দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা উপায়-মাত্র ১৫দিনে ওজন বাড়ান

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আজ আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। অনেকেই আছেন যাদের ওজন কম হওয়ার কারনে চিন্তাই ভুগছেন যে কীভাবে ওজন বৃদ্ধি করবেন। আমরা ওজন বাড়ানোর জন্য কতো কিছুই না করে থাকি।
দ্রুত-ওজন-বৃদ্ধির-সেরা-উপায়-মাত্র-১৫দিনে-ওজন-বাড়ান
তারপরেও আমাদের ওজন বৃদ্ধি হয় না। তাই আজকে আমি আমার এই আর্টিকেলে কীভাবে খুব দ্রুত আপনি আপনার ওজন বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন, সে বিষয়ে সকল উপায় জানাবো। তাই আর দেরি না করে আসুন জেনে নেওয়া যাক দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা উপায় সম্পর্কে।

পেজ সুচিপত্রঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়, অনেকেই অতিরিক্ত দুর্বল ও পাতলা শরীর নিয়ে চিন্তায় ভুগছেন এবং আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। শরীর গঠন শুধু বাহিক সৌন্দর্য নয়, এটি একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব আত্মবিশ্বাস এবং সামগ্রিক সুস্থতার প্রতিচ্ছবি। অতিরিক্ত রোগা বা দুর্বল শরীর অনেক সময় আমাদের মনবলকে নষ্ট করে দেয়। অনেকে পাতলা বা ওজন না হওয়ার কারণে হতাশ হয়ে পড়েন এবং দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের রাস্তা খুঁজতে থাকেন। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে, যে ওজন বৃদ্ধি কোন ম্যাজিক বা জাদু নয় যে রাতারাতি আপনি ওজন বাড়িয়ে নিবেন। এটি হচ্ছে ধৈর্য নিয়ম ও যত্নের ফসল।
সঠিক খাদ্যাভাস নিয়মিত ব্যায়াম পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক প্রশান্তির সমন্বয় আপনার শরীরকে সুন্দর ও সঠিকভাবে গঠন করতে সাহায্য করে। মাত্র ১৫দিনের মধ্যে ওজন বাড়ানো সম্ভব যদি আপনি এই নিয়মগুলোর সঠিকভাবে পালন বা অনুসরণ করতে পারেন। বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের কেমিক্যাল সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধ যা ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন বৃদ্ধির মত কথা বলে প্রচার করে থাকে। এ সব দ্রব্য বা ওষুধ হয়তো সাময়িকভাবে আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে তা আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এসব ওষুধ আপনার লিভার, কিডনি, হরমোন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

শরীর একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া গঠিত হয়। এটিকে জোর করে বদলে ফেলা যায় না দ্রুত ফল পাওয়ার আশায় শরীরে রাসায়নিক বা কোন ক্ষতিকর ওষুধ ঢুকিয়ে দিলে, পরিণতিতে জীবন হয়ে উঠতে পারে অনিয়ন্ত্রিত। তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে শুধু মোটা হওয়া নয় বরং ফিট, সুস্থ ও শক্তিশালী শরীর গঠন করা। এজন্য দরকার পুষ্টিকর ও ক্যালরিযুক্ত খাবার। হালকা ও সঠিক ব্যায়াম পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি থাকতে হবে। নিয়মিত রুটিন ও খাদ্যাবাজ বজায় রাখতে হবে। মনে রাখবেন যত ধীরে শরীর গঠন হবে, তত গভীর হবে তার ভিত্তি। আর এই ভিত্তি আপনাকে এনে দেবে দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা আত্মবিশ্বাস এবং এর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তাই দ্রুত ওজন বাড়াতে করণীয় পদক্ষেপ গুলো হলো।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য-ক্ষুধা বৃদ্ধি করার উপায়

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা উপায় এর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্ষুধা বৃদ্ধি করার উপায়। আপনি যদি খাবার ঠিকমতো না খান তাহলে ওজন বৃদ্ধি ব্যাহত হবে। যার ফলে দিন দিন শরীরের ওজন কমতে থাকবে। অনেকেই খাবারের প্রতি অনীহা, ক্ষুধা না লাগা বা কম খাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে ওজন দ্রুত কমে যায় দুর্বলতা দেখা দেয়, আর শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। সঠিক নিয়মে চললে আপনি প্রাকৃতিকভাবে ক্ষুধা বাড়াতে পারেন যা আপনার দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্ষুধা বৃদ্ধি করার কিছু উপায় সম্পর্কে।

প্রথমত সময়মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অনিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস ক্ষুধাকে কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেলে শরীর এই ধরনের রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং স্বাভাবিকভাবেই নির্দিষ্ট সময় হলে ক্ষুধা লাগা শুরু করে। পানি পান করতে হবে ঠিক মত তবে অবশ্যই খাবারের আগে পানি কম খাবেন খাবারের পর বেশি পানি পান করবেন। কারণ অনেক সময় খাবারের আগে বেশি পানি খেলে পেট ভরে যায় ফলে ক্ষুধা কম লাগে। তাই চেষ্টা করবেন খাবার খাওয়ার পরে পানি পান করার। পেট পরিষ্কার রাখতে হবে গ্যাস্ট্রিক, কষ্টকাঠিন্য বা হজমজনিত সমস্যার কারণে ক্ষুধা কমে যেতে পারে। তাই নিয়মিত হজম ঠিক রাখা জরুরী। সকালে খালি পেটে পানি খেতে হবে বেশি।

ফাইবারযুক্ত খাবার সবজি ফল খেতে পারেন, আর এমনিতে ইসবগুল তাছাড়া আয়ুর্বেদিক উপায় ব্যবহার করতে পারেন। হালকা এক্সারসাইজ বা হাঁটা চলা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং শরীরের ক্যালরি খরচ করে যার ফলে স্বাভাবিকভাবে ক্ষুধা বাড়ে। সকালে আপনি একটু হাটাহাটি করতে পারেন একটু যোগব্যায়াম করতে পারেন কিংবা কিছু হালকা স্ট্রেচিং করতে পারেন। তাছাড়া স্ট্রেস উদ্বেগ বা ডিপ্রেশন ক্ষুধা কমিয়ে দিতে পারে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা অত্যন্ত জরুরী যা আপনার ক্ষুধা লাগা স্বাভাবিক রাখবে।স্বাদহীন খাবার ক্ষুধা কমিয়ে দিতে পারে। তাই মাঝে মাঝে খাবারে ভিন্নতা আনবেন যার ফলে মস্তিষ্ক ক্ষুধার অনুভব বাড়িয়ে দিবে। আপনি পেট পরিষ্কার ও ক্ষুধা বাড়াতে কিছু প্রাকৃতিক পানীয় খেতে পারেন। যেমন মধু মিশ্রিত গরম পানি, আদা লেবুর রস জিরা ধনে ভেজানো পানি সাদা জিরার চা ইত্যাদি।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধি না হওয়ার কারণ গুলো হলো

দ্রুত ওজন বৃদ্ধি না হওয়ার কারণগুলো হলো। অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করার পরেও ওজন বাড়াতে পারেনা যা অনেকের জন্য হতাশা জনক হয়ে ওঠে। এর পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক কারণ হতে পারে। তার মধ্যে হচ্ছে বংশগত প্রভাব পরিবারের সদস্যরা যদি স্বাভাবিকভাবে রোগা হয়ে থাকে। তাহলে জেনেটিক প্রভাবের কারণে ওজন বাড়ানো কঠিন হতে পারে। শরীরের গঠন ও বিপাক হার অনেকাংশেই বংশানুক্রমে নির্ধারিত হয়। উচ্চ বিপাক হার, যাদের মেটাবলিজম বা বিপাক হার বেশি তারা যতই ক্যালোরি গ্রহণ করুক না কেন শরীর দ্রুত সেগুলো পুরাই ফেলে। ফলে অতিরিক্ত খাবার শরীরের চর্বি হিসেবে জমা হতে পারে না।

অপুষ্টি ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, সঠিক সময় ও পদ্ধতিতে খাবার না খেলে এবং খাবারে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি না থাকে। তাহলে শরীর শক্তি ও উপাদান শোষণ করতে পারে না। যার কারণে ওজনও বৃদ্ধি হয় না।হরমোন জনিত সমস্যা বিশেষ করে হাইপার থাই রয়েডিজম বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়। এতে শরীর দ্রুত শক্তি খরচ করে এবং ওজন বৃদ্ধি করতে বাধা সৃষ্টি করে। মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাব, চিন্তা উদ্বেগ বিষন্নতা ইত্যাদি মানসিক চাপ ক্ষুধা ও হজমে বিশেষ প্রভাব ফেলে। একইভাবে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে শরীর ঠিকভাবে বিশ্রাম পায়না যা শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায, তাছাড়া ডায়াবেটিস, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা পেটে কৃমি, বা যেকোনো দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ শরীরকে দুর্বল করে ওজন বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

ফলে ওজন বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয় না। অনেকে মনে করেন তারা প্রচুর খাচ্ছেন কিন্তু আসলে তা যথেষ্ট নয় যদি আপনি খরচের তুলনায় কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন তবে ওজন বাড়ার বদলে ওজন কমতে থাকবে।নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব বা অতিরিক্ত ব্যায়াম, যদি একেবারে ব্যায়াম না করেন তবে খাবার হজম হবে না। আবার অতিরিক্ত ব্যায়ামে ক্যালোরি বেশি খরচ হয় যার ফলে ওজন বৃদ্ধি কম হয় তাই প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হবে। তাছাড়া ধূমপান বা মাদকাসক্তি এই অভ্যাস গুলি ক্ষুধা নষ্ট করে হজমের সমস্যা তৈরি করে ও শরীরকে করে তুলে দুর্বল যার ফলে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং ওজন কম হতে থাকে। তাই ওজন বাড়ানোর আগে অবশ্যই এইসব বিষয় গুলোর দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আশা করি দ্রুত ওজন বৃদ্ধি না হওয়ার কারণ গুলো আপনি ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় শরীরচর্চার নিয়মসমূহ

দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় শরীরচর্চা করা দরকার। কেননা শুধু ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশি খাওয়ায় যথেষ্ট নয়। পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি সঠিক ও নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ওজন বৃদ্ধিতে। তাছাড়া শরীরচর্চা শুধু চর্বি বাড়ায় না বরং এটি মাংসপেশী গঠনে সাহায্য করে যা শরীরকে শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় করে তোলে। অনেকে মনে করেন ব্যায়াম মানেই ওজন কমানো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সঠিক ব্যায়াম শরীরের পেশি তৈরি করে এবং স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।নিয়মিত শরীর চর্চা করলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষুধা ভাব লাগে যার ফলে। আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খেতে ইচ্ছুক হয়ে ওঠেন। ক্ষুধা বাড়ার ফলে খাবারের রুচি তৈরি হয়।

যখন আপনি এই সময়টাতে পুষ্টিকর উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন। তখন স্বাভাবিকভাবে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জমা হতে থাকে এবং ওজন বাড়ে। যারা শরীরের ক্ষতি না করে প্রাকৃতিকভাবে ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য শরীরচর্চা একটি অপরিহার্য অভ্যাস হওয়া দরকার। আপনি যেসব ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতে পারেন সেগুলো হলো। ওজন প্রশিক্ষণ, ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী ব্যায়ামের মধ্যে এটি অন্যতম। এটি মাংসপেশিকে সংকুচিত ও প্রসারিত করে ফলে পেশি বড় হয় এবং ওজন বাড়ে। বডি ওয়েট ব্যায়াম, যাদের কাছে জিমে যাওয়ার সুযোগ নেই বা সময় করে যেতে পারেন না। তারা ঘরে বসেই এই ব্যায়ামটা করতে পারেন।

প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট করবেন। যোগ ব্যায়ামও করতে পারেন, যোগব্যায়াম শুধু মানসিক প্রশান্তি দেয় না, এটি হজম শক্তি বাড়ায়, ক্ষুধা বাড়াই এবং শরীরের ভারসাম্যপূর্ণ ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই ব্যায়ামটি আপনি সকালে খালি পেটে ৩০ মিনিট করতে পারেন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। কার্ডিও ব্যায়াম কম করুন। ওজন বাড়াতে চাইলে অনেক বেশি দৌড়, সাইকেলিং বা জগিং না করাই ভালো। এই ব্যায়াম গুলোই অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ হয় যার ফলে ওজন বাড়ার বদলে ওজন কমে যায়। কার্ডিও ব্যায়াম সপ্তাহে দুই দিন করুন বেশি করলে পেশি নষ্ট হতে পারে। এরপর উচ্চ ক্যালরিযুক্ত স্নাক্স খাওয়া জরুরি, ব্যায়ামের পর শরীর বেশি ক্যালরি চাই ।

এই সময় সঠিক খাবার খেলে ওজন দ্রুত বাড়ে। যেমন দুধ, কলা, প্রোটিন শেক, ডিম, পিনাট বাটার, খেজুর ও বাদাম এই সকল জাতীয় খাবার খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব। ব্যায়াম করা শেষে শরীরের পেশি গুলো পূর্ণ গঠন করতে বিশ্রাম ও ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কম ঘুম হলে শরীর দুর্বল থাকে এবং ওজন বাড়ে কম। তাই প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। তাই আপনাদের উচিত হবে ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিয়মিত শরীরচর্চা করার। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন ওজন বৃদ্ধির জন্য। আশা করি আমার এই পোস্টটি করে দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে শরীরচর্চার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকা

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার গুলোর গুরুত্ব অনেক। অনেকেই আছেন যারা স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত রোগা হয়ে পড়েন যা আত্মবিশ্বাসের প্রভাব ফেলে। তবে চিন্তার কোন কিছু নেই। আপনি যদি সঠিক পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত গ্রহণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি দ্রুত ও স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। আমাদের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য ক্যালরিযুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে তাহলে আমাদের দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হবে। আমাদের ওজন বৃদ্ধি না হওয়ার কারণ হচ্ছে আমরা না বুঝে বা কোন খাবার খেলে দ্রুত মোটা হওয়া যায়, কোন খাবারে কতো টুকু ক্যালরি আছে সে বিষয়ে আমাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারনে।

আমরা আমাদের ওজন বৃদ্ধি করতে পারিনা। ওজন বেশি করা মানেই বেশি খাওয়া নয়। আমরা যদি খাবার সম্পর্কে সকল বিষয় জেনে থাকি। তাহলে আমরা অল্প এবং নিয়ম অনুযায়ীয়ে সঠিক পুষ্টি ও ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলেই খুব তারাতারি আমরা আমাদের ওজন বাড়িয়ে নিতে পারব। তাই আজ আমি আলোচনা করবো দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য, আপনার যে সব খাবার খাওয়া দরকার তা নিয়ে। দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার জন্য দুজাত খাবার দুধ ও এর তৈরি খাবার ও সকালে ও রাতে এক গ্লাস করে পূর্ণচর্বিযুক্ত দুধ এবং নাস্তা বাক্সে পনির ও দুই ব্যবহার করা, রান্নায় কি ব্যবহার করতে হবে এটাই ক্যালসিয়াম প্রোটিন ও ফ্যাট সরবরাহ করে আরও বেশি কে মজবুত করে যা আমাদের দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ওজন বাড়াতে চাইলে প্রোটিন খুবই জরুরী কারণ এটি পেশি গঠনে সহায়তা করে।প্রোটিনযুক্ত খাবার হিসেবে আমরা সিদ্ধ ডিম দিনে দুই থেকে চারটি এবং মাছ, মুরগির মাংস চামড়া ছাড়া, গরু বা খাসির মাংস সেদ্ধ বা ঝোল করে, ডাল, ছোলা মুগের ডাল, মুসুরির ডাল সয়াবিন তেল। এইসব খাদ্য আমাদের পেশি বাড়ায় এবং শরীরকে দেয় শক্তি। স্বাস্থ্যকর চর্বি ফ্যাট মানে খারাপ কিছু নয় সঠিক ফ্যাট শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক। স্বাস্থ্যকর চর্বি বাড়াতে আপনি যেসব খাবারগুলো খেতে পারেন সেগুলো হলো বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট, চিনা বাদামের মাখন, এভোকাডা, অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল, চর্বিযুক্ত মাছ যা আমাদের শরীরের ক্যালরি ও শক্তি যোগায় হার্টের ও যত্ন নেই।
দ্রুত-ওজন-বৃদ্ধির-সেরা-উপায়-মাত্র-১৫দিনে-ওজন-বাড়ান
কার্বোহাইড্রেট বা শক্তি দায়ী খাবার শরীরের মূল জ্বালানি যা ওজন বাড়ানোর জন্য অপরিহার্য খাবারগুলো হচ্ছে ভাত, আলু মিষ্টি আল্‌ পাউরুটি, পাস্তা, নুডুলস, ওটস, কনফ্লেক্স, কলা দিনে অন্তত একটা।এগুলোর উপকারিতা হচ্ছে ক্যালরি দ্রুত সরবরাহ করে ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।তাছাড়া বড় খাবারের মাঝে হালকা পুষ্টিকর স্নাক্স ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এবং বাদাম খেজুর, কলা সেক, ডার্ক চকলেট, ফলের জুস বা হোম মেড প্রোটিন শেখ এগুলো আমাদের কে বাড়তি ক্যালোরি দেয় যা বারবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করে।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার জন্য খাওয়ার নিয়ম গুলি হচ্ছে সকালে আটটার আগে দুধ, ডিম, রুটি, কলা, পনির এ সকল জাতীয় খাবার খেতে হবে। সকাল ১১টার দিকে এ স্নাক্স জাতীয় খাবার যেমন বাদাম বা দুই। দুপুর একটার দিকে ভাত, ডাল, মাছ, মাংস, সবজি এই জাতীয় খাবার খেতে হবে। বিকেল চারটা হালকা খাবার খেতে হবে। যেমন কলা সেক, স্যান্ডউইচ, ওটস, ফল। রাত আটটা রাতের খাবার রুটি বা ভাত, মাছ ,মাংস ডিম সবজি এবং ঘুমানোর আগে হালকা পানিয় এক গ্লাস দুধ ১ থেকে ২টি খেজুর বা কিছু বাদাম ইত্যাদি এসব খাবার খেলে দ্রুতই আপনি আপনার ওজন বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন। অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা উপায়-ঘুমের প্রয়োজনীয়তা

অনেকেই আছেন যারা শুধু খাওয়া দাওয়ার দিকে মনোযোগ দেন। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এর বেশি গঠন, হরমোন নিঃসরণ এবং গঠনের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ঘুমের সময়ই ঘটে। তাই যারা দ্রুত ও স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য ঘুম নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত হওয়া খুবই জরুরী।
পারলে যেসব উপকার পাওয়া যায় বা দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ঘুম ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক। হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখে, ঘুমের সময় শরীরে গ্রোথ হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয় যা বেশি গঠনের সহায়ক এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ক্ষুধাবার রুচি নিয়ন্ত্রণ করে, যথেষ্ট না ঘুমালে ঘ্রেলিন হরমোন যা ক্ষুধা বারাই এবং লেপ্টিন না ক্ষুধা কমায় এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে ক্ষুধা কখনো বেড়ে যায় আবার কখনো ক্ষুধা চলে যায়। পর্যাপ্ত ঘুম ক্ষুধা ও রুচিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে যা সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। শরীরের ক্লান্তি দূর করে, শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের পর ঘুম শরীরকে বিশ্রাম পূর্ণগঠনের সুযোগ দেই যার।

ফলে পেশি দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং ওজনও বাড়ে। পূর্ণ গঠন ও কোষ মেরামতের সময় ঘুমের সময় শরীর নিজের কোর্সগুলোকে মেরামত করে ও পূর্ণ গঠন করে। যা পেশি বাড়ানোর ও শরীর গঠন ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা গভীর ঘুম প্রয়োজন। রাত দশটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত ঘুমানো সবচেয়ে উপকারী। কারণ এ সময় শরীর সব থেকে বেশি রিকভার করে। দ্রুত ওজন বৃদ্ধি শুধু খাবারের উপর নির্ভর করে না। ঘুম এই প্রক্রিয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, সঠিক ঘুম আপনার শরীরকে প্রস্তুত করে। পুষ্টিকে কাজে লাগাতে শক্তি সঞ্চয় করতে এবং পেশি বাড়াতে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ সুস্থ ভাবে মোটা হওয়ার অন্যতম মূল চাবিকাঠি এটি।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধি সেরা উপায়-মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া খুব জরুরী। অনেকেই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেয়েও ওজন বাড়াতে ব্যর্থ হন, যার পেছনে অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা স্ট্রেস। মানসিক চাপ আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে অনেক বাধা প্রদান করে। মানসিক চাপ ওজন বৃদ্ধিতে যেভাবে প্রভাব ফেলে। যেমন ক্ষুধার প্রতি প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ দীর্ঘ সময় স্থায়ী হলে অনেকের ক্ষুধা কমে যায়, কেউ কেউ একদম খেতে চাই না আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত খেতে শুরু করেন। কিন্তু অস্বাস্থ্যকরভাবে এই দুটি পরিস্থিতি স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিপাক হারের পরিবর্তন, চাপের কারণে শরীরের কর্টিশল নামক একটি হরমোন তৈরি হয় যা বিপাক বাড়িয়ে দেয়।

এতে শরীর খাওয়া ক্যালরিকে দ্রুত পুড়িয়ে ফেলে যার কারনে ওজন বাড়ে না। স্ট্রেসের কারণে অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ক্লান্ত থাকে, ক্ষুধা ও শক্তি কমে যায় এবং শরীর ওজন বাড়াতে পারে না। মানসিক চাপ শরীরের হরমোন স্থিতিশীল করে তোলে যা হজম ব্যবস্থা ক্ষুধা ও শক্তির উৎপাদন সবকিছুকে প্রভাবিত করে। যা আমাদের শরীরকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাই। এই ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষার জন্য আমরা যেসব ব্যবস্থা নিতে পারি, সেগুলো হলো মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী কিছু ব্যবস্থা। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কার্যকর কিছু উপায় নিচে তুলে ধরা হলো। প্রতিদিন মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট মনোযোগ দিয়ে ধ্যান বা মেডিটেশন করলে মস্তিষ্ক শান্ত হয় এবং মানসিক চাপ হ্রাস পায় পায়।

নিয়মিত ব্যায়াম বিশেষ করে হালকা দোড়া বা হাটা শরীরের মধ্যে হ্যাপি হরমোন নিঃসরণ ঘটায় যা মন ভালো করে। সংগীত সোনা, বই পড়া, প্রিয় শখ চর্চা ইত্যাদি মনকে চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই আমাদের প্রতিদিন উচিত এইগুলো নিয়ম করে মেনে চলা। তাছাড়া নিয়মিত ঘুম প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা মানসিক শান্তি ও শরীরের জন্য অপরিহার্য। এরপর  আপনার যে কোন চাপ বা উদ্বেগ প্রিয় মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিন, এতে মানসিক ভার হালকা হবে। এইসব দিক খেয়াল করে থাকতে হবে যেন কোনোভাবেই বাড়তি টেনশন না হয়। চাপ কমলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধা বাড়ে রুচি তৈরি হয় এবং খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে তখন শরীর পুষ্টি গ্রহণ করে ও স্বাভাবিক গতিতে ওজন বাড়াতে সক্ষম হয় ইত্যাদি। আশা করি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে কিভাবে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করবেন সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ওজন বাড়াতে কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ

ওজন বাড়াতে আমাদের অনেক কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় এবং ওজন বাড়ানোর জন্য যেসব খাবার প্রয়োজন সেসব খাবার খেতে হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে ওজন বাড়াতে কোন খাবার প্রয়োজন আর কোন খাবার প্রয়োজন নয়। কি খেতে হবে কি খেতে হবে না। কি মানতে হবে এবং কি মানতে হবে না সেগুলো সম্পর্কে অনেকেরই কোন ধারণা নেই। যার কারণে আমরা ওজন বাড়াতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ে থাকি। এমনকি আমাদের ওজন আমাদের আশা অনুযায়ী বৃদ্ধি হয় না এবং শরীরের অনেক সমস্যা হয়। তাই আজকে আমি আমার এই পোস্টটিতে আলোচনা করব ওজন বাড়াতে কিছু করণীয় এবং বর্জনীয় কিছু বিষয়সমূহ নিয়ে।

প্রথমেই আমি আলোচনা করব ওজন বাড়াতে করণীয় বিষয় সমূহ নিয়ে। পুষ্টিকর ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন বাদাম, ঘি, ডিম, কলা, দুধ, মাংস, মাছ, পনির চিনি যুক্ত নয় এমন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার ছোট ছোট খাবার খান। থেমে থেমে খাবার খেলে শরীরে সহজে ক্যালরি শোষণ করতে পারে। প্রচুর পানি পান করতে হবে যা আমাদের হজমে সহায়তা করে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন বিশেষ করে পেশি বৃদ্ধিকারী ব্যায়াম করলে ওজন বাড়ে স্বাস্থ্যকর ভাবে। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমাতে হবে। ঘুম বেশি পূর্ণ গঠনও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে। তাই ওজন বৃদ্ধিতে ঘুমের প্রয়োজন অপরিসীম। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মন ভালো থাকলে খাওয়া দাওয়াই আগ্রহ বাড়ে ও ওজন বাড়ে খুব সহজে। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার ও ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ এগুলো শরীরের বায়োজিক্যাল ক্লক ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

এবার আমরা জানবো ওজন বাড়াতে যেসব কাজ বর্জনীয় সেসব বিষয় সমূহ সম্পর্কে। ফাস্টফুড বাব অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার। এগুলো অস্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ায় এবং পরবর্তীতে অনেক সমস্যা তৈরি করে তাই এগুলো বর্জন করতে হবে। কৃত্রিম ওষুধ বা স্টোরয়েড ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এগুলো শরীরের ক্ষতি করে যেমন লিভার কিডনিতে সমস্যা ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অনিয়মিত খাওয়া ও ঘুম পরিহার করতে হবে। কেননা এর কারণে শরীরের মেটাবলিজম ব্যাহত হবে এবং ওজন বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়বে। চিনি মিশ্রিত ওল্ড ড্রিংস ও প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এগুলো ফ্যাট বাড়ায় কিন্তু বেশি বা স্বাস্থ্য জন্য একেবারেই ভালো না। এবং সর্বশেষ হচ্ছে অতিরিক্ত স্টেজ বা দুশ্চিন্তা করা যাবে না। কারণ অতিরিক্ত স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা হলে ক্ষুধা কমে যায় ও শরীর দুর্বল হতে থাকে যা আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি তে বাধা সৃষ্টি করে ইত্যাদি।

ওজন বাড়াতে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সঠিক পুষ্টি, নিয়মমাফিক জীবন যাপন এবং কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে সুস্থভাবে ওজন বাড়াতে পারবেন মনে রাখবেন শুধুমাত্র মোটা হওয়ায় লক্ষ্য নয় সুস্থ ফিট ও শক্তিশালী হওয়াটাই আসল। আশা করি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে ওজন বাড়াতে কি কি করনীয় এবং কি বর্জনীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। অবশ্যই উপরের নিয়ম গুলি মেনে চলবেন তাহলে আপনি একজন সুস্থ শরীরের অধিকারী হবেন।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা উপায়-ওজন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা

ওজন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে বিশেষ করে যখন একজন ব্যক্তির ওজন তার উচ্চতা, বয়স এবং শারীরিক গঠনের তুলনায় অনেক কম থাকে।স্বাভাবিক ওজনের নিচে থাকা মানুষদের মাঝে দুর্বলতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি হাড়ের ক্ষয়ই, চুল পড়া, ত্বকের সমস্যা এবং প্রজনন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ওজন বৃদ্ধি করা শুধুমাত্র চেহারার উন্নতি করার জন্য নয় বরং শরীরকে সুস্থ ও সক্ষম রাখার জন্য একান্ত প্রয়োজন। যখন কেউ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করে, তখন শরীরের বেশি বৃদ্ধি পায় কর্ম ক্ষমতা বাড়ে এবং শারীরিক ও মানসিক শক্তি অর্জিত হয়। এটি শরীর কারো সজীব ও উদ্যোমি করে তোলে। ওজন বাড়ানোর মাধ্যমে শারীরিক গঠন উন্নত হয়।
যা আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও সঠিক ওজন থাকলে বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন অ্যানিমিয়া, হৃদরোগ ও হরমোন জনিত অনেক সমস্যার ঝুঁকি কমায়। ওজন বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর ও উচ্চক্যালোরিযুক্ত খাবার যেমন বাদাম, দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, ঘি, মসুর ডাল ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়া দরকার। তার সাথে নিয়মিত শরীরচর্চা করা বিশেষ করে ওজন বাড়ানোর ব্যায়াম করতে হবে যেমন স্কোয়াট, ডেটলিফট ও পুশআপ করা ইত্যাদি।এসব অভ্যাস নিয়মিত করতে পারলেই শুধু ওজন বৃদ্ধি হয় না বরং শরীর ফিট ও ফর্মে থাকে তাই। যারা স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে অনেক কমে আছেন তাদের উচিত স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করা, যাতে দীর্ঘ মেয়াদে একটি সুস্থ সঠিক জীবন যাপন করতে পারেন।
দ্রুত-ওজন-বৃদ্ধির-সেরা-উপায়-মাত্র-১৫দিনে-ওজন-বাড়ান
চিকিৎসকরা বলেন যদি কারো ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম থাকে, তাহলে তা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারস করতে পারে এবং দুর্বলতা, হরমোন ভারসাম্যহীনতা ও সন্তান ধারণের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তারা বলেন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা উচিত ওজন কমার পেছনে কোন রোগ বা হরমোন সমস্যা আছে কিনা। তাছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠান (NIN) এর মতে ওজন বৃদ্ধির জন্য সঠিক ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা বলেন উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত কিছু পুষ্টিকর খাবার। যেমন বাদাম, চিনা বাদাম, দই, পনির, ঘি, ডিম, মাছ, মাংস, কলা ও শাকসবজি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার ছোট ছোট খাবার খেতে বলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ইত্যাদি।

লেখকের মন্তব্যঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা উপায়-মাত্র ১৫দিনে ওজন বাড়ান

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা উপায়-মাত্র ১৫দিনে ওজন বাড়ান আমার লেখা এই আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন কিভাবে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করা যায় সে সম্পর্কে। আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কিভাবে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবেন। তাছাড়া আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হলো আপনার নিয়মিত খাবার খাওয়া উচিত এবং প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর ও ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখা। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শরীরকে শুধু সুস্থ ও শক্তিশালী করে না বরং স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

যদি এত কিছু করার পরও আপনি সন্তোষজনকভাবে ওজন বাড়াতে না পারেন। তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সে অনুযায়ী বাবস্থা গ্রহন করুন। বলা যায় সঠিক নিয়ম পুষ্টিকর খাবার ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে আপনি ধীরে ধীরে একটি সুস্থ সবল এবং ফিট দেহ গঠন করতে পারবেন। আমাদের পোস্টটি যদি আপনার কোন উপকারে এসে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনি সেটিকে আপনার অন্য বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। তাছাড়া আমার এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন থাকলে। নিচে কমেন্টে করে অবশ্যই জানাবেন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url