ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান নিয়ে আজকে আমি কথা বলবো। জমির ডিজিটাল কাগজপত্র বা খতিয়ান, যেটা অনলাইনের মাধ্যমে দেখা যায়। আগে যেসব তথ্য জমির অফিসে গিয়ে আমরা নিতাম এখন ওগুলায় আমরা আমাদের ঘরে বসে থেকেই পেতে পারি। বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় জমি সংক্রান্ত কাজকে আরও সহজ ও আধুনিক করার জন্য।
ই-পর্চা-খতিয়ান-অনুসন্ধান
অনেক ডিজিটাল সেবা চালু করেছে যা আপনি এখন ঘরে বসেই অনলাইনে আপনার জমির পচা বা খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারেন। তাই জমির খতিয়ান অনুসন্ধান এর সকল তথ্য আজ আমরা আমাদের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই আর দেরি না করে আসুন সকল তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সুচিপত্রঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান হচ্ছে জমির একটি ডিজিটাল খতিয়ান বা কাগজপত্র যা অনলাইনের মাধ্যমে দেখা যায়। ই পর্চার কারনে আজ আমরা আমাদের জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কাজ বা সমস্যার সমাধান ঘরে বসে থেকেই করতে পারি। ই পর্চা জন্য আমরা আমাদের জমির খতিয়ান, জমি কেনা বেচা, জমির দাগ নম্বর এবং জমির সকল তথ্য জানতে পারি। ই পর্চা হচ্ছে আমাদের দেশের একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম যা ভুমি মন্ত্রণালয় জমি সংক্রান্ত কাজকে আরো সহজ ও আধুনিক করার জন্য চালু করেছেন।
ই পর্চা ব্যাবহারের কারনে আমাদের জমির কাজ বা তথ্য যানা অনেক সহজ হয়ে গেছে। কেননা আগে আমরা আমাদের জমির সকল প্রয়োজনীয় ডাটা বা তথ্য যেমন জমির দাগ নাম্বার ,রেকর্ড ইত্যাদি কাগজপত্র নেওয়ার জন্য ভুমি মন্ত্রণালয় যাওয়া লাগতো। কিন্তু এখন ই পর্চা থাকার কারনে আমরা এখন খুব শহজে জমির সব ডকুমেন্ট কাগজপত্র ঘরে বসে বার করতে পারি। তাই আপনি যদি আপনার জমির সকল তথ্য, কাগজপত্র ডকুমেন্ট জানার বা বার করার প্রয়োজন হয়। তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া সকল তথ্য আপনাকে পড়তে হবে।

ই পর্চা ওয়েবসাইট থেকে জমির সকল তথ্য বার করার নিয়ম
  • প্রথমেই আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করবেন ই পর্চা লিখে। তারপর প্রথমে যে ওয়েবসাইট টি আসবে তাতে ক্লিক করে প্রবেশ করবেন। অবশ্যই ওপরে দেওয়া ছবিতে যে ওয়েবসাইটি দেখানো হয়েছে সেটিতে ঢুকতে হবে।
  • সেখানে আপনার জমির সকল তথ্য চাইবে। আপনি আপনার জমির সঠিক সব তথ্য দিবেন যেমনঃ মৌজা, জমির দাগ নাম্বার তারপর আপনার ঠিকানা এই গুলো।
  • তারপর আপনাকে আপনার জমির পরিমাণ, মালিকের পরিচয় ও জমির অবস্থানের বিস্তারিত সব দিতে হবে।
  • সঠিকভাবে সব তথ্য পূরণ শেষে আপনি চাইলে দলিলটি ডাউনলোড অথবা প্রিন্ট করে বার করতে পারেন।

খতিয়ান এবং পর্চা অনুসন্ধানের মধ্যে পার্থক্য

জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করা এবং পচা অনুসন্ধান করা এই দুটোই জমির মালিকানা ও জমির বিবরণ সংক্রান্ত সব তথ্য জানার পদ্ধতি। তবে এদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য আছে। যেমনঃ খতিয়ান হচ্ছে জমির মালিক, জমির পরিমাণ, জমির শ্রেণি এবং জমির খাজনা সম্পর্কিত। এটিকে একটি নিদিষ্ট খতিয়ান নাম্বার দিয়ে অথবা জমির মালিকের নাম দিয়ে খোজা হয়। আর অন্যদিকে পর্চা হচ্ছে খতিয়ানের সারসংক্ষেপ বা কপি যেটা সাধারণত জমির মালিক বা ক্রেতা সংগ্রহ করে থাকেন।

জমির মালিকানা যাচাই করার উপায়

ই পর্চা খতিয়ান একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম। যা আমাদের কে ভূমি সংক্রান্ত হালনাগাদ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য
প্রদান করে থাকেন। এই সেবার মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই সহজে জানতে পারবো জমির মালিকানা পরিমাণ, সীমানা এবং জমির অন্যান্য সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এটি ব্যবহার করে খতিয়ান বা মালিকানা সংক্রান্ত দলিল অনলাইনে পাওয়া সম্ভব। যার ফলে আমরা আমাদের জমি নিয়ে বিভ্রান্তি বা ভুল তথ্য জনিত সমস্যাগুলো দ্রুত ও সহজে সমাধান করতে পারব। ই পর্চা খতিয়ান ব্যবহারের জন্য প্রথমে ব্যবহারকারীকে জমির জেলা, উপজেলা এবং মৌজার নম্বর দিতে হয়।

এরপর খতিয়ান নম্বর বা জমির রেকর্ড নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করলে সহজেই জমির তথ্য দেখা যায়। এই তথ্যের মধ্যে থাকে বর্তমান মালিকের নাম আগের মালিকের নাম জমির পরিমাণ এবং সীমানা সংক্রান্ত বিস্তারিত। সব তথ্যই একটি হালনাগাদ ও নির্ভরযোগ্য ডাটাবেজ থেকে আসে যার ফলে জমি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি বিভ্রান্তির ঝুঁকি অনেক কম হয়ে যায়। ই পর্চা খতিয়ান প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের সুবিধা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। এটা ব্যবহার করা সহজ এবং তথ্য খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ। এই প্লাটফর্মে শুধুমাত্র জমির মালিকানা নয়। জমির রাজস্ব সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। যেমন জমির শ্রেণী

বাজার মূল্য এবং জমির উপর আরোপিত করের পরিমাণ। এসব তথ্য জমি কেনা বেচা, নবায়ন বা যেকোনো আইনগত কাজে অনেক উপকারে আসে। ফলে জমির মালিকরা খুব সহজেই তাদের জমির বর্তমান অবস্থা ও রাজস্বের হিসাব-নিকাশ করতে পারে। ই পর্চা খতিয়ান হচ্ছে জমির মালিকানা যাচাই এর একটি সহজ নির্ভরযোগ্য ও কার্যকরী উপায়। এটি শুধু জমির মালিকদের নয় জমি ক্রেতা বিক্রেতা এবং সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য খুব উপকারী। এই ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে জমি সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য দ্রুত পাওয়া যায় এবং সমস্যা সহজেই সমাধান করা সম্ভব হয়। ফলে পুরো ভুমি ব্যবস্থাপনা আরো স্বচ্ছ সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী হয়েছে।

অনলাইনে পুরাতন দলিল বার করার নিয়ম

অনলাইনে পুরাতন দলিল বার করার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। আমারা অনেকেই আছি যারা পুরনো দলিল বার করার জন্য অনেক টাকা পয়সা খরচ করে থাকি। তাই আজকে আমি আমরা ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কীভাবে আমাদের পরিবার আত্মীয়-স্বজন অথবা দাদা নানার পুরাতন জমির দলিল বার করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

বর্তমানে আমাদের দেশপ্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেকে এগিয়ে গেছে। আগে যেসব কাজের জন্য বিভিন্ন অফিসে ঘুরতে হতো এবং টাকা খরচ করে অনেক সময় জমির দলিল পাওয়া যেত না এখন সেগুলো ঘরে বসেই থেকেই করা সম্ভব। এখন আপনি চাইলে শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনলাইনে আপনার পুরনো জমির দলিলসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুব সহজে বের করতে পারবেন। তাই পুরো পোস্ট জুরে আমাদের সাথেই থাকুন, তাহলে আপনি কীভাবে অনলাইনে পুরাতন দলিল বার করতে হয় তা জানতে পারবেন।
পুরনো জমির পূর্ণ দলিল অনলাইনে বের করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার জানা থাকতে হবে। প্রথম তথ্য হচ্ছে যে ব্যক্তির নামে জমির দলিল বের করতে চান তার নাম অবশ্যই জানতে হবে। দ্বিতীয় তথ্য হচ্ছে আপনি যে জমির দলিল খুঁজছেন। সেই জমির সর্বশেষ রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন কত সালে হয়েছে সেটা জান্তে হবে। এই তথ্য গুলো যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে পুরনো দলিল খুঁজে পাবেন না। এবার আসুন কীভাবে পুরনো দলিল বার করবেন, তা দেখা যাক। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে আপনার পুরনো জমির দলিল বের করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার মোবাইল ফোনে একটি সেটিং করে নিতে হবে। আগে আপনার মোবাইল ফোনের ক্রোম ব্রাউজার ভিতরে প্রবেশ করতে হবে।

তারপর ক্রোম ব্রাউজারের উপরের দিকে কন্যারে একটি থ্রি ডট আইকন দেখতে পাবেন। ওইখানে ক্লিক করার পর একটু নিচের দিকে যাবেন। ওখানে লেখা থাকবে ডেক্সটপ মোড সেখানে ক্লিক করার পর আপনার ফোনে ডেস্কটপ মোড অর্থাৎ কম্পিউটারের মতো স্ক্রিন দেখাবে। তাছাড়া যদি আপনি কম্পিউটার থেকে করে থাকেন তাহলে কোন কিছু অন করতে হবে না। তারপর আপনার ডিভাইসে ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে ই রেজিস্ট্রেশন লিখে সার্চ করবেন। সার্চ করার পর সার্চের শুরুতেই যে সরকারি ওয়েবসাইটটি দেখবেন সেখানে ক্লিক করে প্রবেশ করবেন।ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি পুরনো দলিল খোঁজার অপশনটি দেখতে পাবেন। আমরা যেহেতু পুরনো দলিল বের করতে চাই তাই সেই নির্দিষ্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর যেই ব্যক্তির নামে দলিল খুঁজছেন তার সঠিক নাম দিতে হবে।

একটি বিষয় মনে রাখবেন আগে অনেকেই বাংলায় নাম লিখে দলিল করতেন। কিন্তু এখন বেশিরভাগ তথ্য ইংরেজিতে থাকে। তাই নাম টাইপ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে নাম বাংলায় ছিল কিনা সেটা মিলিয়ে নেওয়া। যার জমির দলিল খুজছেন তার সঠিক ইংরেজি নাম ব্যবহার করে সার্চ করতে হবে। এরপর পরবর্তী ধাপে আপনাকে জানাতে হবে জমিটি সর্বশেষ কত সালে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন হয়েছিল। ওয়েবসাইটে একটি ঘর থাকবে যেখানে আপনাকে সেই সালটি সঠিকভাবে লিখে দিতে হবে। এখানে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে রেজিস্ট্রেশনের সাল যদি ঠিক না হয় তাহলে আপনি সঠিক দলিলটি খুঁজে পাবেন না। তাই তথ্যগুলো ভাবে দেওয়ার পর পুরনো দলিলের তথ্য ওয়েবসাইটে দেখাবে। সেখানে চাইলে আপনি দলিলটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা প্রিন্ট করে বার করতে পারবেন।

অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান বার করা

অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান বার করা্র উপায় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। এই জানা না থাকার জন্য আমরা তফসিল অফিসে গিয়ে জমির খতিয়ান বার করার জন্য অনেক হয়রানির সম্মুখীন হয়ে থাকি। বর্তমানে আমাদের দেশ প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। যার কারণে এখন আমরা তফসিল অফিসে না গিয়েও, ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে জমির খতিয়ান বার করতে পারি।

অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান বের করার জন্য আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজারের মধ্যে এ গিয়ে "eporcha.gov.bd" লিখে সার্চ করুন। তারপর প্রথমে যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে ক্লিক করে প্রবেশ করুন। তারপর সেখানে জমির সকল তথ্য যেমন বিভাগ, জেলা, উপজেলা থানা, মৌজা দিয়ে আপনি আপনার খতিয়ানটি খুব সহজেই বার করতে পারবেন এবং সেই খতিয়ান টি আপনি চাইলে ডাউনলোড অথবা প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

অনলাইনে জমির নামজারি খতিয়ান বের করার নিয়ম

অনলাইনে জমির নামজারি খতিয়ান বের করার নিয়ম নিয়ে আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রযুক্তির উন্নয়নের কারনে আমাদের জিবনের অনেক কঠিন কাজ গুলো আজ আমাদের জন্য খুব সহজ হয়ে গেছে। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজ এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকি। তেমনি আমরা ডিজিটাল ভূমি সেবার মাধ্যমে এখন ঘরে বসে অনলাইনে ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করে জমি সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে পারি খুব সহজেই।
ই-পর্চা-খতিয়ান-অনুসন্ধান
অনলাইনে জমির নামজারি খতিয়ান বের করার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তা হচ্ছে। আপনি যদি মোবাইল অথবা কম্পিউটারে অনলাইনে জমির নাম জারি খতিয়ান বের করতে চান। তবে আপনি আপনার ফোনের ক্রোম ব্রাউজার এ গিয়ে থ্রি ডট আইকনে ক্লিক করে ডেক্সটপ মোড চালু করে নিতে পারেন। আর যদি কম্পিউটার থেকে করেন তাহলে কিছু করা লাগবে না।

তারপর আপনি "dlrms.land.gov.bd" লিখে সার্চ করতে পারেন এরপর প্রথমে যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে ক্লিক করে প্রবেশ করুন।। তারপর আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা থানা, মৌজা সকল ধরনের তথ্য পূরণ করে সাবমিট দিবেন। তারপর আপনি আপনার জমির নামজারি খতিয়ানটি দেখতে পাবেন এবং সেটি ডাউনলোড অথবা প্রিন্ট করে রাখতে পারবেন ইত্যাদি।

দলিলের সত্যায়িত কপি তোলার নিয়ম

দলিলের সত্যায়িত কপি তোলার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই আছি জানিনা। কীভাবে দলিলের সত্যায়িত কপি উঠাতে হয় তা নিয়ে আজ আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো। অনেক সময় দলিল হারিয়ে যায় অথবা নষ্ট হয়ে যায় কিংবা অনেক কাজের ক্ষেত্রে আমাদের দলিলের সত্যায়িত কপির প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই দলিলের সত্যায়িত কপি তোলার জন্য আমরা যা যা করতে পারি তা হলো। দলিলের সত্যায়িত কপি তোলার জন্য এখন আপনি আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে ঘরে বসে আবেদন করতে পারেন। যদি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কীভাবে আবেদন করতে হয় না জেনে থাকেন।

তাহলে আপনাকে আপনার জেলার রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিলের সত্যায়িত কপি তোলার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য আপনাকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা মতো খরচ করতে হতে পারে। কারণ কপি তোলার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্রের দরকার হবে এবং সেই দলিলে আবার লেখা লেখির কাজ করতে হবে তার জন্য আপনার কিছু টাকা খরচ হতে পারে। এই কাজ টাই আপনি যদি অন্য কারো মাধ্যমে করিয়ে নিতে চান। তাহলে আপনাকে ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। উপরে আমার দেওয়া তথ্য পরে আশা করি আপনি দলিলের সত্যায়িত কপি কীভাবে তুলতে হয় এবং কতো টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

কীভাবে জমির দলিল উঠানো যায়

কীভাবে জমির দলিল উঠানো যায় সে সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের বিস্তারিত বলবো। আপনি যদি আপনার জমির দলিল উঠাতে চান তাহলে আপনি এই দলিলটি কোথা থেকে তুলবেন কীভাবে তুলবেন কি কি নিয়ম অনুযায়ে তুলবেন। সে সম্পর্কে সকল তথ্য নিচে আলচনা করা হলো। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে জমির দলিল উঠাতে হয়ঃ জমির দলিল উত্তোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করে সম্পূর্ণ করতে হয়।সাধারণত দুটি প্রধান পদ্ধতিতে জমির দলিল তোলা যায়। প্রথমত যেই জমির দলিল আপনি তুলতে চান সেই জমির সিএস, এসএ, আরএস অথবা বিএস দাগ নম্বর জানতে হবে। এই দাগ নম্বরের ভিত্তিতে মূলত দলিল সনাক্ত করা হয়। আপনি এই তথ্য আপনার এলাকা সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।

এরপর আপনাকে জানতে হবে যে জমিটি সর্বশেষ কাদের নামে নাম জারি হয়েছে। এই নামজারির সঙ্গে, যুক্ত নথিপত্রে দলিলের দাগ নম্বর নামজারির তারিখ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে যা দলিল উত্তোলনের জন্য অপরিহার্য। এই তথ্য সংগ্রহ করার পরে আপনি দলিল উত্তোলনের জন্য নির্ভরযোগ্য দুটি উৎসে যেতে পারে। যদি দলিলটি সাম্প্রতিক কয়েক বছরের মধ্যে হয়ে থাকে, সাধারণত ছয় থেকে সাত বছরের মধ্যে, তাহলে সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্টার অফিস থেকে সরাসরি আবেদন করে দলিলের সার্টিফাইড কপি তুলতে পারবেন। তবে দলিল অনেক পুরনো হয় যেমন ১০ থেকে ১৫ বা তারও বেশি বছরের পুরনো, তাহলে সেটির কপি জেলা প্রশাসকের ডিসি অফিসে অবস্থিত রেকর্ড রুম থেকে উত্তোলন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে আবেদনে জমা দিতে হবে।
এছাড়াও যদি দাগ নম্বর বা খতিয়ান সম্পর্কিত সঠিক তথ্য না থাকে তবে আপনাকে জমির অতীত রেকর্ড অনুসন্ধান করতে হবে, যাকে সাধারণভাবে ই পচা খতিয়ান অনুসন্ধান বলা হয়ে থাকে। এই সার্চের মাধ্যমে জমির প্রকৃত অবস্থান, দাগ নম্বর ও মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়, যা দলিল উত্তোলনের কাজের সহায়তা করে। আপনি যত দ্রুত ও নির্ভুল ভাবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে পারবেন, তত দ্রুত আপনি আপনার জমির দলিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন। মনে রাখতে হবে সঠিক তথ্য ও যথাযথ নথি পত্র ছাড়া কখনই দলিল উত্তোলন সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই আপনাকে জমির যথাযথ সকল তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। আশা করি কিভাবে জমির দলিল উঠানো যায় সে সম্পর্কে আপনি আমার এই পোস্টটি থেকে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন

দলিলের কপি তোলার প্রয়োজনীয় খরচ

দলিলের কপি তোলার প্রয়োজনীয় খরচ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। যার জন্য আমরা অনেক জায়গায় প্রতারণার শিকার হয়ে থাকি। তাই আপনারা যেন জমির কপি তোলার প্রয়োজনীয় খরচ না জানার কারণে প্রতারণার শিকার না হন, সে জন্য আমি আজকে দলিলের কপি তোলার প্রয়োজনীয় খরচের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

জমির দলিলের কপি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কার্যকরী দলিল, বিশেষ করে তখন যখন আপনি নতুন করে কোন জমি ক্রয় করেন। সাধারণত নতুন দলিল সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হতে সময় লাগে কিছুটা, যা অনেক সময় এক বছর পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু এর মধ্যে বিভিন্ন অফিসিয়াল বা কাজে দলিলের প্রয়োজন হতে পারে, যেমন ব্যাংক ঋণ গ্রহন, নামজারি আবেদন, মিউটেশন বা জমির মালিকানা নিয়ে প্রমাণ প্রদর্শনের মত নানা কাজ। এই অবস্থায় মূল দলিল হাতে না থাকা পর্যন্ত দলিলের কপি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক এর ভূমিকা পালন করে থাকে। নকল দলিল উত্তোলনের প্রক্রিয়াটি তুলনামূলক ভাবে সহজ হলেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

সাধারণত জমির মালিক নিজে অথবা নির্ধারিত প্রতিনিধি উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন, দাগ নম্বর খতিয়ানের তথ্য দলিল নম্বর ও আবেদনকারীর পরিচয় যুক্ত করতে হবে। আবেদন গৃহীত হওয়ার পর সাধারণত ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে নকল দলিল সংগ্রহ করা যায়। খরচের বিষয়ে বলা যায়, অঞ্চলভেদে সামান্য তারতম্য থাকলেও সাধারণভাবে নকল দলিল তোলার জন্য সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। কোথাও কোথাও এই খরচ একটু কমও হতে পারে। যখন আপনি মূল দলিল রেজিস্ট্রেশন করবেন তখন আপনি ভূমি অফিসে অনুরোধ করতে পারবেন, যেন দলিলের একাধিক কপি প্রস্তুত করা হয়।
ই-পর্চা-খতিয়ান-অনুসন্ধান
এক কপি আপনি নিজে সংরক্ষণ করবেন যা ভবিষ্যতের যে কোন প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে। অন্য কপিটি আপনি মূল দলিল প্রস্তুতির জন্য জমা দিতে পারেন। এই কপির মাধ্যমে আপনি সহজেই জমির যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। সব মিলিয়ে বলা যায় নকল দলিল একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলের বিকল্প হিসেবে কাজ করে এবং মূল দলিল প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে এবং নির্ধারিত ফ্রি পরিষদের মাধ্যমে যে কেউ সহজেই এটি সংগ্রহ করতে পারেন। তাই জমি সংক্রান্ত যেকোনো প্রক্রিয়ায় বিশেষ করে, নতুন জমি কেনার পর পরেই নকল দলিল সংগ্রহ করা একটি বুদ্ধিমানের কাজ। আশা করি আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি দলিলের কপি তোলার প্রয়োজনীয় খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

সর্বশেষ আমার মন্তব্যঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে আশাকরি আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে সকল বিষয়ে আপনি খুটি-নাটি তথ্য জানতে পেরেছেন। বর্তমানে আমাদের দেশ প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক উন্নতি করে ফেলেছে, যার কারণে এখন আমাদের আর কোথাও গিয়ে ঘুরাঘুরি করতে হয় না। কোন কাজের জন্য হয়রানির শিকার হতে হয় না। কেননা এখন আমরা ঘরে বসেই আমাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আমরা আমাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জেনে নিতে পারছি। তবে কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার ভূমি অফিসের শরণাপন্ন হতে হবে। তাছাড়া ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে আমি যে বিস্তারিত আলোচনা করলাম তা থেকে আপনি সকল বিষয় ভালোভাবে জানতে পেরেছেন এবং আশা করি সে অনুযায়ী আপনি কাজ করবেন।

আপনি যদি কোন নতুন জমি কিনতে যান বা ক্রয় করেন। তাহলে অবশ্যই তার সকল কাগজপত্র ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে জমি কিনবেন। কেননা বর্তমানে অনেক অসৎ লোক রয়েছে যারা জমির ভুয়া দলিল বানিয়ে বিক্রি করে থাকেন। যার ফলে পরবর্তীতে আপনি অনেক বিপদে পড়তে পারেন। কেননা যে জমির আসল মালিক সে কেস করে জমিটি নিয়ে নেবে ফলে আপনি লসে পড়বেন, তাই জমি কেনার আগে অবশ্যই আপনি জমির কাগজপত্র সকল ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে তারপর ক্রয় করবেন। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টে করে জানাবেন এবং বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন তাদেরকে জানার সুযোগ করে দিবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অপরাজিতা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url