে। মুখের মরে যাওয়া ত্বককে দূর করে। এছাড়াও যাদের তৈলাক্ত
ত্বক অর্থাৎ মুখে সবসময় তেল তেল ভাব থাকে। তারা এটি যদি এটা মুখে মাখে,
তাহলে তাদের ত্বকের তেল কম হয় এবং ত্বকে একটা ফ্রেশ ফ্রেশ ফিল পাওয়া
যায়।
জায়ফল কি হজমে ভালো
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে জায়ফল কি হজমে ভালো। তাদেরকে আমি বলতে চাই জি
হাঁ জায়ফল হজমের জন্য অনেক উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এটি যদি সঠিক
নিয়ম ও পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়া বা ব্যবহার করা হয়।
তাহলে এটি হজম প্রক্রিয়াকে সচল করতে এবং পেটের খাবারকে দ্রুত হজম করতে
সাহায্য করে। যাদের হজমের সমস্যা বা হজম শক্তি কম তারা যদি এটা নিয়ম করে
খেতে পারেন। তাহলে তাদের হজম শক্তি বাড়ে সেই সাথে পেটের বিভিন্ন রকমের
সমস্যা যেমন গ্যাস, পেট ব্যথা ও পেট ফাঁপা ভালো হয়। তাই বলা জায়ফল খাওয়া
হজমের জন্য অনেক ভালো ও উপকারী।
জায়ফল কি ঘুমাতে সাহায্য করে
জায়ফল কি ঘুমাতে সাহায্য করে এই প্রশ্নটা আপনারা অনেকেই আছেন যারা করে
থাকেন। জয়ফল ঘুমের জন্য অনেক উপকারী একটি প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান। এটা
অনেক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরা তাদের চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করে
থাকে। অনেক বছর ধরেই ভালো ঘুমের জন্য জয়ফলের ব্যবহার হয়ে আসছে।
জায়ফলে থাকা মাইরিস্টিসিন মস্তিষ্কের অতিরিক্ত চাপ দূর করে
এবং মস্তিষ্কের স্নায়ু কে শান্ত করতে সাহায্য করে। যার কারণে ঘুমের মান ও
ঘুমকে গভীর হতে সাহায্য করে এবং ভালো ঘুম হয়। জায়ফল রাতে ঘুমানোর
আগে দুধের সাথে এক হাফ চামচ বা এক চিমটি মিশিয়ে খেলে এটি ঘুমাতে
সাহায্য করে। এটা মানসিক চাপ, টেনশন এবং দুশ্চিন্তা দূর করতে অনেক
উপকারী।
FAQ/জায়ফল সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
এখন আমি আপনাদেরকে জায়ফল সম্পর্কে কিছু আলোচিত প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে
জানাবো। চলুন সেই আলোচিত প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক।
জায়ফল কাদের খাওয়া উচিত নয়?
- উত্তরঃ জায়ফল অনেক উপকারী একটি উপাদান। তারপরেও এটি কিছু মানুষের খাওয়া মোটেও উচিত নয় যেমন যারা গর্ভবতী মা আছে তাদের গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া মোটেও উচিত নয়। এছাড়াও যারা স্তন্যদানকারী মা, যাদের লিভারের অসুখ আছে, যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে, যারা মানসিক সমস্যায় ওষুধ ব্যবহার করছেন এবং ছোট বাচ্চাদের এটি খাওয়া উচিত নয়।
জায়ফলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?
-
উত্তর সাধারণত জায়ফল অনেক উপকারী হলেও এটি যদি আপনি সঠিক নিয়ম ও পরিমান
অনুযায়ী না ব্যবহার করেন অর্থাৎ এটি ব্যবহারে অনিয়ম করলে এটির কিছু
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। যেগুলো হচ্ছে মাথা ঘোরা, বমি
হওয়া, অবাস্তবিক কিছু দেখা, অতিরিক্ত কথা বলা, হজমে সমস্যা হওয়া, হার্টবিট
বেড়ে যাওয়া, এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়া, লিভারের উপর চাপ বেশি
ফেলে লিভারের ক্ষতি করা এবং রক্তচাপ হুট করে বাড়িয়ে দেওয়া এবং হুট
করে কমিয়ে দেওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
জায়ফল খেলে কি রক্তচাপ বাড়ে?
-
উত্তরঃ জায়ফল যদি সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়া হয় তাহলে সেটা
রক্তচাপ বাড়ায় না বরং রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এক
কথায় বলা যায় জয়ফল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে পরিমাণে যদি
অতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে সেটা রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
জায়ফল খেলে কি জয়েন্টের ব্যথা হয়?
-
উত্তরঃ যদি সঠিক পরিমাণে এবং নিয়ম করে জায়ফল খাওয়া হয়,
তাহলে এটা জয়েন্টের ব্যথা ভালো করতে বা কমাতে সাহায্য
করে। তবে অতিরিক্ত যদি এটি খাওয়া হয়, তাহলে জয়েন্টের ব্যথা হতে
পারে। তাই অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণে অল্প খাওয়াই নিরাপদ।
প্রতিদিন জায়ফল খাওয়া কি নিরাপদ?
-
উত্তরঃ প্রতিদিন জায়ফল খাওয়া নিরাপদ। তবে অবশ্যই আপনাকে এটি নিয়ম
মেনে সীমিত পরিমানে খেতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন এটি সীমিত
পরিমাণে সঠিক নিয়মে খেতে পারেন। তাহলে এটা আপনার স্বাস্থ্যের অনেক
উপকার করবে। তবে আপনি যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে প্রতিদিন খান তাহলে সেটা
আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
জায়ফল বেশি খেলে কি হয়
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে জায়ফল বেশি খেলে কি হয়। জায়ফল খেলে যেমন
উপকার পাওয়া যায়, তেমনি এটি থেকে কিছু অপকারিতাও পাওয়া যায়। বিশেষ করে
এই অপকারিতা গুলো তখনই পাওয়া যায়। যখন জায়ফল পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়া
হয়। তাই জায়ফল খেতে হবে সঠিক নিয়ম এবং পরিমাণ অনুযায়ী।
জায়ফল যদি বেশি খাওয়া হয় তাহলে যেসব সমস্যা গুলো হতে পারে সেগুলো হচ্ছেঃ
এলার্জির সমস্যা, হজমে সমস্যা, লিভারের ক্ষতি, কিডনির ক্ষতি, হঠাৎ
রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, মাথা
ঘোরা ইত্যাদি। জায়ফল যদি সীমিত পরিমাণে খাওয়া হয়,
তাহলে এটা থেকে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
তবে অতিরিক্ত খেলে উপরে যেই সমস্যাগুলো বললাম এই সমস্যাগুলো হতে
পারে। তাই এটি বেশি না খেয়ে সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। আর যাদের
এলার্জির সমস্যা আছে এবং যারা গর্ভবতী মহিলা ও ছোট শিশুদের এটি খাওয়া থেকে
বিরত থাকতে হবে। আশা করছি জায়ফল বেশি খেলে কি হয় এই বিষয়ে আপনি
ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্যঃ জায়ফল এর দাম সম্পর্কে
আমি আমার আর্টিকেলের মধ্যে জায়ফল এর দাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। সেই সাথে আমি আপনাদের সাথে জায়ফল এর উপকারিতা ও অপকারিতা,
রান্নায় জায়ফল ব্যবহার। জায়ফল খাওয়ার নিয়ম এবং জায়ফল বেশি খেলে কি হয় এই
সকল বিষয়ে আপনাদেরকে বলেছি। আশা করছি আপনি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার
পর জায়ফল সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।
আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আমার এই
আর্টিকেলটি আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং তাদেরকেও জানার
সুযোগ করে দিবেন। এছাড়াও আপনার যদি আমার এই আর্টিকেলটি নিয়ে কোন প্রশ্ন বা
মতামত থাকে অথবা আপনি যদি নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে অবশ্যই
আমাদের নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।
অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url