ব্যাকলিংক তৈরির উপায় ৩১টি ব্যাকলিংক বানানোর কৌশল
ব্যাকলিংক তৈরির উপায় সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো। ব্যাকলিংক
কি, এটি কিভাবে করতে হয়, ব্যাকলিংকের কাজ কি সকল বিষয় সম্পর্কে আজকে আমি আলোচনা
করব। একটি ওয়েবসাইট রাঙ্কিং এর জন্য ব্যাকলিংকের গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম।
কিভাবে সঠিক নিয়মে ব্যাকলিংক বানাবেন সে সম্পর্কে সকল তথ্য আমি আমার এই
আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাবো। তাই আর দেরি না করে আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে
আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করবেন
পেজ সূচিপত্রঃ ব্যাকলিংক তৈরির উপায়
- ব্যাকলিংক তৈরির উপায় সম্পর্কে জানুন
- ব্যাকলিংক করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখ লিংক
- ব্যাকলিংক কতো প্রকার ও কী কী
- এসিওর ক্ষেত্রে ব্যাকলিংকের সুবিধা গুলো হলো
- হাই কোয়ালিটির ব্যাকলিংক এর সুবিধা গুলো
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাকলিংক তৈরি করার সুবিধা
- ব্যাকলিংক এর কাজ কি জেনে নিন
- ব্যাকলিংক কিভাবে ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করে
- ব্যাকলিংক না করলে কি কোনো ক্ষতি হবে
- লেখকের মন্তব্যঃ ব্যাকলিংক তৈরির উপায়
ব্যাকলিংক তৈরির উপায় সম্পর্কে জানুন
ব্যাকলিংক তৈরির উপায় সম্পর্কে, আজ আমি আপনাদের কিছু সহজ পদ্ধতি বলবো যা থেকে
আপনারা কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে, সে বিষয়ে
বিস্তারিত জানতে পারবেন। ব্যাকলিংক একটি ওয়েবসাইটের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি
জিনিস। ব্যাকলিংকের কারণে একটা ওয়েবসাইট অনেক দ্রুত রেঙ্কে আসে। ব্যাকলিংক মানে
হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট এর লিংক অন্য কোন ওয়েবসাইটের পোস্টের মধ্যে দেওয়াকে
ব্যাকলিংক বলে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কতটুকু গাজর খাওয়া উচিত
অন্য ওয়েবসাইটের কোন পোস্টে আপনার ওয়েবসাইটের কোন লিংক দেওয়ার ফলে সে
ওয়েবসাইটের ভিজিটররা আপনার ওই লিংকে ক্লিক করলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। এর
ফলে আপনার ওয়েবসাইটে খুব দ্রুত রাঙ্কে আসার চান্স থাকে। এই ব্যাক লিংক করার সময়
অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার সাথে মিল রয়েছে এরকম ওয়েবসাইটে
ব্যাকলিংক করার। কীভাবে ব্যাকলিংক বানাবেন আসুন দেখে নেওয়া যাক।
ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য প্রথমে আমরা আলোচনা করব গেস্ট পোস্টিং নিয়ে। ব্যাকলিংক এর ক্ষেত্রে গেস্ট পোস্টিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে। কিভাবে এটি করবেন আপনি প্রথমে কারো ব্লগে বা ওয়েবসাইটে একটি
ভালো মানের পোস্ট বা আর্টিকেল লিখে দিয়ে, সেই আর্টিকেলের মধ্যে আপনি আপনার
ওয়েবসাইটের একটা লিংক দিবেন এটা একটি ব্যাকলিংক তৈরি করার অনেক
গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। আর এটা করার জন্য অবশ্যই আপনি যেটা নিয়ে কাজ করেন।
অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটটি যে ধরনের অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট এর সাথে মিল রয়েছে এই
রকম ওয়েবসাইটেই শুধুমাত্র করবেন। এটাকে আরও সহজ করে বলতে গেলে ধরেন আপনি আপনার
ওয়েবসাইটটিতে ভালো গল্প নিয়ে কাজ করেন, তাহলে অবশ্যই আপনি একটি গল্প
সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্ট করবেন এতে করে আপনার ব্যাকলিংক করার যে লাভ
সেটা আপনি পাবেন। এরপর আলোচনা করবো সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং নিয়ে।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ব্লগের পোস্ট গুলো শেয়ার করতে পারেন।কেননা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক ট্রাফিক থাকে। যার কারণে আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ব্লগ পোস্টগুলো শেয়ার করতে পারেন। এতে করে আপনার শেয়ার করা লিঙ্কে অনেক মানুষ ক্লিক করে ভেতরে ঢুকবে। এবং আপনার ওয়েবসাইটটি তাদের ভালো লাগলে সাবস্ক্রাইব করবে। ফলে আপনার ওয়েবসাইটের র্যাঙ্ক দ্রুত হবে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিংকগুলো
ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, ইনস্টাগ্রাম এইসব সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন
এবং আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে বলবেন। এগুলো থেকে ট্রাফিকও আসবে এবং
ব্যাকলিংকের কাজ ও হবে। ফোরামে অংশগ্রহণ করুন যেমন কোওরা, র্যাবিট,
নিছভিত্তিক ফোরামে গিয়ে মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিবেন তারপর সেখানে আপনার
ওয়েবসাইটের লিংক দিবেন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনতে এবং আপনার
ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক অর্জন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কাজে লাগে এমনই তথ্য দেবার চেষ্টা করবেন।
ব্লগে কমেন্ট করে ব্যাকলিংক তৈরি আপনি বিভিন্ন ব্লগে গিয়ে ভালোভাবে
কমেন্ট করতে পারেন, তার সাথে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন। এটি
আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক আনতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই গঠনমূলক
কমেন্ট করতে হবে। যেমন ধরেন আপনি এইভাবে কমেন্ট করতে পারেন, আপনার
পোস্টটি পড়ে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারলাম। আপনার এই টপিকের সাথে মিল
রয়েছে এরকম একটি পোস্ট এখানে আমি লিখেছি তারপর আপনি আপনার ওই পোষ্টের লিংক
দিবেন।
ব্রোকেন লিংক মেথড এইটা একটু স্মার্ট উপায়। অন্যদের সাইটে ভাঙ্গা
লিঙ্ক খুঁজে বের করবেন তারপর তাদের ইমেইল করে বলবেন। এই লিংকটা কাজ করছে না আপনি
চাইলে আমার লেখাটা এখানে যোগ করতে পারেন। তারা যদি রাজি হয় তাহলে আপনি একটা
ব্যাকলিংক পেয়ে যাবেন। এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকলিংক তৈরি করার একটি
উপায়। ডিরেক্টরী সাবমিশন কিছু নির্ভরযোগ্য ডিরেক্টরের
সাইডে আপনার ওয়েবসাইট জমা দিতে পারেন। তবে সাবধান থাকতে হবে কারণ অনেক
ডিরেক্টরি সাইট স্প্যামি হয়ে থাকে।
এবার হয়তো আপনি ভাবছেন এই ডিরেক্টরি সাবমিশন আবার কি। ডিরেক্টরি
সাবমিশন মানে হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের নাম, লিংক, বর্ণনা ক্যাটাগরি ইত্যাদি, কিছু
তথ্য একটা বিশেষ ধরনের ওয়েবসাইটে জমা দেওয়া যাকে ওয়েব ডিরেক্টরি বলে।
প্রেস রিলিজ করে ব্যাকলিংক তৈরির উপায়।পেজ রিলিজ মানে হচ্ছে আপনার
ব্র্যান্ড, ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট নিয়ে একটা সংবাদের মত লেখালেখি, যেটা
বিভিন্ন নিউজ ওয়েবসাইট বা প্রেস রিলিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
এটা এক ধরনের নিউজ ধরেন আপনি নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ করছেন ওয়েবসাইট আপডেট করছেন বা
ইভেন্ট আয়োজন করছেন এসব নিয়েই প্রেস রিলিজ করা হয়। এভাবে আপনি যখন প্রেস রিলিজ
এ আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেন এবং সেটা যখন নিউজ সাইটে প্রকাশিত হয়, তখন সেই
সাইট থেকে আপনার সাইটে একটা লিংক তৈরি হয় এটাকেই বলে প্রেস রিলিজ ব্যাকলিংক যেটা
এসিওর জন্য অনেক কার্যকরী। আশা করি উপরের বিষয়গুলো পড়ার পর আপনি ব্যাকলিংক
তৈরির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ফেলেছেন।
ব্যাকলিংক করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত
ব্যাকলিংক করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আজ আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিতভাবে আলোচনা
করব যা থেকে আপনি ব্যাকলিংক করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন
করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া ব্যাকলিংকের প্রয়োজনীয়তা
সম্পর্কে। ব্যাকলিংক মানে হচ্ছে অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে আসলে
এটা এক ধরনের রেফারেন্স। যেটা গুগোল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিন গুলো দেখে বুঝতে পারে
আপনার কনটেন্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ বা বিশ্বাসযোগ্য।
যেমন আপনি যদি অন্যের কাছ থেকে সুপারিশ পান সেটা যেমন আপনার মান বাড়ায় ঠিক
তেমনি ব্যাকলিংক ও গুগলের চোখে আপনার ওয়েবসাইটের মান বাড়িয়ে তোলে। ব্যাকলিংক
করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ র্যাংকিং উন্নত করে। ব্যাকলিংক এসইও এর
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ একটি গুগলের এলগরিদম এটি লিংক দেখে বুঝে, কোন সাইট গুলো
ইউজারদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা জনপ্রিয়। যদি আপনার সাইটে বেশি
মানসম্মত ব্যাকলিংক থাকে।
তাহলে আপনার সাইট গুগলের সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে আসবে যার মানে বেশি ভেজিটর
আপনি পাবেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াই। যখন কেউ অন্য কোন ব্লগ বা
ওয়েবসাইটে আপনার লিঙ্ক দেখে এবং ক্লিক করে, তখন সে সরাসরি আপনার সাইটে চলে
আসে। এভাবে ব্যাকলিংকের মাধ্যমে রেফারেন্স ট্রাফিক পাওয়া যায়। এই ট্রাফিক অনেক
সময় গুগল সার্চ থেকেও বেশি কাজে আসে, কারণ ইউজার আগ্রহ নিয়ে আপনার সাইটে এসে
থাকেন। ব্র্যান্ড বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায় যত পরিচিত বা নাম করা
ওয়েবসাইটগুলো আপনার সাইটের লিংক দেয়,
তখন মানুষ ধরে নেই আপনি সত্যিই ভালো কনটেন্ট তৈরি করেন বা আপনার ব্র্যান্ড
ভরসাযোগ্য। এটি শুধু ইউজারদের চোখে নয় গুগলের চোখেও আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা
বাড়িয়ে তোলে।ব্যবসার জন্য লং টার্ম উপকার। ব্যাক লিংক শুধু একটা এসিও কৌশল
না, এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদী ইনভেস্টমেন্ট।ভালো ব্যাকলিংক একবার তৈরি হলে
সেটা অনেকদিন ধরে কাজ করে যায়। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট নিয়মিত ট্রাফিক পায়
আর আপনি ধীরে ধীরে একটা শক্তিশালী অনলাইন প্রজেক্ট তৈরি করতে পারেন। যা একটি
ওয়েবসাইটের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি উপরে বিস্তারিত পরে আপনি জানতে
পেরেছেন ব্যাক লিংক করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।
ব্যাকলিংক কতো প্রকার ও কী কী
ব্যাকলিংক কত প্রকার ও কি কি সে বিষয়ে এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।
ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন যে ব্যাকলিংক করার উপায় সম্পর্কে এবং ব্যাক লিংক এর
প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।এবার আমরা জানব ব্যাক লিঙ্ক কত প্রকার ও কি কি তাই আর দেরি
না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত ব্যাকলিংক দুই প্রকার বা দুই ধরনের হয়ে
থাকে। একটি হচ্ছে Dofollow ব্যাকলিংক এবং দ্বিতীয় হচ্ছে Nofollow ব্যাকলিংক।
এছাড়াও কিছু ব্যাকলিংক আছে যেগুলো টেকনিক বা উৎস অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে
সেগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
ব্যাকলিংক গুলো হলো
- Dofollow ব্যাকলিংক
- Nofollow ব্যাকলিংক
- Contextual ব্যাকলিংক
- Editorial ব্যাকলিংক
- Guest Post ব্যাকলিংক
- Blog Comment ব্যাকলিংক
- Press Release ব্যাকলিংক
- Directory Submission ব্যাকলিংক
- Profile ব্যাকলিংক
- Forum ব্যাকলিংক
Nofollow ব্যাকলিংকঃ এই ব্যাগ লিংকটি হচ্ছে এমন একটি লিংক যা গুগল ফলো করে
না। তার মানে হচ্ছে গুগল ওই লিংকে এসইও র্যাংকিং বাড়ায় না। তবে এর মানে
এই না যে Nofollow লিংক একেবারে কাজের না। এই লিংক থেকেও ট্রাফিক আসতে
পারে, ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ে আর কিছু সময় পর এটা Dofollow তে পরিণত হতে
পারে। যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, ব্লগ কমেন্ট এসব জায়গায় লিংক
সাধারণত nonfollow হয়ে থাকে।
Contextual ব্যাকলিংকঃ এটা হচ্ছে এমন একটি ব্যাক লিংক যা কোন লেখার মাঝে
দেওয়া হয় থাকে।যেমন আপনি একটা আর্টিকেল লিখেছেন সুস্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
আর এর মাঝে একটা লাইন হবে যেটা নাম আরো পড়ুন সেকশন সেখানে আপনার লিংকটা দিবেন। এই
ধরনের লিংক কে গুগল অনেক বেশি মূল্যায়ন করে এটা প্রাসঙ্গিক কন্টেন্টের ভেতর থেকে
আসে। তাই চেষ্টা করবেন আপনার পোস্টের মধ্যে আরও পড়ুন সেকশনে এই লিংক ব্যবহার
করার জন্য।
Editorial ব্যাকলিংকঃ এটা হচ্ছে এমন ব্যাক লিংক যেটা কেউ স্বেচ্ছায় তার
ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করেছে। কারণ তারা মনে করেন, আপনার কনটেন্ট
অনেক ভালো মানের এবং অনেক ইনফরমেশনাল রিলেটিভ কনটেন্ট। এই
ব্যাকলিংকের গুরুত্ব অনেক বেশি কেননা এই ব্যাক লিংকটি কেনা বা বানানো নয় বরং
অর্জিত।
Guest Post ব্যাকলিংকঃ আপনি অন্যের ওয়েবসাইটে বা ব্লগে একটি পোস্ট লিখেন
এবং সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেন এটা খুবই জনপ্রিয় এবং এসিওতে কার্যকর
একটি পদ্ধতি।উদাহরণস্বরূপঃ মনে করেন আপনি ফ্যাশান টিপস নিয়ে লেখে লেখি করেন এবার
আপনি কোন ফ্যাশন টিপস ব্লগে পোস্ট করেন এবং সেখানে নিজের ব্লগের লিংক দেন
এটাই গেস্ট পোস্ট ব্যাকলিংক বলা হয়ে থাকে।
Blog Comment ব্যাকলিংকঃ ব্লগ কমেন্ট ব্যাকলিংক হচ্ছে, আপনি যদি অন্য কারো
ব্লগে গিয়ে গঠনমূলক মন্তব্য করেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেন তাহলে সেটা
ব্লগ কমেন্ট ব্যাকলিংক বলা হয়ে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে অনেক ব্লগ এইসব লিংক
নোফলো করে রাখে।
Press Release ব্যাকলিংকঃ আপনার ব্র্যান্ড বা ওয়েবসাইট নিয়ে কোন খবর বা
ঘোষণা লিখে যদি তা নিউজ সাইটে বা প্রেস রিলিজ সাইটে প্রকাশ করেন আর সেখানে যদি
আপনার লিংক থাকে তাহলে সেটা প্রেস রিলিজ ব্যাকলিংক বলা হয়ে থাকে।
Directory Submission ব্যাকলিংকঃ আপনার ওয়েবসাইট টাকে কোন নির্ভরযোগ্য
ডিরেক্টরিতে সাবমিট করলে সেখান থেকে আপনার সাইটের লিংক পাওয়া যায় সেটাকেই
ডাইরেক্টরি ব্যাকলিংক বলা হয়।
Profile ব্যাকলিংকঃ এটা হচ্ছে অনেক ওয়েবসাইটে আপনি একাউন্ট খুললে প্রোফাইলে
ওয়েবসাইট লিংক দেওয়ার অপশন থাকে সেখান থেকে আপনি একটা ব্যাকলিংক পেতে পারেন
এটাকে প্রোফাইল ব্যাকলিংক বলা হয়ে থাকে। যেমন বিহানসি, মিডিয়াম, কোওরা
ইত্যাদি।
Forum ব্যাকলিংকঃ ফোরাম মানে হচ্ছে যেসব জায়গায় মানুষ প্রশ্ন করে বা
আলোচনা করে আপনি যদি সেখানে কোন আলোচনা বা প্রশ্নের উত্তরে নিজের ওয়েবসাইটে
প্রাসঙ্গিক লিংকটা দেন তাহলে সেটাকে ফোরাম ব্যাকলিংক বলা হয় এটা অনেক
গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি। আশা করি উপরের আলোচনা গুলো পড়ে আপনি ব্যাকলিংক কত
প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা পেয়ে গেছেন। উপরের তথ্য
গুলো আপনার ওয়েব সাইটের র্যাঙ্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এসিওর ক্ষেত্রে ব্যাকলিংকের সুবিধা গুলো হলো
এসিওর ক্ষেত্রে ব্যাকলিংকের সুবিধা গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে গুগলে
র্যাংক। ব্যাক লিংকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটা গুগল বা সার্চ ইঞ্জিনে
আপনার ওয়েবসাইটকে উপরের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। গুগল যখন দেখে যে অনেক
ভালো মানের ওয়েবসাইট আপনার সাইটের দিকে লিংক তার পোস্টে দিয়েছে তখন গুগল ধরে
নেই আপনার কনটেন্ট অনেক ভালো মানের। ফলে আপনার সাইটকে সার্চ রেজাল্টের উপরে তুলে
দিয়ে থাকে। তারপর অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ায়।
ভালো ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে সরাসরি ভিজিটর আসে যাকে বলে রেফারেল ট্রাফিক। ধরেন
কোনো বড় ওয়েবসাইটে আপনার লিঙ্ক আছে। কেউ সে সাইটে ঘুরতে গিয়ে আপনার লিংকে
ক্লিক করলে সে আপনার সাইটে চলে আসবে এতে অর্গানিক ট্রাফিক বাড়বে যা আপনার সাইটের
জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে। ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা
বাড়ায়। যখন বড় বা পরিচিত ওয়েবসাইটগুলো আপনার লিংক দেয় তাদের ওয়েবসাইটে
তখন সেটা শুধু গুগল নয় মানুষ ও বিশ্বাস করে।
যে এই ওয়েবসাইট টা ভালো কারণ অন্যরা ওকে রেফার করেছে। এই বিশ্বাসযোগ্যতা বা
অথরিটি তৈরি হওয়া খুবই জরুরী বিশেষ করে নতুন ওয়েবসাইট গুলোর জন্য।ডোমেইন অথরিটি
বাড়ে সংক্ষিপ্ত নাম DA, ব্যাকলিংক বেশি ও মানসম্পন্ন হলে আপনার ওয়েবসাইটের
ডিএ অর্থাৎ ডোমেইন অথরিটি বাড়ে। ডোমেইন অথরিটি বেশি হলে গুগল আপনার সাইটকে
গুরুত্বপূর্ণ মনে করে থাকেন এবং আপনার নতুন কনটেন্ট গুলো সহজে র্যাংক পায়। এটা
এসিওতে অনেক বড় একটা প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
ইনডেক্স দ্রুত হয়, গুগলে বট বা ক্রলার যখন আপনার ব্যাকলিংক দেখে, তখন
সেটা ধরে ধরে আপনার সাইটে পৌঁছে যায়। এতে করে গুগল আপনার নতুন পেজ গুলো
তাড়াতাড়ি খুজে পাই এবং ইনডেক্স করে অর্থাৎ আপনার নতুন লেখা বা পোস্ট খুব দ্রুত
গুগলে দেখা যায়। ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং পরিচিত বাড়ায়, যখন বিভিন্ন
ব্লগ নিউজ সাইট বা ফোরাম গুলোতে আপনার লিংক ছড়ায় তখন মানুষ আপনার নাম বা
ব্র্যান্ড চিনতে শুরু করে এবং এটা ধীরে ধীরে ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করে।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা ১৫টি উপায়
যেটা শুধু এসিও না, ব্যবসার দিক থেকেও অনেক লাভজনক হয়ে থাকে। এটি
আপনাকে প্রতিযোগিতা চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। যদি
আপনার সাইটে বেশি এবং ভালো মানের ব্যাকলিংক থাকে আর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাইটে না
থাকে তাহলে আপনার র্যাংকিং ট্রাফিক এবং জনপ্রিয়তা স্বাভাবিকভাবেই তাদের থেকে
ভালো হবে। ব্যাকলিংক হলো সেই সিক্রেট অস্ত্র যেটা দিয়ে আপনি খুব কম কন্টেন্টেও
এগিয়ে থাকতে পারবেন অন্যদের থেকে।
উপরিক্ত আলোচনা থেকে নিশ্চয় আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এসিওর ক্ষেত্রে ব্যাকলিংকের
প্রয়োজনীয়তা কত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকলিংক একটি ওয়েবসাইটের এসিওতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে যা আমি ইতোমধ্যেই উপরে আলোচনা করলাম যে এসিওর ক্ষেত্রে
ব্যাকলিংকের সুবিধাগুলো।
হাই কোয়ালিটির ব্যাকলিংক এর সুবিধা গুলো
হাই কোয়ালিটির ব্যাকলিংকের এর সুবিধা গুলো নিয়ে এখন আমি আলোচনা করব। এটি গুগলে
দ্রুত ভালোভাবে র্যাংক করে। হাই কোয়ালিটি মানে হলো নামকরা অথরিটি ওয়েবসাইট
থেকে লিংক পাওয়া।গুগল এসব সাইটকে খুব ভরসা করে যখন এ ধরনের সাইট আপনার লিংক
তাদের ওয়েব সাইটে দেয় তখন গুগল ধরে নেয়, এই ওয়েবসাইটটা খুব ভালো। তাই অন্য
ভালো সাইটকে রেফার করছে এর ফলে আপনার ওয়েবসাইট দ্রুত র্যাংক পাবে।
হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংকের জন্য আপনার ওয়েবসাইটে অথরিটি বাড়বে। যত বেশি ভালো
মানের ব্যাকলিংক, তত বেশি আপনার ডোমেইন অথরিটি আর পেজ অথরিটি বাড়ে ও পেজ অথরিটি
যত বেশি আপনার ওয়েবসাইট তত শক্তিশালী বলে গুগল মনে করে। এর মানে ভবিষ্যতে আপনার
নতুন কনটেন্ট গুলো সহজে র্যাংক করবে। হাই কোয়ালিটির ব্যাকলিংক গুলোর কারণে
আপনার ওয়েবসাইটের অর্গানিক ট্রাফিক বাড়বে।
হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক থাকা মানেই মানুষ আপনার লিংক বেশি বিশ্বাস করবে ও ক্লিক
করবে। ফলে সরাসরি অনেক ভিজিটর আসবে আপনার ওয়েবসাইটে।এর জন্য গুগলও আপনার সাইটকে
আরো গুরুত্ব দেবে। ব্যান্ড ইমেজ ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে। যখন বড় বড়
ওয়েবসাইট আপনার সাইটের লিংক তাদের ওয়েবসাইটে দেয়। তখন মানুষ স্বাভাবিকভাবে
আপনাকে প্রফেশনাল বিশ্বাসযোগ্য মনে করে। এটা শুধু এসিওতে না আপনার ব্র্যান্ডের
ইমেজ তৈরির জন্য।
অনেক বড় একটা প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া লিড ও কাস্টমার বাড়াতে
সাহায্য করে। গুগলে দ্রুত আপনার কন্টেন্ট ইনডেক্স করে।প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা
সহজ করে তোলে। যারা এসিওতে সিরিয়াস তারা জানেন হাই কোয়ালিটির ব্যাক লিংক না
থাকলে র্যাংক পাওয়া কঠিন তাই। যে কোন প্রতিযোগিতায় থাকতে চাইলে এই ধরনের
ব্যাকলিংক অনেক বড় অস্ত্র হিসেবে কাজ করে।
এটি আপনার সাইটকে লং টার্ম সফলতা এনে দিতে পারে। কম মানের ব্যাক লিংক যেমন সময়ের
সাথে নষ্ট হয়ে যায়, তেমনি হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক আরো মূল্যবান হয়। কারণ ভালো
সাইটগুলো দীর্ঘদিন টিকে থাকে এবং তাদের থেকে পাওয়া ব্যাকলিংক দীর্ঘমেয়াদে কাজ
করে। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন যে হাই কোয়ালিটির ব্যাকলিংক আপনার
ওয়েবসাইটের জন্য কতটা সুবিধা এনে দিতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাকলিংক তৈরি করার সুবিধা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাকলিংক তৈরি করার সুবিধা অনেক রয়েছে। এটি আপনার
ওয়েবসাইটে অনেক ট্রাফিক আনতে সাহায্য করে। কেননা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন
সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের একটিভিটি অনেক বেশি থাকে এবং সেখানে যদি আপনি টার্গেট
করে আপনার লিংক শেয়ার করেন তাহলে সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটে জন্য ভালো ট্রাফিক
জেনারেট করতে পারবেন যা একটি ওয়েবসাইটের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি
পদ্ধতি। এতে করে আপনার ওয়েবসাইট দ্রুত র্যাংক হতে থাকবে। সোশ্যাল
মিডিয়ায় ব্যাকলিংক তৈরি করার যেসব সুবিধা নিচে দেওয়া হল।
দ্রুত কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন ফেসবুক টুইটার ইনস্টাগ্রাম
এগুলোতে যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লক পোষ্টের লিংক শেয়ার করেন সেটা
মুহূর্তে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যায় এতে করে কনটেন্ট ভাইরাল হওয়ার সুযোগ
থাকে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ায় আপনি যদি নিয়মিত ভালো কনটেন্ট শেয়ার করেন।
তাহলে ফলোয়াররা সেই লিংকে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়ে। এতে রেফারেল
ট্রাফিক বাড়ে আর এসিও তে ভালো সিগন্যাল যায়।
সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত ইনডেক্স হয়, গুগল অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের সোশ্যাল মিডিয়ার
প্ল্যাটফর্ম গুলোর আপডেট খুব দ্রুত স্ক্যান করে। তাই যদি আপনি নতুন কোন পেজের
লিঙ্ক শেয়ার করেন সেটা গুগলে আরো দ্রুত ইনটেক্স হয়। সব ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
উচিত না। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে লিংক পেলে সেটা আপনার প্রোফাইলে বৈচিত্রপূর্ণ করে
তুলে। ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্ক শেয়ার করার মানে শুধু
ব্যাকলিঙ্ক করা না।
এতে করে আপনার ব্র্যান্ডের নাম ছড়িয়ে পড়ে মানুষ চিনতে শুরু করে। এটা ভবিষ্যতের
ট্রাস্ট তৈরি করতে দারুন কাজ করে থাকে। কনটেন্ট শেয়ার হলে আরো ব্যাকলিঙ্ক এর
সুযোগ হয়। যখন কেউ আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে তা নিজের প্রোফাইলে শেয়ার
করে বা অন্যকেও তা রেফার করে তখন আপনার কনটেন্ট বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে
এভাবে অর্গানিক ব্যাকলিংক পাওয়ার সুযোগও বাড়ে। সোশ্যাল সিগনাল এসিও তে সহায়ক,
গুগল সরাসরি না বললেও
অনেক এসিও এক্সপার্টরা বলেন সোশ্যাল শেয়ার, কমেন্ট, লাইক ইত্যাদি। যাকে বলে
সোশ্যাল সিগন্যাল সাহায্য করতে পারে। আর ব্যাক লিংক দিয়ে এসব সিগন্যাল পাওয়ার
রাস্তা খুলে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাক লিংক তৈরি করতে আপনার টাকা লাগে না আর
খুব সহজেই করা যায়। কয়েক মিনিটেই আপনি নিজের প্রোফাইল পেজ বা পোস্টে লিংক দিয়ে
ফেলতে পারেন।
ব্যাকলিংক এর কাজ কি জেনে নিন
ব্যাকলিংক এর কাজ কি এটা নিয়ে এখন আমি আলোচনা করব। ব্যাকলিংক হচ্ছে এমন একটি
লিংক যা আপনার ওয়েবসাইটকে দ্রুত র্যাংক করাতে সাহায্য করে। একটি ব্যাকলিংক
যত ভালো হবে আপনার ওয়েবসাইট ততো তারাতারি গ্রো করবে। তাই আর দেরি না করে
ব্যাকলিংকের কাজ কি তা জেনে নেওয়া যাক। ব্যাকলিংক হচ্ছে এমন একটি লিংক যা একটি
ওয়েবসাইট থেকে আরেকটি ওয়েবসাইট কে লিংক করাকে বুঝায়। মানে অন্য কেউ আপনার
ওয়েবসাইটের লিংক দিয়েছে তার ওয়েবসাইটে এরকম কিছু।
ব্যাকলিংকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটকে
ভালোভাবে র্যাংক করানো। গুগল যখন দেখে অনেক ভালো মানের ওয়েবসাইট আপনার সাইটের
লিংক তার ওয়েবসাইটে শেয়ার করেছে তখন গুগল ভাবে আপনার কনটেন্ট অনেক ভালো ও
মানসম্মত।তাই আপনাকে সার্চ রেজাল্টে উপরে নিয়ে আসে। তাছাড়া
ওয়েবসাইটে ভিজিট আনার ক্ষেত্রেও এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ধরেন কারো
ব্লগে আপনার লিংক আছে।
সেই ব্লগের পাঠক যখন আপনার লিংকে ক্লিক করবে তখন সে সরাসরি আপনার সাইটে চলে আসবে।
এটাকে বলে রেফারেল ট্রাফিক এবং এটা খুবই উপকারী একটি ওয়েবসাইটের
জন্য। এছাড়াও ব্যাকলিংক আপনার সাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে।
যখন নামকরা সাইট গুলো আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক তাদের ওয়েব সাইটে দেয় তখন পাঠকগণ
সহ গুগল দুজনেই মনে করে বা ধরে নেয় আপনি নির্ভরযোগ্য যা আপনার সাইটকে একটি
ব্র্যান্ডে পরিণত করে।
ব্যাকলিংক হলো এসিওর এক শক্তিশালী হাতিয়ার। যা একটা ওয়েবসাইটের র্যাংক
বাড়ায়, ট্রাফিক আনে ব্র্যান্ডের বিশ্বাস তৈরি করে এবং আপনার কনটেন্ট কে আরো
বেশি মানুষের সামনে তুলে ধরে। আসলে বলতে গেলে ব্যাকলিংক এর কাজই হচ্ছে একটি
ওয়েবসাইটকে র্যাংক করা। আশা করি আপনি ব্যাকলিংকের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন আমার এই পোস্টটি পড়ে।
ব্যাকলিংক কিভাবে ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করে
দেখলেন কিভাবে ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করে সে সম্পর্কে এখন আমি বিস্তারিত বলব।
অবশ্যই মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর
বাড়াতে সাহায্য করে। যখন কোন ব্লগ, নিউজ সাইট বা ফোরামে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক
দেওয়া থাকে। তখন কেউ যদি সেই লিংকে ক্লিক করে, সে সরাসরি আপনার সাইটে চলে আসে।
এভাবেই রেফারেল ট্রাফিক তৈরি হয়। মানে আপনি গুগল ছাড়া অন্য সাইট থেকেও ভিজিটর
পাচ্ছেন।
ব্যাকলিংক আপনার সাইট গুগলে র্যাংক বাড়িয়ে ভিজিটর বাড়ায়। ব্যাকলিংক গুগলের
কাছে একটা পজিটিভ সিগনাল। গুগল যখন দেখে অনেক ভালো মানের সাইট আপনার দিকে লিংক
দিচ্ছে, তখন ধরে নেই আপনার কনটেন্ট ভালো। ফলে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টের
উপরে উঠে আসে। আর যেহেতু বেশিরভাগ মানুষ গুগলের প্রথম পেজ থেকে ওয়েবসাইটে যায়।
তাই র্যাংক বাড়লে ভিজিটর স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে। ব্যাকলিংক এর কারনে
ব্র্যান্ড বা নাম ছড়িয়ে পড়ে।
যখন আপনার লিঙ্ক বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার হয় তখন আপনার ব্র্যান্ড বা ওয়েবসাইটের
নাম অনেকের চোখে পড়ে। এমন কি কেউ লিংকে না ক্লিক করলেও আপনার নাম মনে রাখতে
পারে। এতে ভবিষ্যতে তারা সরাসরি আপনার সাইটে আসতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন
ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন যখন আপনি ব্যাকলিংক শেয়ার করেন। তখন মানুষ সেটা দেখে
ক্লিক করে শেয়ার করে ফলে অনেক নতুন ভিজিটর এসে পড়ে। এই ট্রাফিক খুব দ্রুত বাড়ে
বিশেষ করে যদি কন্টেনটা ভাইরাল হয়।
ব্যাকলিংক এর কারণে টার্গেট ভিজিটর আসে যদি ব্যাকলিঙ্কটা এমন কোন সাইটে দেওয়া
হয় যেটার টপিক আপনার সাইটের সঙ্গে মিল রয়েছে, তাহলে সেই সাইটের দর্শকরাও আপনার
কন্টেন্টে আগ্রহী হয়। এতে করে টার্গেটের ট্রাফিক আসে মানে যারা সত্যিই আপনার
বিষয় নিয়ে আগ্রহী তারাই আসে। তাছাড়া সময়ের সাথে ভিজিটর বাড়তেই থাকে। আপনি
যদি একটা ভালো ব্যাকলিংক করতে পারেন। তাহলে অনেক সময় ধরে তা কাজ করে।
ধরেন একটা নামকরা ব্লগে আজ আপনি লিংক পেলেন সেই ব্লগ যত দিন থাকবে ততদিন কেউ না
কেউ লিংকে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে আসতে থাকবে। মানে একবার লিংক পেলেই সেটার
থেকে অনেক দিন ভিজিটর পাওয়া যায় যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করে। আশা করি বুঝতে
পেরেছেন যে ব্যাকলিংক কিভাবে আপনার ওয়েব সাইটের ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করে।
ব্যাকলিংক না করলে কি কোনো ক্ষতি হবে
ব্যাকলিংক না করলে কি কোন ক্ষতি হবে এই সম্পর্কে বলতে গেলে অবশ্যই এটি আপনার
ওয়েবসাইটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যা আপনার ওয়েবসাইটকে দ্রুত র্যাঙ্কে
আনতে সাহায্য করে। যাই হোক ব্যাকলিংক না করলে কি ক্ষতি হতে পারে বা কি সমস্যা হতে
পারে সেটা নিয়ে এখন আমি বিস্তারিত আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। তাই আর দেরি না করে
চলুন জেনে নেওয়া যাক।
-
ব্যাকলিংক না করলে গুগলে র্যাঙ্ক করা কঠিন হবে। ব্যাকলিংক না থাকলে
গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে তেমন গুরুত্ব দেবে না। কারণ গুগল ব্যাকলিংক এর
মাধ্যমেই বোঝে কোন কনটেন্ট টা ভালো এবং কার উপর মানুষ ভরসা করছে। তাই
যদি ব্যাকলিংক না থাকে আপনার ওয়েবসাইটে তাহলে আপনার কনটেন্ট গুগলে র্যাংক
করবে না বা অনেক নিচে থাকবে। ফলে মানুষ আপনার সাইট খুঁজে পেলেও ক্লিক করবে না
যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ক্ষতিকর।
-
অর্গানিক ট্রাফিক কমে যাবে। যেহেতু র্যাঙ্ক কমে যাবে, স্বাভাবিকভাবে
সার্চ থেকে আসা ভিজিটরও কমে যাবে। আপনি যতই ভালো কনটেন্ট লিখেন না
কেন, ব্যাকলিংক ছাড়া সেটা অনেক সময় মানুষ দেখতেই পাবে না কারণ আপনি
গুগলের পেছনের পাতায় হারিয়ে যাবেন।
- তারপর আপনার প্রতিযোগী যদি নিয়মিত ব্যাকলিংক তৈরি করে তাহলে তারা গুগলে উপরে উঠে যাবে আর আপনি নিচে চলে যাবেন এভাবে ধীরে ধীরে তারা ট্রাফিক কাস্টমার আর ব্র্যান্ড ভ্যালু সবকিছু নিয়ে নেবে আর আপনি পিছিয়ে পড়বেন।
-
ওয়েবসাইটের অথরিটি বা বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে না। ব্যাকলিঙ্ক এর মাধ্যমে
ওয়েবসাইটের অথরিটি বাড়ে। যদি ব্যাকলিংক না থাকে তাহলে গুগল সহ অন্য সাইটও
আপনাকে নতুন বা দুর্বল মনে করবে। এতে আপনার কনটেন্ট বা প্রোডাক্ট এর উপর
মানুষ কম বিশ্বাস করবে।
- আপনার ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ড বা নাম ছাড়াতে দেরি হবে। যদি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক অন্য কোথাও না থাকে তাহলে কেউ আপনার নামও জানবে না। যার মানে ব্র্যান্ডের ছড়ানো, কাস্টমার তৈরি বা পরিচিতি পাওয়ার পথ অনেক ধীরে চলবে। ব্যাকলিংক ছাড়া এটা অনেকটাই সময় সাপেক্ষ আর কঠিন
উপরোক্তা আলোচনা থেকে আশা করি আপনি ব্যাকলিংক না করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে সে
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবং ব্যাকলিংক একটি ওয়েবসাইটের জন্য
কতটা উপকার বা গুরুত্বপূর্ণ সেই সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। আসলে ব্যাকলিংক
ছাড়া একটি ওয়েবসাইট কখনোই ভালো পারফর্ম করতে পারেনা। তাই একটি ওয়েবসাইটের
জন্য ব্যাকলিংকের গুরুত্ব অপরিসীম। অবশ্যই নিয়মিত ব্যাকলিংক করতে হবে তাহলে
আপনার ওয়েবসাইটটি দ্রুত র্যাংক করবে।
লেখকের মন্তব্যঃ ব্যাকলিংক তৈরির উপায়
ব্যাকলিংক তৈরির উপায় সম্পর্কে আশা করি আপনি ইতোমধ্যেই বিস্তারিত জেনে নিয়েছেন।
ব্যাকলিংক একটি ওয়েবসাইটের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ ব্যাকলিংক এর কারণেই
একটি ওয়েবসাইট দ্রুত র্যাংক করে এবং মানুষের কাছে তা পৌঁছাতে সাহায্য করে। তাই
আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ থাকবে যে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ব্যাকলিংক করবেন।
আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। যদি আপনি আমাদের পোস্টটি পড়ে
ভালো লাগে বা আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনি এটা আপনার বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করবেন। এবং আমাদের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট
করে জানাবেন।
অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url