ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া ২০২৫ তালিকা
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া ২০২৫ সম্পর্কে জানতে চান? আমার এই আর্টিকেলের
মধ্যে আপনি ট্রেন ভাড়ার পাশাপাশি যাত্রার সময়, অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম এবং
ভ্রমণ টিপস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এছাড়াও যাত্রাকে সহজ করার জন্য এখানে কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী
সম্পর্কেও জানানো হয়েছে। চলুন তাহলে দেরি না করে ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন
সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সুচিপত্রঃ ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া ২০২৫
- ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া ২০২৫
- কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী
- কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেন ভাড়া ২০২৫
- FAQ/আলোচিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের তালিকা ২০২৫
- ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমন
- ঢাকা থেকে কক্সবাজার কত কিলোমিটার
- কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান
- FAQ/ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথাঃ ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া ২০২৫
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া ২০২৫
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া ২০২৫ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানতে
চেয়েছেন। তাই এখন আমি আপনাদেরকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার ট্রেন ভাড়া
সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ট্রেনের ভাড়া মূলত
নির্ভর করে ট্রেনের ক্লাস ও সার্ভিসের ওপর। আপনি যদি এসি সিটে যান, তাহলে আপনার
ভাড়া একটু বেশি লাগবে।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহী থেকে রংপুর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
আর শোভন চেয়ারে গেলে আপনার ভাড়া কম লাগবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য
দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করে। এই দুটি ট্রেনের নাম হচ্ছে একটি পর্যটক এক্সপ্রেস
আরেকটি হচ্ছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস। এই দুইটি ট্রেনের টিকিটের দাম মূলত একই হয়ে
থাকে, তবে সিটের ধরন অনুযায়ী এই দুটি ট্রেনের ভাড়া একটু কম বা বেশি হয়ে
থাকে। বর্তমানে এই দুটি ট্রেনের ভাড়া নিচে উল্লেখ করা হলো।
পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ট্রেনের ভাড়ার পরিমান
সিটের ধরন | ভাড়ার পরিমাণ | ট্রেনের নাম |
---|---|---|
শোভন চেয়ার | ৬৯৫ টাকা | পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) |
স্নিগ্ধা | ১৩২৫ টাকা | পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) |
এসি সিট | ১৫৯০ টাকা | পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) |
কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৪) ট্রেনের ভাড়ার পরিমাণ
সিটের ধরন | ভাড়ার পরিমাণ | ট্রেনের নাম |
---|---|---|
শোভন চেয়ার | ৬৯৫ টাকা | কক্সবাজার এক্সপ্রেস ৮১৪ |
স্নিগ্ধা | ১৩২৫ টাকা | কক্সবাজার এক্সপ্রেস ৮১৪ |
এসি বার্থ | ২৪৩০ টাকা | কক্সবাজার এক্সপ্রেস ৮১৪ |
আশা করছি উপরে আমার দেওয়া তথ্য থেকে আপনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার এই দুটি
ট্রেনের ভাড়া কত সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আপনি
eticket.railway.gov.bd এই ওয়েবসাইট থেকে বর্তমানে এই ট্রেনের ভাড়া কত জানতে
পারবেন। সেই সাথে অগ্রিম আপনি এখান থেকে টিকিটও কাটতে পারবেন।
কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী
এখন আমি আপনাদেরকে কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে
জানাবো। কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বর্তমান সময়ে দুটি
ইন্টারসিটি ট্রেন চলাচল করছে এই দুইটি ট্রেনের নাম হচ্ছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস
আর পর্যটক এক্সপ্রেস। এই ট্রেন দুইটি সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকে বাকি
ছয় দিন যথাসময়ে এই রুটে চলাচল করে নিচে সুন্দরভাবে এই ট্রেনের সময়সূচী
উল্লেখ করা হলো।
কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাওয়ার ট্রেনের সময়সূচী হচ্ছে
ট্রেনের নাম ও নাম্বার | ট্রেন ছাড়ার সময় | গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর সময় | ট্রেন বন্ধের দিন |
---|---|---|---|
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ৮১৩ | দুপুর ১২:৩০ মিনিট | রাত ৯ঃ০৫ মিনিট | মঙ্গলবার |
পর্যটক এক্সপ্রেস ৮১৫ | রাত ৭ঃ৪৫ মিনিট | পরের দিন ভোর ৪:২৫ মিনিট | রবিবার |
উপরে আমার দেওয়া তথ্যগুলো দেখে আশা করছি আপনি কক্সবাজার থেকে ঢাকা
যাওয়ার ট্রেনগুলোর সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেন ভাড়া ২০২৫
আপনারা অনেকেই কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের ভাড়া
সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই এখন আমি আপনাদেরকে কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেন ভাড়া
২০২৫ সম্পর্কে জানাবো।
বর্তমানে কক্সবাজার টু ঢাকা এই রুটে দুইটি ট্রেন চলাচল করছে। এই দুটি ট্রেনের নাম
হচ্ছে পর্যটক এক্সপ্রেস আরেকটি হচ্ছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস। এই দুইটি ট্রেনের
ভাড়া মূলত নির্ভর করে তার সিটের ধরন অনুযায়ী অর্থাৎ আপনি যদি এসি কাউচ, এসি
বার্থ, স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার এর টিকিট নেন তাহলে এই চেয়ারের ধরন অনুযায়ী
আপনার টিকিটের দাম কম ও বেশি হবে। চলুন কোন সিটের জন্য কেমন ভাড়া সেটা জেনে নিই।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ৮১৩ঃ এই ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে দুপুর ১২ঃ৩০ মিনিটে
ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং ঢাকাতে পৌঁছায় রাত ৯ঃ১০ মিনিটে। এই
ট্রেনের ভাড়া শোভন চেয়ারের জন্য ৬৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা চেয়ারের জন্য ১৩২৫ টাকা
এবং এসি সিটের জন্য ১৫৯০ টাকা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারণ করা
হয়েছে।
পর্যটক এক্সপ্রেস ৮১৫ঃ এই ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে রাত ৭ঃ৪৫ মিনিটে ঢাকার
উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং ঢাকাতে পৌঁছায় পরের দিন সকাল
৪ঃ২৫ মিনিটে। এই ট্রেনের ভাড়া শোভন চেয়ারের জন্য ৬৯৫ টাকা স্নিগ্ধা
চেয়ারের জন্য ১৩২৫ টাকা এবং এসি বার্থ এর জন্য ২৪৩০ টাকা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী
নির্ধারণ করা হয়েছে।
আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে আপনি কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাওয়ার ট্রেনের ভাড়া
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনি চাইলে উপরে গিয়ে ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া
২০২৫ সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।
FAQ/আলোচিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
কক্সবাজার ট্রেনের নাম কী?
উত্তরঃ কক্সবাজার থেকে ঢাকা রুটে দুইটি ট্রেন চলাচল করে সেই দুটি ট্রেনের
নাম হচ্ছে একটি কক্সবাজার এক্সপ্রেস আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে পর্যটক
এক্সপ্রেস। এই দুইটি ট্রেন সপ্তাহের একদিন বন্ধ থাকে বাকি ছয় দিন নিয়মিত
এই লাইনে চলাচল করে থাকে।
এক্সপ্রেস ট্রেন কী?
উত্তরঃ এক্সপ্রেস ট্রেন হচ্ছে এমন একটি ট্রেন যেটা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে
গন্তব্য স্থানে পৌঁছায়। কারণ এটি যাত্রা পথে বার বার কোন স্টেশনে দাঁড়ায় না
এবং অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় এতে যাত্রা করা বেশ আরামদায়ক ও সুবিধা। এই
ট্রেনে আরামের জন্য বেশ কিছু সুবিধা জনক আসনের ব্যবস্থা থাকে। যেগুলোর নাম
এসি বার্থ, স্নিগ্ধা ও ফাস্ট ক্লাস। এক কথায় বলা যায় এই ট্রেনটিতে
প্রিমিয়াম সার্ভিস দেওয়া হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য সাধারণ সব ট্রেনের তুলনায়
এই ট্রেনের ভাড়া একটু বেশি হয়ে থাকে।
কক্সবাজারে কোন কোন দর্শনীয় স্থান রয়েছে?
উত্তরঃ কক্সবাজার একটি দর্শনীয় স্থান এর আন্ডারে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান
রয়েছে। এই দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ইনানী সৈকত,
সেন্টমার্টিন দ্বীপ, মহেশখালী দ্বীপ, হিমছড়ি, টেকনাফ, কক্সবাজার চিড়িয়াখানা
ও বালুখালী পাহাড়।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কত কিলোমিটার দূরে?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সড়ক পথে টোটাল ২৫২ কিলোমিটার দূরে।
তবে ট্রেনে ভ্রমণ করলে এর দূরত্ব সামান্য কিছু কম বা বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ট্রেন কোনটি?
উত্তরঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ট্রেন কোনটি এই বিষয়ে সাধারণত কোন ট্রেন
এখন পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি। তবে যাত্রীর ধারন ক্ষমতা এবং বেশি কোচ
একসাথে যোগ করে চলাচল করে সুবর্ণ এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি বাংলাদেশের সব থেকে বড়
ট্রেন হিসেবে ধরা যায়। তাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ট্রেন বলতে সুবর্ণ
এক্সপ্রেস কে বলা যেতে পারে।
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের তালিকা ২০২৫
এখন আমি আপনাদেরকে ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের তালিকা ২০২৫ সম্পর্কে জানাবো। তাই
দেরি না করে চলুন বিস্তারিত জেনে নিই। যাত্রীদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে
কৃতপক্ষ ঢাকা থেকে কক্সবাজার এই লাইনে দুইটা ইন্টারসিটি ট্রেন চালিয়ে থাকে। এই
ট্রেন দুটির নাম হচ্ছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস এবং পর্যটক এক্সপ্রেস।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস এই ট্রেনটি একটি আধুনিক ট্রেন ও নন স্টপ ইনটারসিটি ট্রেন
হওয়ার কারণে এটা ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাত্রীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কক্সবাজারে পৌঁছে যায়। আর পর্যটক এক্সপ্রেস এই
ট্রেনটি পর্যটক যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে চালু করা হয়েছে। এই ট্রেনটি ঢাকা
থেকে কক্সবাজার যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি স্টেশনে যাত্রীদের ওঠা ও নামার জন্য
সুবিধা দিয়ে থাকে।
এই দুইটি ট্রেনেই শোভন চেয়ার, ফার্স্ট ক্লাস, এসি বার্থ, স্নিগ্ধ সহ বিভিন্ন
রকমের আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। এর জন্য যাত্রীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী বাজেট ও
আরামের চিন্তা মাথায় রেখে টিকিট কাটতে পারে। এই দুইটি ট্রেন সপ্তাহে একদিন
বন্ধ থাকে। কক্সবাজার এক্সপ্রেস এই ট্রেনটি সপ্তাহে মঙ্গলবার বন্ধ থাকে বাকি
ছয় দিন যথাসময়ে চলাচল করে এবং পর্যটক এক্সপ্রেস সপ্তাহে একদিন রবিবার বন্ধ
থাকে বাকি ছয় দিন যথাসময়ে চলাচল করে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমন
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমণ এখন অনেক সহজ ও আরামদায়ক হয়ে
উঠেছে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ট্রেনের এই নতুন রুট উদ্বোধন
হওয়ার পর মানুষ এখন ট্রেনে করে খুব সহজেই সরাসরি ঢাকা থেকে কক্সবাজার
যেতে পারছে। বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এই লাইনে দুইটি ট্রেন চলাচল
করছে।
একটি হচ্ছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস আরেকটি হচ্ছে পর্যটক এক্সপ্রেস। এই
ট্রেনে আপনি যদি ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণ করেন। তাহলে আপনি সুন্দর ও
নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়ার
পরেই শুরু হয় আনন্দময় একটি যাত্রা। যেখানে জানালার বাইরে তাকালেই দেখা
যায় সবুজ মাঠ, নদী ও ঝোপঝাড়ের মনোমুগ্ধকর একটি দৃশ্য।
পথে পথে ছোট বড় অনেক নদীর উপর দিয়ে পার হওয়া এবং চারপাশে নদীর পানির ঢেউ
আর নৌকার দৃশ্য আপনার চোখে এক বিশেষ আনন্দ এনে দিবে। কক্সবাজারের কাছাকাছি
যখন আপনি চলে আসবেন তখন আপনাকে কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য বিশেষ করে পাহাড়ি
বন ও প্রকৃতির রূপ আপনার চোখের দৃষ্টি কাড়বে। আপনি যখন আপনার পরিবার বা
বন্ধুদের সাথে এই ট্রেনে বসে ভ্রমণ করবেন।
তখন এর আসল আনন্দটা আপনি উপভোগ করতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো বিষয়
হচ্ছে এই ভ্রমণে বাসের মতো কোন যানজট বা বিমানের মত কোন
তাড়াহুড়া সমস্যা থাকে না। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য
ট্রেনের এই নতুন রাস্তা আপনার যাত্রা কে অনেক
আকর্ষণীয় আনন্দময় ও স্মরণীয় করে রাখবে। কারণ এই ভ্রমণের প্রতিটা
অংশে সৌন্দর্য ও আনন্দে ভরপুর থাকে। যেটার অভিজ্ঞতা আপনি তখনই পাবেন যখন
আপনি এই ভ্রমণ করবেন।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার কত কিলোমিটার
আপনারা অনেকেই ঢাকা থেকে কক্সবাজার কত কিলোমিটার জানতে চেয়েছেন। তাই
এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো ঢাকা থেকে কক্সবাজার টোটাল কত কিলোমিটার। ঢাকা
থেকে কক্সবাজার আপনি যদি সড়ক পথে যেতে চান, সেক্ষেত্রে এটা দূরত্ব
প্রায় ৩৯৭ কিলোমিটার। আর আপনি যদি ট্রেন পথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যান,
তাহলে এর দূরত্ব প্রায় ৩৯২ কিলোমিটার। আশা করছি উপুক্ত আলোচনা
পড়ার পর আপনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার টোটাল কত কিলোমিটার সে সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন।
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান
এখন আমি আপনাদেরকে কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত
জানাবো। কক্সবাজার আমাদের দেশের সবথেকে জনপ্রিয় একটি পর্যটন
শহর। বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকতের জন্য আমাদের
এই কক্সবাজার বিখ্যাত।
এখানে অনেক মানুষ তাদের সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর জন্য এসে থাকে। কক্সবাজার
সমুদ্র সৈকতের ঢেউ, সমুদ্রের বালি এবং সুন্দর আবহাওয়া মানুষের মনকে
শান্ত করে এবং আনন্দে ভরিয়ে দেয়। কক্সবাজারে এমন কিছু দর্শনীয়
স্থান আছে যে স্থানগুলোতে আপনি প্রকৃতির সৌন্দর্য আরো গভীরভাবে উপভোগ করতে
পারবেন। সেই দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম হচ্ছে।
কক্সবাজার সৈকতঃ কক্সবাজার ভ্রমণে সব থেকে আকর্ষণীয় ও মধুময় মুহূর্ত
উপভোগ করার জন্য কক্সবাজার সৈকত একটি ভালো দর্শনীয় স্থান হতে
পারে। এই দর্শনীয় স্থানটি সোনালী বালি এবং নীল সমুদ্র, সূর্য
ওঠা ও সূর্য ডোবা উপভোগ করার জন্য বেশ জনপ্রিয়।
ইনানী সৈকতঃ এই দর্শনীয় স্থানটি মূলত সাদা বালি ও শান্ত সমুদ্রের
জন্য বেশ জনপ্রিয় একটি স্থান। এই জায়গা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার
জন্য বেশ জনপ্রিয়।
হিমছড়িঃ কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য গেলে অবশ্যই হিমছড়ি স্থানটি ঘুরে দেখা
উচিত। হিমছড়ি স্থানটি কক্সবাজারের একটি আকর্ষণীয় ও প্রকৃতির সৌন্দর্যে
ভরা একটি মনোরম পরিবেশ বহন করে থাকে। হিমছড়ির পাহাড় ঝর্ণা এবং সবুজ বন
জঙ্গল প্রকৃতির সৌন্দর্যকে অনেক বাড়িয়ে থাকে।
মহেশখালী দ্বীপঃ এই স্থানটি মূলত বৌদ্ধমত এবং পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ
করার জন্য বেশ আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। কক্সবাজারের সৌন্দর্য এই
স্থানটির জন্য আরো বহুৎ গুনে বেড়ে গিয়েছে।
টেকনাফঃ এখানে আপনি নৌকা ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন। সেই সাথে এখানকার
সমুদ্রের পানি পরিষ্কার ও সাদা বালি হাওয়াই অনেকেই এখানে তাদের ভ্রমণের
সুন্দর মুহূর্তগুলো কাটিয়ে থাকে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপঃ সেন্টমার্টিন দ্বীপ মূলত প্রবাল স্বচ্ছ জল
ও সেখানকার পাথরের জন্য বেশ বিখ্যাত।
বালুখালি পাহাড়ঃ এই স্থানটি পাহাড়ি সকল দৃশ্য উপভোগ করার জন্য এবং
সবুজ বন জঙ্গলের আনন্দ উপভোগ করার জন্য বেশ জনপ্রিয় একটি স্থান।
কক্সবাজার চিড়িয়াখানাঃ এই জায়গাটা ছোট শিশুদের জন্য অনেক সুন্দর
একটি জায়গা এবং যারা প্রাণীপ্রেমী তাদের জন্যও এই জায়গাটা বেশ মনোমুগ্ধকর ও
আনন্দের মুহূর্ত তৈরি করে যা সারা জীবন স্মরণীয় হয়ে থাকে।
আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কক্সবাজার ভ্রমণে গেলে অবশ্যই এইসব স্থানগুলো
ভালোভাবে ঘুরে দেখা উচিত। এসব স্থানগুলো ভালোভাবে ঘুরলে
আপনি কক্সবাজারের আসল আনন্দ ও মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পারবেন। যেটা
আপনার জীবনের একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।
FAQ/ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনের কেবিন আছে কী?
উত্তরঃ আপনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনের কেবিনে যেতে পারবেন। তবে সব ট্রেনেই
কেবিনের ব্যবস্থা থাকে না। যেগুলো ইন্টারসিটি ট্রেন সেগুলোতেই কেবিনের
সুব্যবস্থা থাকে। যেখানে আপনি অথবা আপনার পরিবার আরাম করে শুয়ে বসে
যেতে পারবেন। এক কথায় বলা যায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যাওয়ার
জন্য কেবিন আছে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন কবে চালু হয়েছিল?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১
ডিসেম্বরে। এই দিন থেকেই ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার
এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল। এই ট্রেনটি
কক্সবাজারের প্রথম বাণিজ্যিক রেল সেবা হিসেবে চালু হয়েছিল। এরপর ২০২৪
সালে ১০ই জানুয়ারি লাভ এক্সপ্রেস নামের আরেকটি ট্রেন চালু
হয়েছিল।
কক্সবাজারের পুরাতন নাম কী?
উত্তরঃ কক্সবাজারের পুরাতন নাম হচ্ছে কক্সবাজার। এই স্থানের
নামকরণ হয়েছিল মূলত একজন ব্রিটিশ অফিসারের নামের উপর ভিত্তি করে।
সেই ব্রিটিশ অফিসারের নাম ছিল হ্যাজরেট ফ্রান্সিস কক্স। তিনি ১৮৬৯
সালে কক্সবাজারের একটি বাজার স্থাপন করেছিল এবং সেই থেকেই এই জায়গার
নাম কক্সবাজার হয়ে যায়।
ট্রেনের এসি বার্থ কী?
উত্তরঃ ট্রেনের এসি বার্থ হচ্ছে এমন একটি কক্ষ যেখানে আপনি বা আপনার
পরিবার পার্সোনাল ভাবে থাকতে পারবেন। এটি একটি ছোট কক্ষ যেখানে আপনি
অনেক আরামে শুয়ে বসে আপনার যাত্রা করতে পারবেন। এই কক্ষে এসির সুবিধা
আছে যেখানে গরমের কোন সমস্যা নাই। এটাকে মূলত ট্রেনের এসি বার্থ
বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নিন
ট্রেনের শোভন চেয়ার কী
উত্তরঃ ট্রেনের শোভন চেয়ার হচ্ছে ট্রেনের সাধারণ ক্লাসের একটি আসন এই আসনটি
মূলত বসে থাকার জন্য তৈরি। এক কথায় বলা যায় এটা হচ্ছে সাধারণ যাত্রা
করার জন্য আরামদায়ক একটি চেয়ার এই সিটে ঘুমানোর জন্য বিছানার ব্যবস্থা
থাকে না।
শেষ কথাঃ ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া ২০২৫
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া ২০২৫ সম্পর্কে আমার আর্টিকেলের মধ্যে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে
কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান এবং ঢাকা টু
কক্সবাজার ট্রেনের তালিকা ২০২৫ সম্পর্কে সকল তথ্য জানিয়েছি। আশা
করছি আমার এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার
জন্য ট্রেনের ভাড়া কত সে সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।
আপনি যদি আমার আর্টিকেলটি করে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে এটি আপনি আপনার
পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে শেয়ার করবেন এবং তাদেরকেও জানার সুযোগ করে
দিবেন। এছাড়াও আমার আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত
থাকে অথবা আপনি যদি নতুন কোন বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য সম্পর্কে জানতে
চান? তাহলে আমাদের যোগাযোগ পেজে অথবা নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে
কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।
অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url