গুল খেলে কি হয় - সত্য জানলে চমকে যাবেন!
গুল খেলে কি হয় সে সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে গুল খেলে কি ক্ষতি হয়, গুল খেলে কি রোগ হয়, গুল খাওয়ার উপকারিতা, গুল খেলে কি নামাজ হবে এই বিষয়গুলো নিয়ে যত তথ্য আছে সব আলোচনা করবো।

পেজ সুচিপত্রঃ গুল খেলে কি হয়
- গুল খেলে কি হয় জেনে নিন
- গুল কি দিয়ে তৈরি হয়
- গুল খেলে কি ক্ষতি হয়
- গুল খাওয়ার উপকারিতা
- গুল খেলে কি রোগ হয়
- গুল খেলে কি রোজা হবে
- গুল খেলে কি নামাজ হবে
- গুল খাওয়ার বিধান কি রয়েছে
- গুল ছাড়ার উপায় গুলো হলো
- লেখকের মন্তব্যঃ গুল খেলে কি হয়
গুল খেলে কি হয় জেনে নিন
গুল খেলে কি হয় তা হয়তো আপনারা অনেকেই আছেন জানেন না। তাই আজ আমি আপনাদেরকে গুল
খেলে কি হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো চলুন তাহলে জেনে নিই। গুল হচ্ছে একটি
তামাক বা নেশা। এই গুল অনেকেই আছে যারা দাঁত মাজার জন্য ব্যবহার করে থাকে। গুল
তৈরি হয় তামক, চুন, লবণ আর রাসায়নিক কিছু উপাদান দিয়ে।
এটা অনেক ক্ষতিকর একটি জিনিস অথচ আমরা অনেকেই এটা সম্পর্কে না জানার কারণে
প্রতিদিন এটা ব্যবহার করে থাকি। আমরা জানতেই পারি না যে এটা আমাদের শরীরের দিনে
দিনে কত ক্ষতি করছে। গুলের মধ্যে তামাকের নিকোটিন থাকে এই নিকোটিন মানুষ কে গুল
খাওয়ার জন্য আকর্ষণ করে।
এই গুল ব্যবহার করার প্রথম দিকে হয়তো কোন সমস্যা বা ক্ষতি বুঝতে পারা যাই না।
কিন্তু এটা যখন সবসময় ব্যবহার করতেই থাকবে আস্তে আস্তে এটা শরীরে নেশা তৈরি করবে
এবং এর প্রতি আসক্তি বাড়বে। আপনি যদি নিয়মিত গুল খান তাহলে এটা আস্তে আস্তে আপনার
দাঁতের মাড়ি তারপর মুখের ভিতরে ঘা, দাঁত কালো হওয়া, মুখ গন্ধ করা ইত্যাদি সমস্যা
হবে।
এমনকি এটা যদি অনেক সময় ধরে ব্যবহার করা হয়, তাহলে মুখের ক্যান্সারও হতে পারে।
এরপর এটা নিয়মিত খাওয়া হলে মুখে আলসার হতে পারে। এটা যদি দীর্ঘদিন ধরে কোন
ব্যক্তি খেতে থাকে। তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনে অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
গুল খাওয়া যদি একবার অভ্যাস হয়ে যায়, তাহলে এটা সহজে বাদ দেওয়া যায় না কারণ
গুলের মধ্যে থাকে নিকোটিন।
এই নিকোটিন মাথায় গুল খাওয়ার আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয়। অনেক মানুষই এই গুল দাঁত
মাজার জন্য ব্যবহার করে থাকে তাদের উচিত হবে এই গুণ ব্যবহার না করা। কারণ এটি
ব্যবহার শরীরের অনেক ধরনের মারাত্মক অসুখ তৈরি করতে পারে। আশা করছি উপরের আলোচনা
থেকে আপনি গুল খেলে কি হবে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছে।
গুল কি দিয়ে তৈরি হয়
গুল কি দিয়ে তৈরি হয় এটা অনেকেই আছে যারা জানতে চায় বা এই সম্পর্কে জানার আগ্রহ
রয়েছে।তাদের জন্য মূলত আমি এখন আমার এই পোস্টে উল্লেখ করবো যে গুল কি কি দিয়ে
তৈরি হয় তার পুরো তথ্য। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গুল তৈরি হয় কি দিয়ে। গুল
একটি তামাক জাতীয় বা নেশা জাতীয় উপাদান।
এটা অনেক মানুষজনই দাঁত মাজার জন্য ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে এটির ব্যবহার
গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। এইটা ব্যবহার করার কারণে অনেক ধরনের অসুখ
শরীরে দেখা দেয়। গুল মানব দেহের জন্য মারাত্মক একটি ক্ষতিকর পদার্থ। এটা
ক্ষতিকর হওয়ার কারণ এই গুল তৈরি হয় ক্ষতিকর কেমিকাল দিয়ে।
যে সব উপাদান দিয়ে গুল তৈরি হয় সে গুলো হলো তামাক পাতা এই পাতার মধ্যে থাকে
নিকোটিন এটা নেশাজাতীয় একটা রাসায়নিক উপাদান। এই তামাক পাতাটি শুকিয়ে গুড়া করা
হয়। তারপর গুলে ব্যবহার করা হয় চুন, লবন, কয়লার ছাই এবং অনেক রকম রাসায়নিক
উপাদান। আশা করি উক্ত আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন গুল কিভাবে তৈরি করা
হয় সেসব উপাদান সম্পর্কে।
গুল খেলে কি ক্ষতি হয়
গুল খেলে কি ক্ষতি হয় সেটা আমরা অনেকে আছি জানিনা। গুল খেলে অনেক ধরনের ক্ষতি
হয়। গুল মানুষের জন্য একটি মারাত্মক রকমের ক্ষতিকর উপাদান। গুল নিয়মিত ব্যবহার
করলে এটা শরীরে অনেক ক্ষতি করে। এবার হইতো আপনি ভাবছেন যে কি ক্ষতি হয় এই গুল
খাওয়ার কারনে? গুলের ক্ষতি নিচে আলোচনা করা হলো।
এই গুল যদি নিয়মিত ব্যবহার করা হয় তাহলে এটি একসময় দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করতে
পারে। যেমন দাঁতের রং কালো হয়ে যায়, মাড়ি ফুলে যায় এবং রক্ত পড়ে আস্তে আস্তে
মাড়ি পচে যেতে পারে। এমনকি দাঁতের গোড়া নষ্ট হয়ে দাঁত উঠে যেতে পারে। এটা খেলে
মুখে দুর্গন্ধ হয়, মুখের ভিতরে ঘা হয় এবং সেই ঘা থেকে এক পর্যায়ে মুখে আলসার
হয়ে যেতে পারে।
পরবর্তীতে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। এমনকি এটা দীর্ঘকাল ব্যবহার করার ফলে মুখের
ক্যান্সার হওয়ার চান্সও বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন এটি ব্যবহারের ফলে এক ধরনের আসক্তি
তৈরি হয়। যার ফলে পরবর্তীতে গুল না খেলে মাথা ভারী হয়ে যায়। মাথাব্যথা করে এবং
অস্বস্তি অনুভূতি হয়। আস্তে আস্তে মস্তিষ্ক নষ্ট হতে থাকে বা মস্তিষ্কে কাজ করা
ক্ষমতা কমে যায়।
এটি হজম শক্তি কমিয়ে দেয় এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের খারাপ অসুখ সৃষ্টি করে, মুখ
শুকিয়ে যায় এবং মুখের স্বাভাবিক স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এটি দীর্ঘদিন খাওয়ার
জন্য শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায়। গুল হচ্ছে মানুষের
জন্য এক ধরনের বিষ এটা প্রথমদিকে হয়তো সে রকম কোনো ক্ষতি করে না।
কিন্তু এটা অনেকদিন ধরে ব্যবহার করলে এটা মুখের, গলার ক্যান্সার পর্যন্ত হওয়ার
আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। অনেক মানুষ আছে যারা এটাকে দাঁত মাজার জন্য ব্যবহার করে থাকে।
এটা ব্যবহার করা মটেও উচিত নয় কারণ এটা অনেক ক্ষতিকর শরীরের জন্য। তাই আমাদের
সকলের উচিত এটা ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকা এবং অন্যদের এটা ব্যবহারে সতর্ক করা।
গুল খাওয়ার উপকারিতা
গুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই। যারা এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে
চাই তাদের জন্য বলি আসলে গুল খাওয়ার সেই রকম কোন উপকার নাই এর কোন বৈজ্ঞানিক বা
পরীক্ষিত কোন উপকারও পাওয়া যায় নি। গুল একটি ক্ষতিকর উপাদান যা তৈরি হয়
কেবলমাত্র সব ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে। কিন্তু অনেকেই বলে থাকে যে গুল খাওয়ার
উপকারিতা রয়েছে।
কেন তারা এই কথা বলে বা ভাবে চলুন সেটা ব্যাখ্যা করি। আসলে যারা গুল ব্যবহার করে
তারা সাময়িকভাবে এটার কিছু উপকারিতা অনুভব করে। তাও এই উপকার গুলো বাস্তব উপকার
নয় এগুলো নেশা জনিত মস্তিষ্কের সাময়িক প্রক্রিয়া। এই অনুভূতিটি কেবলমাত্র
যারা এটি ব্যবহার করে তারা খাওয়ার সময় অনুভব করে থাকে। আসল কথা হচ্ছে গুল
খেলে কোন উপকার হয় না।
আরো পড়ুনঃ বেদানার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন আগে
উপকার যারা ভাবে অর্থাৎ যারা এগুল খায় তারা নেশার ভরে মনে করে যে এগুলা খেয়ে
তাদের উপকার হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেখতে গেলে এটি উপকার নয় বরং ক্ষতি
হচ্ছে। যারা এই গুল ব্যবহার করে তারা মনে মনে যে সব উপকার অনুভব করে সেগুল
হলোঃ তারা মনে করে গুল খাওয়ার পর দাঁতের ব্যাথা মুখে অস্বস্তি ভালো হয়
কিন্তু বাস্তবে সেগুলো কিছুক্ষণের জন্য ভালো হয় প্রকৃতপক্ষে ভালো হয় না।
তারপরে তারা মনে করে যে দাঁত পরিষ্কার হয়। আসলে এটা পরিষ্কার হয় না এটা দাঁতের
ক্ষয় করে যার ফলে এটা প্রথম দিকে দেখতে একটু চকচক ভাব আসে। কিন্তু এটা দাঁতের
উপকার করে না বরং ক্ষতি করে। এটি খাওয়ার পর ঘুম কম লাগে এবং মন চাঙ্গা
লাগে। যেহেতু গুল একটি নেশা জাতীয় উপাদান সেহেতু এটা ব্যবহারের পর
সাময়িকভাবে বা কিছুক্ষণের জন্য মানসিক প্রশান্তি তৈরি হয়। কিন্তু এইগুলো
আসল কোন উপকার নয় বরং এগুলা নেসার কারণে তৈরি মিথ্যা অনুভূতি।
এই গুল যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে একটা সময় শরীর এই গুলের উপর নির্ভরশীল হয়ে
পড়ে। আস্তে আস্তে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে শরীরে রোগের সৃষ্টি
হয়। তাই সর্বশেষ বলবো গুল খাওয়ার কোন উপকারিতা নেই এটি শরীরের ক্ষতি করে।
তাই সবার উচিত এটা ব্যবহার থেকে দূরে থাকা। আশা করছি উক্ত আলোচনা থেকে আপনি গুল
খাওয়ার উপকারিতা আছে কি নাই সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
গুল খেলে কি রোগ হয়
গুল খেলে কি রোগ হয় সে সম্পর্কে এখন আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত বলবো। গুল তামাক
জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি। এটা নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে শরীরে অনেক রকম রোগের
সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে এটা গলা, দাঁত, মুখ এবং হজমের বিভিন্ন সমস্যা বা রোগ তৈরি
করে।
গুলের মধ্যে নিকোটিন এবং চুন আরও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ থাকে যেগুলো মানুষের
শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আর এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করার কারণে অনেক বড় বড়
অসুখ হতে পারে। গুল যদি খায় তাহলে কি রোগ হয় চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
গুল যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে দাঁত ও দাঁতের মাড়ির বিভিন্ন রোগ হয়। যেমন
দাঁতের গোড়া পচে যায় তার কারণে দাঁত উঠে যায়। দাঁতের রং কালো হয়ে যায়,
দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এবং রক্ত বার হয়, দাঁতের গোড়ায় ব্যথা করে ও পুজ জমে
যায়, মুখে ঘা হয়, ঠোঁটে জ্বালাপোড়া করে।
একটা সময় মুখের ক্যান্সারও হতে পারে। গলায় খুসখুসে কাশি হয়, গলা ব্যথা করে
শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। পেটের হজমের সমস্যা হয় যেমন গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা,
বমি ভাব এবং লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায়। সর্বশেষ এটা যদি অতিরিক্ত ব্যবহার এবং
অনেক দিন ধরে ব্যবহার করতেই থাকে।
একটা সময় এটার জন্য মুখের ক্যান্সার হতে পারে। এক কথাই বলা যায় গুল খেলে এমন সব
মারাত্মক রোগ হয় যা কল্পনাও করা যায় না। আশা করছি উক্ত আলোচনা থেকে আপনি গুল
খেলে কি রোগ হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
গুল খেলে কি রোজা হবে
গুল খেলে কি রোজা হবে এই প্রশ্নটা আমাদের অনেকেরই মনে বারবার আসে। আসলে গুল খেলে
রোজা হবে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো গুল খেলে রোজা হবে না। এবার হয়তো আপনি
ভাবছেন যে কেন হবে না। সেটা আমি এখন আপনাদের বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবো। রোজা মানে
না খেয়ে থাকা বা কোন কিছু পান না করা এবং আল্লাহ তাআলার আনুগত্য লাভ করা।
এখন যদি কোন তামাক জাতীয় জিনিস মুখে নেন তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ মুখের
মধ্যে গুল নিয়ে চিবানো হলে সেগুলোতে নেশা জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এইগুলো
গলার মধ্যে চলে যায় এতে রোজা ভেঙে যায়। এক কথায় কেউ যদি রোজা অবস্থায় গুল
মুখে দেয় তাহলে তার রোজা হবে না এবং তাকে সেই রোজা কাজা করতে হবে। আশা করছি আপনি
এই আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন যে গুল খেলে রোজা হবে কি না সে বিষয়ে।
গুল খেলে কি নামাজ হবে
গুল খেলে কি নামাজ হবে? এটা হয়তো অনেকেই আছেন যারা জানেন না এবং এই না জানার
কারণে অনেকজনই গুল খাওয়ার পর নামাজ পড়ে থাকেন। আসলে গুল খাওয়ার পর নামাজ হবে
কিনা সেটা নিয়ে এখন আমি আপনাদেরকে সঠিক একটি তথ্য দিবো। যা থেকে আপনি জানতে
পারবেন যে গুল খেলে নামাজ হবে কি না। গুল খেলে নামাজ হবে না এর কারণ হচ্ছে কুরআনে
সরাসরি বলা হয়েছে।
যে কোন তামাক জাতীয় বা নেশা জাতীয় জিনিস খেয়ে নামাজ হবে না। আর গুল যেহেতু
একটি তামাক জাতীয় উপাদান এবং এটা নেশায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেহেতু গুল
খেয়ে নামাজ হবে না সরাসরি নামাজ বাতিল হবে। আশা করছি আপনি এই তথ্য থেকে জানতে
পেরেছেন যে গুল খেলে নামাজ হবে কিনা সে সম্পর্কে।
গুল খাওয়ার বিধান কি রয়েছে
গুল খাওয়ার বিধান কি রয়েছে ইসলামে সেটা সরাসরি কোন আয়াতে বা হাদীসে উল্লেখ করা
না থাকলেও ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী অর্থাৎ ইসলামের কিছু নিয়ম কানুন এবং নেশা ও
নেশার ক্ষতিকর দিকগুলোর ব্যাপারে ইসলাম যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে বা করতে বলেছে।
সেগুলো দেখতে গেলে ইসলামে গুল খাওয়ার বিধান শরীয়ত সম্মত হয় না। কারণ ইসলামে
নেশা জাতীয় যেকোন জিনিস হারাম বলেছেন।
আর গুলে যেহেতু তামাক জাতীয় উপাদান যেমন নিকোটিন তারপরে নেশা জাতীয় উপাদান থাকে
সেক্ষেত্রে এটি ইসলাম সমর্থন করে না। গুল খেলে নেশা হয়, শরীরের বিভিন্ন
ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়, মুখে দুর্গন্ধ বার হয়। কোরআন ও হাদিসে বলা
হয়েছে যে জিনিস নেশা সৃষ্টি করে তা হারাম। আশা করি আপনি এই পোস্টটি থেকে
জানতে পেরেছেন যে গুল খাওয়া ইসলামে হারাম।
গুল ছাড়ার উপায় গুলো হলো
অনেক জন্যই রয়েছে যারা গুল ব্যবহারে আসক্ত হয়ে গেছে। আজ আমি মূলত এই গুল ছাড়ার
জন্য আপনি কি সব উপায় অবলম্বন করতে পারেন। সে সম্পর্কে বলবো আপনি যদি এই আলোচনা
বা উপায় গুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আস্তে আস্তে আপনি এই গুল খাওয়া থেকে
নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি সে উপায়, যে উপায়গুলো
মেনে চললে গুল খাওয়া থেকে আপনি নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন।
গুল ছাড়ার উপায়গুলো হলো, প্রথমে আপনি এইভাবে চিন্তা করুন যে আপনি গুল
ছাড়বেন এবং আপনার দ্বারা এটা সম্ভব। এরপর আপনি যদি নিয়মিত গুল ব্যবহার করে
থাকেন। তাহলে আস্তে আস্তে পরিমাণ কমাবেন, আপনি যদি হুট করে একদিনে গুল ছেড়ে
দিতে চান। তাহলে সেটি আপনি পারবেন না আপনাকে অবশ্যই এটি ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে
হবে। এর ফলে আপনি খুব সহজেই একটা সময় গুল ছেড়ে দিতে পারবেন।
এরপর আপনি যা করতে পারেন সেটি হচ্ছে যখনই আপনার গুল খাওয়ার মন টানবে। তখনই আপনি
নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত করে নিবেন। এতে করে আপনার মাথায় গুলের চিন্তা দূর হয়ে
যাবে এবং এইভাবে দীর্ঘ সময় নিজেকে গুল থেকে দূরে রাখতে পারবেন। প্রচুর পরিমাণে
গুল খাওয়ার ইচ্ছা জাগলে আপনি চুইংগাম চাবাতে পারেন অথবা তুলসী পাতা বা পুদিনা
পাতা মুখে দিতে পারেন।
আপনি লবণ পানি, লেবু পানি দিয়ে বারবার কুলি করবেন। এর কারনে হবে কি যে আপনার গুল
খাওয়ার ইচ্ছা অনেকটাই কমে যাবে। আপনি নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করে দিবেন।
এর ফলে হবে কি আপনার মনে আল্লাহর ভয় কাজ করবে। নামাজ অনেক খারাপ কাজ
থেকে আপনাকে দূরে রাখবে অবশ্যই লক্ষ্য আপনার ঠিক রাখতে হবে। আপনার লক্ষ্যটি হতে
হবে অটুট।
আশা করছি গুল ছাড়ার উপায়গুলো সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। উপরে
উল্লেখ করা উপায়গুলো যদি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী মেনে চলা যায় তাহলে খুব অল্প
সময়ের মধ্যে গুল ছাড়া সম্ভব।
লেখকের মন্তব্যঃ গুল খেলে কি হয়
গুল খেলে কি হয় সে সম্পর্কে আমরা আমাদের আর্টিকেলে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি। আশা
করছি উক্ত আলোচনা বা আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি গুল খাওয়া সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তার সাথে আপনারা গুলের উপকারিতা, গুল কি দিয়ে তৈরি,
এটি খেলে কি হয় ইত্যাদি জানতে পেরেছেন।
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এটি আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সর্বশেষ আপনার যদি আমার এই আর্টিকেলটি নিয়ে কোন
মতামত বা প্রশ্ন থেকে থাকে। অথবা আপনি আরো নতুন কিছু জানতে চান সেক্ষেত্রে আপনি
আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে
পারেন।
অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url