লটকনের বিচি খেলে কি হয় - লটকনের অপকারিতা জানুন
লটকনের বিচি খেলে কি হয় জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। কারণ এখন আমি এই আর্টিকেলের মধ্যে লটকনের
অপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এছাড়াও লটকন খাওয়ার নিয়ম এবং এই লটকন কোথায় পাওয়া যায়, লটকন খেলে কি ওজন
বাড়ে সেই সম্পর্কেও আপনাদেরকে জানাবো। চলুন তাহলে আর দেরি না করে লটকন
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ লটকনের বিচি খেলে কি হয়
- লটকনের বিচি খেলে কি হয়
- লটকনের অপকারিতা সম্পর্কে
- লটকনের উপকারিতা সম্পর্কে
- গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা
- লটকন খাওয়ার নিয়ম
- FAQ/লটকনের বিচি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- লটকনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে
- লটকন খেলে কি ডায়াবেটিস বেড়ে যায়
- কিডনি রোগীরা লটকন খেতে পারবে কি
- লটকন খেলে কি ওজন বাড়ে
- লটকন কখন পাওয়া যায়
- FAQ/লটকন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ লটকনের বিচি খেলে কি হয়
লটকনের বিচি খেলে কি হয়
আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানতে চেয়েছিলেন যে লটকনের বিচি খেলে কি
হয়। লটকনের বিচি সরাসরি খাওয়া উচিত নয়। কারণ লটকনের বিচিতে এমন কিছু
উপাদান থাকে যে উপাদানগুলো শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তবে অনেকেই এটা
আবার ভেষজ ওষুধ হিসেবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। এটি যদি
সঠিকভাবে প্রস্তুত করণ এবং সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ অনুযায়ী না খাওয়া হয়।
তাহলে সেটা শরীরের মধ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন অতিরিক্ত
তিতার কারণে সেটা বমি ভাব তৈরি করতে পারে এবং পেটের মধ্যে গ্যাস, পেটব্যথা, পেট
ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও বিচি অনেক শক্ত হওয়ার কারণে এটা হজমে
সমস্যা তৈরি করে। আর হজমের সমস্যা হওয়ার কারণে সেটা পেটের মধ্যে বিক্রিয়া
ঘটিয়ে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার মত সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বেদানার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন আগে
এটা মোটেও বাচ্চাদের খাওয়া উচিত নয়। বাচ্চারা যদি এটা খায় তাহলে পেটের মধ্যে
বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। যাদের কিডনির সমস্যা আছে এবং লিভারের সমস্যা
আছে তাদের এটি খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটার মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলো
কিডনি ও লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। তাই যাদের লিভার ও কিডনির অসুখ আছে
তারা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
তা না হলে এটা কিডনি ও লিভারের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি সাধারণত
এমনি খাওয়া উচিত নয়। তবে আপনি যদি এটা চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ
নিয়ে খান। তাহলে সেটা আপনার কিছু সমস্যার বা কিছু রোগের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ
করবে। অনেকেই আছে যারা এই বিচিকে ভালোভাবে শুকিয়ে গুড়ো করে।
দিয়ে সেটা পরিমাণ অনুযায়ী ব্যবহার করে পেটের কৃমি দূর করার জন্য। অনেকেই এটি বলে
থাকেন যে এটা গুঁড়ো করে অল্প পরিমাণে খাওয়া হলে সেটা নাকি পেটের গ্যাস ভালো করে
দেয়। এমন কি এটা প্রচন্ড জ্বর বা পেট ব্যথার জন্য ব্যবহার করা হয়ে
থাকে। এই বিচির যদি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তাহলে অবশ্যই সেটা
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পর ব্যবহার করবেন। তাছাড়া এটি ব্যবহার করা ক্ষতিকর
হতে পারে।
লটকনের অপকারিতা
আপনারা অনেকেই আছেন যারা লটকনের অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না।
তাই এখন আমি আপনাদেরকে লটকনের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
জানাবো। যাতে করে আপনি এটি খাওয়ার পূর্বে সতর্ক হয়ে এবং সঠিক নিয়ম
মেনে খেতে পারেন।
লটকন অনেক উপকারী একটি ফল। তবে আপনি যদি এটি সঠিক নিয়ম ও পরিমান অনুযায়ী না
খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে এটি শরীরের মধ্যে কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে
পারে। চলুন তাহলে ক্ষতিকর দিক বা এর অপকারিতা কি সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
- গ্যাসের সমস্যাঃ আপনি যদি লটকন ফলটি পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন। তাহলে সেটা আপনার পেটের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ এই ফলটি একটু টক মিষ্টি যার কারনে অতিরিক্ত খাওয়া হলে সেটা পেটের মধ্যে এসিডিটি অর্থাৎ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয়। যার ফলে পেটের মধ্যে ব্যথা, পেট ফাঁপা, পেট জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ডায়রিয়ার সমস্যাঃ লটকনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যাসিড থাকে। আর এই লটকন যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয়। তাহলে এটার মধ্যে থাকা এসিড পেটের মধ্যে জমা হয়ে, পেটের হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং সেটা পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
- বমি বমি ভাব হাওয়াঃ আপনি যদি এই ফলটি খাওয়ার সময় ভালোভাবে না ধুয়ে অথবা এই ফলটির পচা অংশ আপনি যদি না দেখে খেয়ে নেন। তাহলে সেটার কারণে পেটের মধ্যে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং সেটা পেট ব্যথা ও তার সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
- ডাইবেটিসের ঝুঁকিঃ লটকন অনেক উপকারী একটি ফল। তবে এটি প্রাকৃতিক হওয়ার কারণে এর মধ্যে প্রাকৃতিক চিনি থাকে অনেক বেশি। আর এটা যদি পরিমাণে অতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে সেটা রক্তের মধ্যে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে। তারা এটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
- বিষক্রিয়া হতে পারেঃ অনেকে আছে যারা লটকনের ফলের সাথে এর বিচি খেয়ে থাকে। এই বিচি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ লটকনের বিচির মধ্যে এমন কিছু বিষাক্ত উপাদান আছে যেগুলো শরীরের মধ্যে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
- কিডনি ও লিভারের ক্ষতিঃ লটকনের বিচিতে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যেগুলো লিভার ও কিডনির উপর অনেক চাপ সৃষ্টি করে। যদি এটা পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে কোন সমস্যা হয় না। তবে অতিরিক্ত যদি এটি খাওয়া হয়, তাহলে সেটা লিভার ও কিডনির উপর চাপ ফেলে কিডনি ও লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
- এলার্জির সমস্যাঃ অনেকের ক্ষেত্রে লটকনের রস বা জুস শরীরের মধ্যে এলার্জির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যার কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া, শরীরে ফুসকুড়ি ওঠা, ত্বকে চুলকানি ও লাল দাগ হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- বাচ্চাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণঃ লটকনের উপরের যে অংশটা সেটা বাচ্চার জন্য নিরাপদ কিন্তু বাচ্চাকে যদি লটকনের বিচি খাওয়ানো হয় তাহলে সেটা তার স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক হতে পারে। কারণ লটকনের বিচিতে এমন খারাপ বা বিষাক্ত উপাদান আছে যেগুলো শিশুর জন্য অনেক খারাপ হতে পারে। এমনকি লটকনের বিচি ছোট বাচ্চারা খেতে গিয়ে সেটা গলাতে আটকে যেতে পারে। তাই তাদেরকে এই ফলটি খাওয়ার সময় বিচি ছাড়িয়ে খাওয়াতে হবে।
- পেট ফাঁপাঃ যাদের হজম শক্তি অনেক দুর্বল তারা যদি এটি অতিরিক্ত খায় তাহলে সেটা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা এবং বদহজম হতে পারে।
- দাঁতের ক্ষতিঃ এই ফলটি খাওয়ার পর যদি ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার না করা হয়। তাহলে এই ফলের মধ্যে থাকা কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দাঁতের গোড়া ক্ষয় করতে পারে এবং দাঁতের অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে তাই এটি খাওয়ার পর ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।
লটকনের উপকারিতা
আপনারা অনেকেই আছেন যারা লটকনের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তাই এখন আমি
আপনাদের কে লটকনের উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। লটকন অনেক উপকারী একটি ফল আমাদের
শরীরের জন্য। এটি যদি নিয়ম ও পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়া হয়, তাহলে সেটা শরীরের
অনেক সমস্যা দূর করে এবং শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। এটি খেলে
আরো অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন উপকারিতা গুলো কি সেগুলো জেনে নেওয়া
যাক।
- লটকনের ফল আপনি যদি সঠিক নিয়ম পরিমাণ অনুযায়ী খান তাহলে সেটা আপনার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। কারণ লোকটনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ফাইবার থাকে। যেটা হজম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সেটা দূর হয়ে যায়।
- এই ফলটি আপনি যদি নিয়ম করে খেতে পারেন। তাহলে সেটা আপনার শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। কারণ এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি ভালো পরিমাণে থাকে। আর ভিটামিন সি থাকার কারণে সেটা শরীরের রোগ ভালো করে যেমন সর্দি, কাশি, ঠান্ডা, জ্বর ইত্যাদি।
- লটকন যদি নিয়মিত খাওয়া হয়, তাহলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি সহ আরো অনেক প্রাকৃতিক উপাদান থাকে। যেগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যকে রাখা ভালো। যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে সেটা বয়সের ছাপ দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- লটকনের মধ্যে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যেগুলো শরীরের মধ্যে থাকা খারাপ টক্সিন দ্রুত বার করে দেয় এবং রক্তকে পরিষ্কার রাখে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেও এই ফলটির উপকারিতা অনেক। আপনি যদি আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। তাহলে এই ফলটি নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ লটকন লো ক্যালোরিযুক্ত একটি ফল এবং এর মধ্যে প্রাকৃতিক ফাইবার থাকে অনেক বেশি। যেটা শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না এবং পেটকে অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখে। যার কারণে খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় ফলে আস্তে আস্তে ওজন কমতে শুরু করে।
- এই ফলটি যদি খাওয়া হয় তাহলে সেটা রক্তের মধ্যে কোলেস্টেরল এর মাত্রা অনেকটুকু কমিয়ে দেয়। যার কারণে হার্টের মধ্যে ভালোভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে এবং হার্ট থাকে সুস্থ। এক কথায় বলা যায় যে লটকনের মধ্যে মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- যাদের শরীরের মধ্যে রক্তের ঘাটতি আছে তারা যদি লটকন খায়। তাহলে সেটা শরীরের মধ্যে রক্তের ঘাটতি থাকলে পূরণ করতে সাহায্য করে। কারণ লটকনের মধ্যে প্রাকৃতিক আয়রন থাকে অনেক বেশি। যেটা রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে শরীরে রক্ত উৎপন্ন করে।
- এই ফলটি খেলে হাড় শক্ত হয়। কারণ এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি থাকে অনেক বেশি তার সাথে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস থাকে। যেগুলো হাড়ের জন্য অনেক উপকারী। এটি যদি নিয়মিত খাওয়া হয়, তাহলে সেটা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- এই ফলটি শরীরের দুর্বলতা দূর করে এবং শরীরের মধ্যে শক্তি উৎপন্ন করে। কারণ এই ফলের মধ্যে ভিটামিন বি এবং প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। যেগুলো শরীরের মধ্যে শক্তি উৎপন্ন করে এবং শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
- এই ফলটি যে শুধু শরীরের জন্য উপকারীতা কিন্তু নয় এটি ক্যান্সার প্রতিরোধেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ এর মধ্যে ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যেগুলো শরীরের মধ্যে থাকা ক্যান্সার উৎপন্নকারী কোষ ধ্বংস করে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
- যাদের দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা আছে এবং মুখে দুর্গন্ধ আছে সেই সাথে মাঠের ইনফেকশনের মত সমস্যা যাদের আছে। এই সকল সমস্যা ভালো করতে লটকন অনেক উপকারী। কারণ লটকনের মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যেটা দাঁতের মাড়ির রক্তপাত এবং মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
-
লটকন যেহেতু একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক ফল সেহেতু এর মধ্যে অনেক প্রাকৃতিক
পুষ্টি উপাদান থাকে। যেগুলো চুলের গোড়া শক্ত করে এবং অতিরিক্ত চুল পড়া
কমিয়ে দেয়।
গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা
উপরে আমরা লটকনের বিচি খেলে কি হয় এবং এর অপকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে
এসেছি। এবার আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের এবং তার পেটে থাকা
সন্তানের জন্য পুষ্টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
তাই এ সময় যদি লটকন খাওয়া হয় তাহলে গর্ভবতী মা এবং শিশু সেটা থেকে ভালো পুষ্টি
গ্রহণ করতে পারে। তবে সেটা অবশ্যই পরিমাণ ও সঠিক নিয়ম মেনে যদি খায়
তাহলে। চলুন গর্ভাবস্থায় লটকন যদি খাওয়া হয় এর কি উপকারিতা পাওয়া যায়
সেগুলো জেনে নিই।
- গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শরীরে অনেক দুর্বল থাকে এবং অনেক অসুখ বিসুখ হয় এ সময় যদি লটকন খাওয়া যায়। তাহলে লটকনে থাকা ভিটামিন সি গর্ভবতী মায়ের শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। যার কারণে সহজে জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা হয় না।
- গর্ভাবস্থায় মায়ের হজম শক্তি একটু দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় তাদের হজমের সমস্যা হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। লটকন যদি গর্ভাবস্থায় খাওয়া হয়, তাহলে সেটার মধ্যে থাকা ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং মলকে নরম করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে রক্তের ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে। এ সময় যদি লটকন খাওয়া হয় তাহলে লটকনে থাকা আয়রন গর্ভবতী মায়ের শরীরের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে রক্ত উৎপন্ন করে এবং শরীরের রক্তের ঘাটতি থাকলে পূরণ হয়।
- লটকনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ফসফরাস থাকে। যেটা গর্ভাবস্থায় খাওয়া হলে মা এবং পেটে থাকা সন্তানের হাড়ের গঠন ভালো হয়।
- ব্যবস্থায় মায়ের ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য খারাপ বা উষ্ণ হয়ে থাকে। এ সময় যদি লটকন খাওয়া হয় তাহলে লটকনে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গর্ভবতী মায়ের চুল এবং ত্বকের উষ্ণতা দূর করে ত্বক কে রাখে মসৃণ এবং চুলের গোড়া করে শক্ত।
-
লটকনের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান গুলো গর্ভে থাকা শিশুর শরীর গঠন
বা বিকাশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই উপাদানগুলো শিশুর
শরীরের কোষ গঠন করে এবং তার মস্তিষ্ক এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি
করে এবং শিশুকে রাখে সুস্থ সবল।
লটকন খাওয়ার নিয়ম
এতক্ষণ আমরা লটকন সম্পর্কে ভালো খারাপ সবদিক সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা
জানবো লটকন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। লটকন থেকে যদি উপকারিতা পাওয়ার
ইচ্ছা থাকে। তাহলে সেটা অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়ম এবং সঠিক পরিমাণ অনুযায়ী খেতে
হবে।
যেমন ধরেন প্রতিদিন আপনি ৭ থেকে ৮টি লটকন খেতে পারেন। খাওয়ার পূর্বে
ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে। এটা যেহেতু একটু টক জাতীয় ফল সেহেতু অতিরিক্ত বা
বেশি পরিমাণে না খাওয়ায় ভালো। বিশেষ করে খালি পেটে যেন এটা খাওয়া না হয়। তা
না হলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বীর্য মনি ফল খাওয়ার নিয়ম
এটি খাওয়ার সময় উপরের খোসা ভালোভাবে ছাড়িয়ে নিয়ে খেতে হবে। অবশ্যই খাওয়ার
সময় সতর্ক থাকবেন যেন এই ফলটির বিচি না খাওয়া হয়। কারণ এই ফলের বিচিতে কিছু
বিষাক্ত উপাদান থাকে। যেগুলো পেটে গিয়ে হজমের সমস্যা তৈরি করে।
আপনি যদি এটা থেকে একটু বেশি স্বাদ নিতে চান? তাহলে সেটা ফ্রিজে বা ঠান্ডা করে
খেতে পারেন। এতে করে এটার স্বাদ ভালো পাওয়া যায়। এটি খাওয়ার চেষ্টা করবেন
সন্ধ্যার আগেই কারণ রাতের বেলায় এটা খেলে অনেকের পেট ভারী, পেট ফাঁপা ও পেট
ব্যথার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
FAQ/লটকনের বিচি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
এখন আমি আপনাদেরকে লটকনের বিচি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দেব যেগুলো আপনাদের
অনেকেরই কাজে আসবে। চলুন তাহলে সেই প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো জেনে নেওয়া
যাক।
লটকনের জন্য কোন জেলা বিখ্যাত?
- উত্তরঃ লটকনের জন্য সবথেকে বিখ্যাত হচ্ছে নরসিংদী জেলা। এখান থেকেই প্রায় ৭০ ভাগের বেশি লটকন আমাদের দেশে সরবরাহ করা হয় বা আসে। এছাড়াও আরো কয়েকটি জেলা আছে যেমন গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে নরসিংদী।
কোথায় লটকন পাওয়া যায়?
- উত্তরঃ এই লটকন ফলটি মৌসুমী ফল হওয়ার কারণে এটা বর্ষার সময় বাজারে পাওয়া যায়। আপনি বর্ষাকালে আপনার নিকটস্থ বাজারে যেমন সবজির বাজার বা ফলের দোকানে এটি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি এই ফলটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অর্ডার করতে পারেন অথবা সুপার শপে এই ফলটি আপনি খুব সহজেই পেতে পারেন।
খালি পেটে লটকন খেলে কি হয়?
- উত্তরঃ খালি পেটে লটকন খেলে সেটা অনেকের জন্য ভালো বা উপকারী হলেও এটা যেহেতু টক মিষ্টি জাতীয় ফল। সেহেতু এটা যদি খালি পেটে খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে পেটের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার কারণে পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং পাতলা পায়খানা হতে পারে।
লটকনের ইংরেজি কি?
- উত্তরঃ আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে লটকনের ইংরেজি কি? লটকনের ইংরেজি হচ্ছে Burmese Grape।
লটকনে কত ক্যালরি আছে?
- উত্তরঃ আপনারা অনেকেই জানেন যে লটকন একটি ক্যালরিযুক্ত পুষ্টিকর ফল। তবে আপনারা জানেন না যে এটার মধ্যে আসলে কত ক্যালরি থাকে। চলুন তাহলে এটা জেনে নেওয়া যাক। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের মধ্যে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ক্যালরি থাকে।
লটকনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে
আপনারা অনেকেই জানেন না লটকনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। তাই এখন আমি আপনাদেরকে
জানাবো লটকনের মধ্যে কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে সে সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর
দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্টি উপাদানের নাম | পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ |
---|---|
ভিটামিন সি | ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন এ বিটা ক্যারোটিন | অল্প পরিমাণ |
ভিটামিন বি১ | ০.৫ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন বি২ | 0.5 মিলিগ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ১২ মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | ১২ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম |
আয়রন | ১ মিলিগ্রাম |
পটাশিয়াম | ৬০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম | ৮ মিলিগ্রাম |
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট | স্বাভাবিক |
ফ্যাট | ০.৩ গ্রাম |
প্রোটিন | ০.৭ গ্রাম |
ফাইবার | ১.৫ থেকে ২ গ্রাম |
চিনি | ৯ গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ১২ গ্রাম |
ক্যালোরি | ৪৩ থেকে ৫০ গ্রাম কিলোক্যালরি |
লটকন খেলে কি ডায়াবেটিস বেড়ে যায়
আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানতে চেয়েছিলেন যে লটকন খেলে কি ডায়াবেটিস বেড়ে
যায়। আপনি যদি লটকন পরিমাণ ও নিয়ম মেনে খেতে পারেন। তাহলে সেটা ডায়াবেটিসের
কোন ক্ষতি বা ডায়াবেটিস বাড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। তবে আপনি যদি এটা পরিমাণের
চেয়ে অতিরিক্ত খান তাহলে সেটা আপনার ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দিতে পারে।
কারণ এর মধ্যে প্রাকৃতিক চিনি অল্প পরিমাণে থাকে। যদি এটা অতিরিক্ত খাওয়া হয়,
তাহলে সেই প্রাকৃতিক চিনি আস্তে আস্তে রক্তের মধ্যে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই লটকন খেতে হবে সঠিক নিয়ম এবং
পরিমাণ অনুযায়ী। আর যারা ডায়াবেটিসের রোগী আছেন তারা লটকন খাওয়ার আগে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
কিডনি রোগীরা লটকন খেতে পারবে কি
কিডনি রোগীরা লটকন খেতে পারবে কি এ বিষয়ে এখন আমি আপনাদেরকে এখন বলবো। যারা
কিডনি রোগী আছেন তারা লটকন খেতে পারবেন। তবে সেটা পরিমাণে অল্প করে এবং নিয়ম
মেনে। কারণ লটকনের মধ্যে পটাশিয়াম নামের একটি উপাদান আছে।
যেটা কিডনি রোগীদের শরীরের মধ্যে জমা হয় যা শরীর থেকে বার হতে পারে না। এটা
কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই যারা
কিডনি রোগী আছেন তারা এটি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর খাবেন। না তো সেটা আপনার
জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আর যাদের অতিরিক্ত কিডনির সমস্যা আছে তারা এটা একেবারে খাবেন না। তা না হলে এটা
আপনার শরীর দুর্বল, হার্ট ধুক ধুক এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই যারা
কিডনি রোগী আছেন তারা এটি খাওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
লটকন খেলে কি ওজন বাড়ে
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন যে লটকন খেলে কি ওজন বাড়ে। চলুন তাহলে
জেনে নেওয়া যাক যে আপনি যদি লটকন খান, তাহলে আপনার ওজন বাড়াবে কি
না। অনেকেই মনে করে যে লটকন খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু আসলে লটকন খেলে ওজন
বাড়ে না।
লটকনের মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ অন্যান্য ফলের থেকে অনেক কম থাকে। আর এই ক্যালোরি
কম থাকার কারণে ওজন বাড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। তবে আপনি যদি লটকন অনেক
বেশি পরিমাণে খান। তাহলে ক্যালরি শরীরের মধ্যে বেশি জমা হবে।
আর আপনি যদি এই ফলটি খাওয়ার পর ব্যায়াম না করেন বা একটু হাটাহাটি না করেন তাহলে
আপনার শরীরে ক্যালরি জমা হবে এবং সেটা আপনার ওজন বাড়িয়ে দিবে। তবে আপনি
যদি এটা পরিমাণে অল্প খান, তাহলে সেটা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। কারণ এর
মধ্যে প্রাকৃতিক ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে।
যেটা পেটকে অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা
কমিয়ে দেয়। যার কারণে ঘন ঘন খাওয়া হয় না এবং আস্তে আস্তে ওজন কমতে থাকে বা
নিয়ন্ত্রণে থাকে। আশা করছি উক্ত আলোচনা থেকে আপনি লটকন খেলে কি ওজন বাড়ে
এই বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
লটকন কখন পাওয়া যায়
লটকন কখন পাওয়া যায় এটা আপনারা অনেকে আছেন যারা জানেন না। লটকন
মূলত বর্ষাকালে পাওয়া যায় অর্থাৎ এটা জুলাই মাস থেকে বাজারে ভালোভাবে
পাওয়া যায়। জুন মাসের শেষ দিকে এই ফলটি মূলত বাজারে আসা শুরু করে।
এ সময় এই ফলটি প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হওয়ার কারণে বাজারে এটার দাম
তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে। তারপর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এটি বাজারে ভালো পাওয়া
যায়। এক কথায় বলা যায় যে জুন মাসের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম
পর্যন্ত এই ফলটি পাওয়া যায়।
FAQ/লটকন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
এখন আমি আপনাদেরকে লটকন সম্পর্কিত কিছু আলোচিত প্রশ্নের উত্তর দিবো। চলুন এই
আলোচিত প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
লটকন ফলে কোন কোন ভিটামিন রয়েছে?
- উত্তরঃ লটকন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটা যদি সঠিক নিয়ম ও পরিমাণে খাওয়া যায় তাহলে এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে সেই ভিটামিন গুলো শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনে। এই ফলের মধ্যে যে ভিটামিন গুলো থাকে সে ভিটামিন গুলো হচ্ছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ সহ ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১ ও ভিটামিন বি৩ এবং ভিটামিন বি৯ ভালো পরিমাণে থাকে।
লটকন খেলে কি কাশি হয়?
- উত্তরঃ যাদের লটকনে এলার্জি আছে তাদের লটকন খেলে কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া লটকন খেলে কাশি হয়না বরং এটা আছি ভালো করতে সাহায্য করে। কারণ এর মধ্যে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে।
লটকন কখন পাকে?
- উত্তরঃ আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে লটকন ফল কখন পাকে। এটা আসলে জুন মাসের শেষ থেকে পাকা শুরু করে এবং এ সময় বাজারে এটা ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়। জুলাই আগস্টে এটা ভালো পরিমাণে পেকে যায় এবং সেটা খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়।
লটকন গাছে কত দিনে ফল ধরে?
- উত্তরঃ আলোচিত প্রশ্নের মধ্যে লটকন গাছের কত দিনে ফল ধরে এটাও একটি প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর হবে আপনি যদি লটকন গাছ একদম বীজ থেকে উৎপন্ন করেন। তাহলে সেই গাছে ফল ধরতে পাঁচ থেকে সাত বছর লাগবে আর আপনি যদি কলম করা গাছ কিনে লাগান। তাহলে সেটা থেকে এই ফল তিন বছরের মধ্যেই ধরা শুরু করবে।
নরসিংদী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
- উত্তরঃ আপনাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে নরসিংদী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত। নরসিংদী জেলা আসলে লটকন ফল উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত একটি জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে নরসিংদী জেলা লটকন ফল উৎপাদনের জন্য অনেক জনপ্রিয়।
লেখকের মন্তব্যঃ লটকনের বিচি খেলে কি হয়
লটকনের বিচি খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আমি আমার আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি লটকনের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা,
লটকনের পুষ্টিগুণ ও লটকন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। আশা করছি
আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি লটকনের বিষয়ে সব তথ্য ভালোভাবে জানতে
পেরেছেন।
আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এটি আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন। এছাড়াও
আপনার যদি আমার এই আর্টিকেলটি নিয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে অথবা আপনি যদি
নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের নিচে থাকা কমেন্ট
বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url